০৫:৩১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

আরও ২১২৫ রোহিঙ্গা ভাসানচরে পৌঁছেছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৬:২৪:২১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ এপ্রিল ২০২১
  • / ৪১৫১ বার দেখা হয়েছে

ষষ্ঠ দফায় আরও ২ হাজার ১২৫ জন রোহিঙ্গা নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার ভাসানচরে পৌঁছেছে।  বৃহস্পতিবার (০১ এপ্রিল) বিকেল ৪টার দিকে রোহিঙ্গাদের বহনকারী নৌবাহিনীর ছয়টি জাহাজ ভাসানচরে পৌঁছায়। 

ভাসানচর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহে আলম ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে চট্টগ্রাম থেকে ২ হাজার ১২৫ জন রোহিঙ্গাকে নিয়ে নৌবাহিনীর জাহাজগুলো ভাসানচরের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। ভাসানচরে পৌঁছার পর পরই রোহিঙ্গাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের কর্মীরা। এ সময় ঘাটে নৌবাহিনীর সদস্য ও জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রোহিঙ্গা দলটিকে প্রথমে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ওয়্যারহাউসে নেওয়া হয়। সেখানে নৌবাহিনীর সদস্যরা তাদের ভাসানচরে বসবাসের নিয়ম-কানুন সম্পর্কে ধারণা দেন। পরে তাদের আবাসস্থল বুঝিয়ে দেওয়া হয়।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: বিজনেসজার্নালবিজনেসজার্নাল.বিডি

ভাসানচর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহে আলম বলেন, ২ হাজার ১২৫ জন রোহিঙ্গাকে জাহাজ থেকে নামিয়ে মেডিকেল পরীক্ষা শেষে গাড়িতে করে ওয়্যারহাউসে নেওয়া হয়। ভাসানচরে বসবাসের নিয়ম-কানুন সম্পর্কে তাদের ধারণা দেওয়া হয়। পরে তাদের ভাসানচরের ক্লাস্টারে নেওয়া হয়।

উল্লেখ্য, এর আগে পঞ্চম দফায় কক্সবাজারের বিভিন্ন ক্যাম্প থেকে ১৪ হাজারের অধিক রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে স্থানান্তর করা হয়। ২০২০ সালের ৪ ডিসেম্বর প্রথম দফায় ১ হাজার ৬৪২ জন, ২৯ ডিসেম্বর ১ হাজার ৮০৪ জন, চলতি বছরের ২৯ ও ৩০ জানুয়ারি তৃতীয় দফায় ৩ হাজার ২৪২ জন, চতুর্থ দফায় ৩ হাজার ১৫ জন ও পঞ্চম দফায় ৪ হাজারের অধিক রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এছাড়াও অবৈধভাবে সাগরপথে মালয়েশিয়া যেতে ব্যর্থ হয়ে ফিরে আসা ৩০৬ জন রোহিঙ্গাকে ২০২০ সালের মে মাসে ভাসানচরে নিয়ে যায় সরকার।

মিয়ানমার সেনাবাহিনীর হত্যা ও নির্যাতন থেকে বাঁচতে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্টের পর থেকে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেন সাড়ে সাত লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা। এছাড়া নতুন-পুরোনো মিলে বর্তমানে ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফের পাহাড়ি এলাকায় ক্যাম্পগুলোতে বসবাস করছে। রোহিঙ্গাদের চাপ কমাতে দুই বছর আগে অন্তত এক লাখ রোহিঙ্গাকে নোয়াখালীর ভাসানচরে স্থানান্তরের পরিকল্পনা নেয় সরকার।

সরকারের তথ্য অনুযায়ী, রোহিঙ্গাদের স্থানান্তরের জন্য নিজস্ব তহবিল থেকে ৩ হাজার ৯৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ভাসানচর আশ্রয়ণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে। ১৩ হাজার একর আয়তনের ওই চরে এক লাখ রোহিঙ্গা বসবাসের উপযোগী ১২০টি গুচ্ছগ্রামের অবকাঠামো তৈরি করা হয়েছে।

বিজনেসজার্নাল/ঢাকা/এনইউ

 

আরও পড়ুন:

শেয়ার করুন

x
English Version

আরও ২১২৫ রোহিঙ্গা ভাসানচরে পৌঁছেছে

আপডেট: ০৬:২৪:২১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ এপ্রিল ২০২১

ষষ্ঠ দফায় আরও ২ হাজার ১২৫ জন রোহিঙ্গা নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার ভাসানচরে পৌঁছেছে।  বৃহস্পতিবার (০১ এপ্রিল) বিকেল ৪টার দিকে রোহিঙ্গাদের বহনকারী নৌবাহিনীর ছয়টি জাহাজ ভাসানচরে পৌঁছায়। 

ভাসানচর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহে আলম ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে চট্টগ্রাম থেকে ২ হাজার ১২৫ জন রোহিঙ্গাকে নিয়ে নৌবাহিনীর জাহাজগুলো ভাসানচরের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। ভাসানচরে পৌঁছার পর পরই রোহিঙ্গাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের কর্মীরা। এ সময় ঘাটে নৌবাহিনীর সদস্য ও জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রোহিঙ্গা দলটিকে প্রথমে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ওয়্যারহাউসে নেওয়া হয়। সেখানে নৌবাহিনীর সদস্যরা তাদের ভাসানচরে বসবাসের নিয়ম-কানুন সম্পর্কে ধারণা দেন। পরে তাদের আবাসস্থল বুঝিয়ে দেওয়া হয়।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: বিজনেসজার্নালবিজনেসজার্নাল.বিডি

ভাসানচর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহে আলম বলেন, ২ হাজার ১২৫ জন রোহিঙ্গাকে জাহাজ থেকে নামিয়ে মেডিকেল পরীক্ষা শেষে গাড়িতে করে ওয়্যারহাউসে নেওয়া হয়। ভাসানচরে বসবাসের নিয়ম-কানুন সম্পর্কে তাদের ধারণা দেওয়া হয়। পরে তাদের ভাসানচরের ক্লাস্টারে নেওয়া হয়।

উল্লেখ্য, এর আগে পঞ্চম দফায় কক্সবাজারের বিভিন্ন ক্যাম্প থেকে ১৪ হাজারের অধিক রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে স্থানান্তর করা হয়। ২০২০ সালের ৪ ডিসেম্বর প্রথম দফায় ১ হাজার ৬৪২ জন, ২৯ ডিসেম্বর ১ হাজার ৮০৪ জন, চলতি বছরের ২৯ ও ৩০ জানুয়ারি তৃতীয় দফায় ৩ হাজার ২৪২ জন, চতুর্থ দফায় ৩ হাজার ১৫ জন ও পঞ্চম দফায় ৪ হাজারের অধিক রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এছাড়াও অবৈধভাবে সাগরপথে মালয়েশিয়া যেতে ব্যর্থ হয়ে ফিরে আসা ৩০৬ জন রোহিঙ্গাকে ২০২০ সালের মে মাসে ভাসানচরে নিয়ে যায় সরকার।

মিয়ানমার সেনাবাহিনীর হত্যা ও নির্যাতন থেকে বাঁচতে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্টের পর থেকে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেন সাড়ে সাত লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা। এছাড়া নতুন-পুরোনো মিলে বর্তমানে ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফের পাহাড়ি এলাকায় ক্যাম্পগুলোতে বসবাস করছে। রোহিঙ্গাদের চাপ কমাতে দুই বছর আগে অন্তত এক লাখ রোহিঙ্গাকে নোয়াখালীর ভাসানচরে স্থানান্তরের পরিকল্পনা নেয় সরকার।

সরকারের তথ্য অনুযায়ী, রোহিঙ্গাদের স্থানান্তরের জন্য নিজস্ব তহবিল থেকে ৩ হাজার ৯৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ভাসানচর আশ্রয়ণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে। ১৩ হাজার একর আয়তনের ওই চরে এক লাখ রোহিঙ্গা বসবাসের উপযোগী ১২০টি গুচ্ছগ্রামের অবকাঠামো তৈরি করা হয়েছে।

বিজনেসজার্নাল/ঢাকা/এনইউ

 

আরও পড়ুন: