১০:৪৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪

উৎপাদন জটিলতায় পড়েছে উসমানিয়া গ্লাস

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১২:২৮:২৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ জানুয়ারী ২০২১
  • / ৪১৩৬ বার দেখা হয়েছে

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত উসমানিয়া গ্লাস শীট ফ্যাক্টরী উৎপাদন জটিলতায় পড়েছে। কোম্পানিটির উৎপাদনের জন্য দুটি চুল্লির মধ্যে ১টি দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার কারনে অকেজো হয়ে পড়েছে। আর অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ায় বাকিটি পূণ:রায় চালু করা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।

কোম্পানিটির নিরীক্ষক ২০১৯-২০ অর্থবছরের আর্থিক হিসাব প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছেন।

কোম্পানিটির নিরীক্ষক জানিয়েছেন, উসমানিয়া গ্লাসের দুই চুল্লিতে কোম্পানিটির ২ কোটি ১ লাখ স্কয়ার ফিট পণ্য উৎপাদন ক্ষমতা রয়েছে। তবে বাজার চাহিদা কম হওয়ায় অতিরিক্ত মজুদ পণ্য জমা হয়ে গেছে। যে কারনে ৬৭ লাখ স্কয়ার ফিট উৎপাদন ক্ষমতার ১ নম্বর চুল্লি ২০১৮-১৯ অর্থবছর থেকে বন্ধ রয়েছে। এখন ওই চুল্লি মেরামত (ওভারহোলিং) করা ছাড়া পূণ:রায় চালু করা যাবে না।

এদিকে গত ২৩ জুন ২ নম্বর চুল্লিতে বড় ধরনের অগ্নি দূর্ঘটনা ঘটেছে। এতে করে ২ নম্বর চুল্লিটি চালু করা বেশ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। একইসঙ্গে কোম্পানিটি দীর্ঘদিন ধরে উৎপাদনে প্রযুক্তিগত সমস্যায় ভুগছে। প্রতিযোগিদের তুলনায় উসমানিয়া গ্লাসের সেকেলে পদ্ধতিতে উৎপাদন করে থাকে। যে কারনে বিক্রি মূল্য থেকে উৎপাদন ব্যয় বেশি হচ্ছে। এরফলে কয়েক বছর ধরে কোম্পানিটি বড় ধরনের পরিচালন লোকসান গুণছে।

এই পরি্স্থিতিতে কোম্পানির ম্যানেজমেন্ট সেকেলে শীট গ্লাসের পরিবর্তে কনটেইনার গ্লাস উৎপাদনের জন্য একটি নতুন প্রকল্প করতে বাজার জরিপ ও অর্থনৈতিক সম্ভাব্যতা যাচাই করার উদ্যোগ নিয়েছে। তবে অদূর ভবিষ্যতে এই উদ্যোগ বাস্তবায়নের অগ্রগতি নিয়ে খুবই সন্দেহ প্রকাশ করেছেন নিরীক্ষক।

সরকার নিয়ন্ত্রিত উসমানিয়া গ্লাসের পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ ১৭ কোটি ৪১ লাখ টাকা। যার ১৯ কোটি ৪৬ লাখ টাকার ঋণাত্মক রিজার্ভ রয়েছে। তারপরেও ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের কোম্পানিটির শেয়ার রবিবার (০৩ জানুয়ারি) লেনদেন শেষে দাড়িঁয়েছে ৪৬.৮০ টাকায়।

এ কোম্পানিটির ২০১৯-২০ অর্থবছরে শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ৭.২১ টাকা। নিয়মিত লোকসানে থাকা কোম্পানিটি থেকে শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশ প্রাপ্তি বন্ধ হয়ে গেছে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে থেকে।

শেয়ার করুন

x
English Version

উৎপাদন জটিলতায় পড়েছে উসমানিয়া গ্লাস

আপডেট: ১২:২৮:২৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ জানুয়ারী ২০২১

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত উসমানিয়া গ্লাস শীট ফ্যাক্টরী উৎপাদন জটিলতায় পড়েছে। কোম্পানিটির উৎপাদনের জন্য দুটি চুল্লির মধ্যে ১টি দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার কারনে অকেজো হয়ে পড়েছে। আর অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ায় বাকিটি পূণ:রায় চালু করা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।

কোম্পানিটির নিরীক্ষক ২০১৯-২০ অর্থবছরের আর্থিক হিসাব প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছেন।

কোম্পানিটির নিরীক্ষক জানিয়েছেন, উসমানিয়া গ্লাসের দুই চুল্লিতে কোম্পানিটির ২ কোটি ১ লাখ স্কয়ার ফিট পণ্য উৎপাদন ক্ষমতা রয়েছে। তবে বাজার চাহিদা কম হওয়ায় অতিরিক্ত মজুদ পণ্য জমা হয়ে গেছে। যে কারনে ৬৭ লাখ স্কয়ার ফিট উৎপাদন ক্ষমতার ১ নম্বর চুল্লি ২০১৮-১৯ অর্থবছর থেকে বন্ধ রয়েছে। এখন ওই চুল্লি মেরামত (ওভারহোলিং) করা ছাড়া পূণ:রায় চালু করা যাবে না।

এদিকে গত ২৩ জুন ২ নম্বর চুল্লিতে বড় ধরনের অগ্নি দূর্ঘটনা ঘটেছে। এতে করে ২ নম্বর চুল্লিটি চালু করা বেশ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। একইসঙ্গে কোম্পানিটি দীর্ঘদিন ধরে উৎপাদনে প্রযুক্তিগত সমস্যায় ভুগছে। প্রতিযোগিদের তুলনায় উসমানিয়া গ্লাসের সেকেলে পদ্ধতিতে উৎপাদন করে থাকে। যে কারনে বিক্রি মূল্য থেকে উৎপাদন ব্যয় বেশি হচ্ছে। এরফলে কয়েক বছর ধরে কোম্পানিটি বড় ধরনের পরিচালন লোকসান গুণছে।

এই পরি্স্থিতিতে কোম্পানির ম্যানেজমেন্ট সেকেলে শীট গ্লাসের পরিবর্তে কনটেইনার গ্লাস উৎপাদনের জন্য একটি নতুন প্রকল্প করতে বাজার জরিপ ও অর্থনৈতিক সম্ভাব্যতা যাচাই করার উদ্যোগ নিয়েছে। তবে অদূর ভবিষ্যতে এই উদ্যোগ বাস্তবায়নের অগ্রগতি নিয়ে খুবই সন্দেহ প্রকাশ করেছেন নিরীক্ষক।

সরকার নিয়ন্ত্রিত উসমানিয়া গ্লাসের পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ ১৭ কোটি ৪১ লাখ টাকা। যার ১৯ কোটি ৪৬ লাখ টাকার ঋণাত্মক রিজার্ভ রয়েছে। তারপরেও ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের কোম্পানিটির শেয়ার রবিবার (০৩ জানুয়ারি) লেনদেন শেষে দাড়িঁয়েছে ৪৬.৮০ টাকায়।

এ কোম্পানিটির ২০১৯-২০ অর্থবছরে শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ৭.২১ টাকা। নিয়মিত লোকসানে থাকা কোম্পানিটি থেকে শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশ প্রাপ্তি বন্ধ হয়ে গেছে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে থেকে।