০২:২৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

ওবায়দুল কাদেরের রাগে আমার কিছু যায় আসে না: মির্জা কাদের

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৩:৩৩:২৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ জানুয়ারী ২০২১
  • / ৪১৬১ বার দেখা হয়েছে

নোয়াখালীর কোম্পানিগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট পৌরসভার মেয়র প্রার্থী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই আবদুল কাদের মির্জা সাম্প্রতিক সময়ে তার বিভিন্ন বক্তব্যের জন্য আলোচনায় এসেছেন। এবার নির্বাচনী এক প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে নিজের বড় ভাইকে টেনে তিনি বলেছেন, ওবায়দুল কাদের সাহেব আমার ওপর রাগ করবে, তাতে আমার কিছু আসে যায় না।

শনিবার (৯ জানুয়ারি) বসুরহাট পৌরসভার উপজেলা পরিষদের সামনে নির্বাচনী পথসভায় এসব কথা বলেন তিনি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খিজির হায়াত, ইসকান্দার বাবুল, আজম পাশা চৌধুরী রুমেল।

মির্জা কাদের বলেন, কোম্পানীগঞ্জে আজ অস্ত্রের ঝনঝনানি চলছে। কবিরহাট ও ফেনীতে এক বাড়িতে নির্বাচন বানচাল করার ষড়যন্ত্র করছে। গত দুইদিন আগে চট্টগ্রাম থেকে অবৈধ অস্ত্র এনেছে, আমি প্রশাসনকে জানিয়েছি। নোয়াখালীর প্রশাসন মাসওয়ারা খায়।

জেলা প্রশাসককে অভিযুক্ত করে তিনি বলেন, একজন এমপির নামযুক্ত মাস্ক কীভাবে আপনি পরেন। আপনিতো নিরপেক্ষ নন। ওবায়দুল কাদের সাহেব আমার ওপর রাগ করবে, তাতে আমার কিছু আসে যায় না। আমি আর কত সময় ধৈর্য ধরব।

তিনি বলেন, আমি নোয়াখালীর এসপিকে সব বলেছি। কিন্তু কোনো কাজ হয়নি। অস্ত্রধারীরা এখনো মহড়া দিচ্ছে। বিগত সময় যে সকল অস্ত্র জামায়াত-বিএনপি ব্যবহার করেছে তা এখনো উদ্ধার করা হয়নি। আমি অস্ত্রধারীদের এলাকা থেকে বিতাড়িত করার অনুরোধ করছি। আমাদের দলের যারা অস্ত্র এনেছে তাদের কথা আমি ডিসি-এসপিকে বলেছি। যদি কোম্পানীগঞ্জের নির্বাচন নিয়ে কোনো ষড়যন্ত্র হয়, রং লাগানো, কোনো মায়ের বুক খালি হয় এর সকল দায় ডিসি এবং এসপিকে নিতে হবে। তাহলে ডিসি হবেন এক নাম্বার আসামি আর এসপি হবেন দুই নাম্বার আসামি। তাছাড়া ফেনী নোয়াখালীর ১১ জনের নামের তালিকা প্রধানমন্ত্রীর নিকট পাঠিয়েছি। আমার কিছু হলে তারা দায়ী থাকবেন।

তিনি আরও বলেন, নোয়াখালীর নেতাদের কারা শেল্টার দেয়? অথচ ঢাকা থেকে নো বললে তারা আর নেই। কিন্তু একজন নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যানকে প্রকাশ্যে হত্যা করে পরে পেট্রল দিয়ে তার গাড়িসহ পুড়িয়ে ফেলেছে। কিন্তু তাদের পরিবার আজও বিচার পায়নি। আজ ওই পরিবার যে ঘর থেকে বের হয়ে বিচার চাইবে তারও সুযোগ নেই। তাহলে কি ওই পরিবার বিচার পাবে না? প্রতিবাদ করায় আমাকে পাগল উন্মাদ বলে। এক নেতা আমাকে বলে আমার নাকি দায়িত্বশীলতার যথেষ্ট অভাব রয়েছে। আমি প্রশ্ন করি আপনি দায়িত্বশীল ব্যক্তি, আপনার বাড়ি কুষ্টিয়া, আর সে কুষ্টিয়ায় বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভেঙেছে। আপনি এগুলো বন্ধ করুন। আমি কাউকে ভয় পাই না, কি করবেন বহিষ্কার করবেন, জেলে দিবেন মেরে ফেলবেন? আমি সাদা কে সাদা, আর কলো কে কালো বলব।

 

শেয়ার করুন

x
English Version

ওবায়দুল কাদেরের রাগে আমার কিছু যায় আসে না: মির্জা কাদের

আপডেট: ০৩:৩৩:২৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ জানুয়ারী ২০২১

নোয়াখালীর কোম্পানিগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট পৌরসভার মেয়র প্রার্থী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই আবদুল কাদের মির্জা সাম্প্রতিক সময়ে তার বিভিন্ন বক্তব্যের জন্য আলোচনায় এসেছেন। এবার নির্বাচনী এক প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে নিজের বড় ভাইকে টেনে তিনি বলেছেন, ওবায়দুল কাদের সাহেব আমার ওপর রাগ করবে, তাতে আমার কিছু আসে যায় না।

শনিবার (৯ জানুয়ারি) বসুরহাট পৌরসভার উপজেলা পরিষদের সামনে নির্বাচনী পথসভায় এসব কথা বলেন তিনি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খিজির হায়াত, ইসকান্দার বাবুল, আজম পাশা চৌধুরী রুমেল।

মির্জা কাদের বলেন, কোম্পানীগঞ্জে আজ অস্ত্রের ঝনঝনানি চলছে। কবিরহাট ও ফেনীতে এক বাড়িতে নির্বাচন বানচাল করার ষড়যন্ত্র করছে। গত দুইদিন আগে চট্টগ্রাম থেকে অবৈধ অস্ত্র এনেছে, আমি প্রশাসনকে জানিয়েছি। নোয়াখালীর প্রশাসন মাসওয়ারা খায়।

জেলা প্রশাসককে অভিযুক্ত করে তিনি বলেন, একজন এমপির নামযুক্ত মাস্ক কীভাবে আপনি পরেন। আপনিতো নিরপেক্ষ নন। ওবায়দুল কাদের সাহেব আমার ওপর রাগ করবে, তাতে আমার কিছু আসে যায় না। আমি আর কত সময় ধৈর্য ধরব।

তিনি বলেন, আমি নোয়াখালীর এসপিকে সব বলেছি। কিন্তু কোনো কাজ হয়নি। অস্ত্রধারীরা এখনো মহড়া দিচ্ছে। বিগত সময় যে সকল অস্ত্র জামায়াত-বিএনপি ব্যবহার করেছে তা এখনো উদ্ধার করা হয়নি। আমি অস্ত্রধারীদের এলাকা থেকে বিতাড়িত করার অনুরোধ করছি। আমাদের দলের যারা অস্ত্র এনেছে তাদের কথা আমি ডিসি-এসপিকে বলেছি। যদি কোম্পানীগঞ্জের নির্বাচন নিয়ে কোনো ষড়যন্ত্র হয়, রং লাগানো, কোনো মায়ের বুক খালি হয় এর সকল দায় ডিসি এবং এসপিকে নিতে হবে। তাহলে ডিসি হবেন এক নাম্বার আসামি আর এসপি হবেন দুই নাম্বার আসামি। তাছাড়া ফেনী নোয়াখালীর ১১ জনের নামের তালিকা প্রধানমন্ত্রীর নিকট পাঠিয়েছি। আমার কিছু হলে তারা দায়ী থাকবেন।

তিনি আরও বলেন, নোয়াখালীর নেতাদের কারা শেল্টার দেয়? অথচ ঢাকা থেকে নো বললে তারা আর নেই। কিন্তু একজন নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যানকে প্রকাশ্যে হত্যা করে পরে পেট্রল দিয়ে তার গাড়িসহ পুড়িয়ে ফেলেছে। কিন্তু তাদের পরিবার আজও বিচার পায়নি। আজ ওই পরিবার যে ঘর থেকে বের হয়ে বিচার চাইবে তারও সুযোগ নেই। তাহলে কি ওই পরিবার বিচার পাবে না? প্রতিবাদ করায় আমাকে পাগল উন্মাদ বলে। এক নেতা আমাকে বলে আমার নাকি দায়িত্বশীলতার যথেষ্ট অভাব রয়েছে। আমি প্রশ্ন করি আপনি দায়িত্বশীল ব্যক্তি, আপনার বাড়ি কুষ্টিয়া, আর সে কুষ্টিয়ায় বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভেঙেছে। আপনি এগুলো বন্ধ করুন। আমি কাউকে ভয় পাই না, কি করবেন বহিষ্কার করবেন, জেলে দিবেন মেরে ফেলবেন? আমি সাদা কে সাদা, আর কলো কে কালো বলব।