০৯:২৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

কিশোরী ফেলানী হত্যার দশ বছর আজ

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১২:২০:৪৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ জানুয়ারী ২০২১
  • / ৪১৪৫ বার দেখা হয়েছে

আলোচিত কিশোরী ফেলানী হত্যার দশ বছর আজ। ২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার অনন্তপুর সীমান্তে নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হয় নাগেশ্বরী উপজেলার রামখানা ইউনিয়নের কলোনিটারী এলাকার কিশোরী ফেলানী। দীর্ঘ সাড়ে চার ঘণ্টা কাঁটাতারে ঝুলে ছিল ফেলানীর মরদেহ।

এ ঘটনার পর গণমাধ্যমসহ বিশ্বের মানবাধিকার সংগঠনগুলোর তীব্র সমালোচনার মুখে পড়ে ভারত। পরে বিএসএফ এর বিশেষ কোর্টে দুই দফায় বিচারিক রায়ে খালাস পান অভিযুক্ত বিএসএফ সদস্য অমিয় ঘোষকে। এ রায় প্রত্যাখ্যান করে ভারতীয় সুপ্রিমকোর্টে রিট আবেদন করে ফেলানীর পরিবার। এখন পর্যন্ত ন্যায় বিচারের আশায় বুক বেধে আছে ফেলানীর পরিবার।

বাবা নূরুল ইসলাম ও মা জাহানারা বেগম হতাশা প্রকাশ করে বলেন, মেয়ে হত্যার বিচার চেয়ে মানবাধিকার সংস্থাসহ বহুজনের কাছে গিয়েছি কিন্তু ১০ বছরেও কাঙ্ক্ষিত বিচার পেলাম না।

উল্লেখ্য, ২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি ভোরে ফুলবাড়ির অনন্তপুর সীমান্ত দিয়ে বাড়িতে ফেরার পথে বিএসএফের গুলিতে নির্মমভাবে মৃত্যু হয় ফেলানীর। সকাল পৌনে ৭টার থেকে নিথর দেহ কাঁটাতারের ওপর ঝুলে থাকে দীর্ঘ সাড়ে ৪ ঘণ্ট। এঘটনায় বিশ্বব্যাপী তোলপাড় শুরু হলে ২০১৩ সালের ১৩ আগস্ট জেনারেল সিকিউরিটি ফোর্সেস কোর্টে ফেলানী হত্যা মামলার বিচার শুরু হয়।

বিএসএফর কোর্টে সাক্ষী দেন ফেলানীর বাবা নূর ইসলাম ও মামা হানিফ। ওই বছরের ৬ সেপ্টেম্বর আসামি অমিয় ঘোষকে খালাস দেয় বিএসএফ এর বিশেষ কোর্ট। পরে রায় প্রত্যাখ্যান করে পুনঃবিচারের দাবি জানায় ফেলানীর বাবা। ২০১৪ সালের ২২ সেপ্টেম্বর পুনরায় শুরু হলে ১৭ নভেম্বর আবারও আদালতে সাক্ষ্য দেন ফেলানীর বাবা।

২০১৫ সালের ২ জুলাই এ আদালত পুনরায় অমিয় ঘোষকে খালাস দেয়। পরে একই বছরের ১৪ জুলাই ভারতের মানবাধিকার সুরক্ষা ‘মাসুম’ ফেলানীর বাবার পক্ষে দেশটির সুপ্রীম কোর্টে রিট পিটিশন করে। ওই বছর ৬ অক্টোবর রিট শুনানি শুরু হয়। ২০১৬ এবং ১৭ সালে কয়েক দফা শুনানি পিছিয়ে যায়। পরবর্তীতে আরো কয়েকদফা শুনানির দিন ধার্য থাকলেও বিভিন্ন কারণে তা সম্পন্ন হয়নি।

এ প্রসঙ্গে কুড়িগ্রামের পাবলিক প্রসিকিউটর এস এম আব্রাহাম লিংকন বলেন, ফেলানী হত্যার রিটটি ভারতের সুপ্রিম কোর্টে শুনানির জন্য কার্যতালিকার তিন নম্বর পর্যন্ত উঠেছিলো। বর্তমানে করোনার কারণে বিলম্ব হচ্ছে, তবে ন্যায় বিচারের প্রত্যাশা করেন এই আইনজীবী।

শেয়ার করুন

x
English Version

কিশোরী ফেলানী হত্যার দশ বছর আজ

আপডেট: ১২:২০:৪৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ জানুয়ারী ২০২১

আলোচিত কিশোরী ফেলানী হত্যার দশ বছর আজ। ২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার অনন্তপুর সীমান্তে নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হয় নাগেশ্বরী উপজেলার রামখানা ইউনিয়নের কলোনিটারী এলাকার কিশোরী ফেলানী। দীর্ঘ সাড়ে চার ঘণ্টা কাঁটাতারে ঝুলে ছিল ফেলানীর মরদেহ।

এ ঘটনার পর গণমাধ্যমসহ বিশ্বের মানবাধিকার সংগঠনগুলোর তীব্র সমালোচনার মুখে পড়ে ভারত। পরে বিএসএফ এর বিশেষ কোর্টে দুই দফায় বিচারিক রায়ে খালাস পান অভিযুক্ত বিএসএফ সদস্য অমিয় ঘোষকে। এ রায় প্রত্যাখ্যান করে ভারতীয় সুপ্রিমকোর্টে রিট আবেদন করে ফেলানীর পরিবার। এখন পর্যন্ত ন্যায় বিচারের আশায় বুক বেধে আছে ফেলানীর পরিবার।

বাবা নূরুল ইসলাম ও মা জাহানারা বেগম হতাশা প্রকাশ করে বলেন, মেয়ে হত্যার বিচার চেয়ে মানবাধিকার সংস্থাসহ বহুজনের কাছে গিয়েছি কিন্তু ১০ বছরেও কাঙ্ক্ষিত বিচার পেলাম না।

উল্লেখ্য, ২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি ভোরে ফুলবাড়ির অনন্তপুর সীমান্ত দিয়ে বাড়িতে ফেরার পথে বিএসএফের গুলিতে নির্মমভাবে মৃত্যু হয় ফেলানীর। সকাল পৌনে ৭টার থেকে নিথর দেহ কাঁটাতারের ওপর ঝুলে থাকে দীর্ঘ সাড়ে ৪ ঘণ্ট। এঘটনায় বিশ্বব্যাপী তোলপাড় শুরু হলে ২০১৩ সালের ১৩ আগস্ট জেনারেল সিকিউরিটি ফোর্সেস কোর্টে ফেলানী হত্যা মামলার বিচার শুরু হয়।

বিএসএফর কোর্টে সাক্ষী দেন ফেলানীর বাবা নূর ইসলাম ও মামা হানিফ। ওই বছরের ৬ সেপ্টেম্বর আসামি অমিয় ঘোষকে খালাস দেয় বিএসএফ এর বিশেষ কোর্ট। পরে রায় প্রত্যাখ্যান করে পুনঃবিচারের দাবি জানায় ফেলানীর বাবা। ২০১৪ সালের ২২ সেপ্টেম্বর পুনরায় শুরু হলে ১৭ নভেম্বর আবারও আদালতে সাক্ষ্য দেন ফেলানীর বাবা।

২০১৫ সালের ২ জুলাই এ আদালত পুনরায় অমিয় ঘোষকে খালাস দেয়। পরে একই বছরের ১৪ জুলাই ভারতের মানবাধিকার সুরক্ষা ‘মাসুম’ ফেলানীর বাবার পক্ষে দেশটির সুপ্রীম কোর্টে রিট পিটিশন করে। ওই বছর ৬ অক্টোবর রিট শুনানি শুরু হয়। ২০১৬ এবং ১৭ সালে কয়েক দফা শুনানি পিছিয়ে যায়। পরবর্তীতে আরো কয়েকদফা শুনানির দিন ধার্য থাকলেও বিভিন্ন কারণে তা সম্পন্ন হয়নি।

এ প্রসঙ্গে কুড়িগ্রামের পাবলিক প্রসিকিউটর এস এম আব্রাহাম লিংকন বলেন, ফেলানী হত্যার রিটটি ভারতের সুপ্রিম কোর্টে শুনানির জন্য কার্যতালিকার তিন নম্বর পর্যন্ত উঠেছিলো। বর্তমানে করোনার কারণে বিলম্ব হচ্ছে, তবে ন্যায় বিচারের প্রত্যাশা করেন এই আইনজীবী।