০২:৫৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪

পুঁজিবাজারে ফিরেই চাহিদার তুঙ্গে রহিমা ফুড!

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৫:২০:২৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২০
  • / ৪২৩৬ বার দেখা হয়েছে

দীর্ঘ দুই বছরের বেশি সময় পর পুঁজিবাজারের লেনদেনে আবারও ফিরেছে রহিমা ফুড কর্পোরেশন। লেনদেনের প্রথম দিন মঙ্গলবার (২৯ ডিসেম্বর) কোম্পানিটির শেয়ারে বিনিয়োগকারীদের চাহিদা ব্যাপক বেড়ে যায়। লেনদেন শুরুর কয়েক মিনিটের মধ্যেই কোম্পানিটির শেয়ার দর বেড়ে দিনের সর্বোচ্চ সীমায় পৌঁছে যায়।

আজ লেনদেনের শুরুতে ১৯৬ টাকা করে কোম্পানিটির ৩০০টি শেয়ার কেনার প্রস্তাব আসে। তবে কেউ এ দামে বিক্রি করতে রাজি হয়নি। এরপর কয়েক দফা দাম বেড়ে সর্বশেষ ২১৩.৫০ টাকা করে ২ লাখ ৬৬ হাজার ৪১৩টি শেয়ার কেনার প্রস্তাব আসে।

কোম্পানিটি এতেই দর বাড়ার সর্বোচ্চ সীমা স্পর্শ করে। তবে এরপরও বিনিয়োগকারীদের একটি অংশ তাদের কাছে থাকা কোম্পানিটির শেয়ার বিক্রি করতে রাজি হয়নি। ফলে ক্রেতা থাকলেও শেয়ারের বিক্রেতা এক প্রকার
শূন্য’ হয়ে পড়ে।

ব্যবসায়িক কার্যক্রম বন্ধ থাকায় ২০১৮ সালের ১৮ জুলাই রহিমা ফুড করপোরেশনকে তালিকাচ্যুত করার সিদ্ধান্ত নেয় ডিএসই। আর চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ কর্তৃপক্ষ রহিমা ফুডকে তালিকাচ্যুতির পরিবর্তে লেনদেন স্থগিত করে রাখে।

স্টক এক্সচেঞ্জ থেকে এমন সিদ্ধান্ত নেয়ায় দুই বছর পর গত ১২ নভেম্বর রহিমা ফুডের তালিকাচ্যুতিকে কেন্দ্র করে কয়েকটি বিষয়ে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের কাছে ব্যাখ্যা ও সুপারিশ চায় বিএসইসি।

ডিএসইকে দেয়া এ সংক্রান্ত চিঠিতে তালিকাচ্যুতির পূর্বে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষার জন্য স্টক এক্সচেঞ্জের দায়িত্ব সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়। সেই সঙ্গে কোম্পানির অস্বেচ্ছায় তালিকাচ্যুতির ক্ষেত্রে ডিএসইর বিস্তৃত কোন পদ্ধতি আছে কিনা জানতে চাওয়া হয়।

এছাড়াও তালিকাচ্যুত রহিমা ফুড ও কোম্পানিটির পরিচালকদের বিরুদ্ধে লিস্টিং আবেদন ও সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অধ্যাদেশ ১৯৬৯ এর ধারা ৯(৪) এর কোন শর্ত পরিপালন না করায় কোন ব্যবস্থা নিয়েছে কিনা জানতে চাওয়া হয়।

একইসঙ্গে তালিকাভুক্তির চুক্তি ও তালিকাভুক্তিকালীন সময়ে দেয়া কোন শর্ত ভঙ্গ করার জন্য কোম্পানি, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বা স্বীকৃত প্রতিনিধির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে থাকলে, তাও জানাতে বলা হয়।

এদিকে রহিমা ফুড কর্পোরেশনের শেয়ার লেনদেনের স্থগিতাদেশ দ্রুত প্রত্যাহার করে জানানোর জন্য চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেয় বিএসইসি। এ সংক্রান্ত চিঠিতে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে লেনদেন স্থগিতাদেশ দ্রুত প্রত্যাহার করে কমিশনকে জানাতে বলা হয়। একইসঙ্গে কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন পুনরায় চালুর বিষয়ে জানাতে বলা হয়।

নিয়ন্ত্রক সংস্থার এমন পদক্ষেপ নেয়ার দেড় মাসের মধ্যে আবার তালিকাচ্যুত করা রহিমা ফুডের শেয়ার লেনদেন শুরু করছে ডিএসই কর্তৃপক্ষ।

মঙ্গলবার থেকে নতুন করে লেনদেন শুরু হওয়া রহিমা ফুডের লেনদেন কোড
RAHIMAFOOD’ এবং কোম্পানি কোড ১৪২৮১। এ কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস নির্ধারণ করা হয়েছে ১৭৫.৪০ টাকা।

শেয়ার করুন

x
English Version

পুঁজিবাজারে ফিরেই চাহিদার তুঙ্গে রহিমা ফুড!

আপডেট: ০৫:২০:২৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২০

দীর্ঘ দুই বছরের বেশি সময় পর পুঁজিবাজারের লেনদেনে আবারও ফিরেছে রহিমা ফুড কর্পোরেশন। লেনদেনের প্রথম দিন মঙ্গলবার (২৯ ডিসেম্বর) কোম্পানিটির শেয়ারে বিনিয়োগকারীদের চাহিদা ব্যাপক বেড়ে যায়। লেনদেন শুরুর কয়েক মিনিটের মধ্যেই কোম্পানিটির শেয়ার দর বেড়ে দিনের সর্বোচ্চ সীমায় পৌঁছে যায়।

আজ লেনদেনের শুরুতে ১৯৬ টাকা করে কোম্পানিটির ৩০০টি শেয়ার কেনার প্রস্তাব আসে। তবে কেউ এ দামে বিক্রি করতে রাজি হয়নি। এরপর কয়েক দফা দাম বেড়ে সর্বশেষ ২১৩.৫০ টাকা করে ২ লাখ ৬৬ হাজার ৪১৩টি শেয়ার কেনার প্রস্তাব আসে।

কোম্পানিটি এতেই দর বাড়ার সর্বোচ্চ সীমা স্পর্শ করে। তবে এরপরও বিনিয়োগকারীদের একটি অংশ তাদের কাছে থাকা কোম্পানিটির শেয়ার বিক্রি করতে রাজি হয়নি। ফলে ক্রেতা থাকলেও শেয়ারের বিক্রেতা এক প্রকার
শূন্য’ হয়ে পড়ে।

ব্যবসায়িক কার্যক্রম বন্ধ থাকায় ২০১৮ সালের ১৮ জুলাই রহিমা ফুড করপোরেশনকে তালিকাচ্যুত করার সিদ্ধান্ত নেয় ডিএসই। আর চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ কর্তৃপক্ষ রহিমা ফুডকে তালিকাচ্যুতির পরিবর্তে লেনদেন স্থগিত করে রাখে।

স্টক এক্সচেঞ্জ থেকে এমন সিদ্ধান্ত নেয়ায় দুই বছর পর গত ১২ নভেম্বর রহিমা ফুডের তালিকাচ্যুতিকে কেন্দ্র করে কয়েকটি বিষয়ে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের কাছে ব্যাখ্যা ও সুপারিশ চায় বিএসইসি।

ডিএসইকে দেয়া এ সংক্রান্ত চিঠিতে তালিকাচ্যুতির পূর্বে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষার জন্য স্টক এক্সচেঞ্জের দায়িত্ব সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়। সেই সঙ্গে কোম্পানির অস্বেচ্ছায় তালিকাচ্যুতির ক্ষেত্রে ডিএসইর বিস্তৃত কোন পদ্ধতি আছে কিনা জানতে চাওয়া হয়।

এছাড়াও তালিকাচ্যুত রহিমা ফুড ও কোম্পানিটির পরিচালকদের বিরুদ্ধে লিস্টিং আবেদন ও সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অধ্যাদেশ ১৯৬৯ এর ধারা ৯(৪) এর কোন শর্ত পরিপালন না করায় কোন ব্যবস্থা নিয়েছে কিনা জানতে চাওয়া হয়।

একইসঙ্গে তালিকাভুক্তির চুক্তি ও তালিকাভুক্তিকালীন সময়ে দেয়া কোন শর্ত ভঙ্গ করার জন্য কোম্পানি, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বা স্বীকৃত প্রতিনিধির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে থাকলে, তাও জানাতে বলা হয়।

এদিকে রহিমা ফুড কর্পোরেশনের শেয়ার লেনদেনের স্থগিতাদেশ দ্রুত প্রত্যাহার করে জানানোর জন্য চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেয় বিএসইসি। এ সংক্রান্ত চিঠিতে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে লেনদেন স্থগিতাদেশ দ্রুত প্রত্যাহার করে কমিশনকে জানাতে বলা হয়। একইসঙ্গে কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন পুনরায় চালুর বিষয়ে জানাতে বলা হয়।

নিয়ন্ত্রক সংস্থার এমন পদক্ষেপ নেয়ার দেড় মাসের মধ্যে আবার তালিকাচ্যুত করা রহিমা ফুডের শেয়ার লেনদেন শুরু করছে ডিএসই কর্তৃপক্ষ।

মঙ্গলবার থেকে নতুন করে লেনদেন শুরু হওয়া রহিমা ফুডের লেনদেন কোড
RAHIMAFOOD’ এবং কোম্পানি কোড ১৪২৮১। এ কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস নির্ধারণ করা হয়েছে ১৭৫.৪০ টাকা।