০৪:২৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

বাংলাদেশে ইনভেস্টমেন্ট রিটার্ন অনেক ভালো: বিএসইসি পরিচালক

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৫:৫৩:৫১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ ফেব্রুয়ারী ২০২১
  • / ৪২৭৪ বার দেখা হয়েছে

বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্বাহী পরিচালক মাহবুবুল আলম বলেছেন, বিদেশী বিনিয়োগকারী এবং প্রবাসিদের সামনে আমাদের ক্যাপিটাল মার্কেট তুলে ধরতে হবে। এজন্য বিদেশে নিয়মিত রোড শো করা হবে। যার মাধ্যমে দেশের শেয়ারবাজারে অনেক বিদেশী বিনিয়োগ বাড়বে এবং ক্যাপিটাল মার্কেটের ডেভেলপমেন্ট হবে।

আরব আমিরাতের দুবাইতে প্রথমরোড শো’উপলক্ষে মঙ্গলবার (০২ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় আগারগাঁওয়ে বিএসইসির নিজস্ব কার্যালয়ের মাল্টিপারপাস হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

চার দিন ব্যাপি (৯-১২ ফেব্রুয়ারি)রোড শো’ শুরু হবে আগামি ৯ ফেব্রুয়ারি। এতে প্রবাসি বিনিয়োগকারী, বিদেশী বিনিয়োগকারী, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী ও বিনিয়োগকারীদের ছোট দলের সঙ্গে সম্মেলন করবে কমিশন। এতে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নতি ও বিনিয়োগের সম্ভাবনা, বিনিয়োগের সুযোগ, সুযোগ-সুবিধার সহজলভ্যতাসহ বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরা হবে।

মাহবুব আলম বলেন, বাংলাদেশের ইকোনোমিক গ্রোথ খুবই ভালো। দেশের ইকোনোমিক গ্রোথের সাথে আমাদের ক্যাপিটাল মার্কেট পিছিয়ে আছে। বিভিন্ন দেশের ইকোনোমিক গ্রোথের সাথে সাথে কিন্তু ক্যাপিটাল মার্কেট ডেভেলপ করে এবং ক্যাপিটাল মার্কেট থেকে মূলত লংটার্ম ফাইন্যান্সিং হয়ে থাকে।

তিনি বলেন, আমরা আমাদের অন্যান্য অর্থনীতির যেভাবে উন্নতি হয়েছে, সেইভাবে ক্যাপিটাল মার্কেটের কন্ট্রিবিউশনটা বাড়াতে চাই। সম্প্রতি রেমিটেন্স বেড়েছে করোনার পরেও। আর করোনা পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন দেশে ইকোনোমিকে কিন্তু অনেক ক্রাইসিস আছে। ইনভেস্টমেন্ট বা রিটার্ন ইনভেস্টমেন্ট অনেক দেশে নেগেটিভ হয়ে গেছে। কাজেই ফরেন ইনভেস্টররা বাংলাদেশের প্রতি ইন্টারেস্টেড। বাংলাদেশ কিন্তু করোনার পরে অনেক তাড়াতাড়ি এটাকে রিকভার করেছে এবং আমরা আবার গ্রোথ স্টেজে চলে গেছি। আমাদের রিটার্ন ইনভেস্টমেন্ট কিন্তু অনেক ভালো।

বিসইসির এই নির্বাহী পরিচালক বলেন, আমাদের দেশে ইনফ্রাসক্ট্রাচার প্রজেক্ট হচ্ছে, ব্যাপক কাজ চলছে। এই ইনফ্রাসক্ট্রাকচার প্রজেক্ট এবং বিভিন্ন লংটার্ম প্রজেক্ট যেগুলো আছে, সেগুলোতে ফাইন্যান্সিংয়ের জন্য আমাদের এখান থেকে এখন, বাংলাদেশে যেটা হয়ে থাকে সেটা মূলত এতোদিন ব্যাংকিং সেক্টরের এবং গভর্নমেন্ট সেক্টর গভর্নমেন্ট করে কিছু বৈদেশিক সাহায্যে নেয়। মূলত ঋণ থেকে এই ব্যয় নির্বাহ করা হয়। কিন্তু এভাবে বেশিদিন চলতে পারে না। পাশাপাশি প্রাইভেট সেক্টর ডেভেলপ করছে ঋণ দিয়ে। সেটা কিন্তু ব্যাংকিং সেক্টর আর সাপ্লাই দিতে পারছে না। ব্যাংকিং সেক্টর দূর্বল হয়ে যাচ্ছে আস্তে আস্তে।

মাহবুব আলম বলেন, ক্যাপিটাল মার্কেটের গ্রোথ গত কয়েক মাসে অনেক ভালো। এখানে বিদেশী বিনিয়োগকারীরা এবং প্রবাসিরা বিনয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করছেন। আমাদের কাজ হচ্ছে তাদের এই আগ্রহটা কাজে লাগানো। তাদের সামনে আমাদের ক্যাপিটাল মার্কেটকে তুলে ধরা। আমাদের ক্যাপিটাল মার্কেটে নতুন নতুন প্রোডাক্ট আসছে। এখানে বন্ড মার্কেট ডেভলপমেন্টের জন্য কাজ চলছে। সুকুকসহ অন্যান্য প্রোডাক্ট নিয়েও কাজ করছে। লংটার্ম ইনভেস্টমেন্টের জন্য আমাদের এই প্রোডাক্টগুলো দরকার। এই প্রোডাক্টগুলোতে ইনভেস্টমেন্ট করার জন্য যে সুযোগ আছে, আমরা সেই সব তুলে ধরব বিদেশী এবং এনআরবিদের কাছে। আমরা আশা করছি এই রোড শো’র মাধ্যমে আমাদের বিদেশী বিনিয়োগ অনেক বাড়বে এবং ক্যাপিটাল মার্কেটের ডেভলমেন্ট হবে।

এসময় বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম, নির্বাহী পরিচালক ও মূখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিমসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন

x
English Version

বাংলাদেশে ইনভেস্টমেন্ট রিটার্ন অনেক ভালো: বিএসইসি পরিচালক

আপডেট: ০৫:৫৩:৫১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ ফেব্রুয়ারী ২০২১

বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্বাহী পরিচালক মাহবুবুল আলম বলেছেন, বিদেশী বিনিয়োগকারী এবং প্রবাসিদের সামনে আমাদের ক্যাপিটাল মার্কেট তুলে ধরতে হবে। এজন্য বিদেশে নিয়মিত রোড শো করা হবে। যার মাধ্যমে দেশের শেয়ারবাজারে অনেক বিদেশী বিনিয়োগ বাড়বে এবং ক্যাপিটাল মার্কেটের ডেভেলপমেন্ট হবে।

আরব আমিরাতের দুবাইতে প্রথমরোড শো’উপলক্ষে মঙ্গলবার (০২ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় আগারগাঁওয়ে বিএসইসির নিজস্ব কার্যালয়ের মাল্টিপারপাস হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

চার দিন ব্যাপি (৯-১২ ফেব্রুয়ারি)রোড শো’ শুরু হবে আগামি ৯ ফেব্রুয়ারি। এতে প্রবাসি বিনিয়োগকারী, বিদেশী বিনিয়োগকারী, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী ও বিনিয়োগকারীদের ছোট দলের সঙ্গে সম্মেলন করবে কমিশন। এতে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নতি ও বিনিয়োগের সম্ভাবনা, বিনিয়োগের সুযোগ, সুযোগ-সুবিধার সহজলভ্যতাসহ বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরা হবে।

মাহবুব আলম বলেন, বাংলাদেশের ইকোনোমিক গ্রোথ খুবই ভালো। দেশের ইকোনোমিক গ্রোথের সাথে আমাদের ক্যাপিটাল মার্কেট পিছিয়ে আছে। বিভিন্ন দেশের ইকোনোমিক গ্রোথের সাথে সাথে কিন্তু ক্যাপিটাল মার্কেট ডেভেলপ করে এবং ক্যাপিটাল মার্কেট থেকে মূলত লংটার্ম ফাইন্যান্সিং হয়ে থাকে।

তিনি বলেন, আমরা আমাদের অন্যান্য অর্থনীতির যেভাবে উন্নতি হয়েছে, সেইভাবে ক্যাপিটাল মার্কেটের কন্ট্রিবিউশনটা বাড়াতে চাই। সম্প্রতি রেমিটেন্স বেড়েছে করোনার পরেও। আর করোনা পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন দেশে ইকোনোমিকে কিন্তু অনেক ক্রাইসিস আছে। ইনভেস্টমেন্ট বা রিটার্ন ইনভেস্টমেন্ট অনেক দেশে নেগেটিভ হয়ে গেছে। কাজেই ফরেন ইনভেস্টররা বাংলাদেশের প্রতি ইন্টারেস্টেড। বাংলাদেশ কিন্তু করোনার পরে অনেক তাড়াতাড়ি এটাকে রিকভার করেছে এবং আমরা আবার গ্রোথ স্টেজে চলে গেছি। আমাদের রিটার্ন ইনভেস্টমেন্ট কিন্তু অনেক ভালো।

বিসইসির এই নির্বাহী পরিচালক বলেন, আমাদের দেশে ইনফ্রাসক্ট্রাচার প্রজেক্ট হচ্ছে, ব্যাপক কাজ চলছে। এই ইনফ্রাসক্ট্রাকচার প্রজেক্ট এবং বিভিন্ন লংটার্ম প্রজেক্ট যেগুলো আছে, সেগুলোতে ফাইন্যান্সিংয়ের জন্য আমাদের এখান থেকে এখন, বাংলাদেশে যেটা হয়ে থাকে সেটা মূলত এতোদিন ব্যাংকিং সেক্টরের এবং গভর্নমেন্ট সেক্টর গভর্নমেন্ট করে কিছু বৈদেশিক সাহায্যে নেয়। মূলত ঋণ থেকে এই ব্যয় নির্বাহ করা হয়। কিন্তু এভাবে বেশিদিন চলতে পারে না। পাশাপাশি প্রাইভেট সেক্টর ডেভেলপ করছে ঋণ দিয়ে। সেটা কিন্তু ব্যাংকিং সেক্টর আর সাপ্লাই দিতে পারছে না। ব্যাংকিং সেক্টর দূর্বল হয়ে যাচ্ছে আস্তে আস্তে।

মাহবুব আলম বলেন, ক্যাপিটাল মার্কেটের গ্রোথ গত কয়েক মাসে অনেক ভালো। এখানে বিদেশী বিনিয়োগকারীরা এবং প্রবাসিরা বিনয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করছেন। আমাদের কাজ হচ্ছে তাদের এই আগ্রহটা কাজে লাগানো। তাদের সামনে আমাদের ক্যাপিটাল মার্কেটকে তুলে ধরা। আমাদের ক্যাপিটাল মার্কেটে নতুন নতুন প্রোডাক্ট আসছে। এখানে বন্ড মার্কেট ডেভলপমেন্টের জন্য কাজ চলছে। সুকুকসহ অন্যান্য প্রোডাক্ট নিয়েও কাজ করছে। লংটার্ম ইনভেস্টমেন্টের জন্য আমাদের এই প্রোডাক্টগুলো দরকার। এই প্রোডাক্টগুলোতে ইনভেস্টমেন্ট করার জন্য যে সুযোগ আছে, আমরা সেই সব তুলে ধরব বিদেশী এবং এনআরবিদের কাছে। আমরা আশা করছি এই রোড শো’র মাধ্যমে আমাদের বিদেশী বিনিয়োগ অনেক বাড়বে এবং ক্যাপিটাল মার্কেটের ডেভলমেন্ট হবে।

এসময় বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম, নির্বাহী পরিচালক ও মূখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিমসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।