১২:৩৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

বিটের জুস কেন খাবেন

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৩:২২:০০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২১
  • / ৪১৮০ বার দেখা হয়েছে

বিটকে বলা হয় সুপারফুড। এতে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি উপাদান রয়েছে; যা আমাদের শরীরের জন্য খুব উপকারী। বিটে জিংক, আয়রন, আয়োডিন, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম, নাইট্রেট, ফোলেট, ম্যাঙ্গানিজ, ভিটামিন সি, ভিটামিন বি-৬সহ প্রচুর পরিমাণে আঁশ রয়েছে। নিয়মিত বিটের জুস খাবার তালিকায় রাখলে কী কী উপকার পাওয়া যাবে, চলুন জেনে নেয়া যাক-

রক্তস্বল্পতা কমাতে নিয়মিত ১ গ্লাস বিটের জুস খেতে পারেন। এতে বিদ্যমান আয়রন হিমোগ্লোবিন ও লোহিত রক্তকণিকা বাড়াতে সাহায্য করে। খাওয়ার সময় জুসের সঙ্গে লেবুর রস যোগ করে নিতে পারেন। লেবুতে বিদ্যমান ভিটামিন সি-সহ শরীরে আয়রন শোষণ করে।
গর্ভাবস্থায় নিয়মিত বিটের জুস খেতে পারেন। বিটে বিদ্যামান ফোলেট গর্ভস্থ শিশুর জন্মগত ত্রুটি প্রতিরোধ করে।

যারা উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় ভুগছেন তারা সকালে কিংবা বিকালে নাস্তায় বিটের জুস খেতে পারেন। এতে বিদ্যমান পটাশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং নাইট্রেট মস্তিষ্কে রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে তোলে। লো ফ্যাট থাকায় ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
বিটে প্রচুর অ্যান্টি অক্সিডেন্ট থাকায় তা ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে। যাদের রক্তে কোলেস্টেরল বেশি তারা নিয়মিত বিটের জুস খেতে পারেন। এতে বিদ্যামান ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট রক্তে কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। বিটেইন থাকায় যকৃতে চর্বি জমতে দেয় না। খুব সহজেই বডিকে ডিটক্সিফাই করে।

ত্বক সুন্দর রাখতে এবং চেহারায় বার্ধক্যের ছাপ কমাতে প্রতিদিন বিট ও গাজর দিয়ে স্মুদি করে খেতে পারেন।

উম্মে সালমা তামান্না
পুষ্টি বিশেষজ্ঞ
ইবনে সিনা কনসালটেশন সেন্টার, বাড্ডা।

শেয়ার করুন

x
English Version

বিটের জুস কেন খাবেন

আপডেট: ০৩:২২:০০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২১

বিটকে বলা হয় সুপারফুড। এতে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি উপাদান রয়েছে; যা আমাদের শরীরের জন্য খুব উপকারী। বিটে জিংক, আয়রন, আয়োডিন, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম, নাইট্রেট, ফোলেট, ম্যাঙ্গানিজ, ভিটামিন সি, ভিটামিন বি-৬সহ প্রচুর পরিমাণে আঁশ রয়েছে। নিয়মিত বিটের জুস খাবার তালিকায় রাখলে কী কী উপকার পাওয়া যাবে, চলুন জেনে নেয়া যাক-

রক্তস্বল্পতা কমাতে নিয়মিত ১ গ্লাস বিটের জুস খেতে পারেন। এতে বিদ্যমান আয়রন হিমোগ্লোবিন ও লোহিত রক্তকণিকা বাড়াতে সাহায্য করে। খাওয়ার সময় জুসের সঙ্গে লেবুর রস যোগ করে নিতে পারেন। লেবুতে বিদ্যমান ভিটামিন সি-সহ শরীরে আয়রন শোষণ করে।
গর্ভাবস্থায় নিয়মিত বিটের জুস খেতে পারেন। বিটে বিদ্যামান ফোলেট গর্ভস্থ শিশুর জন্মগত ত্রুটি প্রতিরোধ করে।

যারা উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় ভুগছেন তারা সকালে কিংবা বিকালে নাস্তায় বিটের জুস খেতে পারেন। এতে বিদ্যমান পটাশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং নাইট্রেট মস্তিষ্কে রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে তোলে। লো ফ্যাট থাকায় ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
বিটে প্রচুর অ্যান্টি অক্সিডেন্ট থাকায় তা ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে। যাদের রক্তে কোলেস্টেরল বেশি তারা নিয়মিত বিটের জুস খেতে পারেন। এতে বিদ্যামান ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট রক্তে কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। বিটেইন থাকায় যকৃতে চর্বি জমতে দেয় না। খুব সহজেই বডিকে ডিটক্সিফাই করে।

ত্বক সুন্দর রাখতে এবং চেহারায় বার্ধক্যের ছাপ কমাতে প্রতিদিন বিট ও গাজর দিয়ে স্মুদি করে খেতে পারেন।

উম্মে সালমা তামান্না
পুষ্টি বিশেষজ্ঞ
ইবনে সিনা কনসালটেশন সেন্টার, বাড্ডা।