০৭:৫৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

রডের দাম অস্বাভাবিক বৃদ্ধির পেছনে সিন্ডিকেটের কারসাজি

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১২:৪৪:২৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ জানুয়ারী ২০২১
  • / ৪১৭৪ বার দেখা হয়েছে

এমএস রডের দাম অস্বাভাবিক বৃদ্ধির পেছনে সিন্ডিকেটের কারসাজিকে দায়ী করেছে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কন্সস্ট্রাকশন ইন্ডাস্ট্রি (বিএসিআই)। সংগঠনের দাবি, সিন্ডিকেটের মাধ্যমে রডের দাম ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। অস্বাভাবিক ব্যয় বৃদ্ধির কারণে নির্মাণ কাজ বাধার মুখে পড়েছে। এতে এই শিল্পের সঙ্গে সম্পর্কিত প্রায় ৫০ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সিন্ডিকেটের কারসাজির অভিযোগ তোলা হয়। রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনি মিলনায়তনে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার এসএম খোরশেদ আলম,মহাসচিব শহিদুল ইসলামসহ সংগঠনের সাবেক ও বর্তমান নেতারা এতে উপস্থিত ছিলেন। এ সময় রডের বাজার স্বাভাবিক রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রড আমদানির দাবিও জানানো হয়েছে সংগঠনের পক্ষ থেকে।

হঠাৎ করে এত বেশি হারে রডের মূল্য বৃদ্ধির পেছনে কোনো সিন্ডিকেট কাজ করছে কিনা- এ প্রশ্নের জবাবে বিএসিআই সভাপতি বলেন, ‌‘হঠাৎ এত বেশি হারে রডের দর বৃদ্ধির স্বাভাবিক কোনো কারণ নেই।’ তারা মনে করেন এর পেছনে রড উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর কারসাজি রয়েছে।

এর আগে লিখিত বক্তব্যে ইঞ্জিনিয়ার এসএম খোরশেদ আলম বলেন, ‘গত নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসে এমএস রডের মূল্য প্রায় ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ বদ্ধি পেয়ছে। এই বৃদ্ধির পেছনে রড উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো করোনা পরিস্থিতিতে কাঁচামাল হিসেবে আন্তর্জাতিক বাজারে স্ক্র্যাপের সংকটের কথা বলছেন। একারণে বিলেট উৎপাদন কম। তাই আন্তর্জাতিক বাজারে বিলেটের দাম বেড়েছে। একারণেই অভ্যন্তরীণ বাজারে রডের উৎপাদন ব্যয় বেড়েছে। মূল্যও বেড়েছে।’

তাদের এই যুক্তিকে সঠিক নয় দাবি করে তিনি বলেন, ‘বিদেশ থেকে আমদানির পাশাপাশি দেশেই এখন উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বিলেট উৎপাদিত হয়। চাহিদার সঙ্গে সরবরাহের কোনো ঘাটতি নেই। নতুন করে সরকারিভাবে কোনো শুল্ক বৃদ্ধি করা হয়নি। এর প্রেক্ষিতে রডের দর ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ বৃদ্ধির কোনো যুক্তিসঙ্গত কারণ নেই।’

বিএসিআই আরও বলেন, ‘যে কোনো অবকাঠামো নির্মাণ কাজে প্রধান উপাদান এমএস রড। কোনো নির্মাণের মোট ব্যয়ের মধ্যে রডের পেছনে ব্যয় হয় ২০ থেকে ২৫ শতাংশ। এ কারণে রডের মূল্য বাড়লে পুরো স্থাপনার নির্মাণ ব্যয় অস্বাভাবিক বেড়ে যায়। বর্তমানেই সেই বাস্তবতাই চলছে।’

সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি অনুরোধ জানিয়ে বিএসিআই নেতারা বলেন, রডের দাম সহনীয় রাখতে নীতি নির্ধারনী সিদ্ধান্ত নিন। এজন্য শুল্ক, কর ও অগ্রিম কর এআইটি সমন্বয়ের অনুরোধ জানান তারা। পাশাপাশি কারসাজি রোধে স্টিল ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের নেতাদের সঙ্গে সরকারের প্রতিনিধিদের বৈঠকে বসারও অনুরোধ জানান তারা। এছাড়া টিসিবির মাধ্যমে বিনা শুল্কে রড আমদানিরও দাবি জানানো হয়।

শেয়ার করুন

x
English Version

রডের দাম অস্বাভাবিক বৃদ্ধির পেছনে সিন্ডিকেটের কারসাজি

আপডেট: ১২:৪৪:২৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ জানুয়ারী ২০২১

এমএস রডের দাম অস্বাভাবিক বৃদ্ধির পেছনে সিন্ডিকেটের কারসাজিকে দায়ী করেছে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কন্সস্ট্রাকশন ইন্ডাস্ট্রি (বিএসিআই)। সংগঠনের দাবি, সিন্ডিকেটের মাধ্যমে রডের দাম ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। অস্বাভাবিক ব্যয় বৃদ্ধির কারণে নির্মাণ কাজ বাধার মুখে পড়েছে। এতে এই শিল্পের সঙ্গে সম্পর্কিত প্রায় ৫০ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সিন্ডিকেটের কারসাজির অভিযোগ তোলা হয়। রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনি মিলনায়তনে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার এসএম খোরশেদ আলম,মহাসচিব শহিদুল ইসলামসহ সংগঠনের সাবেক ও বর্তমান নেতারা এতে উপস্থিত ছিলেন। এ সময় রডের বাজার স্বাভাবিক রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রড আমদানির দাবিও জানানো হয়েছে সংগঠনের পক্ষ থেকে।

হঠাৎ করে এত বেশি হারে রডের মূল্য বৃদ্ধির পেছনে কোনো সিন্ডিকেট কাজ করছে কিনা- এ প্রশ্নের জবাবে বিএসিআই সভাপতি বলেন, ‌‘হঠাৎ এত বেশি হারে রডের দর বৃদ্ধির স্বাভাবিক কোনো কারণ নেই।’ তারা মনে করেন এর পেছনে রড উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর কারসাজি রয়েছে।

এর আগে লিখিত বক্তব্যে ইঞ্জিনিয়ার এসএম খোরশেদ আলম বলেন, ‘গত নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসে এমএস রডের মূল্য প্রায় ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ বদ্ধি পেয়ছে। এই বৃদ্ধির পেছনে রড উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো করোনা পরিস্থিতিতে কাঁচামাল হিসেবে আন্তর্জাতিক বাজারে স্ক্র্যাপের সংকটের কথা বলছেন। একারণে বিলেট উৎপাদন কম। তাই আন্তর্জাতিক বাজারে বিলেটের দাম বেড়েছে। একারণেই অভ্যন্তরীণ বাজারে রডের উৎপাদন ব্যয় বেড়েছে। মূল্যও বেড়েছে।’

তাদের এই যুক্তিকে সঠিক নয় দাবি করে তিনি বলেন, ‘বিদেশ থেকে আমদানির পাশাপাশি দেশেই এখন উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বিলেট উৎপাদিত হয়। চাহিদার সঙ্গে সরবরাহের কোনো ঘাটতি নেই। নতুন করে সরকারিভাবে কোনো শুল্ক বৃদ্ধি করা হয়নি। এর প্রেক্ষিতে রডের দর ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ বৃদ্ধির কোনো যুক্তিসঙ্গত কারণ নেই।’

বিএসিআই আরও বলেন, ‘যে কোনো অবকাঠামো নির্মাণ কাজে প্রধান উপাদান এমএস রড। কোনো নির্মাণের মোট ব্যয়ের মধ্যে রডের পেছনে ব্যয় হয় ২০ থেকে ২৫ শতাংশ। এ কারণে রডের মূল্য বাড়লে পুরো স্থাপনার নির্মাণ ব্যয় অস্বাভাবিক বেড়ে যায়। বর্তমানেই সেই বাস্তবতাই চলছে।’

সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি অনুরোধ জানিয়ে বিএসিআই নেতারা বলেন, রডের দাম সহনীয় রাখতে নীতি নির্ধারনী সিদ্ধান্ত নিন। এজন্য শুল্ক, কর ও অগ্রিম কর এআইটি সমন্বয়ের অনুরোধ জানান তারা। পাশাপাশি কারসাজি রোধে স্টিল ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের নেতাদের সঙ্গে সরকারের প্রতিনিধিদের বৈঠকে বসারও অনুরোধ জানান তারা। এছাড়া টিসিবির মাধ্যমে বিনা শুল্কে রড আমদানিরও দাবি জানানো হয়।