০৯:৩১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

‘সাত মার্কিন প্রেসিডেন্ট তেহরানকে চাপ দিয়ে ব্যর্থ হয়েছেন’

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১১:০৬:১৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২১
  • / ৪১১৯ বার দেখা হয়েছে

পরমাণু সমঝোতায় ফিরে আসার আগে যুক্তরাষ্ট্রকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার শর্ত দিয়েছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জারিফ। তিনি বলেছেন, ইরানের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার না করে যুক্তরাষ্ট্র পরমাণু সমঝোতায় ফিরে এলে তা কেবল ওয়াশিংটনেরই স্বার্থ রক্ষা করবে। পরমাণু সমঝোতায় ফিরে আসার আগে যুক্তরাষ্ট্রকে তার প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে হবে।

জাভেদ জারিফ মঙ্গলবার তেহরানে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, পরমাণু সমঝোতা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্র সরকার শুধু ইরানের ওপর আগের নিষেধাজ্ঞাগুলোই পুনর্বহাল করেনি, সেই সঙ্গে নতুন নতুন আরও জটিল নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। কাজেই ইরানের কাছে এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, আরোপ হওয়া নিষেধাজ্ঞার প্রত্যাহার। তার পরই ইরান পরমাণু সমঝোতায় যুক্তরাষ্ট্রের ফিরে আসা নিয়ে কথা বলবে।

ইরানের তেল বিক্রির ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা অনতিবিলম্বে প্রত্যাহার করার আহ্বান জানিয়ে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ইরানের ব্যাংকিং লেনদেনকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে যেতে দিতে হবে এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক কোম্পানির সঙ্গে তেহরানের স্বাক্ষরিত চুক্তিগুলো বাস্তবায়নের সুযোগ দিতে হবে।

বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ইরানবিরোধী ‘সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগের’ নীতির বিষয়ে জারিফ বলেন, এখন পর্যন্ত সাত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ইরানের ওপর চাপ সৃষ্টির চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছেন। বর্তমানে সারাবিশ্ব বলছে– যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগের নীতি শুধু ব্যর্থ হয়নি, বরং চাপ প্রয়োগ করতে গিয়ে মার্কিন সরকার চরম অপদস্থ হয়েছে।

এদিকে রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, আল কায়েদার সঙ্গে ইরানের যোগসূত্র আছে বলে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী যে অভিযোগ করেছেন, সেটি প্রত্যাখ্যান করেছেন জাভেদ জারিফ। পম্পেওর মন্তব্যকে তিনি ডাহা মিথ্যা বলে অভিহিত করেছেন। এক টুইটে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কেউ তো আর বোকা নয়। ৯/১১-পরবর্তী সন্ত্রাসী গ্রুপগুলো কাদের সৃষ্টি তা বিশ্ববাসী জানে। 

মঙ্গলবার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী পম্পেও অভিযোগ করে বলেন, আল কায়েদা ইরানে ঘাঁটি গেড়েছে। জবাবে ইরান বলছে– যুক্তরাষ্ট্রের সন্ত্রাসবাদের শিকার হয়েছে ইরান, বিষয়টি সবার কাছে স্পষ্ট।

শেয়ার করুন

x
English Version

‘সাত মার্কিন প্রেসিডেন্ট তেহরানকে চাপ দিয়ে ব্যর্থ হয়েছেন’

আপডেট: ১১:০৬:১৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২১

পরমাণু সমঝোতায় ফিরে আসার আগে যুক্তরাষ্ট্রকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার শর্ত দিয়েছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জারিফ। তিনি বলেছেন, ইরানের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার না করে যুক্তরাষ্ট্র পরমাণু সমঝোতায় ফিরে এলে তা কেবল ওয়াশিংটনেরই স্বার্থ রক্ষা করবে। পরমাণু সমঝোতায় ফিরে আসার আগে যুক্তরাষ্ট্রকে তার প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে হবে।

জাভেদ জারিফ মঙ্গলবার তেহরানে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, পরমাণু সমঝোতা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্র সরকার শুধু ইরানের ওপর আগের নিষেধাজ্ঞাগুলোই পুনর্বহাল করেনি, সেই সঙ্গে নতুন নতুন আরও জটিল নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। কাজেই ইরানের কাছে এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, আরোপ হওয়া নিষেধাজ্ঞার প্রত্যাহার। তার পরই ইরান পরমাণু সমঝোতায় যুক্তরাষ্ট্রের ফিরে আসা নিয়ে কথা বলবে।

ইরানের তেল বিক্রির ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা অনতিবিলম্বে প্রত্যাহার করার আহ্বান জানিয়ে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ইরানের ব্যাংকিং লেনদেনকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে যেতে দিতে হবে এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক কোম্পানির সঙ্গে তেহরানের স্বাক্ষরিত চুক্তিগুলো বাস্তবায়নের সুযোগ দিতে হবে।

বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ইরানবিরোধী ‘সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগের’ নীতির বিষয়ে জারিফ বলেন, এখন পর্যন্ত সাত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ইরানের ওপর চাপ সৃষ্টির চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছেন। বর্তমানে সারাবিশ্ব বলছে– যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগের নীতি শুধু ব্যর্থ হয়নি, বরং চাপ প্রয়োগ করতে গিয়ে মার্কিন সরকার চরম অপদস্থ হয়েছে।

এদিকে রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, আল কায়েদার সঙ্গে ইরানের যোগসূত্র আছে বলে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী যে অভিযোগ করেছেন, সেটি প্রত্যাখ্যান করেছেন জাভেদ জারিফ। পম্পেওর মন্তব্যকে তিনি ডাহা মিথ্যা বলে অভিহিত করেছেন। এক টুইটে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কেউ তো আর বোকা নয়। ৯/১১-পরবর্তী সন্ত্রাসী গ্রুপগুলো কাদের সৃষ্টি তা বিশ্ববাসী জানে। 

মঙ্গলবার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী পম্পেও অভিযোগ করে বলেন, আল কায়েদা ইরানে ঘাঁটি গেড়েছে। জবাবে ইরান বলছে– যুক্তরাষ্ট্রের সন্ত্রাসবাদের শিকার হয়েছে ইরান, বিষয়টি সবার কাছে স্পষ্ট।