১২:৩৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

হতাশায় বাংলাদেশ, অভিষেকেই মায়ার্সের সেঞ্চুরি

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৩:১৬:৩৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ ফেব্রুয়ারী ২০২১
  • / ৪১২১ বার দেখা হয়েছে

জয়ের জন্য ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রয়োজন ছিল ৩৯৫ রান। পঞ্চম দিন চট্টগ্রামের উইকেটে স্পিনারদের বল বড় বড় টার্ন করবে এমনটাই প্রত্যাশিত ছিল। চতুর্থ দিনে অপরাজিত থাকা দুই ব্যাটসম্যান কাইল মায়ার্স এবং এনক্রুমাহ বোনার প্রথম সেশনেও অপরাজিত থাকবেন এমনটা নিশ্চয়ই প্রত্যাশা করেননি কেউ। এই স্পিনিং উইকেটেও মিরাজ, তাইজুল এবং নাইম হাসানদের স্পিনের বিপক্ষে ঠিকই দাঁতে দাত চেপে রান তুলে চলেছেন দুই ব্যাটসম্যান।

এই জুটি ভাঙার চারটি পরিস্কার সুযোগ পেয়েছিল বাংলাদেশ। ৪৭ রানের মাথায় তাইজুলের বল প্যাডে লাগে মায়ার্সের। জোরালো আবেদনে করেও সাড়া দেননি আম্পায়ার, বাংলাদেশও নেয়নি রিভিউ। টিভি রিপ্লেতে দেখা যায়, বল লেগেছিল স্ট্যাম্পে, রিভিউ নিলে উইকেট পেতেন তাইজুল। মায়ার্সই একটু পর আবারো ৪৯ রানে জীবন পান। মিরাজের বলে স্লিপে ক্যাচ নিতে পারেননি নাজমুল হোসেন শান্ত।

আউট হতে পারতেন বোনারও। নাঈম হাসানের একটি তীক্ষ্ণ টার্ন করা বল বোনারের প্যাডে এসে লাগে। এবারও রিভিউ নেয়নি বাংলাদেশ, বোনারও বেঁচে গেলেন ২৫ রানে। লাঞ্চ বিরতির ঠিক আগে তাইজুলের বল আরো একবার প্যাডে লাগে মায়ার্সের। জোড়ালো আবেদন করেও সাড়া দেননি আম্পায়ার। এবার বাংলাদেশ অধিনায়ক রিভিউ নিলেও দুর্ভাগ্যের জেরে রিভিউয়ে দেখা গেল উইকেট আম্পায়ার্স কল। ফলে ৯১ রান করা মায়ার্স আবারো জীবন পেলেন। হতাশায় পুড়লো বাংলাদেশ। এরপরে মুস্তাফিজের করা ৮৩তম ওভারে হাফ সেঞ্চুরিকে সেঞ্চুরিতে রূপান্তরিত করেন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। চতুর্থ উইকেটে তাঁর সঙ্গী হিসেবে ক্যারিয়ারের প্রথম হাফ সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন এনক্রুমাহ বোনারও।

এদিকে এখন পর্যন্ত ওয়েস্ট ইন্ডিজের কোন উইকেট ফেলতে পারেননি বাংলাদেশের বোলাররা। শেষ খবর পর্যন্ত সফরকারীদের সংগ্রহ ২৫৭ রান। ৭৮ রান করে অপরাজিত আছেন বোনার। প্রথম টেস্ট জিততে এখনো ওয়েস্ট ইন্ডেজর প্রয়োজন ১৩৮ রান হাতে আছে ৭ উইকেট এবং প্রায় দেড় সেশন।

শেয়ার করুন

x
English Version

হতাশায় বাংলাদেশ, অভিষেকেই মায়ার্সের সেঞ্চুরি

আপডেট: ০৩:১৬:৩৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ ফেব্রুয়ারী ২০২১

জয়ের জন্য ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রয়োজন ছিল ৩৯৫ রান। পঞ্চম দিন চট্টগ্রামের উইকেটে স্পিনারদের বল বড় বড় টার্ন করবে এমনটাই প্রত্যাশিত ছিল। চতুর্থ দিনে অপরাজিত থাকা দুই ব্যাটসম্যান কাইল মায়ার্স এবং এনক্রুমাহ বোনার প্রথম সেশনেও অপরাজিত থাকবেন এমনটা নিশ্চয়ই প্রত্যাশা করেননি কেউ। এই স্পিনিং উইকেটেও মিরাজ, তাইজুল এবং নাইম হাসানদের স্পিনের বিপক্ষে ঠিকই দাঁতে দাত চেপে রান তুলে চলেছেন দুই ব্যাটসম্যান।

এই জুটি ভাঙার চারটি পরিস্কার সুযোগ পেয়েছিল বাংলাদেশ। ৪৭ রানের মাথায় তাইজুলের বল প্যাডে লাগে মায়ার্সের। জোরালো আবেদনে করেও সাড়া দেননি আম্পায়ার, বাংলাদেশও নেয়নি রিভিউ। টিভি রিপ্লেতে দেখা যায়, বল লেগেছিল স্ট্যাম্পে, রিভিউ নিলে উইকেট পেতেন তাইজুল। মায়ার্সই একটু পর আবারো ৪৯ রানে জীবন পান। মিরাজের বলে স্লিপে ক্যাচ নিতে পারেননি নাজমুল হোসেন শান্ত।

আউট হতে পারতেন বোনারও। নাঈম হাসানের একটি তীক্ষ্ণ টার্ন করা বল বোনারের প্যাডে এসে লাগে। এবারও রিভিউ নেয়নি বাংলাদেশ, বোনারও বেঁচে গেলেন ২৫ রানে। লাঞ্চ বিরতির ঠিক আগে তাইজুলের বল আরো একবার প্যাডে লাগে মায়ার্সের। জোড়ালো আবেদন করেও সাড়া দেননি আম্পায়ার। এবার বাংলাদেশ অধিনায়ক রিভিউ নিলেও দুর্ভাগ্যের জেরে রিভিউয়ে দেখা গেল উইকেট আম্পায়ার্স কল। ফলে ৯১ রান করা মায়ার্স আবারো জীবন পেলেন। হতাশায় পুড়লো বাংলাদেশ। এরপরে মুস্তাফিজের করা ৮৩তম ওভারে হাফ সেঞ্চুরিকে সেঞ্চুরিতে রূপান্তরিত করেন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। চতুর্থ উইকেটে তাঁর সঙ্গী হিসেবে ক্যারিয়ারের প্রথম হাফ সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন এনক্রুমাহ বোনারও।

এদিকে এখন পর্যন্ত ওয়েস্ট ইন্ডিজের কোন উইকেট ফেলতে পারেননি বাংলাদেশের বোলাররা। শেষ খবর পর্যন্ত সফরকারীদের সংগ্রহ ২৫৭ রান। ৭৮ রান করে অপরাজিত আছেন বোনার। প্রথম টেস্ট জিততে এখনো ওয়েস্ট ইন্ডেজর প্রয়োজন ১৩৮ রান হাতে আছে ৭ উইকেট এবং প্রায় দেড় সেশন।