০৩:৫৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

আগামী মাসেই চালু হচ্ছে দুবাই ও কানাডায় ডিজিটাল বুথ

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৩:৪৮:৫৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩ জানুয়ারী ২০২১
  • / ৪১২৬ বার দেখা হয়েছে

পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) অনুমোদন পাওয়ায় প্রথমবারের মতো দুবাই ও কানাডায় ব্রোকারেজ হাউজের শাখা হিসেবে ডিজিটাল বুথ খুলতে যাচ্ছে ইউসিবি ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট এবং পদ্মা ব্যাংক সিকিউরিটিজ।

ব্রোকারেজ হাউজের ডিজিটাল বুথ খুলতে হলে সংশ্লিষ্ট দেশের কর্তৃপক্ষের লাইসেন্স নেওয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এজন্য ব্রোকারেজ হাউজ দুটি দুই দেশের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের লাইসেন্স পেতে কাজ শুরু করেছে। লাইসেন্স পেলেই আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যে ডিজিটাল বুথ চালু করবে দুই প্রাতষ্ঠান।

তথ্য মতে, গত ৩০ ডিসেম্বর বিএসইসির উপ-পরিচালক ফারুক হোসেন স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে ইউসিবি ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্টকে দুবাইয়ে ডিজিটাল বুথ খোলার অনুমতি দেওয়া হয়। বিষয়টি উভয় স্টক এক্সচেঞ্জসহ বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যানকেও অবহিত করা হয়েছে। এছাড়া পদ্মা ব্যাংক সিকিউরিটিজকে কানাডায় ডিজিটাল বুথ খোলার অনুমোদন দিয়েছে কমিশন। তবে এখনও প্রতিষ্ঠানটিকে এ বিষয়ে চিঠি দেওয়া হয়নি। দু-একদিনের মধ্যে পদ্মা ব্যাংক সিকিউরিটিজকে ডিজিটাল বুথ খোলার অনুমতি দিয়ে চিঠি দেওয়া হবে বলে জানা গেছে।

ইউসিবি ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট বিএসইসির অনুমোদন পাওয়ার পরপরই দুবাইয়ে ডিজিটাল বুথ খোলার জন্য ওই দেশের পরামর্শক নিয়োগ দেওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছে। পরামর্শকের সুপারিশের আলোকেই প্রতিষ্ঠানটি বুথ খোলার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করবে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের লাইসেন্স পেলেই ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি বুথ চালু করতে চায় ইউসিবি ক্যাপিটাল। আর বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামের হাতেই এ বুথ উদ্বোধন করাতে চায় প্রতিষ্ঠানটি। এছাড়া বিএসইসির অনুমোদন পেয়ে পদ্মা ব্যাংক সিকিউরিটিজ কানাডার অনটারিও কমিশনে ডিজিটাল বুধ খোলার জন্য আবেদন করেছে। লাইসেন্স পেলেই ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যেই ডিজিটাল বুথ চালু করতে চায় প্রতিষ্ঠানটি।

এদিকে, পুঁজিবাজারে ব্যপ্তি বাড়াতে বিদেশে ব্রোকারেজ হাউজের শাখা হিসেবে ডিজিটাল বুথ স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছেন অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামের নেতৃত্বাধীন কমিশন। এরই ধরাবাহিকতায় গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর ব্রোকারেজ হাউজ দুটি ডিজিটাল বুথ স্থাপনের অনুমতি চেয়ে ডিএসই ও সিএসইর পাশাপাশি বিএসইসিতেও আবেদন করে। তবে বিদেশে ডিজিটাল বুথ স্থাপনের ক্ষেত্রে স্টক এক্সচেঞ্জের সম্মতি নিয়ে বিএসইসতে আবেদন করার বিধান থাকলেও, ব্রোকারজে হাউজ দুটি তা পরিপালন করেনি। ডিএসই ও সিএসইর অনুমতি না নিয়ে বিএসইসিতে আবেদন করেছে তারা। যেহেতু বিদেশে বুথ খোলার অনুমোদন এবারই প্রথম দেওয়া হচ্ছে, তাই বিষয়টিকে নমনীয়ভাবে দেখছে বিএসইসি।

গত ১৩ ডিসেম্বর বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম স্বাক্ষরিত ডিজিটাল বুথ খোলার নির্দেশনায় বলা হয়েছে, স্টক এক্সচেঞ্জের সম্মতিক্রমে যেকোনো স্টক ব্রোকার ডিজিটাল বুথের জন্য কমিশনে আবেদন করতে পারবে। সিটি করপোরেশনের মধ্যে, পৌরসভা, ইউনিয়ন পরিষদ ছাড়াও দেশের বাইরেও ডিজিটাল বুথ স্থাপন করা যাবে। ডিজিটাল বুথ পরিচালনার জন্য স্টক ব্রোকারের প্রয়োজনীয় কাঠামো এবং সুযোগ-সুবিধা, আর্থিক সক্ষমতা ও জনবল থাকতে হবে।

বিদেশে বুথ খুলতে ১০ লাখ টাকা দিতে হবে। সেক্ষেত্রে ব্রোকারকে নন-জুডিশিয়াল ৩০০ টাকার স্টাম্পে অমীমাংসিত দাবি, বৈধ দাবি বা অপরিশোধিত দাবির ক্ষেত্রে তারা এককভাবে দায়বদ্ধ থাকবে বলে লিখিত দিতে হবে। ব্রোকার হাউজের পর্ষদ মনোনীত ব্যবস্থাপনা পরিচালক বা প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বা যেকোনো শীর্ষ কর্মকর্তা বা পরিচালকের স্বাক্ষর থাকতে হবে সেই স্টাম্পে।

শেয়ার করুন

x
English Version

আগামী মাসেই চালু হচ্ছে দুবাই ও কানাডায় ডিজিটাল বুথ

আপডেট: ০৩:৪৮:৫৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩ জানুয়ারী ২০২১

পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) অনুমোদন পাওয়ায় প্রথমবারের মতো দুবাই ও কানাডায় ব্রোকারেজ হাউজের শাখা হিসেবে ডিজিটাল বুথ খুলতে যাচ্ছে ইউসিবি ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট এবং পদ্মা ব্যাংক সিকিউরিটিজ।

ব্রোকারেজ হাউজের ডিজিটাল বুথ খুলতে হলে সংশ্লিষ্ট দেশের কর্তৃপক্ষের লাইসেন্স নেওয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এজন্য ব্রোকারেজ হাউজ দুটি দুই দেশের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের লাইসেন্স পেতে কাজ শুরু করেছে। লাইসেন্স পেলেই আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যে ডিজিটাল বুথ চালু করবে দুই প্রাতষ্ঠান।

তথ্য মতে, গত ৩০ ডিসেম্বর বিএসইসির উপ-পরিচালক ফারুক হোসেন স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে ইউসিবি ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্টকে দুবাইয়ে ডিজিটাল বুথ খোলার অনুমতি দেওয়া হয়। বিষয়টি উভয় স্টক এক্সচেঞ্জসহ বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যানকেও অবহিত করা হয়েছে। এছাড়া পদ্মা ব্যাংক সিকিউরিটিজকে কানাডায় ডিজিটাল বুথ খোলার অনুমোদন দিয়েছে কমিশন। তবে এখনও প্রতিষ্ঠানটিকে এ বিষয়ে চিঠি দেওয়া হয়নি। দু-একদিনের মধ্যে পদ্মা ব্যাংক সিকিউরিটিজকে ডিজিটাল বুথ খোলার অনুমতি দিয়ে চিঠি দেওয়া হবে বলে জানা গেছে।

ইউসিবি ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট বিএসইসির অনুমোদন পাওয়ার পরপরই দুবাইয়ে ডিজিটাল বুথ খোলার জন্য ওই দেশের পরামর্শক নিয়োগ দেওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছে। পরামর্শকের সুপারিশের আলোকেই প্রতিষ্ঠানটি বুথ খোলার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করবে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের লাইসেন্স পেলেই ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি বুথ চালু করতে চায় ইউসিবি ক্যাপিটাল। আর বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামের হাতেই এ বুথ উদ্বোধন করাতে চায় প্রতিষ্ঠানটি। এছাড়া বিএসইসির অনুমোদন পেয়ে পদ্মা ব্যাংক সিকিউরিটিজ কানাডার অনটারিও কমিশনে ডিজিটাল বুধ খোলার জন্য আবেদন করেছে। লাইসেন্স পেলেই ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যেই ডিজিটাল বুথ চালু করতে চায় প্রতিষ্ঠানটি।

এদিকে, পুঁজিবাজারে ব্যপ্তি বাড়াতে বিদেশে ব্রোকারেজ হাউজের শাখা হিসেবে ডিজিটাল বুথ স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছেন অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামের নেতৃত্বাধীন কমিশন। এরই ধরাবাহিকতায় গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর ব্রোকারেজ হাউজ দুটি ডিজিটাল বুথ স্থাপনের অনুমতি চেয়ে ডিএসই ও সিএসইর পাশাপাশি বিএসইসিতেও আবেদন করে। তবে বিদেশে ডিজিটাল বুথ স্থাপনের ক্ষেত্রে স্টক এক্সচেঞ্জের সম্মতি নিয়ে বিএসইসতে আবেদন করার বিধান থাকলেও, ব্রোকারজে হাউজ দুটি তা পরিপালন করেনি। ডিএসই ও সিএসইর অনুমতি না নিয়ে বিএসইসিতে আবেদন করেছে তারা। যেহেতু বিদেশে বুথ খোলার অনুমোদন এবারই প্রথম দেওয়া হচ্ছে, তাই বিষয়টিকে নমনীয়ভাবে দেখছে বিএসইসি।

গত ১৩ ডিসেম্বর বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম স্বাক্ষরিত ডিজিটাল বুথ খোলার নির্দেশনায় বলা হয়েছে, স্টক এক্সচেঞ্জের সম্মতিক্রমে যেকোনো স্টক ব্রোকার ডিজিটাল বুথের জন্য কমিশনে আবেদন করতে পারবে। সিটি করপোরেশনের মধ্যে, পৌরসভা, ইউনিয়ন পরিষদ ছাড়াও দেশের বাইরেও ডিজিটাল বুথ স্থাপন করা যাবে। ডিজিটাল বুথ পরিচালনার জন্য স্টক ব্রোকারের প্রয়োজনীয় কাঠামো এবং সুযোগ-সুবিধা, আর্থিক সক্ষমতা ও জনবল থাকতে হবে।

বিদেশে বুথ খুলতে ১০ লাখ টাকা দিতে হবে। সেক্ষেত্রে ব্রোকারকে নন-জুডিশিয়াল ৩০০ টাকার স্টাম্পে অমীমাংসিত দাবি, বৈধ দাবি বা অপরিশোধিত দাবির ক্ষেত্রে তারা এককভাবে দায়বদ্ধ থাকবে বলে লিখিত দিতে হবে। ব্রোকার হাউজের পর্ষদ মনোনীত ব্যবস্থাপনা পরিচালক বা প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বা যেকোনো শীর্ষ কর্মকর্তা বা পরিচালকের স্বাক্ষর থাকতে হবে সেই স্টাম্পে।