০২:৩০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪

আজীবন সম্মাননা পেলেন সোহেল রানা ও সুচন্দা

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৬:২৩:৩৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২০
  • / ৪১৬৫ বার দেখা হয়েছে

২০১৯ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে আজীবন সম্মাননা পেলেন  প্রযোজক ও অভিনেতা মাসুদ পারভেজ (সোহেল রানা) ও অভিনেত্রী কহিনুর আক্তার সুচন্দা। বৃহস্পতিবার তথ্য মন্ত্রণালয় এক প্রজ্ঞাপন প্রকাশের মাধ্যমে জানিয়েছে বিষয়টি। সেখানে বলা হয়েছে, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার চলচ্চিত্র শিল্প গৌরবজ্জল ও অসাধারণ অবদানের স্বীকৃতি স্বরুপ এ সম্মাননা জানানো হচ্ছে তাদের। 

১৯৪৭ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি ঢাকাতে জন্ম নেয়া সোহেল রানা শিক্ষা জীবনে একজন ছাত্রনেতা ছিলেন। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ঝাপিয়ে পড়েছেন মুক্তিযুদ্ধে। স্বাধীনতা যুদ্ধের পর তিনি বাংলাদেশ চলচ্চিত্রের সাথে যুক্ত হন।  

বাংলাদেশের প্রথম পূর্ণাঙ্গ মুক্তিযুদ্ধের চলচ্চিত্র ওরা ১১ জন ছবির প্রযোজক হিসেবে চলচ্চিত্র জগতে প্রবেশ করেন। এটি পরিচালনা করেন চাষী নজরুল ইসলাম। ১৯৭৩ সালে সোহেল রানা নাম ধারণ করে কাজী আনোয়ার হোসেনের বিখ্যাত কাল্পনিক চরিত্র ‘মাসুদ রানা’র একটি গল্প অবলম্বনে ১৯৭৪ সালে ‘মাসুদ রানা’ ছবির নায়ক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন এবং একই ছবির মাধ্যমে তিনি মাসুদ পারভেজ নামে পরিচালক হিসেবেও যাত্রা শুরু করেন। এখানে তার বিপরীতে ছিলেন মিষ্টি মেয়ে খ্যাত কবরী। এরপর অসংখ্য ছবি তিনি উপহার দিয়েছেন অভিনয়ের মুগ্ধতা ছড়িয়ে।

অন্যদিকে জহির রায়হানের ‘বেহুলা’ কিংবা ‘জীবন থেকে নেয়া ছবির কথা মনে পড়লেই যে অভিনেত্রীর চেহারা আজও চোখের সামনে ভেসে ওঠে তিনি হলেন সুচন্দা।

পুরো নাম কোহিনূর আক্তার সুচন্দা। ১৯৬৪ সালে প্রখ্যাত অভিনেতা কাজী খালেকের একটা প্রামাণ্যচিত্রে প্রথম কাজ তার। সুভাষ দত্ত পরিচালিত কাগজের নৌকা চলচ্চিত্রের মাধ্যমে ১৯৬৬ সালে চলচ্চিত্রে অভিষেক ঘটে। ১৯৬৭ সালে হিন্দু পৌরাণিক কাহিনী অবলম্বনে চলচ্চিত্র ‘বেহুলা’ নির্মাণ করেন জহির রায়হান। এতে অভিনয় করে তিনি আকাশছোঁয়া জনপ্রিয়তা পান। 

শেয়ার করুন

x
English Version

আজীবন সম্মাননা পেলেন সোহেল রানা ও সুচন্দা

আপডেট: ০৬:২৩:৩৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২০

২০১৯ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে আজীবন সম্মাননা পেলেন  প্রযোজক ও অভিনেতা মাসুদ পারভেজ (সোহেল রানা) ও অভিনেত্রী কহিনুর আক্তার সুচন্দা। বৃহস্পতিবার তথ্য মন্ত্রণালয় এক প্রজ্ঞাপন প্রকাশের মাধ্যমে জানিয়েছে বিষয়টি। সেখানে বলা হয়েছে, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার চলচ্চিত্র শিল্প গৌরবজ্জল ও অসাধারণ অবদানের স্বীকৃতি স্বরুপ এ সম্মাননা জানানো হচ্ছে তাদের। 

১৯৪৭ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি ঢাকাতে জন্ম নেয়া সোহেল রানা শিক্ষা জীবনে একজন ছাত্রনেতা ছিলেন। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ঝাপিয়ে পড়েছেন মুক্তিযুদ্ধে। স্বাধীনতা যুদ্ধের পর তিনি বাংলাদেশ চলচ্চিত্রের সাথে যুক্ত হন।  

বাংলাদেশের প্রথম পূর্ণাঙ্গ মুক্তিযুদ্ধের চলচ্চিত্র ওরা ১১ জন ছবির প্রযোজক হিসেবে চলচ্চিত্র জগতে প্রবেশ করেন। এটি পরিচালনা করেন চাষী নজরুল ইসলাম। ১৯৭৩ সালে সোহেল রানা নাম ধারণ করে কাজী আনোয়ার হোসেনের বিখ্যাত কাল্পনিক চরিত্র ‘মাসুদ রানা’র একটি গল্প অবলম্বনে ১৯৭৪ সালে ‘মাসুদ রানা’ ছবির নায়ক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন এবং একই ছবির মাধ্যমে তিনি মাসুদ পারভেজ নামে পরিচালক হিসেবেও যাত্রা শুরু করেন। এখানে তার বিপরীতে ছিলেন মিষ্টি মেয়ে খ্যাত কবরী। এরপর অসংখ্য ছবি তিনি উপহার দিয়েছেন অভিনয়ের মুগ্ধতা ছড়িয়ে।

অন্যদিকে জহির রায়হানের ‘বেহুলা’ কিংবা ‘জীবন থেকে নেয়া ছবির কথা মনে পড়লেই যে অভিনেত্রীর চেহারা আজও চোখের সামনে ভেসে ওঠে তিনি হলেন সুচন্দা।

পুরো নাম কোহিনূর আক্তার সুচন্দা। ১৯৬৪ সালে প্রখ্যাত অভিনেতা কাজী খালেকের একটা প্রামাণ্যচিত্রে প্রথম কাজ তার। সুভাষ দত্ত পরিচালিত কাগজের নৌকা চলচ্চিত্রের মাধ্যমে ১৯৬৬ সালে চলচ্চিত্রে অভিষেক ঘটে। ১৯৬৭ সালে হিন্দু পৌরাণিক কাহিনী অবলম্বনে চলচ্চিত্র ‘বেহুলা’ নির্মাণ করেন জহির রায়হান। এতে অভিনয় করে তিনি আকাশছোঁয়া জনপ্রিয়তা পান।