০৩:৩৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪

আট হাজার কোটি টাকার তহবিল

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১১:৪৬:৪০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২১
  • / ৪১১৫ বার দেখা হয়েছে

সারা দেশে বিশুদ্ধ পানির সরবরাহ নিশ্চিত করতে অবকাঠামো উন্নয়নে ৮ হাজার কোটি টাকার একটি বিশেষ তহবিল গঠন করেছে সরকার। শরীয়াহ ভিত্তিতে পরিচালিত সরকারি খাতের বিনিয়োগ বন্ড ‘ইজারা সুকুকে’র মাধ্যমে বাজার থেকে এ অর্থ তোলা হবে।

সরকারের পক্ষে এটি পরিচালনা ও তদারকি করবে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ব্যাংকের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। জারি করা করা হয়েছে একটি নীতিমালা।

নীতিমালা অনুযায়ী, দুই দফায় বাজার থেকে এ অর্থ তোলা হবে। ইতোমধ্যে গত ২৮ ডিসেম্বর প্রথম দফায় ৪ হাজার কোটি টাকা তোলা হয়েছে। বাকি ৪ হাজার কোটি টাকা তোলা হবে আগামী ২৮ জুন। ৫ বছর মেয়াদি এ বন্ডের মুনাফার হার গড়ে প্রায় ৫ শতাংশ। বছরে ছয় মাস পরপর দুই দফায় মুনাফা তোলা যাবে। বন্ডটি সেকেন্ডারি মার্কেটেও বেচাকেনা হবে। তখন মেয়াদ পূর্তির আগে যে কেউ বিক্রি করে টাকা নগদায়ন করতে পারবেন। এতে মুনাফার হার কম পাওয়া যাবে।

এটি হবে শরীয়াহ ভিত্তিতে পরিচালিত বাংলাদেশ সরকারের প্রথম বিনিয়োগ বন্ড। এর নাম দেওয়া হয়েছে ইজারা সুকুক। শরীয়াহ মোতাবেক পরিচালিত ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানগুলো এতে বিনিয়োগ করতে পারবে। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো সরাসরি বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে এ বন্ড কিনতে পারবে। ব্যক্তি ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলোকে এ বন্ড কিনতে হলে ব্যাংকের মাধ্যমে কিনতে হবে।

এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা বলেন, এটি চালুর ফলে একদিকে যেমন সরকার শরীয়াহ ভিত্তিতে ঋণ নিয়ে তা ব্যবহার করার পথ উন্মুক্ত হলো। অন্যদিকে শরীয়াহ ভিত্তিতে পরিচালিত ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান তাদের অলস অর্থ এতে বিনিয়োগ করার সুযোগ তৈরি হয়েছে। এছাড়া শরীয়াহ ভিত্তিতে বিনিয়োগে আগ্রহী বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগের একটি দরজাও খুলে গেল। ফলে দেশের চলমান অর্থনৈতিক উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে শরীয়াহভিত্তিক অর্থায়নের পথ সম্প্রসারণ ও সুগম হলো।

কেননা বর্তমানে শরীয়াহ ভিত্তিতে বিনিয়োগের জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সঞ্চয়ী হিসাব ছাড়া অন্য কোনো নিরাপদ বিনিয়োগের সুযোগ নেই বললেই চলে।

সূত্র জানায়, বর্তমানে দেশের ব্যাংকিং খাতের অতিরিক্ত তারল্যের প্রায় ৪৫ শতাংশের বেশি শরীয়াহভিত্তিক ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে রয়েছে। প্রচলিত ব্যাংকগুলোর তারল্য ব্যবস্থাপনায় বিভিন্ন ধরনের বিনিয়োগের উপকরণ রয়েছে। কিন্তু শরীয়াহভিত্তিক ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য তেমন কোনো বিনিয়োগের সুযোগ ছিল না।

বিনিয়োগের সীমিত সুযোগের কারণে শরীয়াহভিত্তিক ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো অতিরিক্ত তারল্য অধিকাংশ ক্ষেত্রেই অব্যবহৃত থেকে যাচ্ছে। যা অর্থনীতিতে কোনো ভূমিকা রাখতে পারছে না। উল্টো অলস অর্থের দুর্নাম বহন করতে হচ্ছে। সুকুক ইস্যুর মাধ্যমে এই ধারার ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর তারল্য সরকার বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পে স্বল্প খরচে ব্যবহার করতে পারবে।

অন্যদিকে শরীয়াহভিত্তিক প্রতিষ্ঠানগুলোর বিনিয়োগের বিকল্প ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে। ফলে এসব প্রতিষ্ঠানের অলস অর্থ দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখার সুযোগ তৈরি হলো।

বন্ডটি পরিচালনার লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের ঋণ ব্যবস্থাপনা বিভাগে আলাদা একটি ‘ইসলামী সিকিউরিটিজ উপবিভাগ’ গঠন করা হয়েছে। এর দায়িত্বে রয়েছে ওই বিভাগের মহাব্যবস্থাপকের (জিএম) নেতৃত্বে ৫ সদস্যের একটি টিম।

সুকুকে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ সংরক্ষণে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ঋণ ব্যবস্থাপনা বিভাগের দায়িত্ব প্রাপ্ত ডেপুটি গভর্নরের নেতৃত্বে ৬ সদস্যের একটি ট্রাস্টি গঠন করা হয়েছে। এর সদস্য হিসাবে থাকবেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগের চারজন নির্বাহী পরিচালক ও একজন মহাব্যবস্থাপক। এছাড়া ১১ সদস্যের একটি উপদেষ্টা কমিটি গঠন করা হয়েছে।

বন্ডের প্রতিটি সার্টিফিকেটের অভিহিত মূল্য হবে ১০০ টাকা। এটি সর্বনিম্ন ১০ হাজার টাকা থেকে সর্বোচ্চ এর গুণীতক যে কোনো অঙ্কের বন্ড কেনা যাবে। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো এতে বিনিয়োগ করে তা বিধিবদ্ধ আমানত বা এসএলআর (ঝুঁকি এড়াতে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর কেন্দ্রীয় ব্যাংকে বিধিবদ্ধ জমা অর্থ) হিসাবে রাখতে পারবে।

প্রকল্পের প্রতিবেদনে বলা হয়, এখন পর্যন্ত দেশের ৮৮ শতাংশ এলাকায় বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছে। এ প্রকল্পের আওতায় বাকি ১২ শতাংশ এলাকায়ও বিশুদ্ধ খাবার পানি সরবরাহ করা সম্ভব হবে। সারা দেশে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করা সম্ভব হলে পেটের পীড়াজনিত রোগের প্রাদুর্ভাব কমে যাবে। ফলে সরকারের স্বাস্থ্য খাতে চাপও কমবে।

প্রকল্পের আওতায় নতুন ১৪ লাখ হস্তচালিত টিউবওয়েল সরবরাহ করা হবে। এর বাইরে গভীর নলকূপ, ওয়াসার মাধ্যমে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের ব্যবস্থা করা হবে। উপকূলীয় এলাকায় লবণাক্ত পানির আধিক্য থাকায় বিশুদ্ধ খাবার পানির তীব্র সংকট। যে কারণে উপকূলের মানুষের মধ্যে উচ্চ রক্তচাপ ও কিডনি রোগের প্রকোপ বেশি। কেননা লবণ এ দুটি রোগ বাড়াতে সহায়ক ভূমিকা রাখে। এছাড়া পাহাড়ি অঞ্চলে ভূগর্ভস্থ পানির সংকট বলে বিশুদ্ধ খাবার পানি পাওয়া খুব কষ্টকর। সেখানেও পাড়াভিত্তিক বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করার উপকরণ সরবরাহ করা হবে।

প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগ। ২০২৫ সালের ৩০ জুন এর মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা। এটি বাস্তবায়নে মোট খরচ ধরা হয়েছে ৮ হাজার ৮৫১ কোটি টাকা। এর মধ্যে ৮ হাজার কোটি টাকার জোগান দেওয়া হবে আলোচ্য বিনিয়োগ বন্ডের মাধ্যমে। বাকি টাকা সরকার থেকে দেওয়া হবে।

শেয়ার করুন

x
English Version

আট হাজার কোটি টাকার তহবিল

আপডেট: ১১:৪৬:৪০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২১

সারা দেশে বিশুদ্ধ পানির সরবরাহ নিশ্চিত করতে অবকাঠামো উন্নয়নে ৮ হাজার কোটি টাকার একটি বিশেষ তহবিল গঠন করেছে সরকার। শরীয়াহ ভিত্তিতে পরিচালিত সরকারি খাতের বিনিয়োগ বন্ড ‘ইজারা সুকুকে’র মাধ্যমে বাজার থেকে এ অর্থ তোলা হবে।

সরকারের পক্ষে এটি পরিচালনা ও তদারকি করবে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ব্যাংকের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। জারি করা করা হয়েছে একটি নীতিমালা।

নীতিমালা অনুযায়ী, দুই দফায় বাজার থেকে এ অর্থ তোলা হবে। ইতোমধ্যে গত ২৮ ডিসেম্বর প্রথম দফায় ৪ হাজার কোটি টাকা তোলা হয়েছে। বাকি ৪ হাজার কোটি টাকা তোলা হবে আগামী ২৮ জুন। ৫ বছর মেয়াদি এ বন্ডের মুনাফার হার গড়ে প্রায় ৫ শতাংশ। বছরে ছয় মাস পরপর দুই দফায় মুনাফা তোলা যাবে। বন্ডটি সেকেন্ডারি মার্কেটেও বেচাকেনা হবে। তখন মেয়াদ পূর্তির আগে যে কেউ বিক্রি করে টাকা নগদায়ন করতে পারবেন। এতে মুনাফার হার কম পাওয়া যাবে।

এটি হবে শরীয়াহ ভিত্তিতে পরিচালিত বাংলাদেশ সরকারের প্রথম বিনিয়োগ বন্ড। এর নাম দেওয়া হয়েছে ইজারা সুকুক। শরীয়াহ মোতাবেক পরিচালিত ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানগুলো এতে বিনিয়োগ করতে পারবে। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো সরাসরি বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে এ বন্ড কিনতে পারবে। ব্যক্তি ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলোকে এ বন্ড কিনতে হলে ব্যাংকের মাধ্যমে কিনতে হবে।

এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা বলেন, এটি চালুর ফলে একদিকে যেমন সরকার শরীয়াহ ভিত্তিতে ঋণ নিয়ে তা ব্যবহার করার পথ উন্মুক্ত হলো। অন্যদিকে শরীয়াহ ভিত্তিতে পরিচালিত ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান তাদের অলস অর্থ এতে বিনিয়োগ করার সুযোগ তৈরি হয়েছে। এছাড়া শরীয়াহ ভিত্তিতে বিনিয়োগে আগ্রহী বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগের একটি দরজাও খুলে গেল। ফলে দেশের চলমান অর্থনৈতিক উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে শরীয়াহভিত্তিক অর্থায়নের পথ সম্প্রসারণ ও সুগম হলো।

কেননা বর্তমানে শরীয়াহ ভিত্তিতে বিনিয়োগের জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সঞ্চয়ী হিসাব ছাড়া অন্য কোনো নিরাপদ বিনিয়োগের সুযোগ নেই বললেই চলে।

সূত্র জানায়, বর্তমানে দেশের ব্যাংকিং খাতের অতিরিক্ত তারল্যের প্রায় ৪৫ শতাংশের বেশি শরীয়াহভিত্তিক ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে রয়েছে। প্রচলিত ব্যাংকগুলোর তারল্য ব্যবস্থাপনায় বিভিন্ন ধরনের বিনিয়োগের উপকরণ রয়েছে। কিন্তু শরীয়াহভিত্তিক ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য তেমন কোনো বিনিয়োগের সুযোগ ছিল না।

বিনিয়োগের সীমিত সুযোগের কারণে শরীয়াহভিত্তিক ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো অতিরিক্ত তারল্য অধিকাংশ ক্ষেত্রেই অব্যবহৃত থেকে যাচ্ছে। যা অর্থনীতিতে কোনো ভূমিকা রাখতে পারছে না। উল্টো অলস অর্থের দুর্নাম বহন করতে হচ্ছে। সুকুক ইস্যুর মাধ্যমে এই ধারার ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর তারল্য সরকার বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পে স্বল্প খরচে ব্যবহার করতে পারবে।

অন্যদিকে শরীয়াহভিত্তিক প্রতিষ্ঠানগুলোর বিনিয়োগের বিকল্প ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে। ফলে এসব প্রতিষ্ঠানের অলস অর্থ দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখার সুযোগ তৈরি হলো।

বন্ডটি পরিচালনার লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের ঋণ ব্যবস্থাপনা বিভাগে আলাদা একটি ‘ইসলামী সিকিউরিটিজ উপবিভাগ’ গঠন করা হয়েছে। এর দায়িত্বে রয়েছে ওই বিভাগের মহাব্যবস্থাপকের (জিএম) নেতৃত্বে ৫ সদস্যের একটি টিম।

সুকুকে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ সংরক্ষণে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ঋণ ব্যবস্থাপনা বিভাগের দায়িত্ব প্রাপ্ত ডেপুটি গভর্নরের নেতৃত্বে ৬ সদস্যের একটি ট্রাস্টি গঠন করা হয়েছে। এর সদস্য হিসাবে থাকবেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগের চারজন নির্বাহী পরিচালক ও একজন মহাব্যবস্থাপক। এছাড়া ১১ সদস্যের একটি উপদেষ্টা কমিটি গঠন করা হয়েছে।

বন্ডের প্রতিটি সার্টিফিকেটের অভিহিত মূল্য হবে ১০০ টাকা। এটি সর্বনিম্ন ১০ হাজার টাকা থেকে সর্বোচ্চ এর গুণীতক যে কোনো অঙ্কের বন্ড কেনা যাবে। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো এতে বিনিয়োগ করে তা বিধিবদ্ধ আমানত বা এসএলআর (ঝুঁকি এড়াতে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর কেন্দ্রীয় ব্যাংকে বিধিবদ্ধ জমা অর্থ) হিসাবে রাখতে পারবে।

প্রকল্পের প্রতিবেদনে বলা হয়, এখন পর্যন্ত দেশের ৮৮ শতাংশ এলাকায় বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছে। এ প্রকল্পের আওতায় বাকি ১২ শতাংশ এলাকায়ও বিশুদ্ধ খাবার পানি সরবরাহ করা সম্ভব হবে। সারা দেশে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করা সম্ভব হলে পেটের পীড়াজনিত রোগের প্রাদুর্ভাব কমে যাবে। ফলে সরকারের স্বাস্থ্য খাতে চাপও কমবে।

প্রকল্পের আওতায় নতুন ১৪ লাখ হস্তচালিত টিউবওয়েল সরবরাহ করা হবে। এর বাইরে গভীর নলকূপ, ওয়াসার মাধ্যমে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের ব্যবস্থা করা হবে। উপকূলীয় এলাকায় লবণাক্ত পানির আধিক্য থাকায় বিশুদ্ধ খাবার পানির তীব্র সংকট। যে কারণে উপকূলের মানুষের মধ্যে উচ্চ রক্তচাপ ও কিডনি রোগের প্রকোপ বেশি। কেননা লবণ এ দুটি রোগ বাড়াতে সহায়ক ভূমিকা রাখে। এছাড়া পাহাড়ি অঞ্চলে ভূগর্ভস্থ পানির সংকট বলে বিশুদ্ধ খাবার পানি পাওয়া খুব কষ্টকর। সেখানেও পাড়াভিত্তিক বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করার উপকরণ সরবরাহ করা হবে।

প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগ। ২০২৫ সালের ৩০ জুন এর মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা। এটি বাস্তবায়নে মোট খরচ ধরা হয়েছে ৮ হাজার ৮৫১ কোটি টাকা। এর মধ্যে ৮ হাজার কোটি টাকার জোগান দেওয়া হবে আলোচ্য বিনিয়োগ বন্ডের মাধ্যমে। বাকি টাকা সরকার থেকে দেওয়া হবে।