০৯:০৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪

“আন্দোলন-সংগ্রামের মাধ্যমে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছি”

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১২:৫৮:৫৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২০
  • / ৪৪৬৪ বার দেখা হয়েছে

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বৈরী পরিবেশে আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আমরা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছি এবং ধারাবাহিকভাবে সরকার পরিচালনা করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। বাংলাদেশ আজ এগিয়ে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আছে বলেই।

তিনি বলেন, দেশে উন্নতি হচ্ছে কিন্তু আওয়ামী লীগের দুঃসময়ে বিশেষ করে পঁচাত্তরের পর বিরাট অবদান রেখে গেছেন সেই সব ছাত্র নেতারা চলে (মারা) যাচ্ছেন।

রোববার জাতীয় সংসদে চলমান একাদশ সংসদের সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মান্নানের মৃত্যুতে শোক প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। আলোচনার পর শোক প্রস্তাবটি সংসদে গৃহীত হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আব্দুল মান্নান পরপর তিনবার সংসদ সদস্য ছিলেন। ঠিক মৃত্যুর দু’দিন আগেই তার সঙ্গে আমার অনেক কথা হয়েছে। কেন্দ্রীয় কমিটিতে আসতে না পারায় তার মনে একটু দুঃখ ছিল। আমি বলেছিলাম তুমি আমাদের দলে আছো এবং থাকবে। তোমাকে তো আমি মনোনয়ন দিয়েছি। তুমি সংসদ সদস্য হয়েছো।

শেখ হাসিনা বলেন, যেদিন তিনি মারা গেলেন সেদিন রাত ৯টার সময় আমি ডাক্তারের সাথে কথা বললাম। সেদিনই ডাক্তার আমাকে বললেন, আপা ওর অবস্থা কিন্তু ভালো না। আমরা কিছু করতে পারবো না। অবস্থা এমন হয়ে গেছে তাকে যদি বাইরে পাঠাতে পারি, কিন্তু বাইরে পাঠানোর মতো অবস্থাও তার নেই। পরেরদিন সকালবেলায় তার মৃত্যুর খবর পেলাম।

এসময় প্রধানমন্ত্রী আবেগ আপ্লুত হয়ে বলেন, এটা একটু দুঃখজনক। ছাত্রজীবন থেকেই বিরোধী আন্দোলন , এরশাদবিরোধী আন্দোলন, খালেদাবিরোধী আন্দোলনে তিনি বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখেছেন।

তিনি আরো বলেন, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে শওকত, ওয়ালি, মহসিনকে পিটিয়ে হত্যার মতো জঘন্য হত্যাকাণ্ড, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এরশাদ আমলে ট্রাকচাপা দিয়ে মারা হলো, আরো বহু ছাত্রকর্মী বিভিন্ন সময় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছে। বিভিন্ন সরকারের অত্যাচার-নির্যাতনের তালিকা দিতে গেলে বহু সময় লাগবে। একটি বৈরী পরিবেশে আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আমরা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছি।

প্রধানমন্ত্রী জানান, বিশেষ করে বগুড়ায় নির্বাচনে জেতা কঠিন ছিল। যে কারণে আমি বারবার ওই এলাকায় গিয়েছি। নদীভাঙন থেকে শুরু করে রাস্তাঘাট করা অনেক উন্নয়নের কাজ এলাকায় করা হয়েছে। আমরা যখন উন্নয়ন করি তখন সব জায়গায় সমানভাবেই করি। জায়গার সঙ্গে আমাদের কোনো বৈরিতা নেই। সারা বাংলাদেশে আমরা উন্নয়ন করি। সে যখনই যে কাজ নিয়ে এসেছে সে কাজ করে দিয়েছি। সে এভাবে চলে যাবে সত্যিই খুব কষ্টকর। আজ তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি।

প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, আমাদের হাতে গড়া ছাত্রনেতারা ভবিষ্যতে নেতৃত্ব দেবে। আমরা যখন থাকবো না তখন দেশ ও দলকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। এরা যদি চোখের সামনে চলে যায় সত্যিই দুঃখজনক। এভাবে বিভিন্ন নেতার মৃত্যু দেশের জন্য ক্ষতিকারক যদিও তা অবধারিত।

আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও অংশ নেন সরকারি দলের শেখ ফজলুল করিম সেলিম, তোফায়েল আহমেদ, মো. নাসিম, বেগম মতিয়া চৌধুরী, কৃষিমন্ত্রী আবদুর রাজ্জাক, শাহজাহান খান, গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী স ম রেজাউল করিম, জাতীয় পার্টির মশিউর রহমান রাঁঙ্গা, পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমদ পলক, জাতীয় পার্টির পীর ফজলুর রহমান, এক্যফ্রন্টের সুলতান মোহাম্মদ মনসুর, সরকারি দলের মহি উদ্দিন খান আলমগীর, উপাধ্যক্ষ আব্দুস শহীদ, মৃনাল কান্তি দাস, মোসলেম উদ্দিন, নজরুল ইসলাম বাবু, আনোয়ার আবেদীন খান, তাজুল ইসলাম।

শেয়ার করুন

x
English Version

“আন্দোলন-সংগ্রামের মাধ্যমে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছি”

আপডেট: ১২:৫৮:৫৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২০

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বৈরী পরিবেশে আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আমরা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছি এবং ধারাবাহিকভাবে সরকার পরিচালনা করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। বাংলাদেশ আজ এগিয়ে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আছে বলেই।

তিনি বলেন, দেশে উন্নতি হচ্ছে কিন্তু আওয়ামী লীগের দুঃসময়ে বিশেষ করে পঁচাত্তরের পর বিরাট অবদান রেখে গেছেন সেই সব ছাত্র নেতারা চলে (মারা) যাচ্ছেন।

রোববার জাতীয় সংসদে চলমান একাদশ সংসদের সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মান্নানের মৃত্যুতে শোক প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। আলোচনার পর শোক প্রস্তাবটি সংসদে গৃহীত হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আব্দুল মান্নান পরপর তিনবার সংসদ সদস্য ছিলেন। ঠিক মৃত্যুর দু’দিন আগেই তার সঙ্গে আমার অনেক কথা হয়েছে। কেন্দ্রীয় কমিটিতে আসতে না পারায় তার মনে একটু দুঃখ ছিল। আমি বলেছিলাম তুমি আমাদের দলে আছো এবং থাকবে। তোমাকে তো আমি মনোনয়ন দিয়েছি। তুমি সংসদ সদস্য হয়েছো।

শেখ হাসিনা বলেন, যেদিন তিনি মারা গেলেন সেদিন রাত ৯টার সময় আমি ডাক্তারের সাথে কথা বললাম। সেদিনই ডাক্তার আমাকে বললেন, আপা ওর অবস্থা কিন্তু ভালো না। আমরা কিছু করতে পারবো না। অবস্থা এমন হয়ে গেছে তাকে যদি বাইরে পাঠাতে পারি, কিন্তু বাইরে পাঠানোর মতো অবস্থাও তার নেই। পরেরদিন সকালবেলায় তার মৃত্যুর খবর পেলাম।

এসময় প্রধানমন্ত্রী আবেগ আপ্লুত হয়ে বলেন, এটা একটু দুঃখজনক। ছাত্রজীবন থেকেই বিরোধী আন্দোলন , এরশাদবিরোধী আন্দোলন, খালেদাবিরোধী আন্দোলনে তিনি বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখেছেন।

তিনি আরো বলেন, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে শওকত, ওয়ালি, মহসিনকে পিটিয়ে হত্যার মতো জঘন্য হত্যাকাণ্ড, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এরশাদ আমলে ট্রাকচাপা দিয়ে মারা হলো, আরো বহু ছাত্রকর্মী বিভিন্ন সময় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছে। বিভিন্ন সরকারের অত্যাচার-নির্যাতনের তালিকা দিতে গেলে বহু সময় লাগবে। একটি বৈরী পরিবেশে আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আমরা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছি।

প্রধানমন্ত্রী জানান, বিশেষ করে বগুড়ায় নির্বাচনে জেতা কঠিন ছিল। যে কারণে আমি বারবার ওই এলাকায় গিয়েছি। নদীভাঙন থেকে শুরু করে রাস্তাঘাট করা অনেক উন্নয়নের কাজ এলাকায় করা হয়েছে। আমরা যখন উন্নয়ন করি তখন সব জায়গায় সমানভাবেই করি। জায়গার সঙ্গে আমাদের কোনো বৈরিতা নেই। সারা বাংলাদেশে আমরা উন্নয়ন করি। সে যখনই যে কাজ নিয়ে এসেছে সে কাজ করে দিয়েছি। সে এভাবে চলে যাবে সত্যিই খুব কষ্টকর। আজ তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি।

প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, আমাদের হাতে গড়া ছাত্রনেতারা ভবিষ্যতে নেতৃত্ব দেবে। আমরা যখন থাকবো না তখন দেশ ও দলকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। এরা যদি চোখের সামনে চলে যায় সত্যিই দুঃখজনক। এভাবে বিভিন্ন নেতার মৃত্যু দেশের জন্য ক্ষতিকারক যদিও তা অবধারিত।

আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও অংশ নেন সরকারি দলের শেখ ফজলুল করিম সেলিম, তোফায়েল আহমেদ, মো. নাসিম, বেগম মতিয়া চৌধুরী, কৃষিমন্ত্রী আবদুর রাজ্জাক, শাহজাহান খান, গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী স ম রেজাউল করিম, জাতীয় পার্টির মশিউর রহমান রাঁঙ্গা, পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমদ পলক, জাতীয় পার্টির পীর ফজলুর রহমান, এক্যফ্রন্টের সুলতান মোহাম্মদ মনসুর, সরকারি দলের মহি উদ্দিন খান আলমগীর, উপাধ্যক্ষ আব্দুস শহীদ, মৃনাল কান্তি দাস, মোসলেম উদ্দিন, নজরুল ইসলাম বাবু, আনোয়ার আবেদীন খান, তাজুল ইসলাম।