০৯:২২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪

ওয়ালটনকে আরও শেয়ার ছাড়তে বলবে বিএসইসি

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১১:৩৯:১৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ অক্টোবর ২০২০
  • / ৬৪৮০ বার দেখা হয়েছে

দেশের শীর্ষ ইলেকট্রনিক পণ্য প্রস্তুত ও বাজারকারী কোম্পানি ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজকে আরও শেয়ার ছাড়ার প্রস্তাব দিতে যাচ্ছে শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। সংস্থাটি চায়, কোম্পানিটি আরও অন্তত ১০ শতাংশ শেয়ার পাবলিকের কাছে বিক্রি করুক। এ বিষয়ে একটি খসড়া প্রস্তাবও তৈরি করেছে বিএসইসির সংশ্নিষ্ট বিভাগ। নির্ভরযোগ্য সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। সূত্রঃ সমকাল

সম্প্রতি আইপিও প্রক্রিয়ায় শেয়ার বিক্রি করে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হয়েছে ওয়ালটন। বুক বিল্ডিং প্রক্রিয়ায় কোম্পানিটির শেয়ার প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা সর্বনিম্ন ৩১৫ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৭৬৫ টাকা দর প্রস্তাব করে। আর সাধারণ বিনিয়োগকারীরা নির্দেশক মূল্য (কাট-অব-প্রাইস) ৩১৫ টাকার ওপর ২০ শতাংশ ছাড়ে ২৫২ টাকা দরে কিনেছেন। এমন দরে ১০০ কোটি টাকা মূলধন সংগ্রহ করতে গিয়ে মাত্র ২৯ লাখ ২৮ হাজার ৩৪৩টি শেয়ার বিক্রি করতে হয়েছে, যা কোম্পানির বর্তমান মোট শেয়ারের মাত্র শূন্য দশমিক ৯৭ শতাংশ।

জানা গেছে, এর আগে কয়েকটি কোম্পানি রিপিট আইপিওর মাধ্যমে শেয়ার বিক্রি করেছে। সর্বশেষ ২০১১ সালে গোল্ডেন সন এভাবে শেয়ার ছাড়ে। বিএসইসির শীর্ষ এক কর্মকর্তা সমকালকে জানান, এ বিষয়ে কমিশনের পক্ষ থেকে ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ কোম্পানির শীর্ষ কর্মকর্তাকে আলোচনার জন্য আগামী মঙ্গলবার কমিশন অফিসে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

জানতে চাইলে ওয়ালটনের নির্বাহী পরিচালক উদয় হাকিম সমকালকে জানান, এ বিষয়ে এখনও কমিশন থেকে আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব পাননি তারা। বিএসইসি আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব দিলে এ বিষয়ে কোম্পানি তার অবস্থান জানাবে। এর আগে বুক বিল্ডিং প্রক্রিয়ায় ৩১৫ টাকা দর নির্ধারণের পর সাধারণ বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে ১০ শতাংশ ছাড়ে শেয়ার বিক্রির পরিবর্তে ২০ শতাংশ ছাড় দেওয়ার প্রস্তাব করেছিল বিএসইসি। বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে বিনা বাক্যে কমিশনের প্রস্তাব মেনে নিয়েছিল ওয়ালটন বলে জানান তিনি।

আইপিওর নির্দিষ্ট মূল্য পদ্ধতিতে কোনো কোম্পানি ১০ শতাংশের কম শেয়ার বিক্রি প্রস্তাব নিয়ে এলে ওই কোম্পানির আবেদন বিবেচনা করা হয় না। ২০১৯ সালে সংশোধনের আগে বুক বিল্ডিং প্রক্রিয়ায়ও ১০ শতাংশের কম শেয়ার নিয়ে কোনো কোম্পানির আইপিওতে আসা এবং তালিকাভুক্তির সুযোগ ছিল না। কিন্তু ওই সংশোধনের পর যেকোনো পরিমাণ শেয়ার নিয়ে বুক বিল্ডিং প্রক্রিয়ায় কোম্পানির তালিকাভুক্তির সুযোগ তৈরি হয়েছে।

বিএসইসির কমিশনার শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ সমকালকে বলেন, ওয়ালটনের আইপিওর ক্ষেত্রে যা কিছু হয়েছে, তা আইনের মধ্যেই হয়েছে। তবে ওয়ালটনের অতি পরিমাণ শেয়ার নিয়ে তালিকাভুক্ত হওয়ায় বাজারে ভুল বার্তা যাচ্ছে, যা ওয়ালটনের মতো বড় কোম্পানির জন্য সুখকর নয়। এ কারণে তাদের দিক এবং শেয়ারবাজারের সার্বিক অবস্থা বিবেচনা করে আইনের মধ্যে থেকেই এর বিকল্প কোনো সমাধান করা যায় কিনা তা ভেবে দেখছেন তারা।

ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়ার পর গত ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন সেকেন্ডারি শেয়ারবাজারে শুরু হয়। শেয়ারবাজারে কোম্পানিটির লেনদেনযোগ্য শেয়ার ২৯ লাখ হলেও লেনদেনের প্রথম দিনে এক কোটি ১১ লাখেরও বেশি শেয়ারের চাহিদা ছিল। লেনদেন শুরুর মাত্র এক সপ্তাহে শেয়ারটির দর ২৫২ টাকা থেকে এক হাজার ৯ টাকা ছাড়ায়।

বিজনেসজার্নাল/এইচআর

পুঁজিবাজার ও অর্থনীতির সর্বশেষ সবাদ পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজ ‘বিজনেস জার্নাল

ও ফেসবুক গ্রুপ ‘ডিএসই-সিএসই আপডেট’ এর সাথে সংযুক্ত থাকুন।

শেয়ার করুন

x
English Version

ওয়ালটনকে আরও শেয়ার ছাড়তে বলবে বিএসইসি

আপডেট: ১১:৩৯:১৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ অক্টোবর ২০২০

দেশের শীর্ষ ইলেকট্রনিক পণ্য প্রস্তুত ও বাজারকারী কোম্পানি ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজকে আরও শেয়ার ছাড়ার প্রস্তাব দিতে যাচ্ছে শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। সংস্থাটি চায়, কোম্পানিটি আরও অন্তত ১০ শতাংশ শেয়ার পাবলিকের কাছে বিক্রি করুক। এ বিষয়ে একটি খসড়া প্রস্তাবও তৈরি করেছে বিএসইসির সংশ্নিষ্ট বিভাগ। নির্ভরযোগ্য সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। সূত্রঃ সমকাল

সম্প্রতি আইপিও প্রক্রিয়ায় শেয়ার বিক্রি করে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হয়েছে ওয়ালটন। বুক বিল্ডিং প্রক্রিয়ায় কোম্পানিটির শেয়ার প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা সর্বনিম্ন ৩১৫ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৭৬৫ টাকা দর প্রস্তাব করে। আর সাধারণ বিনিয়োগকারীরা নির্দেশক মূল্য (কাট-অব-প্রাইস) ৩১৫ টাকার ওপর ২০ শতাংশ ছাড়ে ২৫২ টাকা দরে কিনেছেন। এমন দরে ১০০ কোটি টাকা মূলধন সংগ্রহ করতে গিয়ে মাত্র ২৯ লাখ ২৮ হাজার ৩৪৩টি শেয়ার বিক্রি করতে হয়েছে, যা কোম্পানির বর্তমান মোট শেয়ারের মাত্র শূন্য দশমিক ৯৭ শতাংশ।

জানা গেছে, এর আগে কয়েকটি কোম্পানি রিপিট আইপিওর মাধ্যমে শেয়ার বিক্রি করেছে। সর্বশেষ ২০১১ সালে গোল্ডেন সন এভাবে শেয়ার ছাড়ে। বিএসইসির শীর্ষ এক কর্মকর্তা সমকালকে জানান, এ বিষয়ে কমিশনের পক্ষ থেকে ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ কোম্পানির শীর্ষ কর্মকর্তাকে আলোচনার জন্য আগামী মঙ্গলবার কমিশন অফিসে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

জানতে চাইলে ওয়ালটনের নির্বাহী পরিচালক উদয় হাকিম সমকালকে জানান, এ বিষয়ে এখনও কমিশন থেকে আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব পাননি তারা। বিএসইসি আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব দিলে এ বিষয়ে কোম্পানি তার অবস্থান জানাবে। এর আগে বুক বিল্ডিং প্রক্রিয়ায় ৩১৫ টাকা দর নির্ধারণের পর সাধারণ বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে ১০ শতাংশ ছাড়ে শেয়ার বিক্রির পরিবর্তে ২০ শতাংশ ছাড় দেওয়ার প্রস্তাব করেছিল বিএসইসি। বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে বিনা বাক্যে কমিশনের প্রস্তাব মেনে নিয়েছিল ওয়ালটন বলে জানান তিনি।

আইপিওর নির্দিষ্ট মূল্য পদ্ধতিতে কোনো কোম্পানি ১০ শতাংশের কম শেয়ার বিক্রি প্রস্তাব নিয়ে এলে ওই কোম্পানির আবেদন বিবেচনা করা হয় না। ২০১৯ সালে সংশোধনের আগে বুক বিল্ডিং প্রক্রিয়ায়ও ১০ শতাংশের কম শেয়ার নিয়ে কোনো কোম্পানির আইপিওতে আসা এবং তালিকাভুক্তির সুযোগ ছিল না। কিন্তু ওই সংশোধনের পর যেকোনো পরিমাণ শেয়ার নিয়ে বুক বিল্ডিং প্রক্রিয়ায় কোম্পানির তালিকাভুক্তির সুযোগ তৈরি হয়েছে।

বিএসইসির কমিশনার শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ সমকালকে বলেন, ওয়ালটনের আইপিওর ক্ষেত্রে যা কিছু হয়েছে, তা আইনের মধ্যেই হয়েছে। তবে ওয়ালটনের অতি পরিমাণ শেয়ার নিয়ে তালিকাভুক্ত হওয়ায় বাজারে ভুল বার্তা যাচ্ছে, যা ওয়ালটনের মতো বড় কোম্পানির জন্য সুখকর নয়। এ কারণে তাদের দিক এবং শেয়ারবাজারের সার্বিক অবস্থা বিবেচনা করে আইনের মধ্যে থেকেই এর বিকল্প কোনো সমাধান করা যায় কিনা তা ভেবে দেখছেন তারা।

ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়ার পর গত ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন সেকেন্ডারি শেয়ারবাজারে শুরু হয়। শেয়ারবাজারে কোম্পানিটির লেনদেনযোগ্য শেয়ার ২৯ লাখ হলেও লেনদেনের প্রথম দিনে এক কোটি ১১ লাখেরও বেশি শেয়ারের চাহিদা ছিল। লেনদেন শুরুর মাত্র এক সপ্তাহে শেয়ারটির দর ২৫২ টাকা থেকে এক হাজার ৯ টাকা ছাড়ায়।

বিজনেসজার্নাল/এইচআর

পুঁজিবাজার ও অর্থনীতির সর্বশেষ সবাদ পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজ ‘বিজনেস জার্নাল

ও ফেসবুক গ্রুপ ‘ডিএসই-সিএসই আপডেট’ এর সাথে সংযুক্ত থাকুন।