০৬:১১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

করোনায় আক্রান্ত আকরাম খান

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০২:০৭:৫৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ এপ্রিল ২০২১
  • / ৪১৬৪ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: বাংলাদেশ দলের সাবেক অধিনায়ক ও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান আকরাম খান করোনায় আক্রান্ত। বিসিবির মেডিক্যাল বিভাগের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা প্রথম আলোকে খবরটি নিশ্চিত করেন।

মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে ৫২ বছর বয়সী আকরাম খান নিজে পরে জানিয়েছেন, তাঁর শরীরে তেমন কোনো উপসর্গ নেই। তিনি বাসায়ই সঙ্গরোধ বা আইসোলেশনে আছেন। ‘আমি ভালো আছি। দেশবাসীর কাছে দোয়া চাইছি’—বলেছেন বাংলাদেশের ক্রিকেটের মোড় ঘুরিয়ে দেওয়া ১৯৯৭ আইসিসি ট্রফি জয়ী দলের অধিনায়ক আকরাম খান।

বাংলাদেশ ক্রিকেটে করোনার হানার নতুন শিকারই হলেন আকরাম খান। দেশজুড়েই করোনার সংক্রমণ ভয়ংকর রূপ নিয়েছে। এক মাসেরও বেশি সময় ধরে নিয়মিতই সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার বেড়ে যাচ্ছে। গতকাল শুক্রবার এক দিনে ৬৩ জন মারা গেছেন করোনায়, নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন আরও ৭৪৬২ জন। ২৪ ঘন্টায় সাড়ে ৩১ হাজারেরও বেশি নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ছিল ২৩.৫৭ শতাংশ।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: বিজনেসজার্নালবিজনেসজার্নাল.বিডি

গতকালের চিত্রটাই বাংলাদেশে গত এক মাসের করোনার হালচালের প্রতিফলন। আগের দিন বৃহস্পতিবার করোনায় আক্রান্ত রেকর্ড ৭৪ মৃত্যুর পাশাপাশি শনাক্ত হয়েছিলেন ৬ হাজার ৮৫৪ জন নতুন রোগী। মাঝে কয়েক মাস নিম্নমুখী হার থাকার পর গত ১০ মার্চ দৈনিক সংক্রমণের হার আবার ১ হাজারের ওপরে ওঠে, এরপর থেকে হু হু করে সংক্রমণ আর মৃত্যু শুধু বাড়ছেই। আশপাশের মানুষের করোনায় আক্রান্ত হওয়ার খবর আসছে নিয়মিত, হাসপাতালগুলোতে বেড পাওয়া যাচ্ছে না, রাস্তায় বাড়ছে অ্যাম্বুলেন্সের আওয়াজ।

দেশের অবস্থা যখন এই, দেশের ক্রিকেট আর বাইরে থাকে কীভাবে! করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় গত ১ এপ্রিল বিসিবি স্থগিত করে দেয় জাতীয় ক্রিকেট লিগের খেলা। লিগ চলার মধ্যে মোহাম্মদ আশরাফুল, ইবাদত হোসেন, সাদমান ইসলামসহ খেলোয়াড়-কর্মকর্তা-গ্রাউন্ডকর্মী মিলিয়ে ১৫-২০ জনের করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর আসে। তার মধ্যে জাতীয় লিগের ভেন্যু কক্সবাজারে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে যানবাহন চলাচল বন্ধ করায় টুর্নামেন্ট স্থগিত করতে হয়েছে বিসিবিকে।

এর বেশ কিছুদিন পর আজ এল আকরাম খানের করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর। বাংলাদেশের জার্সিতে ৮টি টেস্ট ও ৪৪টি ওয়ানডে খেলেছেন আকরাম খান। আইসিসির অ্যাসোসিয়েট থেকে পূর্ণ সদস্য হওয়ার পথে সে সময়টাতে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের কাছে ‘ধূমকেতু’র মতো দেখা দিত আন্তর্জাতিক ক্রিকেট। পালাবদলের সে সময়ের অন্যতম বড় কান্ডারি আকরাম খান টেস্টে ১৬.১৮ গড়ে ১৬ ইনিংসে করেছেন ২৫৯ রান। ওয়ানডেতে ২৩.২৩ গড়ে ৫টি ফিফটিসহ তাঁর রান ৯৭৬।

এই সংখ্যাগুলো নয়, বাংলাদেশ ক্রিকেটে আকরাম খান প্রথমদিকের নায়কদের একজন হয়ে আছেন ১৯৯৭ ট্রফি জয়ী বাংলাদেশ দলের নেতৃত্ব দিয়ে। সে টুর্নামেন্টে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে বাঁচা-মরার ম্যাচে ভীষণ চাপে দাঁড়িয়ে তাঁর ৬৮ রানের ইনিংস বাংলাদেশ ক্রিকেটের ভিত্তি গড়তেই সাহায্য করেছে। সেই ইনিংস বাংলাদেশকে তোলে টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালে, যেখানে স্কটল্যান্ডকে হারিয়ে বাংলাদেশ পায় ১৯৯৯ বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ।

ঢাকা/এনইউ

আরও পড়ুন:

শেয়ার করুন

x
English Version

করোনায় আক্রান্ত আকরাম খান

আপডেট: ০২:০৭:৫৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ এপ্রিল ২০২১

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: বাংলাদেশ দলের সাবেক অধিনায়ক ও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান আকরাম খান করোনায় আক্রান্ত। বিসিবির মেডিক্যাল বিভাগের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা প্রথম আলোকে খবরটি নিশ্চিত করেন।

মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে ৫২ বছর বয়সী আকরাম খান নিজে পরে জানিয়েছেন, তাঁর শরীরে তেমন কোনো উপসর্গ নেই। তিনি বাসায়ই সঙ্গরোধ বা আইসোলেশনে আছেন। ‘আমি ভালো আছি। দেশবাসীর কাছে দোয়া চাইছি’—বলেছেন বাংলাদেশের ক্রিকেটের মোড় ঘুরিয়ে দেওয়া ১৯৯৭ আইসিসি ট্রফি জয়ী দলের অধিনায়ক আকরাম খান।

বাংলাদেশ ক্রিকেটে করোনার হানার নতুন শিকারই হলেন আকরাম খান। দেশজুড়েই করোনার সংক্রমণ ভয়ংকর রূপ নিয়েছে। এক মাসেরও বেশি সময় ধরে নিয়মিতই সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার বেড়ে যাচ্ছে। গতকাল শুক্রবার এক দিনে ৬৩ জন মারা গেছেন করোনায়, নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন আরও ৭৪৬২ জন। ২৪ ঘন্টায় সাড়ে ৩১ হাজারেরও বেশি নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ছিল ২৩.৫৭ শতাংশ।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: বিজনেসজার্নালবিজনেসজার্নাল.বিডি

গতকালের চিত্রটাই বাংলাদেশে গত এক মাসের করোনার হালচালের প্রতিফলন। আগের দিন বৃহস্পতিবার করোনায় আক্রান্ত রেকর্ড ৭৪ মৃত্যুর পাশাপাশি শনাক্ত হয়েছিলেন ৬ হাজার ৮৫৪ জন নতুন রোগী। মাঝে কয়েক মাস নিম্নমুখী হার থাকার পর গত ১০ মার্চ দৈনিক সংক্রমণের হার আবার ১ হাজারের ওপরে ওঠে, এরপর থেকে হু হু করে সংক্রমণ আর মৃত্যু শুধু বাড়ছেই। আশপাশের মানুষের করোনায় আক্রান্ত হওয়ার খবর আসছে নিয়মিত, হাসপাতালগুলোতে বেড পাওয়া যাচ্ছে না, রাস্তায় বাড়ছে অ্যাম্বুলেন্সের আওয়াজ।

দেশের অবস্থা যখন এই, দেশের ক্রিকেট আর বাইরে থাকে কীভাবে! করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় গত ১ এপ্রিল বিসিবি স্থগিত করে দেয় জাতীয় ক্রিকেট লিগের খেলা। লিগ চলার মধ্যে মোহাম্মদ আশরাফুল, ইবাদত হোসেন, সাদমান ইসলামসহ খেলোয়াড়-কর্মকর্তা-গ্রাউন্ডকর্মী মিলিয়ে ১৫-২০ জনের করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর আসে। তার মধ্যে জাতীয় লিগের ভেন্যু কক্সবাজারে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে যানবাহন চলাচল বন্ধ করায় টুর্নামেন্ট স্থগিত করতে হয়েছে বিসিবিকে।

এর বেশ কিছুদিন পর আজ এল আকরাম খানের করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর। বাংলাদেশের জার্সিতে ৮টি টেস্ট ও ৪৪টি ওয়ানডে খেলেছেন আকরাম খান। আইসিসির অ্যাসোসিয়েট থেকে পূর্ণ সদস্য হওয়ার পথে সে সময়টাতে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের কাছে ‘ধূমকেতু’র মতো দেখা দিত আন্তর্জাতিক ক্রিকেট। পালাবদলের সে সময়ের অন্যতম বড় কান্ডারি আকরাম খান টেস্টে ১৬.১৮ গড়ে ১৬ ইনিংসে করেছেন ২৫৯ রান। ওয়ানডেতে ২৩.২৩ গড়ে ৫টি ফিফটিসহ তাঁর রান ৯৭৬।

এই সংখ্যাগুলো নয়, বাংলাদেশ ক্রিকেটে আকরাম খান প্রথমদিকের নায়কদের একজন হয়ে আছেন ১৯৯৭ ট্রফি জয়ী বাংলাদেশ দলের নেতৃত্ব দিয়ে। সে টুর্নামেন্টে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে বাঁচা-মরার ম্যাচে ভীষণ চাপে দাঁড়িয়ে তাঁর ৬৮ রানের ইনিংস বাংলাদেশ ক্রিকেটের ভিত্তি গড়তেই সাহায্য করেছে। সেই ইনিংস বাংলাদেশকে তোলে টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালে, যেখানে স্কটল্যান্ডকে হারিয়ে বাংলাদেশ পায় ১৯৯৯ বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ।

ঢাকা/এনইউ

আরও পড়ুন: