‘করোনায় কম খেয়ে থাকছে ৮০ শতাংশ পরিবার’
- আপডেট: ০৬:৫৭:২৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ এপ্রিল ২০২১
- / ৪১৫৯ বার দেখা হয়েছে
বিজনেস জার্নাল ডেস্ক: মহামারি করোনাভাইরাস বা কোভিড-১৯ পরিস্থিতির কারণে দেশের ৮০ শতাংশ পরিবার খাবার গ্রহণের পরিমাণ কমিয়ে দিয়েছে। সঞ্চয় কমিয়ে দিয়েছে ৬৪ শতাংশ পরিবার। এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফর্ম, বাংলাদেশ’র এক জরিপ এমন তথ্য উঠে এসেছে।
‘কীভাবে অতিমারিকে মোকাবেলা করছে বাংলাদেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠী : একটি খানা জরিপের ফলাফল’ শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে বৃহস্পতিবার (৮ এপ্রিল) এ জরিপের তথ্য তুলে ধরা হয়।
এক হাজার ৬০০ পরিবারের ওপর চালানো জরিপ প্রতিবেদনে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর আয় ও সঞ্চয়, কর্মসংস্থান, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি, ফিরে আসা অভিবাসী এবং অভ্যন্তরীণ অভিবাসন- প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কোভিডের পর মানুষের আয় কমেছে ১৫ দশমিক ৮০ শতাংশ। বিপরীতে ব্যয় কমেছে ৮ দশমিক ১০ শতাংশ। আর সঞ্চয় কমেছে ৬৪ দশমিক ৬০ শতাংশ।
অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: বিজনেসজার্নাল–বিজনেসজার্নাল.বিডি
এতে আরও বলা হয়, কোভিড সমস্যার কারণে ৮০ দশমিক ৬০ শতাংশ পরিবার খাদ্যগ্রহণ কমিয়ে দিয়েছে। এর মধ্যে চরের ৭৪ দশমিক ৭০ শতাংশ, হাওরের ৭৮ দশমিক ৯০ শতাংশ, উপকূলের ৬৯ দশমিক ৮০ শতাংশ, বস্তির ৭৮ দশমিক ৮০ শতাংশ, দলিত ৬৫ দশমিক ৭০ শতাংশ, আদিবাসী ৮৯ দশমিক ২০ শতাংশ, প্রতিবন্ধী ৮০ দশমিক ৪০ শতাংশ, অভিবাসী ৭৮ দশমিক ১০ শতাংশ এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তা ৮৪ দশমিক ১০ শতাংশ পরিবার খাবার গ্রহণ কমিয়ে দিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফর্মের আহ্বায়ক এবং সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগের (সিপিডি) সম্মানীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্য কোভিডকালীন ‘সামাজিক ত্রাণ তহবিল’ গঠন করার প্রস্তাব দেন।
এই ত্রাণ তহবিলের বিষয়ে তিনি বলেন, সরকারি ও বেসরকারি তদরকিতে এই সামিজক ত্রাণ তহবিল গঠিত হবে। ত্রাণ তহবিলের অর্থ সরকারি অনুদানের পাশাপাশি, বেসরকারি অনুদান থেকে আসবে।
দেবপ্রিয় বলেন, প্রথাগতভাবে আমাদের দেশে যারা বিপন্ন মানুষ, এটা (কোভিড-১৯) তাদের জন্য আরও দুর্যোগ টেনে এনেছে। আবার যারা বিপন্ন ছিলেন না, তাদের অনেকে এই ধাক্কাতে অসহায়ত্বের পর্যায়ে চলে গেছেন। শুধু ছোট ছোট প্রণোদনা না, এটাকে ২-৩ বছরের জাতীয় সামগ্রিক পরিকল্পনার অংশ হিসেবে নিতে হবে বলে মন্তব্য করেন এই অর্থনীতিবিদ।
তিনি আরও বলেন, জাতীয় সামগ্রিক পরিকল্পনার অংশ হিসেবে নিতে হলে যে মানুষগুলো জনমানুষের কাছাকাছি থাকেন যেমন- স্থানীয় সরকার, বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা এবং স্থানীয় প্রশাসনকে আরও শক্তিশালীভাবে যুক্ত করতে হবে।
তিনি বলেন, মনুষ বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার বিষয়ে বেশি সন্তুষ্টি রয়েছে। তারপর এসেছে স্থানীয় প্রশাসনের প্রতিনিধি ও জনপ্রতিনিধি। এরপর এসেছে প্রশাসন। সরকার হয় কোনো সচেতনাতার অভাব আছে অথবা তারা সচেতনভাবে এটাকে অস্বাীকার করার মনোভাবের ভেতরে আছে। এই অস্বাীকারের মধ্যে থাকলে মানুষের দুঃখ-কষ্ট আরও দীর্ঘায়িত হবে।
সূত্র:জাগোনিউজ
আরও পড়ুন:
- আপাতত প্রত্যাহার হচ্ছে না বাকি ৪৪ কোম্পানির ফ্লোর প্রাইস
- ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহার বিনিয়োগকারীদের জন্য ‘মরার ওপর খাড়ার ঘা’
- অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করা এবারের বাজেটের মূল লক্ষ্য: অর্থমন্ত্রী
- উত্তরা ব্যাংকের ডিভিডেন্ড ঘোষণা
- প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে আইসিইউ পেলেন কবরী
- করোনায় একদিনে রেকর্ড ৭৪ জনের মৃত্যু
- ফোনালাপ ফাঁস করে ব্যক্তিগত অধিকার ক্ষুণ্ন করা হয়েছে : মামুনুল
- কেমন হবে বাংলাদেশের ‘ভ্যাকসিন পাসপোর্ট’, কী কাজে লাগবে?
- করোনায় একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু ৭৪ জন
- করোনা তান্ডবে ভয়াবহ ভারত
- করোনা টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিলেন মোদি
- লেনদেনের শীর্ষে বেক্সিমকো
- ‘গণপরিবহন শর্ত উপেক্ষা করলে সরকার কঠোর হবে’
- বিশাল ব্যবধানে জিতে সিরিজ নিশ্চিত বাংলাদেশের
- দরপতনের শীর্ষে এএফসি অ্যাগ্রো
- ব্লক মার্কেটে লেনদেনের শীর্ষে সিটি ব্যাংক