০৯:১৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

করোনা তান্ডবে ভয়াবহ ভারত

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৪:৩৫:০৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ এপ্রিল ২০২১
  • / ৪১৮৩ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল ডেস্ক: ভারতে করোনা পরিস্থিতির ভয়াবহ অবনতি হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে নতুন করে এক লাখ ২৬ হাজার ৭৮৯ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। দৈনিক সংক্রমণের ক্ষেত্রে দেশটির জন্য এটি নতুন রেকর্ড। একই সময়ে মারা গেছেন ৬৮৫ জন। দেশটিতে এখন প্রতিদিন ১২ লাখেরও বেশি মানুষের করোনা পরীক্ষা করা হচ্ছে।

প্রায় সব রাজ্যেই করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। তবে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য মহারাষ্ট্রে। গত ২৪ ঘণ্টায় মহারাষ্ট্রে প্রায় ৬০ হাজার মানুষ নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। ভাইরাসের লাগামছাড়া সংক্রমণে দিশেহারা মহারাষ্ট্র সরকার। সেখানে রাতে কারফিউ জারি করা হয়েছে। তাছাড়া প্রতি শুক্রবার রাত আটটা থেকে সোমবার ভোর পাঁচটা পর্যন্ত লকডাউনও থাকবে। লখনৌ ও দিল্লিতেও রাতে কারফিউ জারি করা হয়েছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে মারা গেছেন ৬৮৫ জন। এ নিয়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ভারতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক লাখ ৬৬ হাজার ৮৬২ জন। অন্যদিকে মহারাষ্ট্রে করোনায় আক্রান্ত হয়ে সর্বমোট মৃত্যুর সংখ্যা ৫৬ হাজার ৬৫২। গত ২৪ ঘণ্টায় সেখানে মারা গেছেন ৩২২ জন।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: বিজনেসজার্নালবিজনেসজার্নাল.বিডি 

এদিকে ভারতে করোনার প্রকোপ লাগামহীনভাবে বেড়ে যাওয়ায় নিজ দেশে ভারতীয়দের প্রবেশ বন্ধ করে দিয়েছে নিউজিল্যান্ড। ভারতে মোট করোনা আক্রান্তের ৫৬ শতাংশই মহারাষ্ট্রের। এর মধ্যে মহারাষ্ট্রে শুরু হয়েছে ভ্যাকসিন বিতর্ক। এনসিপি সাংসদ ও শারদ পাওয়ারের মেয়ে সুপ্রিয়া সুলে অভিযোগ করেছেন, ভ্যাকসিনের অভাবে পুণের একশোটি টিকাদান কেন্দ্র বন্ধ করে দিতে হয়েছে।

তবে ভারতের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন এনডিটিভি’কে জানিয়েছেন, ভারতের হাতে যথেষ্ট পরিমাণ করোনা টিকা আছে। রাজ্যগুলোর প্রয়োজন ও চাহিদা অনুসারে টিকা পাঠানো হচ্ছে।কিন্তু মহারাষ্ট্রের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, তারা এক কোটির কিছু বেশি ভ্যাকসিন পেয়েছিলেন। তিন শতাংশ ভ্যাকসিন নষ্ট হয়েছে। এখন পর্যন্ত ৮৫ লাখের বেশি মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। হাতে এখন মাত্র তিনদিনের চাহিদা মেটানোর মতো টিকা মজুত আছে।

এদিকে আরেক রাজ্য পুনে’র অবস্থা আরও খারাপ। সেখানে হাসপাতালে করোনা রোগীদের রাখার জায়গা পাওয়া যাচ্ছে না। সেনাবাহিনী তাদের হাসপাতালের ২০টি বেড সাধারণ মানুষের চিকিৎসার জন্য দিয়েছে। এছাড়া কর্নাটক, ছত্তিশগড়, দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ, পাঞ্জাব, তামিলনাড়ুতেও করোনা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা ছত্তিশগড়ে। গত ২৪ ঘণ্টায় সেখানে আক্রান্ত হয়েছেন ১০ হাজার ৩১০ জন। করোনার প্রথম পর্বেও এত খারাপ পরিস্থিতি ছিল না এই রাজ্যে। কর্নাটকেও দিনদিন অবনতি হচ্ছে করোনা পরিস্থিতির। একই অবস্থা রাজধানী দিল্লিতেও।

নতুন আক্রান্ত বৃদ্ধি ভারতের সক্রিয় রোগীর সংখ্যাকে হু হু করে বাড়িয়ে দিচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা বেড়েছে ৬৬ হাজার ৮৪৬ জন। বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশটিতে এখন সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৯ লাখ ১০ হাজার ৩১৯ জন।

ঢাকা/এনইউ

আরও পড়ুন:

শেয়ার করুন

x
English Version

করোনা তান্ডবে ভয়াবহ ভারত

আপডেট: ০৪:৩৫:০৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ এপ্রিল ২০২১

বিজনেস জার্নাল ডেস্ক: ভারতে করোনা পরিস্থিতির ভয়াবহ অবনতি হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে নতুন করে এক লাখ ২৬ হাজার ৭৮৯ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। দৈনিক সংক্রমণের ক্ষেত্রে দেশটির জন্য এটি নতুন রেকর্ড। একই সময়ে মারা গেছেন ৬৮৫ জন। দেশটিতে এখন প্রতিদিন ১২ লাখেরও বেশি মানুষের করোনা পরীক্ষা করা হচ্ছে।

প্রায় সব রাজ্যেই করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। তবে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য মহারাষ্ট্রে। গত ২৪ ঘণ্টায় মহারাষ্ট্রে প্রায় ৬০ হাজার মানুষ নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। ভাইরাসের লাগামছাড়া সংক্রমণে দিশেহারা মহারাষ্ট্র সরকার। সেখানে রাতে কারফিউ জারি করা হয়েছে। তাছাড়া প্রতি শুক্রবার রাত আটটা থেকে সোমবার ভোর পাঁচটা পর্যন্ত লকডাউনও থাকবে। লখনৌ ও দিল্লিতেও রাতে কারফিউ জারি করা হয়েছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে মারা গেছেন ৬৮৫ জন। এ নিয়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ভারতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক লাখ ৬৬ হাজার ৮৬২ জন। অন্যদিকে মহারাষ্ট্রে করোনায় আক্রান্ত হয়ে সর্বমোট মৃত্যুর সংখ্যা ৫৬ হাজার ৬৫২। গত ২৪ ঘণ্টায় সেখানে মারা গেছেন ৩২২ জন।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: বিজনেসজার্নালবিজনেসজার্নাল.বিডি 

এদিকে ভারতে করোনার প্রকোপ লাগামহীনভাবে বেড়ে যাওয়ায় নিজ দেশে ভারতীয়দের প্রবেশ বন্ধ করে দিয়েছে নিউজিল্যান্ড। ভারতে মোট করোনা আক্রান্তের ৫৬ শতাংশই মহারাষ্ট্রের। এর মধ্যে মহারাষ্ট্রে শুরু হয়েছে ভ্যাকসিন বিতর্ক। এনসিপি সাংসদ ও শারদ পাওয়ারের মেয়ে সুপ্রিয়া সুলে অভিযোগ করেছেন, ভ্যাকসিনের অভাবে পুণের একশোটি টিকাদান কেন্দ্র বন্ধ করে দিতে হয়েছে।

তবে ভারতের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন এনডিটিভি’কে জানিয়েছেন, ভারতের হাতে যথেষ্ট পরিমাণ করোনা টিকা আছে। রাজ্যগুলোর প্রয়োজন ও চাহিদা অনুসারে টিকা পাঠানো হচ্ছে।কিন্তু মহারাষ্ট্রের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, তারা এক কোটির কিছু বেশি ভ্যাকসিন পেয়েছিলেন। তিন শতাংশ ভ্যাকসিন নষ্ট হয়েছে। এখন পর্যন্ত ৮৫ লাখের বেশি মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। হাতে এখন মাত্র তিনদিনের চাহিদা মেটানোর মতো টিকা মজুত আছে।

এদিকে আরেক রাজ্য পুনে’র অবস্থা আরও খারাপ। সেখানে হাসপাতালে করোনা রোগীদের রাখার জায়গা পাওয়া যাচ্ছে না। সেনাবাহিনী তাদের হাসপাতালের ২০টি বেড সাধারণ মানুষের চিকিৎসার জন্য দিয়েছে। এছাড়া কর্নাটক, ছত্তিশগড়, দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ, পাঞ্জাব, তামিলনাড়ুতেও করোনা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা ছত্তিশগড়ে। গত ২৪ ঘণ্টায় সেখানে আক্রান্ত হয়েছেন ১০ হাজার ৩১০ জন। করোনার প্রথম পর্বেও এত খারাপ পরিস্থিতি ছিল না এই রাজ্যে। কর্নাটকেও দিনদিন অবনতি হচ্ছে করোনা পরিস্থিতির। একই অবস্থা রাজধানী দিল্লিতেও।

নতুন আক্রান্ত বৃদ্ধি ভারতের সক্রিয় রোগীর সংখ্যাকে হু হু করে বাড়িয়ে দিচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা বেড়েছে ৬৬ হাজার ৮৪৬ জন। বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশটিতে এখন সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৯ লাখ ১০ হাজার ৩১৯ জন।

ঢাকা/এনইউ

আরও পড়ুন: