১২:২৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

কালো টাকা সাদা হওয়ায় অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব পড়ছে: অর্থমন্ত্রী

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১২:০২:২২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ জানুয়ারী ২০২১
  • / ৪২১৪ বার দেখা হয়েছে

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, কালো টাকা সাদা হওয়ায় অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব পড়ছে। আবাসন শিল্প ও পুঁজিবাজার গতিশীল হচ্ছে। 

বুধবার অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা ও ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি। সিঙ্গাপুর থেকে অনলাইনে বৈঠকে অংশ নেন অর্থমন্ত্রী। চলতি অর্থবছরের ৬ মাসে (১ জুলাই থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত) সারাদেশে ৭ হাজার ৬৫০ ব্যক্তি ১০ হাজার ২২০ কোটি কালো টাকা ও স্থাবর সম্পত্তির ঘোষণা দিয়েছেন। এ থেকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ৯৬২ কোটি ৬০ লাখ টাকা কর পেয়েছে। মূলত পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ, ভবন, অ্যাপার্টমেন্ট, ফ্ল্যাট এবং সরাসরি নগদ টাকা আয়কর বিবরণীতে উল্লেখ করে এই বিপুল সম্পত্তির আনুষ্ঠানিক ঘোষণা এসেছে। 

বিপুল পরিমান কালো টাকা সাদা হওয়াকে করদাতাদের ‘অভূতপূর্ব’ সাড়া হিসেবে উল্লেখ করেছে এনবিআর। কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দিতে চলতি অর্থবছরের বাজেটে সরকার আয়কর আইনে দুটো নতুন ধারা যোগ করেছে। এই ধারা অনুযায়ী বিনাপ্রশ্নে ১০ শতাংশ কর দিয়ে অপ্রদর্শিত অর্থ বা সম্পদ প্রদশর্নের সুযোগ পাচ্ছেন করদাতারা।

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘সরকার বিভিন্ন ক্ষেত্রে উৎসাহ দিচ্ছে। বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠানোকে উৎসাহিত করতে নগদ প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে। আগের বছরের বৈধ পথে তুলনায় ৪০ হাজার কোটি টাকা বেশি রেমিট্যান্স এসেছে। অর্থনীতিতে রেমিট্যান্সের এসব টাকার প্রভাব অনেক। এসব টাকার বহুমাত্রিক প্রভাব রয়েছে। একজন লেনদেন করলে তা দশ হাত ঘোরে। একইভাবে অপ্রদর্শিত অর্থ বা কালো টাকা সাদা করার ক্ষেত্রেও উৎসাহিত করা হচ্ছে। সরকার বাজেটে ঘোষণা করেছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘উচ্চ করহার ও কর ব্যবস্থার জটিলতার কারণে অনেক টাকা কালো হয়েছে। অনেকে তাদের অর্থ প্রদর্শন করেনি। বর্তমান সরকার এ বিষয়ে ইতিবাচক। এ ধরনের অর্থ যাদের আছে, সরকার তাদের সুযোগ দিয়েছে। করদাতারাও সাড়া দিচ্ছে। সরকারের উদ্দেশ্য পুরোপুরি সফল না হলেও, সফল হয়েছে। বিশ্বের অনেক দেশেই আবাসন খাতে, পুঁজিবাজারে কালোটাকা বিনিয়োগের সুযোগ দেওয়া হয়। 

মানুষ স্ট্যাম্প ডিউটি দিতে চায় না উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘১০ টাকায় সম্পদ কিনে, স্টাম্প ডিউটি দেয় এক টাকার। বাড়ি বিক্রি হচ্ছে, অথচ যিনি কিনছেন বা বিক্রি করছেন, রিটার্নে দেখাচ্ছেন না। এরকম যেসব জায়গা রয়েছে সরকার সেসব ক্ষেত্রে হাত দিয়েছে।’

শেয়ার করুন

x
English Version

কালো টাকা সাদা হওয়ায় অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব পড়ছে: অর্থমন্ত্রী

আপডেট: ১২:০২:২২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ জানুয়ারী ২০২১

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, কালো টাকা সাদা হওয়ায় অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব পড়ছে। আবাসন শিল্প ও পুঁজিবাজার গতিশীল হচ্ছে। 

বুধবার অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা ও ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি। সিঙ্গাপুর থেকে অনলাইনে বৈঠকে অংশ নেন অর্থমন্ত্রী। চলতি অর্থবছরের ৬ মাসে (১ জুলাই থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত) সারাদেশে ৭ হাজার ৬৫০ ব্যক্তি ১০ হাজার ২২০ কোটি কালো টাকা ও স্থাবর সম্পত্তির ঘোষণা দিয়েছেন। এ থেকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ৯৬২ কোটি ৬০ লাখ টাকা কর পেয়েছে। মূলত পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ, ভবন, অ্যাপার্টমেন্ট, ফ্ল্যাট এবং সরাসরি নগদ টাকা আয়কর বিবরণীতে উল্লেখ করে এই বিপুল সম্পত্তির আনুষ্ঠানিক ঘোষণা এসেছে। 

বিপুল পরিমান কালো টাকা সাদা হওয়াকে করদাতাদের ‘অভূতপূর্ব’ সাড়া হিসেবে উল্লেখ করেছে এনবিআর। কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দিতে চলতি অর্থবছরের বাজেটে সরকার আয়কর আইনে দুটো নতুন ধারা যোগ করেছে। এই ধারা অনুযায়ী বিনাপ্রশ্নে ১০ শতাংশ কর দিয়ে অপ্রদর্শিত অর্থ বা সম্পদ প্রদশর্নের সুযোগ পাচ্ছেন করদাতারা।

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘সরকার বিভিন্ন ক্ষেত্রে উৎসাহ দিচ্ছে। বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠানোকে উৎসাহিত করতে নগদ প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে। আগের বছরের বৈধ পথে তুলনায় ৪০ হাজার কোটি টাকা বেশি রেমিট্যান্স এসেছে। অর্থনীতিতে রেমিট্যান্সের এসব টাকার প্রভাব অনেক। এসব টাকার বহুমাত্রিক প্রভাব রয়েছে। একজন লেনদেন করলে তা দশ হাত ঘোরে। একইভাবে অপ্রদর্শিত অর্থ বা কালো টাকা সাদা করার ক্ষেত্রেও উৎসাহিত করা হচ্ছে। সরকার বাজেটে ঘোষণা করেছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘উচ্চ করহার ও কর ব্যবস্থার জটিলতার কারণে অনেক টাকা কালো হয়েছে। অনেকে তাদের অর্থ প্রদর্শন করেনি। বর্তমান সরকার এ বিষয়ে ইতিবাচক। এ ধরনের অর্থ যাদের আছে, সরকার তাদের সুযোগ দিয়েছে। করদাতারাও সাড়া দিচ্ছে। সরকারের উদ্দেশ্য পুরোপুরি সফল না হলেও, সফল হয়েছে। বিশ্বের অনেক দেশেই আবাসন খাতে, পুঁজিবাজারে কালোটাকা বিনিয়োগের সুযোগ দেওয়া হয়। 

মানুষ স্ট্যাম্প ডিউটি দিতে চায় না উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘১০ টাকায় সম্পদ কিনে, স্টাম্প ডিউটি দেয় এক টাকার। বাড়ি বিক্রি হচ্ছে, অথচ যিনি কিনছেন বা বিক্রি করছেন, রিটার্নে দেখাচ্ছেন না। এরকম যেসব জায়গা রয়েছে সরকার সেসব ক্ষেত্রে হাত দিয়েছে।’