০১:১২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪

খাদ্যমূল্য ৬ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ: জাতিসংঘ

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৬:১৭:৪৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২০
  • / ৪১৫৯ বার দেখা হয়েছে

বিশ্বব্যাপী খাদ্যপণ্যের দাম নভেম্বরে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে যা ছয় বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) জানিয়েছে, খাদ্যমূল্যের দাম বাড়ার পেছনে প্রতিকূল আবহাওয়া অনেকাংশে দায়ী।

জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) জানিয়েছে, আমদানি করতে হয় এমন খাদ্যপণ্যগুলোর দাম সবচেয়ে বেশি বেড়েছে। বিশ্বের ৪৫টি দেশ যাদের প্রায় সব ধরনের খাদ্য আমদানি করতে হয় দাম বাড়ার কারণে তারা চাপে পড়েছেন। খবর এএফপির

খাদ্য ও কৃষি সংস্থার মূল্যসূচক গত মাসে গড়ে ১০৫ পয়েন্ট ছিল, যা অক্টোবরের চেয়ে ৩ দশমিক ৯ শতাংশ বেশি এবং গত বছরের চেয়ে ৬ দশমিক ৫ শতাংশ বেশি। ২০১৪ সালের ডিসেম্বরের পর এটিই সর্বোচ্চ খাদ্যপণ্যের দাম বাড়ার সূচক।  

খাদ্যপণ্যের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দাম বেড়েছে সবজি ও ভোজ্যতেলের। পামওয়েল তেলের মজুদ না থাকায় এর দাম ১৪ দশমিক ৫ শতাংশ বেড়েছে।  

বিভিন্ন ধরনের খাদ্যশস্য যেমন চাল, গম ও আটার দাম অক্টোবরের চেয়ে ২ দশমিক ৫ শতাংশ বেড়েছে। এটি গত বছরের চেয়ে ২০ শতাংশ বেশি। 

এফএও জানিয়েছে, আমেরিকা, ইউক্রেন ও আর্জেন্টিনায় গমের আবাদ কম হওয়ায় এর দাম বেড়েছে। গমের দাম বাড়ার আরেকটি কারণ চীন একবারেই বেশি পরিমাণে গম কিনে রেখেছিল। 

ইউরোপীয় ইউনিয়ন, রাশিয়া এবং থাইল্যান্ডে খারাপ আবহাওয়ার কারণে চীনের উৎপাদন কম হওয়ায় এর দাম ৩ দশমিক ৩ শতাংশ বেড়েছে। ইউরোপে বিক্রি বাড়ার কারণে কিছু অংশে দুধের দাম শূন্য দশমিক ৯ শতাংশ বেড়েছে। মাংসের দামও শূন্য দশমিক ৯ শতাংশ বেড়েছে।

খাদ্যমূল্য বৃদ্ধির কারণে করোনা মহামারিতে যাদের বেতন কমেছে তারা সবচেয়ে বেশি কষ্টে আছেন। এর ফলে বিশ্বব্যাপী খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা দেখা দিতে পারে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মহামারি ছাড়াও মধ্য আমেরিকার সাম্প্রতিক হ্যারিকেন এবং আফ্রিকার বন্যাসহ সংঘাত, কীটপতঙ্গ ও বিরূপ আবহাওয়া ইতোমধ্যে খাদ্য উৎপাদনে খারাপ প্রভাব ফেলেছে। ফলে আফ্রিকার ৩৪টিসহ মোট ৪৫টি দেশকে অতিরিক্তি খাদ্য আমদানি করতে হতে পারে।   

শেয়ার করুন

x
English Version

খাদ্যমূল্য ৬ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ: জাতিসংঘ

আপডেট: ০৬:১৭:৪৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২০

বিশ্বব্যাপী খাদ্যপণ্যের দাম নভেম্বরে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে যা ছয় বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) জানিয়েছে, খাদ্যমূল্যের দাম বাড়ার পেছনে প্রতিকূল আবহাওয়া অনেকাংশে দায়ী।

জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) জানিয়েছে, আমদানি করতে হয় এমন খাদ্যপণ্যগুলোর দাম সবচেয়ে বেশি বেড়েছে। বিশ্বের ৪৫টি দেশ যাদের প্রায় সব ধরনের খাদ্য আমদানি করতে হয় দাম বাড়ার কারণে তারা চাপে পড়েছেন। খবর এএফপির

খাদ্য ও কৃষি সংস্থার মূল্যসূচক গত মাসে গড়ে ১০৫ পয়েন্ট ছিল, যা অক্টোবরের চেয়ে ৩ দশমিক ৯ শতাংশ বেশি এবং গত বছরের চেয়ে ৬ দশমিক ৫ শতাংশ বেশি। ২০১৪ সালের ডিসেম্বরের পর এটিই সর্বোচ্চ খাদ্যপণ্যের দাম বাড়ার সূচক।  

খাদ্যপণ্যের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দাম বেড়েছে সবজি ও ভোজ্যতেলের। পামওয়েল তেলের মজুদ না থাকায় এর দাম ১৪ দশমিক ৫ শতাংশ বেড়েছে।  

বিভিন্ন ধরনের খাদ্যশস্য যেমন চাল, গম ও আটার দাম অক্টোবরের চেয়ে ২ দশমিক ৫ শতাংশ বেড়েছে। এটি গত বছরের চেয়ে ২০ শতাংশ বেশি। 

এফএও জানিয়েছে, আমেরিকা, ইউক্রেন ও আর্জেন্টিনায় গমের আবাদ কম হওয়ায় এর দাম বেড়েছে। গমের দাম বাড়ার আরেকটি কারণ চীন একবারেই বেশি পরিমাণে গম কিনে রেখেছিল। 

ইউরোপীয় ইউনিয়ন, রাশিয়া এবং থাইল্যান্ডে খারাপ আবহাওয়ার কারণে চীনের উৎপাদন কম হওয়ায় এর দাম ৩ দশমিক ৩ শতাংশ বেড়েছে। ইউরোপে বিক্রি বাড়ার কারণে কিছু অংশে দুধের দাম শূন্য দশমিক ৯ শতাংশ বেড়েছে। মাংসের দামও শূন্য দশমিক ৯ শতাংশ বেড়েছে।

খাদ্যমূল্য বৃদ্ধির কারণে করোনা মহামারিতে যাদের বেতন কমেছে তারা সবচেয়ে বেশি কষ্টে আছেন। এর ফলে বিশ্বব্যাপী খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা দেখা দিতে পারে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মহামারি ছাড়াও মধ্য আমেরিকার সাম্প্রতিক হ্যারিকেন এবং আফ্রিকার বন্যাসহ সংঘাত, কীটপতঙ্গ ও বিরূপ আবহাওয়া ইতোমধ্যে খাদ্য উৎপাদনে খারাপ প্রভাব ফেলেছে। ফলে আফ্রিকার ৩৪টিসহ মোট ৪৫টি দেশকে অতিরিক্তি খাদ্য আমদানি করতে হতে পারে।