০৩:২৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪

খাবার গ্রহণ যখন ইবাদতে পরিণত হয়

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৭:০৭:১৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২১
  • / ৪১৭৯ বার দেখা হয়েছে

খাবার মানুষের প্রাকৃতিক ও মানবিক প্রয়োজন। ইসলামের উদ্দেশ্য এই প্রয়োজনকে বাধা দেওয়া নয়; বরং খাদ্যের প্রয়োজনকে ইবাদতে পরিণত করা। এ জন্যই যে মুসলিম ইসলামী নীতিমালা অনুসারে খাদ্যের প্রয়োজনীয়তা পূরণ করে, সে নিজ প্রয়োজন পূরণ করল, একইসঙ্গে ইবাদতের সওয়াবের অধিকারী হলো। এ জন্যই ইসলাম খাদ্য উপার্জনকে ইবাদত আখ্যা দিয়েছে এবং খাবার গ্রহণকে আবশ্যকীয় করা হয়েছে।

রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, ‘একজন মুসলিম তার সব কিছুতে সওয়াবের অধিকারী হয়, এমনকি তার মুখে খাবারের যে লোকমা আহরণ করে থাকে তাতেও সে সওয়াব পায়।’ (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস : ১৫৩১)

একজন মুসলিম তার সব কিছুতে সওয়াবের অধিকারী হয়, এমনকি তার মুখে খাবারের যে লোকমা আহরণ করে থাকে তাতেও সে সওয়াব পায়

(মুসনাদে আহমাদ, হাদিস : ১৫৩১)

অন্য বর্ণনায় এসেছে, ‘যে ব্যক্তি হালাল সম্পদ উপার্জন করবে, অতঃপর তা থেকে নিজেকে কিংবা আল্লাহর অন্য যেকোনো মাখলুককে খাওয়াবে বা পরাবে, এর দ্বারাও সে দানের সাওয়াব পাবে।’ (ইবনে হিব্বান, হাদিস : ৪২৩৬)

এ জন্যই আবু জার (রা.)-কে যখন এক ব্যক্তি জিজ্ঞেস করল যে ঈমানের পর সর্বোৎকৃষ্ট আমল কোনটি? তিনি বলেন, নামাজ ও রুটি (খাবার) খাওয়া। লোকটি এ কথা শুনে আশ্চর্যান্বিত হয়ে তাকিয়ে রইল। আবু জার (রা.)-তাকে বলেন, যদি রুটি (খাবার) না থাকত, তাহলে আল্লাহর ইবাদত সম্ভব হতো না।’ অর্থাৎ রুটি খাওয়ার দ্বারাই পিঠ সোজা রয়েছে, ফলে মানুষ আল্লাহর বন্দেগি যথাযথ পালন করতে পারে। (কিতাবুল কাসব, ইমাম মুহাম্মাদ পৃষ্ঠা ৬২)

এ কারণেই ইসলামী আইন বিশেষজ্ঞরা লিখেন, কেউ খাবার খেতে সক্ষম হওয়া সত্ত্বেও তা ছেড়ে দিয়ে মৃত্যুমুখে পতিত হলে সে মারাত্মক গুনাহগার হবে। (রদ্দুল মুহতার : ৬/৩৮৯)

শেয়ার করুন

x
English Version

খাবার গ্রহণ যখন ইবাদতে পরিণত হয়

আপডেট: ০৭:০৭:১৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২১

খাবার মানুষের প্রাকৃতিক ও মানবিক প্রয়োজন। ইসলামের উদ্দেশ্য এই প্রয়োজনকে বাধা দেওয়া নয়; বরং খাদ্যের প্রয়োজনকে ইবাদতে পরিণত করা। এ জন্যই যে মুসলিম ইসলামী নীতিমালা অনুসারে খাদ্যের প্রয়োজনীয়তা পূরণ করে, সে নিজ প্রয়োজন পূরণ করল, একইসঙ্গে ইবাদতের সওয়াবের অধিকারী হলো। এ জন্যই ইসলাম খাদ্য উপার্জনকে ইবাদত আখ্যা দিয়েছে এবং খাবার গ্রহণকে আবশ্যকীয় করা হয়েছে।

রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, ‘একজন মুসলিম তার সব কিছুতে সওয়াবের অধিকারী হয়, এমনকি তার মুখে খাবারের যে লোকমা আহরণ করে থাকে তাতেও সে সওয়াব পায়।’ (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস : ১৫৩১)

একজন মুসলিম তার সব কিছুতে সওয়াবের অধিকারী হয়, এমনকি তার মুখে খাবারের যে লোকমা আহরণ করে থাকে তাতেও সে সওয়াব পায়

(মুসনাদে আহমাদ, হাদিস : ১৫৩১)

অন্য বর্ণনায় এসেছে, ‘যে ব্যক্তি হালাল সম্পদ উপার্জন করবে, অতঃপর তা থেকে নিজেকে কিংবা আল্লাহর অন্য যেকোনো মাখলুককে খাওয়াবে বা পরাবে, এর দ্বারাও সে দানের সাওয়াব পাবে।’ (ইবনে হিব্বান, হাদিস : ৪২৩৬)

এ জন্যই আবু জার (রা.)-কে যখন এক ব্যক্তি জিজ্ঞেস করল যে ঈমানের পর সর্বোৎকৃষ্ট আমল কোনটি? তিনি বলেন, নামাজ ও রুটি (খাবার) খাওয়া। লোকটি এ কথা শুনে আশ্চর্যান্বিত হয়ে তাকিয়ে রইল। আবু জার (রা.)-তাকে বলেন, যদি রুটি (খাবার) না থাকত, তাহলে আল্লাহর ইবাদত সম্ভব হতো না।’ অর্থাৎ রুটি খাওয়ার দ্বারাই পিঠ সোজা রয়েছে, ফলে মানুষ আল্লাহর বন্দেগি যথাযথ পালন করতে পারে। (কিতাবুল কাসব, ইমাম মুহাম্মাদ পৃষ্ঠা ৬২)

এ কারণেই ইসলামী আইন বিশেষজ্ঞরা লিখেন, কেউ খাবার খেতে সক্ষম হওয়া সত্ত্বেও তা ছেড়ে দিয়ে মৃত্যুমুখে পতিত হলে সে মারাত্মক গুনাহগার হবে। (রদ্দুল মুহতার : ৬/৩৮৯)