০৮:০২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

গ্রামীণফোনে বাংলাদেশি সিইও, চাঙ্গা শেয়ার

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১১:২৭:২৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২০
  • / ৪৪৭০ বার দেখা হয়েছে

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) সাথে গ্রামীণফোনের দ্বন্দ্বের মধ্যেই টেলিনর কর্তৃপক্ষ সংস্থাটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে (সিইও) প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ইয়াসির আজমানকে নিয়োগ দিয়েছে। আগামী ১ ফেব্রুয়ারি থেকে তার দায়িত্ব পালন শুরু করবেন তিনি।

জানা যায়, পুঁজিবাজারের অব্যাহত দর পতনে বড় নিয়ামক হিসাবে কাজ করেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) সাথে গ্রামীণফোনের দ্বন্দ্ব। টানা দর পতনে কোম্পানিটির শেয়ার দর ৪১৯ টাকা থেকে কমে বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) ২২৯ টাকায় স্থিতি পায়। কিন্তু প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে (সিইও) প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ইয়াসির আজমানকে নিয়োগ দেওয়ার খবরে রোববার সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে চাঙ্গা হয়ে উঠেছে কোম্পানিটির শেয়ার দর।

রোববার সকালে লেনদেনের শুরু থেকে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহের শীর্ষে ছিল কোম্পানিটি। এরই ধারবাহিকতায় ৮.৭১ শতাংশ বা ২১.১ টাকা দর বৃদ্ধির মধ্যে দিয়ে বিক্রেতা সংকটে হল্টেড হয়েছে কোম্পানিটি। অর্থাৎ কোম্পানিটির শেয়ার ক্রয়ে ক্রেতা থাকলেও বিক্রেতা ছিল না।

ডিএসই’র ওয়েবসাইট সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার কোম্পানিটির সমাপনী শেয়ার দর ছিল ২৪২.২০ টাকা। রোববার কোম্পানিটির প্রারম্ভিক শেয়ার দর ছিল ২৪৪.২০ টাকা। এদিকে, দুপুর একটায় কোম্পানিটির সর্বশেষ শেয়ার দর ছিল ২৬৩.৩০ টাকা। এসময় কোম্পানিটির ৫ কোটি ৩০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছে, গ্রামীণফোনে বাংলাদেশি ইয়াসির আজমানকে সিইও নিয়োগের ফলে বিটিআরসি সাথে গ্রামীণফোনের দ্বন্দ্বের অবসান হবে এমনটা মনে করছেন বিনিয়োগকারীরা। যা তাদের মধ্যে বাজারের ভবিষ্যৎ নিয়ে ইতিবাচক মনোভাব তৈরি হচ্ছে।

গ্রামীণফোন সূত্রে জানা যায়, সিইও হিসাবে নিযুক্ত হবার আগে আজমান ২০১৫ সালের জুন থেকে গ্রামীণফোনের সিএমও এবং ২০১৭ সালের মে থেকে ডেপুটি সিইও এবং সিএমও হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এর আগে আজমান টেলিনর গ্রুপের বিতরণ এবং ই-বিজনেস বিভাগের প্রধান এবং টেলিনরের হয়ে বিভিন্ন দেশে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। আজমান বর্তমান প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মাইকেল ফোলির স্থলাভিশিক্ত হবেন। মাইকেল আফ্রিকায় তার পরিবারের কাছে ফিরে যাবার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

গ্রামীণফোন পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান পেটার বি ফারবার্গ বলেন, ইয়াসির আজমান গ্রামীণফোন এবং টেলিনর গ্রুপের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেই আজকের অবস্থানে এসেছেন। আমি অনেক আনন্দিত যে আজমান আমাদের বাংলাদেশি হিসাবে গ্রামীণফোনের সিইও হচ্ছেন। এটি টেলিনর এবং গ্রামীণফোনের সকলের জন্য বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। গ্রামীণফোনের ডেপুটি সিইও এবং সিএমও হিসাবে আজমান টেলিনর গ্রুপের সব থেকে বাণিজ্যিকভাবে সফল অপারেশন পরিচালনা করে আসছেন। আমি বিশ্বাস করি আজমান সিইও হিসাবেও তার নতুন চ্যালেঞ্জে একইভাবে সফল হবেন।

এর আগে মাইকেল ফোলি ২০১৭ সালে মে মাস থেকে গ্রামীণফোনের সিইও হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণের আগে টেলিনর পাকিস্তান ও বুলগেরিয়ার সিইও হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

ইয়াসির আজমান বলেন, গ্রামীণফোনের সিইও হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণের প্রস্তাব পেয়ে আমি অনেক আনন্দিত এবং সম্মানিত বোধ করছি। ডিজিটাল বাংলাদেশ, সামাজিক ক্ষমতায়ন এবং আমাদের গ্রাহকদের জন্য যা গুরুত্বপূর্ণ তার সাথে যোগাযোগ করিয়ে দিতে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাসী।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের অপার সম্ভাবনাকে পূর্ণরূপে বিকশিত করতে আমাদের এই সুদূরপ্রসারী লক্ষ্য অত্যন্ত কার্যকরী। আমি আমাদের ৭ কোটি ৫০ লাখ গ্রাহকের আস্থাকে সম্মান জানাই। সেইসাথে আমাদের উদ্ভাবনী প্রযুক্তি আর সেবার মাধ্যমে তাদেরকে আরও উন্নত সেবা দিয়ে যেতে চাই।

শেয়ার করুন

x
English Version

গ্রামীণফোনে বাংলাদেশি সিইও, চাঙ্গা শেয়ার

আপডেট: ১১:২৭:২৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২০

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) সাথে গ্রামীণফোনের দ্বন্দ্বের মধ্যেই টেলিনর কর্তৃপক্ষ সংস্থাটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে (সিইও) প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ইয়াসির আজমানকে নিয়োগ দিয়েছে। আগামী ১ ফেব্রুয়ারি থেকে তার দায়িত্ব পালন শুরু করবেন তিনি।

জানা যায়, পুঁজিবাজারের অব্যাহত দর পতনে বড় নিয়ামক হিসাবে কাজ করেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) সাথে গ্রামীণফোনের দ্বন্দ্ব। টানা দর পতনে কোম্পানিটির শেয়ার দর ৪১৯ টাকা থেকে কমে বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) ২২৯ টাকায় স্থিতি পায়। কিন্তু প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে (সিইও) প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ইয়াসির আজমানকে নিয়োগ দেওয়ার খবরে রোববার সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে চাঙ্গা হয়ে উঠেছে কোম্পানিটির শেয়ার দর।

রোববার সকালে লেনদেনের শুরু থেকে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহের শীর্ষে ছিল কোম্পানিটি। এরই ধারবাহিকতায় ৮.৭১ শতাংশ বা ২১.১ টাকা দর বৃদ্ধির মধ্যে দিয়ে বিক্রেতা সংকটে হল্টেড হয়েছে কোম্পানিটি। অর্থাৎ কোম্পানিটির শেয়ার ক্রয়ে ক্রেতা থাকলেও বিক্রেতা ছিল না।

ডিএসই’র ওয়েবসাইট সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার কোম্পানিটির সমাপনী শেয়ার দর ছিল ২৪২.২০ টাকা। রোববার কোম্পানিটির প্রারম্ভিক শেয়ার দর ছিল ২৪৪.২০ টাকা। এদিকে, দুপুর একটায় কোম্পানিটির সর্বশেষ শেয়ার দর ছিল ২৬৩.৩০ টাকা। এসময় কোম্পানিটির ৫ কোটি ৩০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছে, গ্রামীণফোনে বাংলাদেশি ইয়াসির আজমানকে সিইও নিয়োগের ফলে বিটিআরসি সাথে গ্রামীণফোনের দ্বন্দ্বের অবসান হবে এমনটা মনে করছেন বিনিয়োগকারীরা। যা তাদের মধ্যে বাজারের ভবিষ্যৎ নিয়ে ইতিবাচক মনোভাব তৈরি হচ্ছে।

গ্রামীণফোন সূত্রে জানা যায়, সিইও হিসাবে নিযুক্ত হবার আগে আজমান ২০১৫ সালের জুন থেকে গ্রামীণফোনের সিএমও এবং ২০১৭ সালের মে থেকে ডেপুটি সিইও এবং সিএমও হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এর আগে আজমান টেলিনর গ্রুপের বিতরণ এবং ই-বিজনেস বিভাগের প্রধান এবং টেলিনরের হয়ে বিভিন্ন দেশে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। আজমান বর্তমান প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মাইকেল ফোলির স্থলাভিশিক্ত হবেন। মাইকেল আফ্রিকায় তার পরিবারের কাছে ফিরে যাবার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

গ্রামীণফোন পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান পেটার বি ফারবার্গ বলেন, ইয়াসির আজমান গ্রামীণফোন এবং টেলিনর গ্রুপের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেই আজকের অবস্থানে এসেছেন। আমি অনেক আনন্দিত যে আজমান আমাদের বাংলাদেশি হিসাবে গ্রামীণফোনের সিইও হচ্ছেন। এটি টেলিনর এবং গ্রামীণফোনের সকলের জন্য বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। গ্রামীণফোনের ডেপুটি সিইও এবং সিএমও হিসাবে আজমান টেলিনর গ্রুপের সব থেকে বাণিজ্যিকভাবে সফল অপারেশন পরিচালনা করে আসছেন। আমি বিশ্বাস করি আজমান সিইও হিসাবেও তার নতুন চ্যালেঞ্জে একইভাবে সফল হবেন।

এর আগে মাইকেল ফোলি ২০১৭ সালে মে মাস থেকে গ্রামীণফোনের সিইও হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণের আগে টেলিনর পাকিস্তান ও বুলগেরিয়ার সিইও হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

ইয়াসির আজমান বলেন, গ্রামীণফোনের সিইও হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণের প্রস্তাব পেয়ে আমি অনেক আনন্দিত এবং সম্মানিত বোধ করছি। ডিজিটাল বাংলাদেশ, সামাজিক ক্ষমতায়ন এবং আমাদের গ্রাহকদের জন্য যা গুরুত্বপূর্ণ তার সাথে যোগাযোগ করিয়ে দিতে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাসী।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের অপার সম্ভাবনাকে পূর্ণরূপে বিকশিত করতে আমাদের এই সুদূরপ্রসারী লক্ষ্য অত্যন্ত কার্যকরী। আমি আমাদের ৭ কোটি ৫০ লাখ গ্রাহকের আস্থাকে সম্মান জানাই। সেইসাথে আমাদের উদ্ভাবনী প্রযুক্তি আর সেবার মাধ্যমে তাদেরকে আরও উন্নত সেবা দিয়ে যেতে চাই।