চূড়ান্ত সুপারিশ পেল বাংলাদেশ, সুখবর জানাতে আসছেন প্রধানমন্ত্রী
- আপডেট: ০৪:০০:১৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২১
- / ৪১৩১ বার দেখা হয়েছে
স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের জাতিসংঘের চূড়ান্ত সুপারিশ পেয়েছে বাংলাদেশ। জাতিসংঘের কমিটি ফর ডেভেলপমেন্ট পলিসি (ইউএন-সিডিপি) চেয়ার টেফারি টেসফাসো শুক্রবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন।
নিউ ইয়র্কে সিডিপির পাঁচ দিনব্যাপী ত্রিবার্ষিক পর্যালোচনা সভা শেষে এই ঘোষণা আসে। এ সুখবরটি দেশবাসীকে জানাতে আজ (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৪টায় সংবাদ সম্মেলনে আসছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিমের স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
১৯৭৫ সাল থেকে স্বল্পোন্নত দেশের কাতারে থাকা বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণে সিডিপির সব শর্ত পূরণ করে ২০১৮ সালে। জাতিসংঘের নিয়মানুযায়ী, কোনো দেশ পরপর দুটি ত্রিবার্ষিক পর্যালোচনায় উত্তরণের মানদণ্ড পূরণে সক্ষম হলে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের চূড়ান্ত সুপারিশ পায়।
নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের কমিটি ফর ডেভেলপমেন্ট পলিসির ত্রিবার্ষিক পর্যালোচনা সভা গত ২২ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়েছে। সেখানে দ্বিতীয় দফা পর্যালোচনা শেষে শুক্রবার গভীর রাতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসে।
সিডিপি তিনটি সূচকের ভিত্তিতে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের বিষয়টি পর্যালোচনা করে। তিনটি সূচকেই বাংলাদেশ শর্ত পূরণ করে অনেক এগিয়ে গেছে। সেগুলো হলো- (১) মাথাপিছু আয় (২) মানবসম্পদ সূচক (পুষ্টি, স্বাস্থ্য, মৃত্যুহার, স্কুলে ভর্তি ও শিক্ষার হারের সমন্বয়ে তৈরি করা হয়) এবং (৩) অর্থনৈতিক ভঙ্গুরতা সূচক (প্রাকৃতিক দুর্যোগ, বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক আঘাত, জনসংখ্যার পরিমাণ এবং বিশ্ববাজার থেকে একটি দেশের দূরত্বসহ আটটি বিষয়ের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়)।
উন্নয়নশীল দেশ হতে একটি দেশের মাথাপিছু আয় হতে হয় কমপক্ষে এক হাজার ২৩০ মার্কিন ডলার, বাংলাদেশ ২০২০ সালে বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় ছিল এর চেয়ে অনেক বেশি; এক হাজার ৮২৭ ডলার। মানবসম্পদ সূচকে উন্নয়নশীল দেশ হতে ৬৬ পয়েন্টের প্রয়োজন; বাংলাদেশের পয়েন্ট এখন ৭৫.৩।
অর্থনৈতিক ভঙ্গুরতা সূচকে কোনো দেশের পয়েন্ট ৩৬ এর বেশি হলে সেই দেশকে এলডিসিভুক্ত রাখা হয়, ৩২ এ আসার পর উন্নয়নশীল দেশের যোগ্যতা অর্জন হয়। সেখানে বাংলাদেশের পয়েন্ট এখন ২৫ দশমিক ২। সিডিপির প্রবিধান অনুযায়ী, উত্তরণের সুপারিশ পাওয়ার পর একটি দেশ তিন থেকে পাঁচ বছর পর্যন্ত প্রস্তুতিকালীন সময় ভোগ করতে পারে। বাংলাদেশের পক্ষ থেকেও এর জন্য পাঁচ বছর সময় চাওয়া হয়। এখন উত্তরণের চূড়ান্ত সুপারিশ পাওয়ার পর পাঁচ বছরের প্রস্তুতিকাল শেষে ২০২৬ সালে বাংলাদেশের উন্নয়নশীল দেশে আনুষ্ঠানিক উত্তরণ ঘটবে।
উন্নয়নশীল দেশের কাতারে উঠলে সস্তা ঋণ পাওয়া এবং বিভিন্ন রপ্তানি সুবিধা হারাবে বাংলাদেশ। ফলে সেই সুবিধাগুলো উত্তরণের প্রস্তুতি পর্বে চেয়েছে বাংলাদেশ। প্রস্তুতির এই সময়ে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে প্রাপ্ত সব সুযোগসুবিধা ভোগ করতে পারবে। তাছাড়া বর্তমান নিয়মে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের বাজারে বাংলাদেশ ২০২৬ সালের পর আরও তিন বছর অর্থাৎ ২০২৯ সাল পর্যন্ত শুল্কমুক্ত সুবিধা ভোগ করতে পারবে।
আরও পড়ুন:
- বাইডেনের ‘আমেরিকা উদ্ধার পরিকল্পনা’ কংগ্রেসে পাস
- পঞ্চম ধাপে ২৯টি পৌরসভার ভোটগ্রহণ রোববার
- পুলিশি ব্যারিকেড ভেঙে সমাবেশস্থলে বিএনপি নেতাকর্মীরা
- কী হচ্ছে ড. কামালের গণফোরামে
- সৌদি আরবের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা
- জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় একসঙ্গে কাজ করবে ঢাকা-ওয়াশিংটন
- ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহার বন্ধে উপায় খুঁজছে সরকার
- বিএসইসির কর্মকর্তা পরিচয়ে টাকা দাবি
- বিমার আওতায় আসছে পোশাক খাতের শ্রমিকরা
- খাশোগিকে হত্যার অনুমতি দেন সৌদি যুবরাজ: মার্কিন গোয়েন্দা রিপোর্ট
- সেনাসরকার নামাতে জাতিসংঘের পদক্ষেপ চান মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত
- খুলনায় বিএনপির মহাসমাবেশ আজ, ১৮ রুটে বাস চলাচল বন্ধ
- শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কবে খুলবে জানা যাবে বিকেলে
- হচ্ছে না বীমা মেলা
- বাংলাদেশের প্রশংসায় জাতিসংঘ মহাসচিব