০৩:২৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

জনীর স্বপ্ন উড়ল আকাশে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১২:২৩:৪২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ জানুয়ারী ২০২১
  • / ৪১৩৮ বার দেখা হয়েছে

বিজ্ঞানমনস্ক প্রজন্মের স্বপ্ন কল্পনাকে হার মানিয়েছে বহুবার। আকাশে পাখা মেলার স্বপ্নও হয়তো দেখেন অনেকে। কিন্তু বাস্তবে তা পূরণে পরিশ্রমী মানুষের সংখ্যা পৃথিবীতে খুবই কম। তবে দেশেই নানা ক্ষেত্রে এসেছে সাফল্য।

প্রাথমিক পর্যায়ে ড্রোন প্রযুক্তি ব্যবহার করে এবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ সালাউদ্দিন জনী নিজ উদ্যোগে তৈরি করেছেন পরীক্ষামূলক বিমান। পরীক্ষামূলক এ ড্রোনটি ৫ কিলোমিটার গতিতে ২০ মিনিট আকাশে উড়ার ক্ষমতা রাখে।

ঠাকুরগাঁও জেলার রানীশংকৈল উপজেলার বলিদ্বাড়ার মতো প্রত্যন্ত গ্রামের কৃষিজীবী পরিবারের সন্তান মোহাম্মদ সালাউদ্দিন জনী। তার এ বিমানের মডেল নজর কেড়েছে দেশের নানা প্রান্তের মানুষের। জনীর স্বপ্নময় চোখ এখন দেশে ড্রোন প্রযুক্তির উন্নয়নের পাশাপাশি মনুষ্যবিহীন বিমান তৈরিরও স্বপ্ন দেখছেন। তার এ ক্ষুদ্র প্রচেষ্টাকে বড় রূপ দিতে সংগঠিত করেছেন অনেককে। সেই প্রচেষ্টার অংশ হিসেবেই দুই সিটের একটি বিমান তৈরি করছেন বলে জানান জনী। স্বপ্ন দেখেন, তাতে উড়ে বেড়ানোর। ইতোমধ্যে তারা কাজ শুরু করে দিয়েছেন।

সালাউদ্দিন জনী বলেন, বিমান নিয়ে আগ্রহ ছোটবেলা থেকেই। কোথাও বিমান নিয়ে কোনো সংবাদ বা ছবি দেখলে তা বিশ্লেষণ করার চেষ্টা করতাম। ইচ্ছে ছিল বিমান প্রকৌশল বা পাইলট হওয়ার। কিন্তু দরিদ্র পরিবারের পক্ষে দেশের বাইরে যেয়ে সে স্বপ্ন পূরণ করা সম্ভব হয়নি। 

বিজ্ঞানভিত্তিক এ চর্চায় প্রাতিষ্ঠানিক সহযোগিতা তো দূরের কথা বরং বাঁধা এসেছে পদে পদে। এজন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নিন্দাও জানান জনী। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উচিত বিজ্ঞানভিত্তিক গবেষেণায় উৎসাহ দেওয়া। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি দেশেরও সুনাম বাড়বে।  

কৃষিবিজ্ঞানের ছাত্র জনীর স্বপ্ন শুধু বিলাসবহুল যান নয়। বরং তিনি ড্রোন প্রযুক্তি ব্যবহার করে কৃষিতে আনতে চান বিপ্লব। তিনি বলেন, কীটনাশক ছিটানো যাবে, মনিটরিং করা যাবে এমনকি কৃষি রোগ শনাক্ত করা সহজ হয়ে যাবে এ ড্রোনের মাধ্যমে।

জনীর মতো তরুণের উদ্যোগ অর্থের অভাবে যেন আর মুখ থুবড়ে না পড়ে। সেই স্বপ্ন দূরে নয়, যখন দেশের প্রযুক্তিতে তৈরি হবে বাংলাদেশের নিজস্ব বিমান। জনীর ভাষায় উন্নত বিশ্বের কাছে যেটি হবে বাংলাদেশের বিমান বা বাংলাদেশের একটি ব্র্যান্ড। এ স্বপ্ন বাস্তবায়নে প্রয়োজন প্রাতিষ্ঠানিক ও সরকারি সহযোগিতা।

শেয়ার করুন

x
English Version

জনীর স্বপ্ন উড়ল আকাশে

আপডেট: ১২:২৩:৪২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ জানুয়ারী ২০২১

বিজ্ঞানমনস্ক প্রজন্মের স্বপ্ন কল্পনাকে হার মানিয়েছে বহুবার। আকাশে পাখা মেলার স্বপ্নও হয়তো দেখেন অনেকে। কিন্তু বাস্তবে তা পূরণে পরিশ্রমী মানুষের সংখ্যা পৃথিবীতে খুবই কম। তবে দেশেই নানা ক্ষেত্রে এসেছে সাফল্য।

প্রাথমিক পর্যায়ে ড্রোন প্রযুক্তি ব্যবহার করে এবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ সালাউদ্দিন জনী নিজ উদ্যোগে তৈরি করেছেন পরীক্ষামূলক বিমান। পরীক্ষামূলক এ ড্রোনটি ৫ কিলোমিটার গতিতে ২০ মিনিট আকাশে উড়ার ক্ষমতা রাখে।

ঠাকুরগাঁও জেলার রানীশংকৈল উপজেলার বলিদ্বাড়ার মতো প্রত্যন্ত গ্রামের কৃষিজীবী পরিবারের সন্তান মোহাম্মদ সালাউদ্দিন জনী। তার এ বিমানের মডেল নজর কেড়েছে দেশের নানা প্রান্তের মানুষের। জনীর স্বপ্নময় চোখ এখন দেশে ড্রোন প্রযুক্তির উন্নয়নের পাশাপাশি মনুষ্যবিহীন বিমান তৈরিরও স্বপ্ন দেখছেন। তার এ ক্ষুদ্র প্রচেষ্টাকে বড় রূপ দিতে সংগঠিত করেছেন অনেককে। সেই প্রচেষ্টার অংশ হিসেবেই দুই সিটের একটি বিমান তৈরি করছেন বলে জানান জনী। স্বপ্ন দেখেন, তাতে উড়ে বেড়ানোর। ইতোমধ্যে তারা কাজ শুরু করে দিয়েছেন।

সালাউদ্দিন জনী বলেন, বিমান নিয়ে আগ্রহ ছোটবেলা থেকেই। কোথাও বিমান নিয়ে কোনো সংবাদ বা ছবি দেখলে তা বিশ্লেষণ করার চেষ্টা করতাম। ইচ্ছে ছিল বিমান প্রকৌশল বা পাইলট হওয়ার। কিন্তু দরিদ্র পরিবারের পক্ষে দেশের বাইরে যেয়ে সে স্বপ্ন পূরণ করা সম্ভব হয়নি। 

বিজ্ঞানভিত্তিক এ চর্চায় প্রাতিষ্ঠানিক সহযোগিতা তো দূরের কথা বরং বাঁধা এসেছে পদে পদে। এজন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নিন্দাও জানান জনী। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উচিত বিজ্ঞানভিত্তিক গবেষেণায় উৎসাহ দেওয়া। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি দেশেরও সুনাম বাড়বে।  

কৃষিবিজ্ঞানের ছাত্র জনীর স্বপ্ন শুধু বিলাসবহুল যান নয়। বরং তিনি ড্রোন প্রযুক্তি ব্যবহার করে কৃষিতে আনতে চান বিপ্লব। তিনি বলেন, কীটনাশক ছিটানো যাবে, মনিটরিং করা যাবে এমনকি কৃষি রোগ শনাক্ত করা সহজ হয়ে যাবে এ ড্রোনের মাধ্যমে।

জনীর মতো তরুণের উদ্যোগ অর্থের অভাবে যেন আর মুখ থুবড়ে না পড়ে। সেই স্বপ্ন দূরে নয়, যখন দেশের প্রযুক্তিতে তৈরি হবে বাংলাদেশের নিজস্ব বিমান। জনীর ভাষায় উন্নত বিশ্বের কাছে যেটি হবে বাংলাদেশের বিমান বা বাংলাদেশের একটি ব্র্যান্ড। এ স্বপ্ন বাস্তবায়নে প্রয়োজন প্রাতিষ্ঠানিক ও সরকারি সহযোগিতা।