০৯:৫২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

জাবি ছাত্র ইউনিয়ন সভাপতিকে বহিষ্কার

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৩:১৭:১২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২১
  • / ৪১৬০ বার দেখা হয়েছে

বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের সভাপতি ও কেন্দ্রীয় সংসদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিখা পিরেগুকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করেছে সিন্ডিকেট। মঙ্গলবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার রহিমা কানিজ স্বাক্ষরিত এক আদেশে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।

মিখা পিরেগু বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের ৪৪তম ব্যাচের শিক্ষার্থী। 

অফিস আদেশে বলা হয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য শৃঙ্খলা সংক্রান্ত অধ্যাদেশ ২০১৮ এর ৩ (২) (ক) ধারা অনুযায়ী ১৮ নভেম্বর ২০২০ তারিখ থেকে মিখা পিরেগুকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হল।

এতে আরও বলা হয়, বিশেষ পরীক্ষার অনুমতির জন্য আবেদনপত্রে বিভাগীয় সভাপতির স্বাক্ষর ও সীলমোহর জালিয়াতির অভিযোগে গঠিত তদন্ত কমিটি এবং কমিটির সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে তাকে বহিষ্কার করা হয়।

বহিষ্কারের বিষয়ে জানতে চাইলে মিখা পিরেগু বলেন, ২০১৭ সালে আমি একটি বিশেষ পরীক্ষার জন্য বিভাগীয় সভাপতির সীল ও স্বাক্ষরসহ আবেদন পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকে জমা দিয়েছিলাম। বিভাগ থেকে মিটিং করেই এটা অনুমোদন করেছিল। কিন্তু উপাচার্য অফিস থেকে কোনো কারণ ছাড়াই এটি পারমিট না করায় পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক থেকে আমাকে আবার আবেদন করতে বলা হয়। শীতকালীন ছুটির কারণে ক্যাম্পাস বন্ধ ছিল বলে আমি প্রথমবার জমা দেওয়া মূল কপির ফটোকপি জমা দিয়েছিলাম। সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্তের বিপক্ষে আমি রিভিউ আবেদন করেছি। রিভিউ প্রক্রিয়াটি চলমান আছে।

মার্কেটিং বিভাগের বর্তমান সভাপতি মো. কাশেদুল ওহাব তুহিন বলেন, আমি ওই সময় বিভাগের সভাপতি ছিলাম না। তবে যতটুকু শুনেছি বিভাগ থেকে তার আবেদনপত্রটি স্থানান্তর করা হলেও উপাচার্যের ফাইনাল অনুমোদনের সময় বাতিল হয়ে যায়। ওনাকে আবার আবেদন দিতে বলা হলে তিনি যে আবেদনটি করেন সেটা বিভাগের সুপারশি ছাড়াই। পরীক্ষা নিয়ন্ত্রককে ওই আবেদনপত্রে উনি যে তারিখ দিয়েছেন ওই তারিখে বিভাগের তৎকালীন সভাপতি ( নাঈমা আহমেদ) ছুটিতে ছিলেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক দীপক শীল বলেন, ছাত্র ইউনিয়ন কখনই কোনো অনৈতিকতাকে আশ্রয় প্রশ্রয় দেয় না। তার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ ওঠা লজ্জার। আমরা অবিলম্বে তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের বিষয়ে কেন্দ্রীয় সভায় আলোচনা করব। যদি অভিযোগ প্রমাণিত হয় তবে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনে সর্বোচ্চ সাংগঠনিক শাস্তি নিশ্চিত করা হবে।

শেয়ার করুন

x
English Version

জাবি ছাত্র ইউনিয়ন সভাপতিকে বহিষ্কার

আপডেট: ০৩:১৭:১২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২১

বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের সভাপতি ও কেন্দ্রীয় সংসদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিখা পিরেগুকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করেছে সিন্ডিকেট। মঙ্গলবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার রহিমা কানিজ স্বাক্ষরিত এক আদেশে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।

মিখা পিরেগু বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের ৪৪তম ব্যাচের শিক্ষার্থী। 

অফিস আদেশে বলা হয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য শৃঙ্খলা সংক্রান্ত অধ্যাদেশ ২০১৮ এর ৩ (২) (ক) ধারা অনুযায়ী ১৮ নভেম্বর ২০২০ তারিখ থেকে মিখা পিরেগুকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হল।

এতে আরও বলা হয়, বিশেষ পরীক্ষার অনুমতির জন্য আবেদনপত্রে বিভাগীয় সভাপতির স্বাক্ষর ও সীলমোহর জালিয়াতির অভিযোগে গঠিত তদন্ত কমিটি এবং কমিটির সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে তাকে বহিষ্কার করা হয়।

বহিষ্কারের বিষয়ে জানতে চাইলে মিখা পিরেগু বলেন, ২০১৭ সালে আমি একটি বিশেষ পরীক্ষার জন্য বিভাগীয় সভাপতির সীল ও স্বাক্ষরসহ আবেদন পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকে জমা দিয়েছিলাম। বিভাগ থেকে মিটিং করেই এটা অনুমোদন করেছিল। কিন্তু উপাচার্য অফিস থেকে কোনো কারণ ছাড়াই এটি পারমিট না করায় পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক থেকে আমাকে আবার আবেদন করতে বলা হয়। শীতকালীন ছুটির কারণে ক্যাম্পাস বন্ধ ছিল বলে আমি প্রথমবার জমা দেওয়া মূল কপির ফটোকপি জমা দিয়েছিলাম। সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্তের বিপক্ষে আমি রিভিউ আবেদন করেছি। রিভিউ প্রক্রিয়াটি চলমান আছে।

মার্কেটিং বিভাগের বর্তমান সভাপতি মো. কাশেদুল ওহাব তুহিন বলেন, আমি ওই সময় বিভাগের সভাপতি ছিলাম না। তবে যতটুকু শুনেছি বিভাগ থেকে তার আবেদনপত্রটি স্থানান্তর করা হলেও উপাচার্যের ফাইনাল অনুমোদনের সময় বাতিল হয়ে যায়। ওনাকে আবার আবেদন দিতে বলা হলে তিনি যে আবেদনটি করেন সেটা বিভাগের সুপারশি ছাড়াই। পরীক্ষা নিয়ন্ত্রককে ওই আবেদনপত্রে উনি যে তারিখ দিয়েছেন ওই তারিখে বিভাগের তৎকালীন সভাপতি ( নাঈমা আহমেদ) ছুটিতে ছিলেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক দীপক শীল বলেন, ছাত্র ইউনিয়ন কখনই কোনো অনৈতিকতাকে আশ্রয় প্রশ্রয় দেয় না। তার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ ওঠা লজ্জার। আমরা অবিলম্বে তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের বিষয়ে কেন্দ্রীয় সভায় আলোচনা করব। যদি অভিযোগ প্রমাণিত হয় তবে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনে সর্বোচ্চ সাংগঠনিক শাস্তি নিশ্চিত করা হবে।