০৮:৩০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

জীবনের চেয়ে জীবিকা বড় নয় : কাদের

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৩:৪০:৪০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ এপ্রিল ২০২১
  • / ৪১৪৩ বার দেখা হয়েছে

ফাইল ফটো

সোমবার (৫ এপ্রিল) থেকে গণপরিবহন বন্ধ থাকবে জানিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘জীবনের থেকে জীবিকা কোনোভাবেই বড় নয়, আগে নিজে বাঁচুন এবং পরিবারকে বাঁচাতে সহযোগিতা করুন।’

রোববার (৪ এপ্রিল) আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপকমিটি আয়োজিত করোনা প্রতিরোধ সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে একথা বলেন তিনি। অনুষ্ঠানে নিজের সরকারি বাসভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন কাদের। 

যদিও সরকার লকডাউন ঘোষণা করেনি, ওবায়দুল কাদের এ অনুষ্ঠানে দেওয়া তাঁর বক্তব্যে বারবার ‘লকডাউন’ উচ্চারণ করেছেন। মন্ত্রী বলেন, পণ্যপরিবহন, জরুরি সেবা, জ্বালানি, ঔষধ, পচনশীল পণ্য,‌ ত্রাণবাহী পরিবহন, সংবাদপত্র, গার্মেন্টস সামগ্রী সরকারি নিষেধাজ্ঞার আওতামুক্ত থাকবে। 

জনসাধারণকে স্বাস্থ্যবিধি মানা ও শতভাগ মাস্ক পরিধান নিশ্চিত করার আহবান জানিয়ে আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, এ ব্যাপারে প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে আরও কঠোর হতে হবে। করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার বেড়ে যাওয়ায় আর কোনোভাবেই উদাসীনতা দেখানোর সুযোগ নেই, তাই হাট-বাজার, ফেরি, লঞ্চঘাট ও বাসস্ট্যান্ডসহ অন্যান্য জায়গায় গেলে মাস্ক পরিধান নিশ্চিত করতে হবে। 

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: বিজনেসজার্নালবিজনেসজার্নাল.বিডি

ওবায়দুল কাদের ভাসমান অসহায় মানুষদের নগদ অর্থ ও খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করতে নেতাকর্মীদের প্রতি আহবান জানিয়ে বলেন, এটাই এখন আওয়ামী লীগের একমাত্র রাজনীতি।

সারাদেশে সীমিত আকারে ঘরোয়াভাবে রাজনৈতিক কার্যক্রম চালানোর নির্দেশ দিয়ে আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন,  সামান্য উদাসীনতায় দেশকে মৃত্যু উপত্যকায় নিয়ে যাবে, তাই নিজের জন্য হলেও শতভাগ মাস্ক ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। রমজানকে সামনে রেখে নিত্যপণ্যের দাম না বাড়ানোর জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, দুর্যোগে জনগণের দুর্ভোগ বাড়াবেন না।

ধানমন্ডিতে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাসিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, এসএম কামাল হোসেন, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডাক্তার রোকেয়া সুলতানা, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক সামছুন্নাহার চাঁপা, উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।

এর আগে ওবায়দুল কাদের বলেছিলেন, সোমবার (৫ এপ্রিল) থেকে ১২ এপ্রিল পর্যন্ত সারাদেশে এক সপ্তাহের লকডাউন ঘোষণার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাবে। তবে শিল্প কলকারখানা শর্তসাপেক্ষে চালু থাকতে পারে। 

লকডাউন সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে শনিবার জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেছিলেন, আমরা সাতদিন যদি সবাই শক্তভাবে পালন করতে পারি তাহলে এটি দারুণভাবে কাজ করবে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। সেক্ষেত্রে আমরা অন্তত সাতদিন এটি করতে থাকি। এরপর বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করে দেশ ও মানুষের কল্যাণে যা ভালো হয় সে সিদ্ধান্তই নেওয়া হবে। আমরা সমন্বিতভাবে কাজ করব।

সবশেষ করোনা আপডেট
কয়েক সপ্তাহ ধরে করোনা পরিস্থিতির ক্রমাগত অবনতি হচ্ছে। সংক্রমণের পাশাপাশি মৃত্যুর মিছিল দীর্ঘ হচ্ছে। সবশেষ ৩ এপ্রিল প্রাণঘাতী এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ৫৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে নয় হাজার ২১৩ জনে দাঁড়িয়েছে। আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছে পাঁচ হাজার ৬৮৩ জন। এতে মোট শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ছয় লাখ ৩০ হাজার ২৭৭ জনে। 

পর্যটনকেন্দ্র বন্ধ
এদিকে করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় ইতোমধ্যে বন্ধ করা হয়েছে দেশের বিভিন্ন স্থানের পর্যটনকেন্দ্র। বাতিল করা হচ্ছে হোটেল-মোটেলে আগাম নেওয়া বুকিং। পাশাপাশি নতুন বুকিংও বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়া সরকার থেকে ১৮ দফা নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।

বন্ধ থাকবে দোকানপাট-শপিংমল
লকডাউনের সময় দোকানপাট ও শপিংমল বন্ধ থাকবে। ঢাকা মহানগর দোকান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. আরিফুর রহমান টিপু এ বিষয়ে ঢাকা পোস্টকে বলেন, লকডাউনের বিষয়ে সরকার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা আমাদের মানতেই হবে। কারণ দেশের করোনা পরিস্থিতি এখন ভালো না। তাই আগামী ৫ থেকে ১২ এপ্রিল পর্যন্ত দোকানপাট ও শপিংমল বন্ধ থাকবে। তবে আমাদের দাবি এই বিধিনিষেধ এক সপ্তাহের বেশি যেন না বাড়ে।

বসুন্ধরা সিটি ডেভেলপমেন্ট লিমিটেডের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর (অ্যাকাউন্ট) শেখ আব্দুল আলিম ঢাকা পোস্টকে বলেন, সরকার যে সিদ্ধান্ত নেবে সেভাবেই আমরা চলব। শপিংমল এক সপ্তাহ বন্ধ রাখতে বললে আমরা বন্ধ রাখব।    

পোশাক ও শিল্পকারখানাগুলো খোলা থাকবে
এ বিষয়ে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেছেন, জরুরি সেবা দেয় এমন প্রতিষ্ঠানগুলোই শুধু খোলা থাকবে। এছাড়া পোশাক ও শিল্পকারখানাগুলো খোলা থাকবে। কারণ কারখানা বন্ধ হলে শ্রমিকদের বাড়িতে ফেরার বিষয় থাকে। এতে করোনার ঝুঁকি আরও বাড়বে। তবে কারখানায় শ্রমিকদের একাধিক শিফটে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কাজ করতে হবে।

বিজনেসজার্নাল/ঢাকা/এনইউ

 

আরও পড়ুন:

শেয়ার করুন

x
English Version

জীবনের চেয়ে জীবিকা বড় নয় : কাদের

আপডেট: ০৩:৪০:৪০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ এপ্রিল ২০২১

সোমবার (৫ এপ্রিল) থেকে গণপরিবহন বন্ধ থাকবে জানিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘জীবনের থেকে জীবিকা কোনোভাবেই বড় নয়, আগে নিজে বাঁচুন এবং পরিবারকে বাঁচাতে সহযোগিতা করুন।’

রোববার (৪ এপ্রিল) আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপকমিটি আয়োজিত করোনা প্রতিরোধ সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে একথা বলেন তিনি। অনুষ্ঠানে নিজের সরকারি বাসভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন কাদের। 

যদিও সরকার লকডাউন ঘোষণা করেনি, ওবায়দুল কাদের এ অনুষ্ঠানে দেওয়া তাঁর বক্তব্যে বারবার ‘লকডাউন’ উচ্চারণ করেছেন। মন্ত্রী বলেন, পণ্যপরিবহন, জরুরি সেবা, জ্বালানি, ঔষধ, পচনশীল পণ্য,‌ ত্রাণবাহী পরিবহন, সংবাদপত্র, গার্মেন্টস সামগ্রী সরকারি নিষেধাজ্ঞার আওতামুক্ত থাকবে। 

জনসাধারণকে স্বাস্থ্যবিধি মানা ও শতভাগ মাস্ক পরিধান নিশ্চিত করার আহবান জানিয়ে আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, এ ব্যাপারে প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে আরও কঠোর হতে হবে। করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার বেড়ে যাওয়ায় আর কোনোভাবেই উদাসীনতা দেখানোর সুযোগ নেই, তাই হাট-বাজার, ফেরি, লঞ্চঘাট ও বাসস্ট্যান্ডসহ অন্যান্য জায়গায় গেলে মাস্ক পরিধান নিশ্চিত করতে হবে। 

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: বিজনেসজার্নালবিজনেসজার্নাল.বিডি

ওবায়দুল কাদের ভাসমান অসহায় মানুষদের নগদ অর্থ ও খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করতে নেতাকর্মীদের প্রতি আহবান জানিয়ে বলেন, এটাই এখন আওয়ামী লীগের একমাত্র রাজনীতি।

সারাদেশে সীমিত আকারে ঘরোয়াভাবে রাজনৈতিক কার্যক্রম চালানোর নির্দেশ দিয়ে আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন,  সামান্য উদাসীনতায় দেশকে মৃত্যু উপত্যকায় নিয়ে যাবে, তাই নিজের জন্য হলেও শতভাগ মাস্ক ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। রমজানকে সামনে রেখে নিত্যপণ্যের দাম না বাড়ানোর জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, দুর্যোগে জনগণের দুর্ভোগ বাড়াবেন না।

ধানমন্ডিতে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাসিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, এসএম কামাল হোসেন, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডাক্তার রোকেয়া সুলতানা, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক সামছুন্নাহার চাঁপা, উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।

এর আগে ওবায়দুল কাদের বলেছিলেন, সোমবার (৫ এপ্রিল) থেকে ১২ এপ্রিল পর্যন্ত সারাদেশে এক সপ্তাহের লকডাউন ঘোষণার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাবে। তবে শিল্প কলকারখানা শর্তসাপেক্ষে চালু থাকতে পারে। 

লকডাউন সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে শনিবার জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেছিলেন, আমরা সাতদিন যদি সবাই শক্তভাবে পালন করতে পারি তাহলে এটি দারুণভাবে কাজ করবে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। সেক্ষেত্রে আমরা অন্তত সাতদিন এটি করতে থাকি। এরপর বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করে দেশ ও মানুষের কল্যাণে যা ভালো হয় সে সিদ্ধান্তই নেওয়া হবে। আমরা সমন্বিতভাবে কাজ করব।

সবশেষ করোনা আপডেট
কয়েক সপ্তাহ ধরে করোনা পরিস্থিতির ক্রমাগত অবনতি হচ্ছে। সংক্রমণের পাশাপাশি মৃত্যুর মিছিল দীর্ঘ হচ্ছে। সবশেষ ৩ এপ্রিল প্রাণঘাতী এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ৫৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে নয় হাজার ২১৩ জনে দাঁড়িয়েছে। আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছে পাঁচ হাজার ৬৮৩ জন। এতে মোট শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ছয় লাখ ৩০ হাজার ২৭৭ জনে। 

পর্যটনকেন্দ্র বন্ধ
এদিকে করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় ইতোমধ্যে বন্ধ করা হয়েছে দেশের বিভিন্ন স্থানের পর্যটনকেন্দ্র। বাতিল করা হচ্ছে হোটেল-মোটেলে আগাম নেওয়া বুকিং। পাশাপাশি নতুন বুকিংও বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়া সরকার থেকে ১৮ দফা নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।

বন্ধ থাকবে দোকানপাট-শপিংমল
লকডাউনের সময় দোকানপাট ও শপিংমল বন্ধ থাকবে। ঢাকা মহানগর দোকান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. আরিফুর রহমান টিপু এ বিষয়ে ঢাকা পোস্টকে বলেন, লকডাউনের বিষয়ে সরকার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা আমাদের মানতেই হবে। কারণ দেশের করোনা পরিস্থিতি এখন ভালো না। তাই আগামী ৫ থেকে ১২ এপ্রিল পর্যন্ত দোকানপাট ও শপিংমল বন্ধ থাকবে। তবে আমাদের দাবি এই বিধিনিষেধ এক সপ্তাহের বেশি যেন না বাড়ে।

বসুন্ধরা সিটি ডেভেলপমেন্ট লিমিটেডের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর (অ্যাকাউন্ট) শেখ আব্দুল আলিম ঢাকা পোস্টকে বলেন, সরকার যে সিদ্ধান্ত নেবে সেভাবেই আমরা চলব। শপিংমল এক সপ্তাহ বন্ধ রাখতে বললে আমরা বন্ধ রাখব।    

পোশাক ও শিল্পকারখানাগুলো খোলা থাকবে
এ বিষয়ে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেছেন, জরুরি সেবা দেয় এমন প্রতিষ্ঠানগুলোই শুধু খোলা থাকবে। এছাড়া পোশাক ও শিল্পকারখানাগুলো খোলা থাকবে। কারণ কারখানা বন্ধ হলে শ্রমিকদের বাড়িতে ফেরার বিষয় থাকে। এতে করোনার ঝুঁকি আরও বাড়বে। তবে কারখানায় শ্রমিকদের একাধিক শিফটে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কাজ করতে হবে।

বিজনেসজার্নাল/ঢাকা/এনইউ

 

আরও পড়ুন: