০৫:০০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

তবে কি ট্রাম্প ও মোদির বন্ধুত্ব ভেঙ্গে গেল!

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৯:১৬:০৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ এপ্রিল ২০২০
  • / ৪৩০৭ বার দেখা হয়েছে

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বন্ধুত্বের বিষয়টি পুরো পৃথিবী জানে। এই দুই জন ভারত ও আমেরিকায় ক্ষমতায় আসার পর দুই দেশের সম্পর্কেরও উন্নতি হয়েছে বলে দাবি করা হয়। কিন্তু হঠাৎই যেন সেই সম্পর্কে ছন্দপতন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে টুইটারে আনফলো করে দিল মার্কিন প্রেসিডেন্টের সরকারি বাসভবন হোয়াইট হাউস।

মোদির ব্যক্তিগত টুইটার হ্যান্ডেলের পাশাপাশি ভারতের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর এবং রাষ্ট্রপতির দপ্তরসহ ভারতের সঙ্গে সম্পর্কিত মোট ৫টি টুইটার অ্যাকাউন্ট আনফলো করেছে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সরকারি বাসভবন।

আশ্চর্যের বিষয় হল, সপ্তাহ তিনেক আগেই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দসহ এই পাঁচটি টুইটার হ্যান্ডেল ফলো করা শুরু করে হোয়াইট হাউস। তখন হোয়াইট হাউসের সরকারি টুইটার হ্যান্ডেলের ফলোয়ার সংখ্যা ছিল ২১.৫ মিলিয়ন এবং হোয়াইট হাউস ফলো করত ১৯ জনকে। সেই ১৯ জনের মধ্যে ৬ জনকে আনফলো করল মার্কিন প্রেসিডেন্টের বাসভবন। যে হ্যান্ডেলগুলি আনফলো করা হয়েছে তার মধ্যে ওয়াশিংটনে ভারতের দূতাবাস এবং ভারতে আমেরিকার দূতাবাসও রয়েছে। আপাতত হোয়াইট হাউসের ফলোয়ার সংখ্যা ২২ মিলিয়ন এবং মার্কিন প্রেসিডেন্টের সরকারি বাসভবন ফলো করছে ১৩ জনকে।

এমন একদিনে এই ঘটনাটি ঘটল যেদিন ধর্মীয় স্বাধীনতা সংক্রান্ত মার্কিন কমিশন ভারতে মুসলিমদের ধর্মীয় স্বাধীনতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। মঙ্গলবার (২৮ এপ্রিল) ধর্মীয় স্বাধীনতার নিরিখে বেশ খানিকটা নামিয়ে দিয়েছে আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতা সংক্রান্ত মার্কিন কমিশনটি।

আমেরিকা সরকারের কাছে তারা সুপারিশ করেছে যাতে, ভারতকে ‘নির্দিষ্টভাবে সমস্যাযুক্ত’ দেশের তালিকায় রাখা হয়। এই তালিকায় পাকিস্তান এবং উত্তর কোরিয়া, চিনের মতো ১৪টি দেশ রয়েছে যেখানে প্রতিদিন সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার করা হচ্ছে।

সূত্রঃ সময় টিভি

শেয়ার করুন

x
English Version

তবে কি ট্রাম্প ও মোদির বন্ধুত্ব ভেঙ্গে গেল!

আপডেট: ০৯:১৬:০৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ এপ্রিল ২০২০

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বন্ধুত্বের বিষয়টি পুরো পৃথিবী জানে। এই দুই জন ভারত ও আমেরিকায় ক্ষমতায় আসার পর দুই দেশের সম্পর্কেরও উন্নতি হয়েছে বলে দাবি করা হয়। কিন্তু হঠাৎই যেন সেই সম্পর্কে ছন্দপতন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে টুইটারে আনফলো করে দিল মার্কিন প্রেসিডেন্টের সরকারি বাসভবন হোয়াইট হাউস।

মোদির ব্যক্তিগত টুইটার হ্যান্ডেলের পাশাপাশি ভারতের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর এবং রাষ্ট্রপতির দপ্তরসহ ভারতের সঙ্গে সম্পর্কিত মোট ৫টি টুইটার অ্যাকাউন্ট আনফলো করেছে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সরকারি বাসভবন।

আশ্চর্যের বিষয় হল, সপ্তাহ তিনেক আগেই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দসহ এই পাঁচটি টুইটার হ্যান্ডেল ফলো করা শুরু করে হোয়াইট হাউস। তখন হোয়াইট হাউসের সরকারি টুইটার হ্যান্ডেলের ফলোয়ার সংখ্যা ছিল ২১.৫ মিলিয়ন এবং হোয়াইট হাউস ফলো করত ১৯ জনকে। সেই ১৯ জনের মধ্যে ৬ জনকে আনফলো করল মার্কিন প্রেসিডেন্টের বাসভবন। যে হ্যান্ডেলগুলি আনফলো করা হয়েছে তার মধ্যে ওয়াশিংটনে ভারতের দূতাবাস এবং ভারতে আমেরিকার দূতাবাসও রয়েছে। আপাতত হোয়াইট হাউসের ফলোয়ার সংখ্যা ২২ মিলিয়ন এবং মার্কিন প্রেসিডেন্টের সরকারি বাসভবন ফলো করছে ১৩ জনকে।

এমন একদিনে এই ঘটনাটি ঘটল যেদিন ধর্মীয় স্বাধীনতা সংক্রান্ত মার্কিন কমিশন ভারতে মুসলিমদের ধর্মীয় স্বাধীনতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। মঙ্গলবার (২৮ এপ্রিল) ধর্মীয় স্বাধীনতার নিরিখে বেশ খানিকটা নামিয়ে দিয়েছে আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতা সংক্রান্ত মার্কিন কমিশনটি।

আমেরিকা সরকারের কাছে তারা সুপারিশ করেছে যাতে, ভারতকে ‘নির্দিষ্টভাবে সমস্যাযুক্ত’ দেশের তালিকায় রাখা হয়। এই তালিকায় পাকিস্তান এবং উত্তর কোরিয়া, চিনের মতো ১৪টি দেশ রয়েছে যেখানে প্রতিদিন সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার করা হচ্ছে।

সূত্রঃ সময় টিভি