০৫:৫০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

তিন বছরে খেলাপি শূন্য লঙ্কান অ্যালায়েন্স

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৫:১১:৪২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২১
  • / ৪১৫৬ বার দেখা হয়েছে

দেশে ব্যবসা করা শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাণিজ্যিক ব্যাংক পিপলস ব্যাংকের সাথে যৌথ উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত বহুজাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান লঙ্কান অ্যালায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেড (এলএএফএল) প্রতিষ্ঠার তিন বছরেও কোন খেলাপি নেই।

আজ (১৮ ফেব্রুয়ারি) গুলশানের একটি হোটেলে প্রতিষ্ঠানটি তিন বছর পূর্তি উদযাপন উপলক্ষ্যে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।

অব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে লঙ্কান অ্যালায়্যান্স ঋণ খেলাপি না থাকা বড় সাফল্যের উল্লেখ করে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) কান্তি কুমার সাহা বলেন, বাংলাদেশে আমরাই একমাত্র প্রতিষ্ঠান, যার কোনো খেলাপি ঋণ নেই। অব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে আমাদের সেবার আওতায় অটো লোন, হোম লোন, এসএমই লোন, করপোরেট লোন, এমএফআই লোন এবং ডিপোজিট স্কিম দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া আগামী ৩ বছরের মধ্যে লঙ্কান অ্যালায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেড পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হবে বলে জানান তিনি।

এ সময় লঙ্কান অ্যালায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেডের সিইও আগামী তিন বছরে প্রতিষ্ঠানটি ঋণ বিতরণ এবং মুনাফার একটি সম্ভাব্য ধারা তুলে ধরে জানান, আমাদের লক্ষ্য অনুযায়ী ২০২১ সালে কোম্পানিটির লোন পোর্টফোলিও হবে ৩৬৯ কোটি টাকা এবং নিট মুনাফা হবে ১০ কোটি টাকা। ২০২২ সালে ৫৫৪ কোটি টাকা লোন পোর্টফোলিও হবে এবং নিট মুনাফা হবে ১৪ কোটি টাকা। আর ২০২৩ সালে ৭৩৪ কোটি টাকা লোন পোর্টফোলিও এবং ১৭ কোটি ৩০ লাখ টাকা নিট মুনাফার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে খেলাপি ঋণের কারণে প্রতিষ্ঠানটির প্রভিশন করতে না হলে এই লক্ষ্য পূরণ হবে বলে উল্লেখ করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান জওহর রিজভী বলেন, লঙ্কান অ্যালায়েন্স ফিন্যান্স লিমিটেড গ্রাহকদের সেবা প্রদানের প্রতিশ্রুতি পূরণে এবং দক্ষিণ এশিয়ার একটি শক্তিশালী ও স্বনামধন্য আর্থিক প্রতিষ্ঠান হিসাবে গড়ে উঠতে লোকবল, ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি এবং প্রযুক্তিগত উন্নয়ন ও পণ্য উদ্ভাবনে নিরবচ্ছিন্নভাবে বিনিয়োগ করে চলেছে।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আমানতকারীদের অর্থ এবং শেয়ারহোল্ডারদের মূলধনও সুরক্ষিত আছে। তাছাড়া অব্যাহত প্রবৃদ্ধিও জন্য প্রতিষ্ঠানটি কৌশলগত বিভিন্ন নীতি গ্রহণ করেছে। প্রয়োজনীয় ও সেরা লোকবল সংগ্রহের জন্য বহুজাতিক ব্যাংক ও খ্যাতনামা আর্থিক প্রতিষ্ঠান বেছে নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে নিজেদের অবস্থান সুদৃঢ় করতে বিভিন্ন উদ্ভাবনী এবং নতুন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।

 

আরও পড়ুন:

 

শেয়ার করুন

x
English Version

তিন বছরে খেলাপি শূন্য লঙ্কান অ্যালায়েন্স

আপডেট: ০৫:১১:৪২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২১

দেশে ব্যবসা করা শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাণিজ্যিক ব্যাংক পিপলস ব্যাংকের সাথে যৌথ উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত বহুজাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান লঙ্কান অ্যালায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেড (এলএএফএল) প্রতিষ্ঠার তিন বছরেও কোন খেলাপি নেই।

আজ (১৮ ফেব্রুয়ারি) গুলশানের একটি হোটেলে প্রতিষ্ঠানটি তিন বছর পূর্তি উদযাপন উপলক্ষ্যে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।

অব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে লঙ্কান অ্যালায়্যান্স ঋণ খেলাপি না থাকা বড় সাফল্যের উল্লেখ করে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) কান্তি কুমার সাহা বলেন, বাংলাদেশে আমরাই একমাত্র প্রতিষ্ঠান, যার কোনো খেলাপি ঋণ নেই। অব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে আমাদের সেবার আওতায় অটো লোন, হোম লোন, এসএমই লোন, করপোরেট লোন, এমএফআই লোন এবং ডিপোজিট স্কিম দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া আগামী ৩ বছরের মধ্যে লঙ্কান অ্যালায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেড পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হবে বলে জানান তিনি।

এ সময় লঙ্কান অ্যালায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেডের সিইও আগামী তিন বছরে প্রতিষ্ঠানটি ঋণ বিতরণ এবং মুনাফার একটি সম্ভাব্য ধারা তুলে ধরে জানান, আমাদের লক্ষ্য অনুযায়ী ২০২১ সালে কোম্পানিটির লোন পোর্টফোলিও হবে ৩৬৯ কোটি টাকা এবং নিট মুনাফা হবে ১০ কোটি টাকা। ২০২২ সালে ৫৫৪ কোটি টাকা লোন পোর্টফোলিও হবে এবং নিট মুনাফা হবে ১৪ কোটি টাকা। আর ২০২৩ সালে ৭৩৪ কোটি টাকা লোন পোর্টফোলিও এবং ১৭ কোটি ৩০ লাখ টাকা নিট মুনাফার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে খেলাপি ঋণের কারণে প্রতিষ্ঠানটির প্রভিশন করতে না হলে এই লক্ষ্য পূরণ হবে বলে উল্লেখ করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান জওহর রিজভী বলেন, লঙ্কান অ্যালায়েন্স ফিন্যান্স লিমিটেড গ্রাহকদের সেবা প্রদানের প্রতিশ্রুতি পূরণে এবং দক্ষিণ এশিয়ার একটি শক্তিশালী ও স্বনামধন্য আর্থিক প্রতিষ্ঠান হিসাবে গড়ে উঠতে লোকবল, ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি এবং প্রযুক্তিগত উন্নয়ন ও পণ্য উদ্ভাবনে নিরবচ্ছিন্নভাবে বিনিয়োগ করে চলেছে।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আমানতকারীদের অর্থ এবং শেয়ারহোল্ডারদের মূলধনও সুরক্ষিত আছে। তাছাড়া অব্যাহত প্রবৃদ্ধিও জন্য প্রতিষ্ঠানটি কৌশলগত বিভিন্ন নীতি গ্রহণ করেছে। প্রয়োজনীয় ও সেরা লোকবল সংগ্রহের জন্য বহুজাতিক ব্যাংক ও খ্যাতনামা আর্থিক প্রতিষ্ঠান বেছে নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে নিজেদের অবস্থান সুদৃঢ় করতে বিভিন্ন উদ্ভাবনী এবং নতুন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।

 

আরও পড়ুন: