১১:১২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪

দর্শকের কথা ভেবেই এতটা বাছ-বিচার করে কাজ করা: ঊর্মিলা

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৩:১৭:১২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২১
  • / ৪১০৯ বার দেখা হয়েছে

ঊর্মিলা শ্রাবন্তী কর। অভিনেত্রী ও মডেল। মাছরাঙা টেলিভিশনে আজ রাতে প্রচার হবে তার অভিনীত ধারাবাহিক নাটক ‘১০০-তে একশ’। এ নাটক ও অন্যান্য প্রসঙ্গে কথা হলো তার সঙ্গে- 

‘১০০-তে একশ’ নাটকের প্রেক্ষাপট কী নিয়ে?প্রবাসপুর গ্রামকে ঘিরে নাটকটির গল্প। অদ্ভুত এ গ্রামের পুরুষরা বেশিরভাগই প্রবাসে থাকে। আর নারীরা সবকিছুর নিয়ন্ত্রক। নিরাপত্তা প্রহরী থেকে শুরু করে দোকান, হাটবাজার সবকিছুতে তাদের কর্তৃত্ব। এখানে কেউ কারও চেয়ে কম নয়। প্রত্যেকে ১০০-তে একশ। বেশ ভালোভাবেই চলছিল সবার জীবনযাপন। কিন্তু করোনাভাইরাস এসে এলোমেলো করে দেয়। গ্রামের পুরুষরা সবাই বিদেশ থেকে ফিরে আসে। বদলে যায় তাদের জীবনধারা।

নাটকের ‘ আয়েশা’ চরিত্রটি নিয়ে দর্শকের প্রতিক্রিয়া কী?

আমার মনে হচ্ছে নাটকে, ‘আয়েশা’ চরিত্রটি কিছুটা হলেও দর্শকের মনে দাগ কেটেছে। আবু হায়াত মাহমুদ ও সাইদুর রহমান রাসেল পরিচালিত এ নাটকে আমি অভিনয় করেছি বিউটি পার্লারের একজন মালিকের চরিত্রে। ‘গসিপ’ নামের ওই বিউটি পার্লারে গ্রামের সব খবর পাওয়া যায়। গসিপ নিয়ে ঘটে নানা কাণ্ড। আশার কথা হলো, টিভিতে না হলেও অনেক দর্শক ইউটিউবে নাটক দেখতে পাচ্ছেন। তাই কোনো না কোনোভাবে দর্শক সাড়া পাচ্ছি।

অন্যান্য ধারাবাহিকে কাজ করে কতটুকু সন্তুষ্টি পাচ্ছেন?

এখন যে ধারাবাহিকগুলোতে অভিনয় করেছি, তার প্রতিটি গল্প ও চরিত্র ছিল ভিন্ন ধরনের। ‘হুলস্থূল’ নাটকে তোতলা মেয়ে, ‘পিছুটান’-এ বড় লোকের মেয়ে চরিত্রে অভিনয় করছি। এ ছাড়া ‘পরাধীন’সহ প্রচারিত অন্যান্য নাটকে চরিত্রগুলোতে ভিন্নতার ছাপ রয়েছে। দর্শকের ভালো লাগার কথা ভেবেই এতটা বাছ-বিচার করে কাজ করা। নির্দিষ্ট গণ্ডির মধ্যে আটকে থাকতে চাই না। এর কারণ একটাই, দিনশেষে দর্শক ভালো কাজের কথাই মনে রাখেন।

ছবিতে অভিনয় শুরু করেছেন। এই মাধ্যমে আপনাকে কি নিয়মিত দেখা যাবে?

দেখুন, আমি এমন একটি ছবি দিয়ে শুরু করতে চেয়েছি, যেখানে স্বাচ্ছন্দ্য পাব। যার গল্প গতানুগতিক নয়। তেমন ছবি ছিল ‘ফ্রম বাংলাদেশ’। এ রকম ছবি পেলে নিয়মিত অভিনয় করব।

রাজনীতিতে সক্রিয় হচ্ছেন মনে হয়…

পারিবারিকভাবেই আওয়ামী রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। শিক্ষাজীবনেও এ দলের রাজনীতির সঙ্গে সক্রিয় ছিলাম। সম্প্রতি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় মহিলাবিষয়ক উপকমিটিতে সদস্য পদ পেয়েছি। এ দায়িত্ব আমার জন্য বড় পাওয়া। দেশের নারীদের উন্নয়নে নিজের শতভাগ দেওয়ার চেষ্টা করব।

 

শেয়ার করুন

x
English Version

দর্শকের কথা ভেবেই এতটা বাছ-বিচার করে কাজ করা: ঊর্মিলা

আপডেট: ০৩:১৭:১২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২১

ঊর্মিলা শ্রাবন্তী কর। অভিনেত্রী ও মডেল। মাছরাঙা টেলিভিশনে আজ রাতে প্রচার হবে তার অভিনীত ধারাবাহিক নাটক ‘১০০-তে একশ’। এ নাটক ও অন্যান্য প্রসঙ্গে কথা হলো তার সঙ্গে- 

‘১০০-তে একশ’ নাটকের প্রেক্ষাপট কী নিয়ে?প্রবাসপুর গ্রামকে ঘিরে নাটকটির গল্প। অদ্ভুত এ গ্রামের পুরুষরা বেশিরভাগই প্রবাসে থাকে। আর নারীরা সবকিছুর নিয়ন্ত্রক। নিরাপত্তা প্রহরী থেকে শুরু করে দোকান, হাটবাজার সবকিছুতে তাদের কর্তৃত্ব। এখানে কেউ কারও চেয়ে কম নয়। প্রত্যেকে ১০০-তে একশ। বেশ ভালোভাবেই চলছিল সবার জীবনযাপন। কিন্তু করোনাভাইরাস এসে এলোমেলো করে দেয়। গ্রামের পুরুষরা সবাই বিদেশ থেকে ফিরে আসে। বদলে যায় তাদের জীবনধারা।

নাটকের ‘ আয়েশা’ চরিত্রটি নিয়ে দর্শকের প্রতিক্রিয়া কী?

আমার মনে হচ্ছে নাটকে, ‘আয়েশা’ চরিত্রটি কিছুটা হলেও দর্শকের মনে দাগ কেটেছে। আবু হায়াত মাহমুদ ও সাইদুর রহমান রাসেল পরিচালিত এ নাটকে আমি অভিনয় করেছি বিউটি পার্লারের একজন মালিকের চরিত্রে। ‘গসিপ’ নামের ওই বিউটি পার্লারে গ্রামের সব খবর পাওয়া যায়। গসিপ নিয়ে ঘটে নানা কাণ্ড। আশার কথা হলো, টিভিতে না হলেও অনেক দর্শক ইউটিউবে নাটক দেখতে পাচ্ছেন। তাই কোনো না কোনোভাবে দর্শক সাড়া পাচ্ছি।

অন্যান্য ধারাবাহিকে কাজ করে কতটুকু সন্তুষ্টি পাচ্ছেন?

এখন যে ধারাবাহিকগুলোতে অভিনয় করেছি, তার প্রতিটি গল্প ও চরিত্র ছিল ভিন্ন ধরনের। ‘হুলস্থূল’ নাটকে তোতলা মেয়ে, ‘পিছুটান’-এ বড় লোকের মেয়ে চরিত্রে অভিনয় করছি। এ ছাড়া ‘পরাধীন’সহ প্রচারিত অন্যান্য নাটকে চরিত্রগুলোতে ভিন্নতার ছাপ রয়েছে। দর্শকের ভালো লাগার কথা ভেবেই এতটা বাছ-বিচার করে কাজ করা। নির্দিষ্ট গণ্ডির মধ্যে আটকে থাকতে চাই না। এর কারণ একটাই, দিনশেষে দর্শক ভালো কাজের কথাই মনে রাখেন।

ছবিতে অভিনয় শুরু করেছেন। এই মাধ্যমে আপনাকে কি নিয়মিত দেখা যাবে?

দেখুন, আমি এমন একটি ছবি দিয়ে শুরু করতে চেয়েছি, যেখানে স্বাচ্ছন্দ্য পাব। যার গল্প গতানুগতিক নয়। তেমন ছবি ছিল ‘ফ্রম বাংলাদেশ’। এ রকম ছবি পেলে নিয়মিত অভিনয় করব।

রাজনীতিতে সক্রিয় হচ্ছেন মনে হয়…

পারিবারিকভাবেই আওয়ামী রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। শিক্ষাজীবনেও এ দলের রাজনীতির সঙ্গে সক্রিয় ছিলাম। সম্প্রতি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় মহিলাবিষয়ক উপকমিটিতে সদস্য পদ পেয়েছি। এ দায়িত্ব আমার জন্য বড় পাওয়া। দেশের নারীদের উন্নয়নে নিজের শতভাগ দেওয়ার চেষ্টা করব।