০৬:০৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

ধারাভাষ্যে অম্লান হয়ে থাকবেন যাঁরা

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১২:০২:৫১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩ মে ২০২০
  • / ৪৩৩৩ বার দেখা হয়েছে

ক্রিকেট ধারাভাষ্য। মাঠের খেলার যাবতীয় ঘটনার বর্ণনা দর্শকদের জানানোর মাধ্যম। কখনো কখনো খেলা ছাপিয়ে এই ধারাভাষ্যই হয়ে ওঠে বিনোদনের অন্যতম রসদ। ক্রিকেট ছেড়ে ধারাভাষ্যকার হিসেবে তারকাখ্যাতি পেয়েছেন অনেকেই। ক্রিকেটার থেকে কমেন্ট্রি বক্সে ঝড় তুলেছেন এমন কিছু মানুষকে নিয়েই এবারের প্রতিবেদন।

চার-ছক্কার ফুলঝুড়ি, উইকেট পাওয়ার উল্লাস কিংবা একটা দূর্দান্ত ক্যাচ, এসবই গ্যালারি মাতানোর পুঁজি।

ক্রিকেট মাঠের বাইশ গজে বিধ্বংসী পারফরমেন্সে দর্শকদের মাতোয়ারা করেন ক্রিকেটাররা। কখনো বিধ্বংসী ইনিংস খেলে আবার কখনোবা দূর্দান্ত এক স্পেলে প্রতিপক্ষকে নাজেহাল করে।

তবে ব্যাট-বলের লড়াই ছাড়াও দর্শকদের রসদ জোগায় আরো একটি জিনিস। আর তা হলো ক্রিকেট কমেন্ট্রি।

মাঠের সবশেষ অবস্থা, প্রতি বলের হালনাগাদ তথ্য আর রোমাঞ্চকর পরিস্থিতি ধারা বর্ণনা করে থাকেন ধারাভাষ্যকাররা। বাইশ গজের মতো কমেন্ট্রি বক্সেও ঝড় তোলেন তারা।

ক্রিকেট কমেন্ট্রির ইতিহাসে অনন্য একটি নাম রিচি বেনড। যাকে বলা হয় ‘ভয়েস অব ক্রিকেট’। তার মাধ্যমেই ক্রিকেট কমেন্ট্রির নতুন অধ্যায়ের শুরু। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ৬৩টি টেস্ট খেলেছেন এই অলরাউন্ডার। এর পাশাপশি বিবিসির রেডিওতে কমেন্ট্রি শুরু করেন। ১৯৬৪ সালে অবসরের পর শুরু করেন পুরোদমে ক্রিকেট সাংবাদিকতা এবং কমেন্ট্রি। এরপর নাইন নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত হন ১৯৭৭ সালে। এছাড়া চ্যানেল ফোর এবং চ্যানেল ফাইভেও কাজ করেছেন রিচি বেনড। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত ৫০০ টেস্টে ধারাভাষ্য দিয়েছেন এই অস্ট্রেলিয়ান।

টনি গ্রেগ। ইংলিশ অধিনায়ক থেকে কমেন্টেটর। খেলোয়াড়ি জীবন শেষে অস্ট্রেলিয়ায় শুরু করেন কমেন্ট্রি। কাজ করেছেন চ্যানেল ফোর এবং স্কাই স্পোর্টসের হয়ে। কমেন্ট্রির পাশাপাশি ‘দ্য টনি গ্রেগ শো’ নামে একটি প্রোগ্রাম করতেন ক্রিকইনফোর জন্য।

২০১৫ বিশ্বকাপে রুবেল হোসেন সেই আগুনে বোলিং। ইংলিশদের শেষ উইকেট ভেঙ্গে যাবার মুহূর্তেই উল্লাসে ফেটে পড়ে গ্যালারি। তার সঙ্গে কমেন্ট্রিবক্স থেকে নাসের হুসাইনের সেই দৃঢ়চেতা, মনকাড়া কমেন্টের মিশেলে তৈরি হয় ভিন্ন এক আবহ।

মাঠের খেলা সাঙ্গ করে যোগ দেন স্কাই স্পোর্টস কমেন্ট্রি টিমের সঙ্গে। ২০১১ সালে ভারত- ইংল্যান্ড ম্যাচের মধ্যদিয়ে ধারাভাষ্যকার হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন নাসের হুসাইন। খেলার প্রতিটা মুহূর্তের বর্ণনা যার বলিষ্ঠ কন্ঠে ঝড়ে পড়ে। বর্তমানে সেরা ভাষ্যকারদের তালিকায় অন্যতম একজন এই নাসের হুসাইন। কমেন্ট্রি ছাড়াও স্কুল ক্রিকেটে কোচিং এর দায়িত্বও পালন করছেন তিনি।

ক্রিকেটার থেকে ধারাভাষ্যকারের খাতায় নাম লিখিয়েছেন মাইকেল হোল্ডিং। যদিও শুরুতে ধারাভাষ্যে আসার পরিকল্পনা ছিলো না ক্যারিবীয় এই ফাস্ট বোলারের। রেডিও জ্যামাইকায় এক বন্ধুর আমন্ত্রণে গিয়ে যুক্ত হয়ে যান এর সঙ্গে। এরপর স্কাই স্পোর্টসের ব্রডকাস্টার হিসেবে কাজ শুরু করেন। এখনো দরাজ কণ্ঠে ক্রিকেটের ধারা বর্ণনা দিয়ে যাচ্ছেন হোল্ডিং।

এতো এতো তারকা ধারাভাষ্যকারের ভিড়ে হারিয়ে যায়নি লাল-সবুজের বাংলাদেশ। ধারাভাষ্যের জগতে বাংলাদেশের নামটা উজ্জ্বল করে রেখেছেন সাবেক ক্রিকেটার আতাহার আলী খান।

বিজে/আই

শেয়ার করুন

x
English Version

ধারাভাষ্যে অম্লান হয়ে থাকবেন যাঁরা

আপডেট: ১২:০২:৫১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩ মে ২০২০

ক্রিকেট ধারাভাষ্য। মাঠের খেলার যাবতীয় ঘটনার বর্ণনা দর্শকদের জানানোর মাধ্যম। কখনো কখনো খেলা ছাপিয়ে এই ধারাভাষ্যই হয়ে ওঠে বিনোদনের অন্যতম রসদ। ক্রিকেট ছেড়ে ধারাভাষ্যকার হিসেবে তারকাখ্যাতি পেয়েছেন অনেকেই। ক্রিকেটার থেকে কমেন্ট্রি বক্সে ঝড় তুলেছেন এমন কিছু মানুষকে নিয়েই এবারের প্রতিবেদন।

চার-ছক্কার ফুলঝুড়ি, উইকেট পাওয়ার উল্লাস কিংবা একটা দূর্দান্ত ক্যাচ, এসবই গ্যালারি মাতানোর পুঁজি।

ক্রিকেট মাঠের বাইশ গজে বিধ্বংসী পারফরমেন্সে দর্শকদের মাতোয়ারা করেন ক্রিকেটাররা। কখনো বিধ্বংসী ইনিংস খেলে আবার কখনোবা দূর্দান্ত এক স্পেলে প্রতিপক্ষকে নাজেহাল করে।

তবে ব্যাট-বলের লড়াই ছাড়াও দর্শকদের রসদ জোগায় আরো একটি জিনিস। আর তা হলো ক্রিকেট কমেন্ট্রি।

মাঠের সবশেষ অবস্থা, প্রতি বলের হালনাগাদ তথ্য আর রোমাঞ্চকর পরিস্থিতি ধারা বর্ণনা করে থাকেন ধারাভাষ্যকাররা। বাইশ গজের মতো কমেন্ট্রি বক্সেও ঝড় তোলেন তারা।

ক্রিকেট কমেন্ট্রির ইতিহাসে অনন্য একটি নাম রিচি বেনড। যাকে বলা হয় ‘ভয়েস অব ক্রিকেট’। তার মাধ্যমেই ক্রিকেট কমেন্ট্রির নতুন অধ্যায়ের শুরু। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ৬৩টি টেস্ট খেলেছেন এই অলরাউন্ডার। এর পাশাপশি বিবিসির রেডিওতে কমেন্ট্রি শুরু করেন। ১৯৬৪ সালে অবসরের পর শুরু করেন পুরোদমে ক্রিকেট সাংবাদিকতা এবং কমেন্ট্রি। এরপর নাইন নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত হন ১৯৭৭ সালে। এছাড়া চ্যানেল ফোর এবং চ্যানেল ফাইভেও কাজ করেছেন রিচি বেনড। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত ৫০০ টেস্টে ধারাভাষ্য দিয়েছেন এই অস্ট্রেলিয়ান।

টনি গ্রেগ। ইংলিশ অধিনায়ক থেকে কমেন্টেটর। খেলোয়াড়ি জীবন শেষে অস্ট্রেলিয়ায় শুরু করেন কমেন্ট্রি। কাজ করেছেন চ্যানেল ফোর এবং স্কাই স্পোর্টসের হয়ে। কমেন্ট্রির পাশাপাশি ‘দ্য টনি গ্রেগ শো’ নামে একটি প্রোগ্রাম করতেন ক্রিকইনফোর জন্য।

২০১৫ বিশ্বকাপে রুবেল হোসেন সেই আগুনে বোলিং। ইংলিশদের শেষ উইকেট ভেঙ্গে যাবার মুহূর্তেই উল্লাসে ফেটে পড়ে গ্যালারি। তার সঙ্গে কমেন্ট্রিবক্স থেকে নাসের হুসাইনের সেই দৃঢ়চেতা, মনকাড়া কমেন্টের মিশেলে তৈরি হয় ভিন্ন এক আবহ।

মাঠের খেলা সাঙ্গ করে যোগ দেন স্কাই স্পোর্টস কমেন্ট্রি টিমের সঙ্গে। ২০১১ সালে ভারত- ইংল্যান্ড ম্যাচের মধ্যদিয়ে ধারাভাষ্যকার হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন নাসের হুসাইন। খেলার প্রতিটা মুহূর্তের বর্ণনা যার বলিষ্ঠ কন্ঠে ঝড়ে পড়ে। বর্তমানে সেরা ভাষ্যকারদের তালিকায় অন্যতম একজন এই নাসের হুসাইন। কমেন্ট্রি ছাড়াও স্কুল ক্রিকেটে কোচিং এর দায়িত্বও পালন করছেন তিনি।

ক্রিকেটার থেকে ধারাভাষ্যকারের খাতায় নাম লিখিয়েছেন মাইকেল হোল্ডিং। যদিও শুরুতে ধারাভাষ্যে আসার পরিকল্পনা ছিলো না ক্যারিবীয় এই ফাস্ট বোলারের। রেডিও জ্যামাইকায় এক বন্ধুর আমন্ত্রণে গিয়ে যুক্ত হয়ে যান এর সঙ্গে। এরপর স্কাই স্পোর্টসের ব্রডকাস্টার হিসেবে কাজ শুরু করেন। এখনো দরাজ কণ্ঠে ক্রিকেটের ধারা বর্ণনা দিয়ে যাচ্ছেন হোল্ডিং।

এতো এতো তারকা ধারাভাষ্যকারের ভিড়ে হারিয়ে যায়নি লাল-সবুজের বাংলাদেশ। ধারাভাষ্যের জগতে বাংলাদেশের নামটা উজ্জ্বল করে রেখেছেন সাবেক ক্রিকেটার আতাহার আলী খান।

বিজে/আই