০৬:৩৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

‘পিএস-এপিএসদের দুর্নীতির দায় ঊর্ধ্বতনদেরও’

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৩:৩১:২৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২০
  • / ৪৪৪২ বার দেখা হয়েছে

মন্ত্রী-এমপিসহ সরকারি কর্মকর্তার পিএস, এপিএস কিংবা পিএ দুর্নীতি করলে সেই দায় ঊর্ধ্বতনদেরও নিতে হবে বলে জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ।

সোমবার সকালে দুদক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এই কথা জানান। দুর্নীতিবিরোধী জাতীয় বিতর্ক প্রতিযোগিতা সম্পর্কে জানাতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন দুদক চেয়ারম্যান।

সম্প্রতি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেকের সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) ড. আরিফুর রহমান শেখ, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকনের এপিএস শেখ কুদ্দুস এবং সরকারদলীয় হুইপ ও চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) আসনের সংসদ সদস্য সামশুল হক চৌধুরীর ব্যক্তিগত কর্মকর্তা (পিএস) নূর উর রশীদ চৌধুরীকে তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

ঢাকা দক্ষিণের মেয়র সাঈদ খোকনের দুর্নীতি অভিযোগের বিষয়ে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ‘ওয়েট অ্যান্ড সি। আমরা কাউকে ডাকতে কার্পণ্য করি না। অভিযুক্তের বক্তব্য জানি এবং তাদের সুযোগ দিই।’ তিনি বলেন, ‘যারা জনগণের হক নষ্ট করে অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন তাদের কোনো ছাড় দেয়া হবে না।’

দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ‘ক্যাসিনোকাণ্ডে এখনো অনেকের নাম প্রকাশ করা হয়নি। অবৈধ সম্পদ অর্জনকারীদেরও নাম রয়েছে, যা তদন্তের স্বার্থে প্রকাশ করা হচ্ছে না।’

ইকবাল মাহমুদ বলেন, ‘দুর্নীতিবাজরা যত বড় পদেই থাকুক কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।’ দুর্নীতি দমন করতে দুদক সক্ষম বলেও দাবি করেন তিনি।

শিক্ষার্থীদের দুর্নীতির নেতিবাচক প্রভাব সম্পর্কে সচেতন করতে দেশের ২৬ হাজার ২১৩টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শুরু হয়েছে দুর্নীতিবিরোধী জাতীয় বিতর্ক প্রতিযোগিতা।

শেয়ার করুন

x
English Version

‘পিএস-এপিএসদের দুর্নীতির দায় ঊর্ধ্বতনদেরও’

আপডেট: ০৩:৩১:২৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২০

মন্ত্রী-এমপিসহ সরকারি কর্মকর্তার পিএস, এপিএস কিংবা পিএ দুর্নীতি করলে সেই দায় ঊর্ধ্বতনদেরও নিতে হবে বলে জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ।

সোমবার সকালে দুদক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এই কথা জানান। দুর্নীতিবিরোধী জাতীয় বিতর্ক প্রতিযোগিতা সম্পর্কে জানাতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন দুদক চেয়ারম্যান।

সম্প্রতি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেকের সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) ড. আরিফুর রহমান শেখ, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকনের এপিএস শেখ কুদ্দুস এবং সরকারদলীয় হুইপ ও চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) আসনের সংসদ সদস্য সামশুল হক চৌধুরীর ব্যক্তিগত কর্মকর্তা (পিএস) নূর উর রশীদ চৌধুরীকে তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

ঢাকা দক্ষিণের মেয়র সাঈদ খোকনের দুর্নীতি অভিযোগের বিষয়ে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ‘ওয়েট অ্যান্ড সি। আমরা কাউকে ডাকতে কার্পণ্য করি না। অভিযুক্তের বক্তব্য জানি এবং তাদের সুযোগ দিই।’ তিনি বলেন, ‘যারা জনগণের হক নষ্ট করে অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন তাদের কোনো ছাড় দেয়া হবে না।’

দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ‘ক্যাসিনোকাণ্ডে এখনো অনেকের নাম প্রকাশ করা হয়নি। অবৈধ সম্পদ অর্জনকারীদেরও নাম রয়েছে, যা তদন্তের স্বার্থে প্রকাশ করা হচ্ছে না।’

ইকবাল মাহমুদ বলেন, ‘দুর্নীতিবাজরা যত বড় পদেই থাকুক কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।’ দুর্নীতি দমন করতে দুদক সক্ষম বলেও দাবি করেন তিনি।

শিক্ষার্থীদের দুর্নীতির নেতিবাচক প্রভাব সম্পর্কে সচেতন করতে দেশের ২৬ হাজার ২১৩টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শুরু হয়েছে দুর্নীতিবিরোধী জাতীয় বিতর্ক প্রতিযোগিতা।