০২:০৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

প্রতি ৩-৪ সপ্তাহে একটি কোম্পানি কিনছে অ্যাপল

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৮:৩৩:৫৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২১
  • / ৪১৫৩ বার দেখা হয়েছে

বিগত ছয় বছরে ১০০টি কোম্পানি কিনেছে অ্যাপল। মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক টেক জায়ান্ট অ্যাপলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা টিম কুক শেয়ারহোল্ডারদের বার্ষিক সভায় এ কথা বলেন। তিনি বলেন, প্রতি ৩ থেকে ৪ সপ্তাহের কমপক্ষে একটি করে কোম্পানি কেনা হয়েছে। 

এক প্রান্তিকে এ যাবৎকালের সর্বোচ্চ আয় হওয়ার কথা সম্প্রতি জানিয়েছে অ্যাপল। কোম্পানিটির দেয়া তথ্য অনুযায়ী ২০২১ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে অ্যাপলের আয় হয়েছে ১১১ কোটি ৪০ লাখ মার্কিন ডলার।

শেয়ারহোল্ডারদের ওই বৈঠকে টিম কুক বলেন, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে প্রযুক্তি ও মেধাবীদের কোম্পানির অন্তর্ভুক্ত করার লক্ষ্যে অ্যাপল এসব কোম্পানির মালিকানা কিনে নিয়েছে। 

গত এক দশকে অ্যাপল যেসব কোম্পানির মালিকানা কিনে নিয়েছে এর মধ্যে সর্ববৃহৎ হলো বিটস ইলেক্ট্রনিক্স। হেডফোন নির্মাতা এই কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা হলেন র‌্যাপার ও প্রযোজক ডিআর ড্রে। বিটস ইলেক্ট্রনিক্স কিনতে অ্যাপল ব্যয় করেছে ৩০০ কোটি ডলার। 

২০১৮ সালে উল্লেখযোগ্য আরেকটি কোম্পানির মালিকানা কেনে অ্যাপল। সেটি গান শনাক্তকরণ সফটওয়্যার নির্মাতা সেজাম। বিবিসি লিখেছে, ছোট ছোট কোম্পানি কিনে তাদের উদ্ভাবন ও প্রযুক্তি নিজেদের প্রোডাক্টে একীভূত করার কাজ প্রায়শই করে অ্যাপল। 

তেমন একটি কোম্পানি হলো প্রাইমসেন্স। ইসরায়েলের এই থ্রিডি সেন্সিং কোম্পানির প্রযুক্তি অ্যাপলের ফেসআইডির উন্নয়নে ভূমিকা রাখে। অ্যাপল ব্যাকএন্ড প্রযুক্তিতেও বিনিয়োগ করেছে; যা এখনো আইফোন ও ম্যাকবুক ব্যবহারকারীদের জন্য অত্যাবশ্যকীয় নয়।

অর্জন ও বিনিয়োগের তালিকা ব্যাপকভাবে বৈচিত্র্যপূর্ণ। গত বছরে তারা কয়েকটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিষয়ক কোম্পানি, একটি ভার্চুয়াল রিয়েলিটির মালিকানা, পেমেন্ট স্টার্টআপ এবং পডকাস্টের মালিকানা কিনে নেয়। এছাড়া ২০১৯ সালে সেলফ ড্রাইভিং সংস্থা ড্রাইভ এআই এবং ২০১৬ সালে অ্যাপল কোম্পানি ১০০ কোটি ডলার দিয়ে চীনা রাইড শেয়ারিং সার্ভিস ডিডি চুক্সিং কেনে। 

অ্যাপল ২ হাজার কোটি ডলারের বেশি মুনাফা অর্জন করেছে ও সেই অর্থে সফটওয়্যার নির্মাতা কোম্পানিটি সামনে রয়েছে আরও অনেক কোম্পানি কেনার সুযোগ। তবে গত ৬ বছরে ১০০ কোম্পনি কেনার পর এখন বেছে বেছে কোম্পানি কিনে নেবে। 
যুক্তরাষ্ট্রের গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেসলার প্রধান নির্বাহী এলন মাস্ক সম্প্রতি বলেন, ইলেক্ট্রিক গাড়ির প্রতিষ্ঠান কেনার জন্য তিনি টিম কুকের কাছে তিনি আবেদন করেছেন। কিন্তু কুক তার সঙ্গে বৈঠক করেননি। 

প্রতিদ্বন্দ্বী অনেক কোম্পানির চেয়ে বিনিয়োগে এগিয়ে রয়েছে অ্যাপল। মাইক্রোসফট লিঙ্কডইন কিনে নিতে ২৬০০ কোটি ডলার, হোলফুডস মার্কেট কেনার জন্য অ্যামাজন ১৩০০ কোটি ৭০ লাখ ডলার এবং হোয়াটসঅ্যাপ কেনার জন্য ফেসবুক ১৯০০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করেছে। উল্লেখ্য, এই তিন কোম্পানির বিনিয়োগের পরিমাণ অ্যাপলের কেনা প্রথম ১০ কোম্পানির তুলনায় নগন্য। 

শেয়ার করুন

x
English Version

প্রতি ৩-৪ সপ্তাহে একটি কোম্পানি কিনছে অ্যাপল

আপডেট: ০৮:৩৩:৫৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২১

বিগত ছয় বছরে ১০০টি কোম্পানি কিনেছে অ্যাপল। মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক টেক জায়ান্ট অ্যাপলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা টিম কুক শেয়ারহোল্ডারদের বার্ষিক সভায় এ কথা বলেন। তিনি বলেন, প্রতি ৩ থেকে ৪ সপ্তাহের কমপক্ষে একটি করে কোম্পানি কেনা হয়েছে। 

এক প্রান্তিকে এ যাবৎকালের সর্বোচ্চ আয় হওয়ার কথা সম্প্রতি জানিয়েছে অ্যাপল। কোম্পানিটির দেয়া তথ্য অনুযায়ী ২০২১ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে অ্যাপলের আয় হয়েছে ১১১ কোটি ৪০ লাখ মার্কিন ডলার।

শেয়ারহোল্ডারদের ওই বৈঠকে টিম কুক বলেন, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে প্রযুক্তি ও মেধাবীদের কোম্পানির অন্তর্ভুক্ত করার লক্ষ্যে অ্যাপল এসব কোম্পানির মালিকানা কিনে নিয়েছে। 

গত এক দশকে অ্যাপল যেসব কোম্পানির মালিকানা কিনে নিয়েছে এর মধ্যে সর্ববৃহৎ হলো বিটস ইলেক্ট্রনিক্স। হেডফোন নির্মাতা এই কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা হলেন র‌্যাপার ও প্রযোজক ডিআর ড্রে। বিটস ইলেক্ট্রনিক্স কিনতে অ্যাপল ব্যয় করেছে ৩০০ কোটি ডলার। 

২০১৮ সালে উল্লেখযোগ্য আরেকটি কোম্পানির মালিকানা কেনে অ্যাপল। সেটি গান শনাক্তকরণ সফটওয়্যার নির্মাতা সেজাম। বিবিসি লিখেছে, ছোট ছোট কোম্পানি কিনে তাদের উদ্ভাবন ও প্রযুক্তি নিজেদের প্রোডাক্টে একীভূত করার কাজ প্রায়শই করে অ্যাপল। 

তেমন একটি কোম্পানি হলো প্রাইমসেন্স। ইসরায়েলের এই থ্রিডি সেন্সিং কোম্পানির প্রযুক্তি অ্যাপলের ফেসআইডির উন্নয়নে ভূমিকা রাখে। অ্যাপল ব্যাকএন্ড প্রযুক্তিতেও বিনিয়োগ করেছে; যা এখনো আইফোন ও ম্যাকবুক ব্যবহারকারীদের জন্য অত্যাবশ্যকীয় নয়।

অর্জন ও বিনিয়োগের তালিকা ব্যাপকভাবে বৈচিত্র্যপূর্ণ। গত বছরে তারা কয়েকটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিষয়ক কোম্পানি, একটি ভার্চুয়াল রিয়েলিটির মালিকানা, পেমেন্ট স্টার্টআপ এবং পডকাস্টের মালিকানা কিনে নেয়। এছাড়া ২০১৯ সালে সেলফ ড্রাইভিং সংস্থা ড্রাইভ এআই এবং ২০১৬ সালে অ্যাপল কোম্পানি ১০০ কোটি ডলার দিয়ে চীনা রাইড শেয়ারিং সার্ভিস ডিডি চুক্সিং কেনে। 

অ্যাপল ২ হাজার কোটি ডলারের বেশি মুনাফা অর্জন করেছে ও সেই অর্থে সফটওয়্যার নির্মাতা কোম্পানিটি সামনে রয়েছে আরও অনেক কোম্পানি কেনার সুযোগ। তবে গত ৬ বছরে ১০০ কোম্পনি কেনার পর এখন বেছে বেছে কোম্পানি কিনে নেবে। 
যুক্তরাষ্ট্রের গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেসলার প্রধান নির্বাহী এলন মাস্ক সম্প্রতি বলেন, ইলেক্ট্রিক গাড়ির প্রতিষ্ঠান কেনার জন্য তিনি টিম কুকের কাছে তিনি আবেদন করেছেন। কিন্তু কুক তার সঙ্গে বৈঠক করেননি। 

প্রতিদ্বন্দ্বী অনেক কোম্পানির চেয়ে বিনিয়োগে এগিয়ে রয়েছে অ্যাপল। মাইক্রোসফট লিঙ্কডইন কিনে নিতে ২৬০০ কোটি ডলার, হোলফুডস মার্কেট কেনার জন্য অ্যামাজন ১৩০০ কোটি ৭০ লাখ ডলার এবং হোয়াটসঅ্যাপ কেনার জন্য ফেসবুক ১৯০০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করেছে। উল্লেখ্য, এই তিন কোম্পানির বিনিয়োগের পরিমাণ অ্যাপলের কেনা প্রথম ১০ কোম্পানির তুলনায় নগন্য।