১১:৫৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪

বর্তমান পরিস্থিতিতে রবির আইপিও চান না বিনিয়োগকারীরা

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৩:২৭:৩২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ নভেম্বর ২০২০
  • / ৪১৬২ বার দেখা হয়েছে

বর্তমান পরিস্থিতিতে রবি আজিয়াটা লিমিটেডের প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) আবেদন শুরু হলে পুঁজিবাজারে ব্যাপক তারল্য সংকট দেখা দিবে। ইতিমধ্যে বাজারে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। তাই বাজার স্থিতিশীল না হওয়া পর্যন্ত রবি’র আইপিও চান না বিনিয়োগকারীরা। তারা কোম্পানিটির আবেদন স্থগিত রাখার দাবি জানিয়েছেন।

আজ ১৬ নভেম্বর মতিঝিলে বিডিবিএল ভবনের সামনে পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী জাতীয় ঐক্য ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত মানব বন্ধনে বিনিয়োগকারীরা এ দাবি জানান।

বিনিয়োগকারীরা বলেন, দেশের পুঁজিবাজার থেকে অর্থ উত্তোলনের অনুমোদন পেয়েছে রবি আজিয়াটা লিমিটেড। আগামী ১৭ নভেম্বর এ কোম্পানির আইপিও আবেদন শুরু হবে। কোম্পানিটি অভিহিত মূল্যে অর্থাৎ প্রতিটি ১০ টাকায় ৫২ কোটি ৩৭ লাখ ৯৩ হাজার ৩৩৪টি শেয়ার ইস্যু করে ৫২৩ কোটি ৭৯ লাখ ৩৩ হাজার ৩৪০ টাকা সংগ্রহ করবে।

টেলিকম খাতের বৃহৎ কোম্পানি রবি এবং এরকম কোম্পানি বাজারে আসুক তা বিনিয়োগকারীরাও চায়। কিন্তু বর্তমান তারল্য সংকটের বাজারে এ মুহূর্ত্বে রবি’র পুঁজিবাজার থেকে এতো বিপুল পরিমাণ টাকা উত্তোলনের সিদ্ধান্ত হবে সম্পূর্ণ আত্মঘাতী। এছাড়া ৩১ ডিসেম্বর ২০১৯ এর আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী রবি’র ইপিএস হয়েছে ৪ পয়সা এবং ওয়েটেড এভারেজ ইপিএস লোকসান ০.১৩ টাকা নিয়ে বাজারে তালিকাভুক্ত হতে চাচ্ছে। কিন্তু বিনিয়োগকারীদের কাছে বিপুল পরিমাণ শেয়ার ইস্যুর পর এ কোম্পানির ইপিএস কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে তা সহজেই অনুমেয়। তাই পুঁজিবাজার স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত এ মূহূর্তে রবির আইপিও আবেদন শুরু না করে আগামী বছর চালু করা উচিত বলে মনে করেন ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীরা।

এ ব্যাপারে পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী জাতীয় ঐক্য ফাউন্ডেশনের সভাপতি মো. রুহুল আমিন আকন্দ মানব বন্ধনে বলেন, বর্তমান বাজারে রবি’র আইপিও ইস্যুকে কেন্দ্র করে সিকিউরিটিজ হাউজ ও মার্চেন্ট ব্যাংক থেকে শুরু করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান শেয়ার বিক্রি করে নগদ টাকা হাতে রেখে দিয়েছে। বিনিয়োগকারীদেরও রবি’র আইপিওতে আবেদন করার জন্য বিভিন্ন হাউজ থেকে এক প্রকার চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে। যে কারণে বর্তমান বাজারে তারল্য সংকট তৈরি হয়েছে যা নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। এতে সেকেন্ডারি মার্কেটের বিনিয়োগকারীরা অনেক ক্ষতির মুখে পড়ছেন। তাই পুঁজিবাজার গতিশীল না হওয়া পর্যন্ত রবি’র আইপিও স্থগিত রাখা উচিত বলে মনে করেন তিনি।

শেয়ার করুন

x
English Version

বর্তমান পরিস্থিতিতে রবির আইপিও চান না বিনিয়োগকারীরা

আপডেট: ০৩:২৭:৩২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ নভেম্বর ২০২০

বর্তমান পরিস্থিতিতে রবি আজিয়াটা লিমিটেডের প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) আবেদন শুরু হলে পুঁজিবাজারে ব্যাপক তারল্য সংকট দেখা দিবে। ইতিমধ্যে বাজারে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। তাই বাজার স্থিতিশীল না হওয়া পর্যন্ত রবি’র আইপিও চান না বিনিয়োগকারীরা। তারা কোম্পানিটির আবেদন স্থগিত রাখার দাবি জানিয়েছেন।

আজ ১৬ নভেম্বর মতিঝিলে বিডিবিএল ভবনের সামনে পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী জাতীয় ঐক্য ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত মানব বন্ধনে বিনিয়োগকারীরা এ দাবি জানান।

বিনিয়োগকারীরা বলেন, দেশের পুঁজিবাজার থেকে অর্থ উত্তোলনের অনুমোদন পেয়েছে রবি আজিয়াটা লিমিটেড। আগামী ১৭ নভেম্বর এ কোম্পানির আইপিও আবেদন শুরু হবে। কোম্পানিটি অভিহিত মূল্যে অর্থাৎ প্রতিটি ১০ টাকায় ৫২ কোটি ৩৭ লাখ ৯৩ হাজার ৩৩৪টি শেয়ার ইস্যু করে ৫২৩ কোটি ৭৯ লাখ ৩৩ হাজার ৩৪০ টাকা সংগ্রহ করবে।

টেলিকম খাতের বৃহৎ কোম্পানি রবি এবং এরকম কোম্পানি বাজারে আসুক তা বিনিয়োগকারীরাও চায়। কিন্তু বর্তমান তারল্য সংকটের বাজারে এ মুহূর্ত্বে রবি’র পুঁজিবাজার থেকে এতো বিপুল পরিমাণ টাকা উত্তোলনের সিদ্ধান্ত হবে সম্পূর্ণ আত্মঘাতী। এছাড়া ৩১ ডিসেম্বর ২০১৯ এর আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী রবি’র ইপিএস হয়েছে ৪ পয়সা এবং ওয়েটেড এভারেজ ইপিএস লোকসান ০.১৩ টাকা নিয়ে বাজারে তালিকাভুক্ত হতে চাচ্ছে। কিন্তু বিনিয়োগকারীদের কাছে বিপুল পরিমাণ শেয়ার ইস্যুর পর এ কোম্পানির ইপিএস কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে তা সহজেই অনুমেয়। তাই পুঁজিবাজার স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত এ মূহূর্তে রবির আইপিও আবেদন শুরু না করে আগামী বছর চালু করা উচিত বলে মনে করেন ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীরা।

এ ব্যাপারে পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী জাতীয় ঐক্য ফাউন্ডেশনের সভাপতি মো. রুহুল আমিন আকন্দ মানব বন্ধনে বলেন, বর্তমান বাজারে রবি’র আইপিও ইস্যুকে কেন্দ্র করে সিকিউরিটিজ হাউজ ও মার্চেন্ট ব্যাংক থেকে শুরু করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান শেয়ার বিক্রি করে নগদ টাকা হাতে রেখে দিয়েছে। বিনিয়োগকারীদেরও রবি’র আইপিওতে আবেদন করার জন্য বিভিন্ন হাউজ থেকে এক প্রকার চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে। যে কারণে বর্তমান বাজারে তারল্য সংকট তৈরি হয়েছে যা নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। এতে সেকেন্ডারি মার্কেটের বিনিয়োগকারীরা অনেক ক্ষতির মুখে পড়ছেন। তাই পুঁজিবাজার গতিশীল না হওয়া পর্যন্ত রবি’র আইপিও স্থগিত রাখা উচিত বলে মনে করেন তিনি।