০৫:৪৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪

বহুজাতিক কোম্পানিকে তালিকাভুক্ত করতে করের ব্যবধান বাড়াতে হবে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৩:১৮:০২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ ফেব্রুয়ারী ২০২১
  • / ৪১১২ বার দেখা হয়েছে

আগামী বাজেটে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ও অতালিকাভুক্ত কোম্পানির মধ্যে করের ব্যবধান ১৫% করতে প্রস্তাব দেওয়া হ‌বে ব‌লে জা‌নি‌য়ে‌ছেন নিয়ন্ত্রণ সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল ইসলাম।

মঙ্গলবার আগারগাঁওয়ে বিএসইসির নিজস্ব কার্যালয়ে দুবাই‌তে রোড শো উপ‌লক্ষে আয়ো‌জিত সংবাদ সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্ত‌ব্যে তি‌নি একথা বলেন।

চেয়ারম্যান বলেন, বহুজাতিক কোম্পানিগুলোকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত করতে হলে করপোরেট করের ব্যবধান বাড়াতে হবে। আগে তালিকা বহির্ভূত করের ব্যবধান ১০ শতাংশ থাকলেও চলতি বাজেটে সেটি কমিয়ে সাড়ে ৭ শতাংশ করা হয়েছে। এতে করে বহুজাতিক কোম্পানিগুলো পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হতে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে। এজন্য বহুজাতিক কোম্পানিগুলোকে পুঁজিবাজারে আনতে এ দুই ক্যাটাগ‌রির করপোরেট করের ব্যবধান বাড়াতে হবে।

তিনি আরো বলেন, বহুজাতিক কোম্পানিগুলো পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হলে তাদের রুলস রেগুলেশনের মানতে দুই থেকে তিন শতাংশ আরো খরচ বেড়ে যাবে। এতে করে তারা তালিকাভুক্ত হতে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে। তাছাড়া বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর টাকার প্রয়োজন হয় না। তাদের অতিরিক্ত অর্থ রয়েছে। যে কারণে তাদের কিছু ইনসেনটিভ দিতে হয়। এ ক্ষেত্রে তাদের ইনসেনটিভ দেয়ার একমাত্র উপায় কর ছাড়। কর্পোরেট কর হারের ব্যবধান ১৫ শতাংশ করা হলে তারা তালিকাভুক্ত হওয়ায় ক্ষেত্রে আগ্রহী হবে।

দুবাইতে আয়োজিত রোড শো এর বিষয়ে তিনি বলেন, দুবাইতে আয়োজিত প্রতিটি প্রোগ্রাম ভিন্ন ফ্লেভার থাকবে। সেখানে বাংলাদেশকে পজেটিভ ভাবে তুলে ধরা হবে। এ আমরা আশাকরি এতে বিনিয়োগ আসবে।

বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্বাহী পরিচালক মাহবুবুল আলম বলেন, বিদেশী বিনিয়োগকারী এবং এনআরবিদের সামনে আমাদের ক্যাপিটাল মার্কেট তুলে ধরতে হবে। রোড শো’র মাধ্যমে বিদেশী বিনিয়োগ অনেক বাড়বে এবং ক্যাপিটাল মার্কেটের ডেভলমেন্ট হবে।

মাহবুব আলম বলেন, বাংলাদেশের ইকোনোমিক গ্রোথ খুবই ভালো। দেশের ইকোনোমিক গ্রোথের সাথে আমাদের ক্যাপিটাল মার্কেট পিছিয়ে আছে। বিভিন্ন দেশের ইকোনোমিক গ্রোথের সাথে সাথে কিন্তু ক্যাপিটাল মার্কেট ডেভলেপ করে এবং ক্যাপিটাল মার্কেট থেকে মূলত লংটার্ম ফাইন্যান্সিং হয়ে থাকে। আমরা আমাদের অন্যান্য উন্নত ইকোনোমির মতো ডেভলপিং হয়েছে সেইভাবে আমাদের ক্যাপিটাল মার্কেটে কন্ট্রিবিউশনটা বাড়াতে চাই। ফাইন্যান্সিংয়ের জন্য দেশি বিনিয়োগ বাড়ছে তবে বিদেশী বিনিয়োগটা কমে হচ্ছে। কারণ এখানে আমাদের যারা এনআরবিরা আছেন বিদেশে। আপনারা যানেন আমাদের ইদানিং রেমিটেন্স বেড়েছে করোনার পরেও। আর করোনা পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন দেশে ইকোনোমিকে কিন্তু অনেক ক্রাইসিস আছে। ইনভেস্টমেন্ট বা রিটার্ন ইনভেস্টমেন্ট অনেক দেশে নেগেটিভ হয়ে গেছে। কাজেই ফরেন ইনভেস্টররা বাংলাদেশের প্রতি ইন্টারেস্টেড। বাংলাদেশ কিন্তু করোনার পরে অনেক তারাতারি এটাকে রিকভার করেছে এবং আমরা আবার গ্রোথ স্টেজে চলে গেছি। আমাদের রিটার্ন ইনভেস্টমেন্ট সেটাও কিন্তু ভালো।

এসময় নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ রেজাউল করিম উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন

x
English Version

বহুজাতিক কোম্পানিকে তালিকাভুক্ত করতে করের ব্যবধান বাড়াতে হবে

আপডেট: ০৩:১৮:০২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ ফেব্রুয়ারী ২০২১

আগামী বাজেটে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ও অতালিকাভুক্ত কোম্পানির মধ্যে করের ব্যবধান ১৫% করতে প্রস্তাব দেওয়া হ‌বে ব‌লে জা‌নি‌য়ে‌ছেন নিয়ন্ত্রণ সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল ইসলাম।

মঙ্গলবার আগারগাঁওয়ে বিএসইসির নিজস্ব কার্যালয়ে দুবাই‌তে রোড শো উপ‌লক্ষে আয়ো‌জিত সংবাদ সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্ত‌ব্যে তি‌নি একথা বলেন।

চেয়ারম্যান বলেন, বহুজাতিক কোম্পানিগুলোকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত করতে হলে করপোরেট করের ব্যবধান বাড়াতে হবে। আগে তালিকা বহির্ভূত করের ব্যবধান ১০ শতাংশ থাকলেও চলতি বাজেটে সেটি কমিয়ে সাড়ে ৭ শতাংশ করা হয়েছে। এতে করে বহুজাতিক কোম্পানিগুলো পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হতে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে। এজন্য বহুজাতিক কোম্পানিগুলোকে পুঁজিবাজারে আনতে এ দুই ক্যাটাগ‌রির করপোরেট করের ব্যবধান বাড়াতে হবে।

তিনি আরো বলেন, বহুজাতিক কোম্পানিগুলো পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হলে তাদের রুলস রেগুলেশনের মানতে দুই থেকে তিন শতাংশ আরো খরচ বেড়ে যাবে। এতে করে তারা তালিকাভুক্ত হতে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে। তাছাড়া বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর টাকার প্রয়োজন হয় না। তাদের অতিরিক্ত অর্থ রয়েছে। যে কারণে তাদের কিছু ইনসেনটিভ দিতে হয়। এ ক্ষেত্রে তাদের ইনসেনটিভ দেয়ার একমাত্র উপায় কর ছাড়। কর্পোরেট কর হারের ব্যবধান ১৫ শতাংশ করা হলে তারা তালিকাভুক্ত হওয়ায় ক্ষেত্রে আগ্রহী হবে।

দুবাইতে আয়োজিত রোড শো এর বিষয়ে তিনি বলেন, দুবাইতে আয়োজিত প্রতিটি প্রোগ্রাম ভিন্ন ফ্লেভার থাকবে। সেখানে বাংলাদেশকে পজেটিভ ভাবে তুলে ধরা হবে। এ আমরা আশাকরি এতে বিনিয়োগ আসবে।

বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্বাহী পরিচালক মাহবুবুল আলম বলেন, বিদেশী বিনিয়োগকারী এবং এনআরবিদের সামনে আমাদের ক্যাপিটাল মার্কেট তুলে ধরতে হবে। রোড শো’র মাধ্যমে বিদেশী বিনিয়োগ অনেক বাড়বে এবং ক্যাপিটাল মার্কেটের ডেভলমেন্ট হবে।

মাহবুব আলম বলেন, বাংলাদেশের ইকোনোমিক গ্রোথ খুবই ভালো। দেশের ইকোনোমিক গ্রোথের সাথে আমাদের ক্যাপিটাল মার্কেট পিছিয়ে আছে। বিভিন্ন দেশের ইকোনোমিক গ্রোথের সাথে সাথে কিন্তু ক্যাপিটাল মার্কেট ডেভলেপ করে এবং ক্যাপিটাল মার্কেট থেকে মূলত লংটার্ম ফাইন্যান্সিং হয়ে থাকে। আমরা আমাদের অন্যান্য উন্নত ইকোনোমির মতো ডেভলপিং হয়েছে সেইভাবে আমাদের ক্যাপিটাল মার্কেটে কন্ট্রিবিউশনটা বাড়াতে চাই। ফাইন্যান্সিংয়ের জন্য দেশি বিনিয়োগ বাড়ছে তবে বিদেশী বিনিয়োগটা কমে হচ্ছে। কারণ এখানে আমাদের যারা এনআরবিরা আছেন বিদেশে। আপনারা যানেন আমাদের ইদানিং রেমিটেন্স বেড়েছে করোনার পরেও। আর করোনা পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন দেশে ইকোনোমিকে কিন্তু অনেক ক্রাইসিস আছে। ইনভেস্টমেন্ট বা রিটার্ন ইনভেস্টমেন্ট অনেক দেশে নেগেটিভ হয়ে গেছে। কাজেই ফরেন ইনভেস্টররা বাংলাদেশের প্রতি ইন্টারেস্টেড। বাংলাদেশ কিন্তু করোনার পরে অনেক তারাতারি এটাকে রিকভার করেছে এবং আমরা আবার গ্রোথ স্টেজে চলে গেছি। আমাদের রিটার্ন ইনভেস্টমেন্ট সেটাও কিন্তু ভালো।

এসময় নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ রেজাউল করিম উপস্থিত ছিলেন।