০৮:০৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

বাজেটে ঋণ বাড়িয়ে মন্দার ধাক্কা মোকাবেলার কৌশল

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০২:৪৪:৩৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ জুন ২০২০
  • / ৪২৪৩ বার দেখা হয়েছে

করোনার প্রভাবে সৃষ্ট অর্থনৈতিক মন্দা কাটিয়ে ওঠার জন্য আগামী ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে দেশের সার্বিক ঋণপ্রবাহ বাড়ানোর কৌশল নেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে চলতি অর্থবছরেও ঋণের প্রবাহ বাড়ানো হচ্ছে।

এসব ঋণের অর্থ বিভিন্ন খাতের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দেয়া হবে। এর ফলে মানুষের হাতে টাকার প্রবাহ বাড়বে। এতে বাড়বে তাদের ক্রয়ক্ষমতা। ফলে বেচাকেনার পরিমাণ বাড়বে। এতে দেশের শিল্প ও কৃষি খাত চাঙ্গা হবে। এর মাধ্যমে অর্থনীতিকে স্বাভাবিক ধারায় ফিরিয়ে আনা হবে। অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের তৈরি মধ্যমেয়াদি বাজেট কাঠামোর প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

করোনার প্রভাবে ইতোমধ্যে দেশের অর্থনীতিতে মন্দা দেখা দিয়েছে। এর প্রভাবে অভ্যন্তরীণ ঋণপ্রবাহসহ বেসরকারি খাতে ঋণের জোগান কমে গেছে। সরকারের রাজস্ব ও অন্য সব ধরনের আয় কমে যাওয়ায় এখন বিভিন্ন উৎস থেকে ঋণ দিয়ে চলতি ব্যয় মেটাচ্ছে। এতে সরকারি খাতে ঋণপ্রবাহ বেড়েছে। কিন্তু বেসরকারি খাতে কমে গেছে। ফলে সরকারি টাকা যেমন অনুৎপাদনশীল খাতে যাচ্ছে, তেমনি বেসরকারি খাতে ঋণপ্রবাহ কমায় উৎপাদনশীল খাতে টাকার প্রবাহ যাচ্ছে না। এই অবস্থা থেকে অর্থনীতি উদ্ধার করতে ঋণপ্রবাহ বাড়ানোর কৌশল নিয়েছে সরকার।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বিশ্বব্যাংক ঢাকা অফিসের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বৃহস্পতিবার যুগান্তরকে বলেন, বর্তমান পরিস্থিতি মোকাবেলায় ঋণপ্রবাহ বাড়াতে হবে কিন্তু সরকার যদি ব্যাংক থেকে ঋণ নেয়, তাহলে ব্যাংকাররা খুশিই হবেন। কেননা তারা যদি সরকারকে ঋণ দিতে পারে তাহলে সেখান থেকে প্রায় ৯ শতাংশ হারে সুদ পাবেন। এই ঋণ সম্পূর্ণ ঝুঁকিমুক্ত। তাছাড়া আগামী অর্থবছর বেসরকারি বিনিয়োগ এবং বহিঃবাণিজ্য কম থাকবে। ফলে বেসরকারি পর্যায়ে ব্যাংক ঋণের চাহিদা কম থাকবে। সেই সঙ্গে ব্যক্তিঋণ এবং হাউস ঋণের চাহিদাও কম থাকবে। কেননা রেমিটেন্স কম আসবে। এসব কারণে ব্যাংকগুলো সরকারকেই বেশি ঋণ দিতে আগ্রহ দেখাবে। কিন্তু এতে করে করোনা মোকাবেলায় যেসব প্রণোদনা প্যাকেজ ব্যাংকের মাধ্যমে বাস্তবায়নের কথা সেগুলোয় আগ্রহ থাকবে না। কেননা সেখানে সুদ কম পাওয়া এবং ঋণ ফেরত পাওয়ার ঝুঁকি অত্যন্ত বেশি। তবে সরকার বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে সরাসরি ঋণ নিতে পারে; কিন্তু সেটিও বেশিদিন চলতে থাকলে সামষ্টিক অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।

তিনি আরও বলেন, তবে অর্থনৈতিক সংকট কাটানোর জন্য বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে খরচের ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। বিলাসবহুল খরচ, এডিপিতে যেসব কম গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প রয়েছে সেগুলো স্থগিত করা, রাজস্বের ক্ষেত্রে যেসব লিংকেজ আছে সেগুলো বন্ধ করা এবং সহজ শর্তের বৈদেশিক ঋণ গ্রহণ করতে পারে।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদন থেকে পাওয়া তথ্যে দেখা যায়, চলতি অর্থবছরে দেশে অভ্যন্তরীণ ঋণপ্রবাহ বাড়ানোর লক্ষ্যমাত্রা ছিল সাড়ে ১৪ শতাংশ। করোনার থাবা থেকে অর্থনীতিকে উদ্ধার করতে এই ঋণপ্রবাহ আরও বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। আগামী ৩০ জুনের মধ্যে তা বাড়িয়ে ১৭ দশমিক ২৮ শতাংশ পর্যন্ত নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। আগামী অর্থবছরের বাজেটে তা আরও বাড়িয়ে ১৭ দশমিক ৬০ শতাংশ করার লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন থেকে দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের গত জুলাই-ফেব্রুয়ারি সময়ে ঋণপ্রবাহ বেড়েছে ৯ দশমিক ০৯ শতাংশ। গত অর্থবছরের একই সময়ে বেড়েছিল ৬ দশমিক ৪১ শতাংশ। ঋণপ্রবাহ বাড়াতে ইতোমধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে প্রায় দেড় লাখ কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে। এর মধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে জোগান দেয়া হবে ৭৫ হাজার কোটি টাকা। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অর্থকে বলা হয় ‘হাই পাওয়ারড বা উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন অর্থ’। যা বাজারে গিয়ে দ্বিগুণ থেকে আড়াই গুণ টাকার সৃষ্টি করে। এর ফলে বাজারে টাকার প্রবাহ বেড়ে যাবে।

মধ্যমেয়াদি বাজেট কাঠামোর প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি অর্থবছরের বাজেটে বেসরকারি খাতে ঋণপ্রবাহ বাড়ানোর লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১৬ দশমিক ৬০ শতাংশ। সংশোধিত বাজেটে তা আরও কমিয়ে ১৪ দশমিক ৮০ শতাংশ করা হয়েছে। বেসরকারি খাতে ঋণের চাহিদা কম বলে এ লক্ষ্যমাত্রা কমানো হয়েছে। মন্দা কাটিয়ে যাতে বেসরকারি খাত ঘুরে দাঁড়াতে পারে সে জন্য আগামী অর্থবছরে প্রস্তাবিত বাজেটে তা বাড়িয়ে ১৬ দশমিক ৭০ শতাংশ পর্যন্ত নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।

এদিকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদনে দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের গত জুলাই থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বেসরকারি খাতে ঋণপ্রবাহ বেড়েছে মাত্র ৪ দশমিক ৮১ শতাংশ। গত অর্থবছরের একই সময়ে বেড়েছিল ৬ দশমিক ৯২ শতাংশ। তবে চাহিদা থাকলে ঋণের জোগান বাড়ানোর জন্য বেসরকারি খাতের উদ্যোক্তাদের জন্য প্রায় ৮০ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে। এসব প্যাকেজ থেকে বেসরকারি খাতের উদ্যোক্তাদের ঋণ দেয়া হবে। মধ্যমেয়াদি বাজেট কাঠামোর প্রতিবেদন অনুযায়ী সরকারি খাতে ঋণপ্রবাহ বাড়ানোর লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২৪ দশমিক ৩ শতাংশ। চলতি অর্থবছর শেষে তা বাড়ানো হবে।

শেয়ার করুন

x
English Version

বাজেটে ঋণ বাড়িয়ে মন্দার ধাক্কা মোকাবেলার কৌশল

আপডেট: ০২:৪৪:৩৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ জুন ২০২০

করোনার প্রভাবে সৃষ্ট অর্থনৈতিক মন্দা কাটিয়ে ওঠার জন্য আগামী ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে দেশের সার্বিক ঋণপ্রবাহ বাড়ানোর কৌশল নেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে চলতি অর্থবছরেও ঋণের প্রবাহ বাড়ানো হচ্ছে।

এসব ঋণের অর্থ বিভিন্ন খাতের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দেয়া হবে। এর ফলে মানুষের হাতে টাকার প্রবাহ বাড়বে। এতে বাড়বে তাদের ক্রয়ক্ষমতা। ফলে বেচাকেনার পরিমাণ বাড়বে। এতে দেশের শিল্প ও কৃষি খাত চাঙ্গা হবে। এর মাধ্যমে অর্থনীতিকে স্বাভাবিক ধারায় ফিরিয়ে আনা হবে। অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের তৈরি মধ্যমেয়াদি বাজেট কাঠামোর প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

করোনার প্রভাবে ইতোমধ্যে দেশের অর্থনীতিতে মন্দা দেখা দিয়েছে। এর প্রভাবে অভ্যন্তরীণ ঋণপ্রবাহসহ বেসরকারি খাতে ঋণের জোগান কমে গেছে। সরকারের রাজস্ব ও অন্য সব ধরনের আয় কমে যাওয়ায় এখন বিভিন্ন উৎস থেকে ঋণ দিয়ে চলতি ব্যয় মেটাচ্ছে। এতে সরকারি খাতে ঋণপ্রবাহ বেড়েছে। কিন্তু বেসরকারি খাতে কমে গেছে। ফলে সরকারি টাকা যেমন অনুৎপাদনশীল খাতে যাচ্ছে, তেমনি বেসরকারি খাতে ঋণপ্রবাহ কমায় উৎপাদনশীল খাতে টাকার প্রবাহ যাচ্ছে না। এই অবস্থা থেকে অর্থনীতি উদ্ধার করতে ঋণপ্রবাহ বাড়ানোর কৌশল নিয়েছে সরকার।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বিশ্বব্যাংক ঢাকা অফিসের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বৃহস্পতিবার যুগান্তরকে বলেন, বর্তমান পরিস্থিতি মোকাবেলায় ঋণপ্রবাহ বাড়াতে হবে কিন্তু সরকার যদি ব্যাংক থেকে ঋণ নেয়, তাহলে ব্যাংকাররা খুশিই হবেন। কেননা তারা যদি সরকারকে ঋণ দিতে পারে তাহলে সেখান থেকে প্রায় ৯ শতাংশ হারে সুদ পাবেন। এই ঋণ সম্পূর্ণ ঝুঁকিমুক্ত। তাছাড়া আগামী অর্থবছর বেসরকারি বিনিয়োগ এবং বহিঃবাণিজ্য কম থাকবে। ফলে বেসরকারি পর্যায়ে ব্যাংক ঋণের চাহিদা কম থাকবে। সেই সঙ্গে ব্যক্তিঋণ এবং হাউস ঋণের চাহিদাও কম থাকবে। কেননা রেমিটেন্স কম আসবে। এসব কারণে ব্যাংকগুলো সরকারকেই বেশি ঋণ দিতে আগ্রহ দেখাবে। কিন্তু এতে করে করোনা মোকাবেলায় যেসব প্রণোদনা প্যাকেজ ব্যাংকের মাধ্যমে বাস্তবায়নের কথা সেগুলোয় আগ্রহ থাকবে না। কেননা সেখানে সুদ কম পাওয়া এবং ঋণ ফেরত পাওয়ার ঝুঁকি অত্যন্ত বেশি। তবে সরকার বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে সরাসরি ঋণ নিতে পারে; কিন্তু সেটিও বেশিদিন চলতে থাকলে সামষ্টিক অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।

তিনি আরও বলেন, তবে অর্থনৈতিক সংকট কাটানোর জন্য বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে খরচের ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। বিলাসবহুল খরচ, এডিপিতে যেসব কম গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প রয়েছে সেগুলো স্থগিত করা, রাজস্বের ক্ষেত্রে যেসব লিংকেজ আছে সেগুলো বন্ধ করা এবং সহজ শর্তের বৈদেশিক ঋণ গ্রহণ করতে পারে।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদন থেকে পাওয়া তথ্যে দেখা যায়, চলতি অর্থবছরে দেশে অভ্যন্তরীণ ঋণপ্রবাহ বাড়ানোর লক্ষ্যমাত্রা ছিল সাড়ে ১৪ শতাংশ। করোনার থাবা থেকে অর্থনীতিকে উদ্ধার করতে এই ঋণপ্রবাহ আরও বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। আগামী ৩০ জুনের মধ্যে তা বাড়িয়ে ১৭ দশমিক ২৮ শতাংশ পর্যন্ত নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। আগামী অর্থবছরের বাজেটে তা আরও বাড়িয়ে ১৭ দশমিক ৬০ শতাংশ করার লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন থেকে দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের গত জুলাই-ফেব্রুয়ারি সময়ে ঋণপ্রবাহ বেড়েছে ৯ দশমিক ০৯ শতাংশ। গত অর্থবছরের একই সময়ে বেড়েছিল ৬ দশমিক ৪১ শতাংশ। ঋণপ্রবাহ বাড়াতে ইতোমধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে প্রায় দেড় লাখ কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে। এর মধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে জোগান দেয়া হবে ৭৫ হাজার কোটি টাকা। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অর্থকে বলা হয় ‘হাই পাওয়ারড বা উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন অর্থ’। যা বাজারে গিয়ে দ্বিগুণ থেকে আড়াই গুণ টাকার সৃষ্টি করে। এর ফলে বাজারে টাকার প্রবাহ বেড়ে যাবে।

মধ্যমেয়াদি বাজেট কাঠামোর প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি অর্থবছরের বাজেটে বেসরকারি খাতে ঋণপ্রবাহ বাড়ানোর লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১৬ দশমিক ৬০ শতাংশ। সংশোধিত বাজেটে তা আরও কমিয়ে ১৪ দশমিক ৮০ শতাংশ করা হয়েছে। বেসরকারি খাতে ঋণের চাহিদা কম বলে এ লক্ষ্যমাত্রা কমানো হয়েছে। মন্দা কাটিয়ে যাতে বেসরকারি খাত ঘুরে দাঁড়াতে পারে সে জন্য আগামী অর্থবছরে প্রস্তাবিত বাজেটে তা বাড়িয়ে ১৬ দশমিক ৭০ শতাংশ পর্যন্ত নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।

এদিকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদনে দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের গত জুলাই থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বেসরকারি খাতে ঋণপ্রবাহ বেড়েছে মাত্র ৪ দশমিক ৮১ শতাংশ। গত অর্থবছরের একই সময়ে বেড়েছিল ৬ দশমিক ৯২ শতাংশ। তবে চাহিদা থাকলে ঋণের জোগান বাড়ানোর জন্য বেসরকারি খাতের উদ্যোক্তাদের জন্য প্রায় ৮০ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে। এসব প্যাকেজ থেকে বেসরকারি খাতের উদ্যোক্তাদের ঋণ দেয়া হবে। মধ্যমেয়াদি বাজেট কাঠামোর প্রতিবেদন অনুযায়ী সরকারি খাতে ঋণপ্রবাহ বাড়ানোর লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২৪ দশমিক ৩ শতাংশ। চলতি অর্থবছর শেষে তা বাড়ানো হবে।