০৩:১৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

বিক্ষোভ করলে ২০ বছরের জেল!

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০১:০৮:০৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২১
  • / ৪১৪৫ বার দেখা হয়েছে

সামরিক অভ্যুত্থান বিরোধী বিক্ষোভ দমনে কঠোর অবস্থান নিয়েছে মিয়ানমারের জান্তা সরকার। সামরিক বাহিনীকে বাধা দিলে ২০ বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে বলে সতর্কতা দেওয়া হয়েছে।

আজ সোমবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ওয়েবসাইটে এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বৃটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

এতে বলা হয়, সেনাশাসকদের বিরুদ্ধে ঘৃণা ও বিদ্বেষ ছড়ানো হলে দীর্ঘ কারাবাস ও জরিমানা করা হবে।

বিবৃতিতে বলা হয়, বক্তব্য, লেখা ও কথার মাধ্যমে বা কোনো কিছু স্বাক্ষর করে বা দৃশ্যমান উপস্থাপনার মাধ্যমে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে ঘৃণা প্রচার করা হলে লম্বা জেল জরিমানা দেওয়া হবে।

১ ফেব্রুয়ারি সামরিক অভ্যুত্থান করে মিয়ানমারের নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে সেনাবাহিনী। গ্রেপ্তার করা হয় গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সান সু চি, দেশটির প্রেসিডেন্ট উইন মিন্টসহ ক্ষমতাসীন দল এনএলডির শীর্ষ নেতা ও মন্ত্রীদের।

এক বছরের জরুরি অবস্থা জারি করে রাষ্ট্রের সকল ক্ষমতা নিজের হাতে তুলে নেন সেনাপ্রধান মিন অং হ্লাইয়াং।
এরপর থেকে রাজধানী নেইপিদোসহ দেশটি জুড়ে টানা বিক্ষোভ চালিয়ে আসছে জনতা। এক দশকেরও বেশি সময়ের পর সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ দেখে মিয়ানমার।

বিক্ষোভকারীরা ক্ষমতাচ্যুত ও গৃহবন্দী নেতা অং সান সু চি-র মুক্তি ও গণতন্ত্র পুনর্বহালের দাবি করছেন। পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ওপর জলকামান, রাবার বুলেট ও গুলি চালালে বিক্ষোভ আরও বড় আকার নেয়।

এমন পরিস্থিতিতে, বিক্ষোভ দমন করতে নতুন নির্দেশনা জারি করল জান্তা সরকার। দায়িত্ব পালনে নিরাপত্তা বাহিনীকে বাধা দিলে সাত বছরের জেল দেওয়া হবে, প্রকাশ্যে বিশৃঙ্খলা ও জনগণের মধ্যে ভীতি সঞ্চার করলে হবে তিন বছর জেল। এভাবে সর্বোচ্চ ২০ বছর পর্যন্ত জেল ও জরিমানার আইন করেছে সেনাশাসকরা।

শেয়ার করুন

x
English Version

বিক্ষোভ করলে ২০ বছরের জেল!

আপডেট: ০১:০৮:০৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২১

সামরিক অভ্যুত্থান বিরোধী বিক্ষোভ দমনে কঠোর অবস্থান নিয়েছে মিয়ানমারের জান্তা সরকার। সামরিক বাহিনীকে বাধা দিলে ২০ বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে বলে সতর্কতা দেওয়া হয়েছে।

আজ সোমবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ওয়েবসাইটে এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বৃটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

এতে বলা হয়, সেনাশাসকদের বিরুদ্ধে ঘৃণা ও বিদ্বেষ ছড়ানো হলে দীর্ঘ কারাবাস ও জরিমানা করা হবে।

বিবৃতিতে বলা হয়, বক্তব্য, লেখা ও কথার মাধ্যমে বা কোনো কিছু স্বাক্ষর করে বা দৃশ্যমান উপস্থাপনার মাধ্যমে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে ঘৃণা প্রচার করা হলে লম্বা জেল জরিমানা দেওয়া হবে।

১ ফেব্রুয়ারি সামরিক অভ্যুত্থান করে মিয়ানমারের নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে সেনাবাহিনী। গ্রেপ্তার করা হয় গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সান সু চি, দেশটির প্রেসিডেন্ট উইন মিন্টসহ ক্ষমতাসীন দল এনএলডির শীর্ষ নেতা ও মন্ত্রীদের।

এক বছরের জরুরি অবস্থা জারি করে রাষ্ট্রের সকল ক্ষমতা নিজের হাতে তুলে নেন সেনাপ্রধান মিন অং হ্লাইয়াং।
এরপর থেকে রাজধানী নেইপিদোসহ দেশটি জুড়ে টানা বিক্ষোভ চালিয়ে আসছে জনতা। এক দশকেরও বেশি সময়ের পর সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ দেখে মিয়ানমার।

বিক্ষোভকারীরা ক্ষমতাচ্যুত ও গৃহবন্দী নেতা অং সান সু চি-র মুক্তি ও গণতন্ত্র পুনর্বহালের দাবি করছেন। পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ওপর জলকামান, রাবার বুলেট ও গুলি চালালে বিক্ষোভ আরও বড় আকার নেয়।

এমন পরিস্থিতিতে, বিক্ষোভ দমন করতে নতুন নির্দেশনা জারি করল জান্তা সরকার। দায়িত্ব পালনে নিরাপত্তা বাহিনীকে বাধা দিলে সাত বছরের জেল দেওয়া হবে, প্রকাশ্যে বিশৃঙ্খলা ও জনগণের মধ্যে ভীতি সঞ্চার করলে হবে তিন বছর জেল। এভাবে সর্বোচ্চ ২০ বছর পর্যন্ত জেল ও জরিমানার আইন করেছে সেনাশাসকরা।