০৫:৪৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

বিধিনিষেধেও রাজধানীতে তীব্র যানজট

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৪:২৪:২০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ এপ্রিল ২০২১
  • / ৪১৪১ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সরকার ঘোষিত বিধিনিষেধের সপ্তম দিন আজ। চলমান এই বিধিনিষেধেও রাজধানীতে যানজট দেখা গেছে। রাজধানীতে যানবাহন চলাচল দেখে মনে হয়নি দেশে বিধিনিষেধ চলছে।

রোববার (১১ এপ্রিল) মিরপুর, ফার্মগেট, কাওরান বাজার, শাহবাগ, গুলিস্তানসহ বিভিন্ন এলাকায় তীব্র যানজট দেখা গেছে। ট্রাফিক সিগন্যালে কোথাও কোথাও দীর্ঘক্ষণ যানজট লেগে থাকার দৃশ্যও দেখা গেছে। কেউবা কাজের উদ্দেশ্যে ছুটছেন কর্মস্থলে, কেউবা কারণ ছাড়াই রাস্তায় বেরিয়েছেন।

মানুষের চলাচলেও ধেখা গেছে গা ছাড়া ভাব, যেন দেশে করোনা বলতে কিছু নেই। সামাজিক দূরত্রে বালাই ছিল দেখা যায়নি বেশিরভাগ জায়গায়। অনেকের মাস্ক ছিল থুতনির নিচে। কাজের উদ্দেশে বা কর্মস্থলে যাওয়া ছাড়াও অকারণে গল্প-গুজবে লিপ্ত থাকতে দেখা গেছে অনেককে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: বিজনেসজার্নালবিজনেসজার্নাল.বিডি

মাস্ক না পরা, সামাজিক দূরত্ব না মানার বিষয়টি তো ছিলই, অনেক গণপরিবহনে দাঁড়িয়ে যাত্রী নিতে দেখা গেছে। এ নিয়ে যাত্রীদের বাক-বিতণ্ডা করতে দেখা গেছে। রাইড শেয়ারিংয়ে যাত্রী নেয়া নিষেধাজ্ঞা থাকলেও বিভিন্ন সড়কে, মোড়ে দেখা গেছে রাইডারদের অবস্থান।

শাহবাগ থেকে বাসে উঠেছেন বেসরকারি চাকুরিজীবী আবদুস সালাম। তিনি বলেন, ‘অফিস খোলা রেখে লকডাউন হয় নাকি, আজকে অফিসের কাজে তিন জায়গায় যেতে হয়েছে। চাকরি মানবো, নাকি লকডাউন মানবো।’

কাওরান বাজারের শসা বিক্রেতা সালাম বলেন, ‘আজ সপ্তাহের প্রথম দিন। একটু ভিড় হবেই। এই লকডাউন আরও দুই, একদিন দেয়া দরকার ছিল।’

পথচারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আগামী ১৪ তারিখ থেকে সরকার কঠোর লকডাউন দেয়ার পরিকল্পনা করছে। সেই লকডাউন সামনে রেখে তারা জরুরি কাজ সেরে নিচ্ছেন। এদিকে বিভিন্ন ব্যাংকের সামনে গ্রাহকদের বড় লাইনও দেখা গেছে।

দেশে করোনার সংক্রমণ ও মৃত্যু বাড়তে থাকায় গত ৫ এপ্রিল থেকে এক সপ্তাহের জন্য বিধিনিষেধ আরোপ করে সরকার। জনগণকে স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে মানার আহ্বানসহ বেশ কয়েকটি নির্দেশনা দেয়া হলেও তা পালনে ঢিলেঢালা ভাব দেখা গেছে সর্বত্র। আর নির্দেশনা মানা হচ্ছে কিনা তা ঠিক মতো তদারকি করা হয়নি বলে বলছেন বিশেষজ্ঞরা।

রোববার দুপুরে বাসের অভাবে অনেক যাত্রীকে শাহবাগ মোড়ে অপেক্ষা করতে দেখা যায়। তবে শাহবাগ থেকে কাওরান পর্যন্ত ও শাহবাগ থেকে পল্টন মোড় পর্যন্ত পুরো রাস্তায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানবাহন দাঁড়িয়ে ছিল। এদিকে প্রচণ্ড গরমে যানজটে আটকে থাকা মানুষের নাভিশ্বাস ছিল চরমে।

মেডিকেল শিক্ষার্থী নিঝুম মিরপুরগামী বাসে ওঠার জন্য শাহবাগ মোড় থেকে মৎসভবন পর্যন্ত হেটে যান। তিনি বলেন, ‘এখনই এ অবস্থা। রোজা আসলে তো আরও খারাপ হবে পরিস্থিতি।’ বিভিন্ন মোড়ের ট্রাফিক পুলিশদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শুক্রবার ও শনিবার দুই দিন ছুটি ছিল। সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস উপলক্ষে রাস্তায় গাড়ি বেশি। তারা দ্রুত গাড়ি ছেড়ে দিচ্ছেন।

ঢাকা/এনইউ

আরও পড়ুন:

শেয়ার করুন

x
English Version

বিধিনিষেধেও রাজধানীতে তীব্র যানজট

আপডেট: ০৪:২৪:২০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ এপ্রিল ২০২১

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সরকার ঘোষিত বিধিনিষেধের সপ্তম দিন আজ। চলমান এই বিধিনিষেধেও রাজধানীতে যানজট দেখা গেছে। রাজধানীতে যানবাহন চলাচল দেখে মনে হয়নি দেশে বিধিনিষেধ চলছে।

রোববার (১১ এপ্রিল) মিরপুর, ফার্মগেট, কাওরান বাজার, শাহবাগ, গুলিস্তানসহ বিভিন্ন এলাকায় তীব্র যানজট দেখা গেছে। ট্রাফিক সিগন্যালে কোথাও কোথাও দীর্ঘক্ষণ যানজট লেগে থাকার দৃশ্যও দেখা গেছে। কেউবা কাজের উদ্দেশ্যে ছুটছেন কর্মস্থলে, কেউবা কারণ ছাড়াই রাস্তায় বেরিয়েছেন।

মানুষের চলাচলেও ধেখা গেছে গা ছাড়া ভাব, যেন দেশে করোনা বলতে কিছু নেই। সামাজিক দূরত্রে বালাই ছিল দেখা যায়নি বেশিরভাগ জায়গায়। অনেকের মাস্ক ছিল থুতনির নিচে। কাজের উদ্দেশে বা কর্মস্থলে যাওয়া ছাড়াও অকারণে গল্প-গুজবে লিপ্ত থাকতে দেখা গেছে অনেককে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: বিজনেসজার্নালবিজনেসজার্নাল.বিডি

মাস্ক না পরা, সামাজিক দূরত্ব না মানার বিষয়টি তো ছিলই, অনেক গণপরিবহনে দাঁড়িয়ে যাত্রী নিতে দেখা গেছে। এ নিয়ে যাত্রীদের বাক-বিতণ্ডা করতে দেখা গেছে। রাইড শেয়ারিংয়ে যাত্রী নেয়া নিষেধাজ্ঞা থাকলেও বিভিন্ন সড়কে, মোড়ে দেখা গেছে রাইডারদের অবস্থান।

শাহবাগ থেকে বাসে উঠেছেন বেসরকারি চাকুরিজীবী আবদুস সালাম। তিনি বলেন, ‘অফিস খোলা রেখে লকডাউন হয় নাকি, আজকে অফিসের কাজে তিন জায়গায় যেতে হয়েছে। চাকরি মানবো, নাকি লকডাউন মানবো।’

কাওরান বাজারের শসা বিক্রেতা সালাম বলেন, ‘আজ সপ্তাহের প্রথম দিন। একটু ভিড় হবেই। এই লকডাউন আরও দুই, একদিন দেয়া দরকার ছিল।’

পথচারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আগামী ১৪ তারিখ থেকে সরকার কঠোর লকডাউন দেয়ার পরিকল্পনা করছে। সেই লকডাউন সামনে রেখে তারা জরুরি কাজ সেরে নিচ্ছেন। এদিকে বিভিন্ন ব্যাংকের সামনে গ্রাহকদের বড় লাইনও দেখা গেছে।

দেশে করোনার সংক্রমণ ও মৃত্যু বাড়তে থাকায় গত ৫ এপ্রিল থেকে এক সপ্তাহের জন্য বিধিনিষেধ আরোপ করে সরকার। জনগণকে স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে মানার আহ্বানসহ বেশ কয়েকটি নির্দেশনা দেয়া হলেও তা পালনে ঢিলেঢালা ভাব দেখা গেছে সর্বত্র। আর নির্দেশনা মানা হচ্ছে কিনা তা ঠিক মতো তদারকি করা হয়নি বলে বলছেন বিশেষজ্ঞরা।

রোববার দুপুরে বাসের অভাবে অনেক যাত্রীকে শাহবাগ মোড়ে অপেক্ষা করতে দেখা যায়। তবে শাহবাগ থেকে কাওরান পর্যন্ত ও শাহবাগ থেকে পল্টন মোড় পর্যন্ত পুরো রাস্তায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানবাহন দাঁড়িয়ে ছিল। এদিকে প্রচণ্ড গরমে যানজটে আটকে থাকা মানুষের নাভিশ্বাস ছিল চরমে।

মেডিকেল শিক্ষার্থী নিঝুম মিরপুরগামী বাসে ওঠার জন্য শাহবাগ মোড় থেকে মৎসভবন পর্যন্ত হেটে যান। তিনি বলেন, ‘এখনই এ অবস্থা। রোজা আসলে তো আরও খারাপ হবে পরিস্থিতি।’ বিভিন্ন মোড়ের ট্রাফিক পুলিশদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শুক্রবার ও শনিবার দুই দিন ছুটি ছিল। সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস উপলক্ষে রাস্তায় গাড়ি বেশি। তারা দ্রুত গাড়ি ছেড়ে দিচ্ছেন।

ঢাকা/এনইউ

আরও পড়ুন: