০৮:৩৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪

বিনিয়োগে ‘নিরাপদ’ ব্যাংক, উচ্চ ঝুঁকিতে আর্থিক খাত

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৬:৩৪:৫৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২০
  • / ৪৪৫৮ বার দেখা হয়েছে

বড় ধরনের দরপতনের কবলে পড়ে শেয়ারবাজারের তালিকাভুক্ত অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বেশ কমে গেছে। অবমূল্যায়িত অবস্থায় পড়ে রয়েছে অনেক ভালো প্রতিষ্ঠানের শেয়ার। এ পরিস্থিতিতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বেশিরভাগ ব্যাংকের শেয়ার নিরাপদ অবস্থায় রয়েছে। অপরদিকে আর্থিক খাতের প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ সব থেকে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে।

শেয়ারবাজার সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ঝুঁকি মূল্যায়নের অন্যতম হাতিয়ার মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও)। যে প্রতিষ্ঠানের পিই যত কম, ওই প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ ঝুঁকি ততো কম। সাধারণত যেসব প্রতিষ্ঠানের পিই ১০-১৫ এর মধ্যে থাকে সেই প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ অনেকটাই ঝুঁকিমুক্ত।

তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, বড় ধরনের দরপতনের কারণে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) স্মরণকালের মধ্যে সর্বনিম্ন অবস্থায় চলে এসেছে। গত সপ্তাহের পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে দুই কার্যদিবসে বড় দরপতন হয়। এতে সূচকের পতনের সঙ্গে ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয়া ৭৭ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে।

বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের এই দরপতনের ফলে সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের লেনদেন শেষে ডিএসইর পিই দাঁড়িয়েছে ১১ দশমিক শূন্য ৮ পয়েন্টে, যা সপ্তাহের শুরুতে ছিল ১১ দশমিক ১৩ পয়েন্টে। অর্থাৎ এক সপ্তাহে ডিএসইর সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত কমেছে দশমিক শূন্য ৫ পয়েন্ট বা দশমিক ৪৫ শতাংশ।

বাজারের এ পরিস্থিতে সব থেকে কম পিই রেশিও রয়েছে ব্যাংক খাতের। সপ্তাহ শেষে ব্যাংক খাতের পিই রেশিও অবস্থান করছে ৭ পয়েন্টে, যা গত সপ্তাহে ছিল ৬ দশমিক ৯৯ পয়েন্ট। অপর দিকে সব থেকে বেশি পিই রয়েছে আর্থিক খাতের। এ খাতের পিই অবস্থান করছে ৩৩০ দশমিক ৮৩ পয়েন্টে।

দ্বিতীয় স্থানে থাকা সেবা ও আবাসন খাতের পিই ৯ দশমিক শূন্য ৭ পয়েন্ট থেকে ৮ দশমিক ৬৫ পয়েন্টে অবস্থান করছে। এর পরের স্থানেই রয়েছে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত। এ খাতের পিই ৯ দশমিক ৮১ পয়েন্ট থেকে বেড়ে ৯ দশমিক ৩৩ পয়েন্টে রয়েছে।

এছাড়া টেলিযোগাযোগ খাতের পিই ৯ দশমিক ৭২ পয়েন্টে, বীমা খাতের ১২ দশমিক ৭৯ পয়েন্টে, বস্ত্র খাতের ১৪ দশমিক ২৭ পয়েন্ট, খাদ্য খাতের ১২ দশমিক ২৯ পয়েন্টে, ওষুধ ও রসায়ন খাতের ১৪ দশমিক ২৮ পয়েন্টে, পেপার খাতের ১৭ দশমিক ৫৭ পয়েন্ট, প্রকৌশল খাতের ১৩ দশমিক ৬০ পয়েন্ট এবং তথ্য প্রযুক্তির ১৭ দশমিক ৭৫ পয়েন্ট অবস্থান করছে।

বাকি খাতগুলোর পিইও রেশিও ২০ পয়েন্টের ওপর। এর মধ্যে বিবিধ খাতের ২০ দশমিক ২০ পয়েন্ট, ভ্রমণ ও অবকাশ খাতের ২৮ দশমিক ৮৫ পয়েন্ট, সিরামিক খাতের ২৩ দশমিক ৭২ পয়েন্ট, সিমেন্ট খাতের ২৪ দশমিক ২৫ পয়েন্ট, চামড়া খাতের ১৫ দশমিক ৩৮ পয়েন্ট এবং পাট খাতের ২৬ দশমিক ৭০ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

 

সূত্রঃ জাগোনিউজ

শেয়ার করুন

x
English Version

বিনিয়োগে ‘নিরাপদ’ ব্যাংক, উচ্চ ঝুঁকিতে আর্থিক খাত

আপডেট: ০৬:৩৪:৫৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২০

বড় ধরনের দরপতনের কবলে পড়ে শেয়ারবাজারের তালিকাভুক্ত অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বেশ কমে গেছে। অবমূল্যায়িত অবস্থায় পড়ে রয়েছে অনেক ভালো প্রতিষ্ঠানের শেয়ার। এ পরিস্থিতিতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বেশিরভাগ ব্যাংকের শেয়ার নিরাপদ অবস্থায় রয়েছে। অপরদিকে আর্থিক খাতের প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ সব থেকে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে।

শেয়ারবাজার সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ঝুঁকি মূল্যায়নের অন্যতম হাতিয়ার মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও)। যে প্রতিষ্ঠানের পিই যত কম, ওই প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ ঝুঁকি ততো কম। সাধারণত যেসব প্রতিষ্ঠানের পিই ১০-১৫ এর মধ্যে থাকে সেই প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ অনেকটাই ঝুঁকিমুক্ত।

তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, বড় ধরনের দরপতনের কারণে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) স্মরণকালের মধ্যে সর্বনিম্ন অবস্থায় চলে এসেছে। গত সপ্তাহের পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে দুই কার্যদিবসে বড় দরপতন হয়। এতে সূচকের পতনের সঙ্গে ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয়া ৭৭ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে।

বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের এই দরপতনের ফলে সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের লেনদেন শেষে ডিএসইর পিই দাঁড়িয়েছে ১১ দশমিক শূন্য ৮ পয়েন্টে, যা সপ্তাহের শুরুতে ছিল ১১ দশমিক ১৩ পয়েন্টে। অর্থাৎ এক সপ্তাহে ডিএসইর সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত কমেছে দশমিক শূন্য ৫ পয়েন্ট বা দশমিক ৪৫ শতাংশ।

বাজারের এ পরিস্থিতে সব থেকে কম পিই রেশিও রয়েছে ব্যাংক খাতের। সপ্তাহ শেষে ব্যাংক খাতের পিই রেশিও অবস্থান করছে ৭ পয়েন্টে, যা গত সপ্তাহে ছিল ৬ দশমিক ৯৯ পয়েন্ট। অপর দিকে সব থেকে বেশি পিই রয়েছে আর্থিক খাতের। এ খাতের পিই অবস্থান করছে ৩৩০ দশমিক ৮৩ পয়েন্টে।

দ্বিতীয় স্থানে থাকা সেবা ও আবাসন খাতের পিই ৯ দশমিক শূন্য ৭ পয়েন্ট থেকে ৮ দশমিক ৬৫ পয়েন্টে অবস্থান করছে। এর পরের স্থানেই রয়েছে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত। এ খাতের পিই ৯ দশমিক ৮১ পয়েন্ট থেকে বেড়ে ৯ দশমিক ৩৩ পয়েন্টে রয়েছে।

এছাড়া টেলিযোগাযোগ খাতের পিই ৯ দশমিক ৭২ পয়েন্টে, বীমা খাতের ১২ দশমিক ৭৯ পয়েন্টে, বস্ত্র খাতের ১৪ দশমিক ২৭ পয়েন্ট, খাদ্য খাতের ১২ দশমিক ২৯ পয়েন্টে, ওষুধ ও রসায়ন খাতের ১৪ দশমিক ২৮ পয়েন্টে, পেপার খাতের ১৭ দশমিক ৫৭ পয়েন্ট, প্রকৌশল খাতের ১৩ দশমিক ৬০ পয়েন্ট এবং তথ্য প্রযুক্তির ১৭ দশমিক ৭৫ পয়েন্ট অবস্থান করছে।

বাকি খাতগুলোর পিইও রেশিও ২০ পয়েন্টের ওপর। এর মধ্যে বিবিধ খাতের ২০ দশমিক ২০ পয়েন্ট, ভ্রমণ ও অবকাশ খাতের ২৮ দশমিক ৮৫ পয়েন্ট, সিরামিক খাতের ২৩ দশমিক ৭২ পয়েন্ট, সিমেন্ট খাতের ২৪ দশমিক ২৫ পয়েন্ট, চামড়া খাতের ১৫ দশমিক ৩৮ পয়েন্ট এবং পাট খাতের ২৬ দশমিক ৭০ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

 

সূত্রঃ জাগোনিউজ