০৬:০৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

বিনিয়োগকারীদের ঠকাচ্ছে ৭ কোম্পানি

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১১:১১:৩০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ এপ্রিল ২০২০
  • / ৪৫৪৪ বার দেখা হয়েছে

ফাইল ফটো

পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত ৭ কোম্পানি নিয়মিত বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) করছে না বলে প্রমাণ পেয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি)। একইসঙ্গে অভিযোগ রয়েছে—ব্যবসা ভালো না হওয়ার অজুহাত দেখিয়ে এই কোম্পানিগুলো বিনিয়োগকারীদের কোনো লভ্যাংশও দিচ্ছে না। এতে বিনিয়োগকারীরা ক্ষতি গ্রস্ত হচ্ছে বলে মনে করে বিএসইসি।

যে ৭ কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে বিনিয়োগকারীদের ঠকানোর অভিযোগ উঠেছে, সেগুরো হলো—ইউনাইটেড এয়ার, ডেল্টা স্পিনার্স, কেয়া কসমেটিকস, তুং হাই নিটিং, এমারেল্ড অয়েল, সিঅ্যান্ডএ টেক্সটাইলস ও দি ঢাকা ডায়িং।

বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, নিয়মিত এজিএম না করা ও লভ্যাংশ না দেওয়া কোম্পনিগুলোর সবই “জেড” ক্যাটাগরিতে লেনদেন করছে।

এর মধ্যে ইউনাইটেড এয়ারের সর্বশেষ এজিএম অনুষ্ঠিত হয়েছে ২০১৫ সালের ২২ ডিসেম্বর।

সিঅ্যান্ডএ টেক্সটাইলের সর্বশেষ এজিএম অনুষ্ঠিত হয়েছে ২০১৬ সালের ২০ ডিসেম্বর।

তুং হাই নিটিংয়ের সর্বশেষ এজিএম অনুষ্ঠিত হয়েছে ২০১৬ সালের ২২ ডিসেম্বর।

কেয়া কসমেটিকসের সর্বশেষ এজিএম অনুষ্ঠিত হয়েছে ২০১৭ সালের ২৮ ডিসেম্বর।

দি ঢাকা ডায়িংয়ের সর্বশেষ এজিএম অনুষ্ঠিত হয়েছে ২০১৭ সালের ২৯ ডিসেম্বর।

ডেল্টা স্পিনার্সের সর্বশেষ এজিএম অনুষ্ঠিত হয়েছে ২০১৭ সালের ৩০ ডিসেম্বর।

এমারেল্ড অয়েলের সর্বশেষ এজিএম অনুষ্ঠিত হয়েছে ২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর।

এজিএম হওয়ার পর থেকে এসব কোম্পানি কোনো লভ্যাংশ দেয়নি বলে অভিযোগ করেছেন বিনিয়োগকরা। বাজারবিশ্লেষক ও বিনিয়োগকারীরা বলছেন—কোম্পানিগুলো জবাবদিহিতা এড়িয়ে যাওয়ার জন্য এজিএম করছে না। এভাবে চলতে থাকলে ভবিষ্যতে কোম্পানিগুলো মূল মার্কেট থেকে তালিকাচ্যুত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই এজিএম করার মাধ্যেমে কোম্পানিগুলোর জবাবদিহিতার আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন তারা।

এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে এমারেল্ড অয়েলের পরিচালক সজন কুমার বশাক বলেন, কোম্পানির কিছু সমস্যার কারণে উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। তবে কোম্পানিটির গতি ফিরিয়ে আনতে কাজ চলছে।

কেয়া কসমেটিকসের কোম্পানি সচিব মো. নূর হোসেন বলেন, কোম্পানির উৎপাদনে রয়েছে। তবে আদালতের অনুমোদন না পাওয়ায় এজিএম হচ্ছে না।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক কাজী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, নিয়মিত এজিএম করে না এবং লভ্যাংশ না দেওয়া কোম্পানিগুলোকে জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে। কোম্পানিগুলোর কেন এজিএম করছে না—তা বিএসইসিকে তদন্ত করে দেখতে হবে।

জানতে চাইলে বিএসইসি’র নির্বাহী পরিচালক মো. সাইফুর রহমান বলেন, বিএসইসি বিষয়গুলো সম্পর্কে অবগত। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও তিনি জানান।

বিজে/জেডআই

শেয়ার করুন

x
English Version

বিনিয়োগকারীদের ঠকাচ্ছে ৭ কোম্পানি

আপডেট: ১১:১১:৩০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ এপ্রিল ২০২০

পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত ৭ কোম্পানি নিয়মিত বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) করছে না বলে প্রমাণ পেয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি)। একইসঙ্গে অভিযোগ রয়েছে—ব্যবসা ভালো না হওয়ার অজুহাত দেখিয়ে এই কোম্পানিগুলো বিনিয়োগকারীদের কোনো লভ্যাংশও দিচ্ছে না। এতে বিনিয়োগকারীরা ক্ষতি গ্রস্ত হচ্ছে বলে মনে করে বিএসইসি।

যে ৭ কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে বিনিয়োগকারীদের ঠকানোর অভিযোগ উঠেছে, সেগুরো হলো—ইউনাইটেড এয়ার, ডেল্টা স্পিনার্স, কেয়া কসমেটিকস, তুং হাই নিটিং, এমারেল্ড অয়েল, সিঅ্যান্ডএ টেক্সটাইলস ও দি ঢাকা ডায়িং।

বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, নিয়মিত এজিএম না করা ও লভ্যাংশ না দেওয়া কোম্পনিগুলোর সবই “জেড” ক্যাটাগরিতে লেনদেন করছে।

এর মধ্যে ইউনাইটেড এয়ারের সর্বশেষ এজিএম অনুষ্ঠিত হয়েছে ২০১৫ সালের ২২ ডিসেম্বর।

সিঅ্যান্ডএ টেক্সটাইলের সর্বশেষ এজিএম অনুষ্ঠিত হয়েছে ২০১৬ সালের ২০ ডিসেম্বর।

তুং হাই নিটিংয়ের সর্বশেষ এজিএম অনুষ্ঠিত হয়েছে ২০১৬ সালের ২২ ডিসেম্বর।

কেয়া কসমেটিকসের সর্বশেষ এজিএম অনুষ্ঠিত হয়েছে ২০১৭ সালের ২৮ ডিসেম্বর।

দি ঢাকা ডায়িংয়ের সর্বশেষ এজিএম অনুষ্ঠিত হয়েছে ২০১৭ সালের ২৯ ডিসেম্বর।

ডেল্টা স্পিনার্সের সর্বশেষ এজিএম অনুষ্ঠিত হয়েছে ২০১৭ সালের ৩০ ডিসেম্বর।

এমারেল্ড অয়েলের সর্বশেষ এজিএম অনুষ্ঠিত হয়েছে ২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর।

এজিএম হওয়ার পর থেকে এসব কোম্পানি কোনো লভ্যাংশ দেয়নি বলে অভিযোগ করেছেন বিনিয়োগকরা। বাজারবিশ্লেষক ও বিনিয়োগকারীরা বলছেন—কোম্পানিগুলো জবাবদিহিতা এড়িয়ে যাওয়ার জন্য এজিএম করছে না। এভাবে চলতে থাকলে ভবিষ্যতে কোম্পানিগুলো মূল মার্কেট থেকে তালিকাচ্যুত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই এজিএম করার মাধ্যেমে কোম্পানিগুলোর জবাবদিহিতার আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন তারা।

এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে এমারেল্ড অয়েলের পরিচালক সজন কুমার বশাক বলেন, কোম্পানির কিছু সমস্যার কারণে উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। তবে কোম্পানিটির গতি ফিরিয়ে আনতে কাজ চলছে।

কেয়া কসমেটিকসের কোম্পানি সচিব মো. নূর হোসেন বলেন, কোম্পানির উৎপাদনে রয়েছে। তবে আদালতের অনুমোদন না পাওয়ায় এজিএম হচ্ছে না।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক কাজী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, নিয়মিত এজিএম করে না এবং লভ্যাংশ না দেওয়া কোম্পানিগুলোকে জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে। কোম্পানিগুলোর কেন এজিএম করছে না—তা বিএসইসিকে তদন্ত করে দেখতে হবে।

জানতে চাইলে বিএসইসি’র নির্বাহী পরিচালক মো. সাইফুর রহমান বলেন, বিএসইসি বিষয়গুলো সম্পর্কে অবগত। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও তিনি জানান।

বিজে/জেডআই