১০:৩৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪

বীমা খাতের উন্নয়নে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে সরকার: প্রধানমন্ত্রী

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০১:৫৩:৩৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ মার্চ ২০২১
  • / ৪২১৬ বার দেখা হয়েছে

বাংলাদেশের বীমা খাত উন্নয়ন’ নামের একটি প্রকল্প প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে। এ প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ৬৩২ কোটি টাকা ব্যয় হবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ এবং রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ইন্স্যুরেন্স কর্পোরেশনের প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা শক্তিশালী করা হবে। সেই সঙ্গে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার মাধ্যমে বাংলাদেশে ইন্স্যুরেন্স কভারেজ বৃদ্ধি করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সোমবার (১ মার্চ) জাতীয় বীমা দিবস’ উপলক্ষে দেয়া এক বাণীতে এ কথা বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটি বাস্তবায়ন হলে দেশের বীমা খাতের সক্ষমতা আরও বাড়বে। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর বীমা পেশায় যোগদানের স্মৃতি বিজড়িত ১ মার্চ জাতীয় বীমা দিবস’ পালন হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকীতে বীমা দিবসের প্রতিপাদ্য মুজিববর্ষের অঙ্গীকার, বীমা হোক সবার’ যথার্থ হয়েছে বলে আমি মনে করি।

তিনি বলেন, জাতীয় অর্থনীতিতে বীমার গুরুত্ব এবং এর অবদানের বিষয়টি বিবেচনা করে স্বাধীনতার পর বীমা শিল্পকে অধিকতর অগ্রাধিকার দিয়ে উন্নয়নের লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধুর সরকার ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স (জাতীয়করণ) আদেশ-১৯৭২ জারি করে ৪৯টি দেশি-বিদেশি বীমা কোম্পানিকে জাতীয়করণের মাধ্যমে সুরমা, রূপসা, তিস্তা এবং কর্ণফুলী নামে চারটি বীমা কর্পোরেশন গঠন করেছিলেন। একই সঙ্গে এই চারটি প্রতিষ্ঠানকে নিয়ন্ত্রণ করার লক্ষ্যে জাতীয় বীমা কর্পোরেশন গঠন করেন। পরবর্তীতে অল্প সময়ের মধ্যে দেশের বীমা শিল্পের উন্নয়নে
ইন্স্যুরেন্স কর্পোরেশন আইন-১৯৭৩’ প্রণয়ন করে এই চারটি কর্পোরেশনকে ভেঙে জীবন বিমা কর্পোরেশন’ এবং সাধারণ বীমা কর্পোরেশন’ নামে দুটি পৃথক বীমা কর্পোরেশন গঠন করেন। এ দুটি কর্পোরেশন এখনও দেশে বীমা ব্যবসা পরিচালনার মাধ্যমে দেশের জনগণকে বীমা সেবা দিয়ে আসছে। বীমা প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে বীমা অধিদফতর গঠন করেন।

তিনি আরও বলেন, বীমা শিল্পের উন্নয়নে জাতির পিতার দেখানো পথ অনুসরণ করে ২০০৯ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেয়ে আওয়ামী লীগ সরকার বীমার গুরুত্ব ও সুফল জনগণের কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্যে বিভিন্ন সংস্কারমূলক কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। পুরাতন বীমা আইন-১৯৩৮ কে রহিত করে সময়োপযোগী বীমা আইন-২০১০’ এবং বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ আইন-২০১০’ প্রণয়নপূর্বক তৎকালীন বীমা অধিদফতরকে বিলুপ্ত করে
বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ’ গঠন করা হয়।

জাতীয় বীমা নীতি-২০১৪’ বাস্তবায়নের মাধ্যমে বীমা খাতের বিকাশে আমাদের সরকার যুগোপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। বিদেশগামী বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য প্রবাসী কর্মী বীমা, বন্যা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের ক্ষতি মোকাবিলায় হাওড় এলাকায় সীমিত পরিসরে আবহাওয়া সূচকভিত্তিক শস্য বীমা চালু করা হয়েছে।

এছাড়াও তিনি বলেন, জাতির পিতার জন্মশতবর্ষে তার স্মৃতিবিজড়িত আজকের এই দিনে বীমার শুভবার্তা দেশের সব নাগরিকের কাছে পৌঁছে যাক, দেশের সব মানুষ এবং সম্পদ বীমা সেবার আওতায় আসুক –এই প্রত্যাশায় আমি জাতীয় বীমা দিবসের সার্বিক সাফল্য কামনা করছি।’

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ইনস্যুরেন্স এসোসিয়েশনের সভাপতি শেখ কবির হোসেন ও আর্থিক বিভাগের সিনিয়র সচিব আসাদুল ইসলাম।

 

আরও পড়ুন:

শেয়ার করুন

x
English Version

বীমা খাতের উন্নয়নে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে সরকার: প্রধানমন্ত্রী

আপডেট: ০১:৫৩:৩৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ মার্চ ২০২১

বাংলাদেশের বীমা খাত উন্নয়ন’ নামের একটি প্রকল্প প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে। এ প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ৬৩২ কোটি টাকা ব্যয় হবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ এবং রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ইন্স্যুরেন্স কর্পোরেশনের প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা শক্তিশালী করা হবে। সেই সঙ্গে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার মাধ্যমে বাংলাদেশে ইন্স্যুরেন্স কভারেজ বৃদ্ধি করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সোমবার (১ মার্চ) জাতীয় বীমা দিবস’ উপলক্ষে দেয়া এক বাণীতে এ কথা বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটি বাস্তবায়ন হলে দেশের বীমা খাতের সক্ষমতা আরও বাড়বে। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর বীমা পেশায় যোগদানের স্মৃতি বিজড়িত ১ মার্চ জাতীয় বীমা দিবস’ পালন হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকীতে বীমা দিবসের প্রতিপাদ্য মুজিববর্ষের অঙ্গীকার, বীমা হোক সবার’ যথার্থ হয়েছে বলে আমি মনে করি।

তিনি বলেন, জাতীয় অর্থনীতিতে বীমার গুরুত্ব এবং এর অবদানের বিষয়টি বিবেচনা করে স্বাধীনতার পর বীমা শিল্পকে অধিকতর অগ্রাধিকার দিয়ে উন্নয়নের লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধুর সরকার ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স (জাতীয়করণ) আদেশ-১৯৭২ জারি করে ৪৯টি দেশি-বিদেশি বীমা কোম্পানিকে জাতীয়করণের মাধ্যমে সুরমা, রূপসা, তিস্তা এবং কর্ণফুলী নামে চারটি বীমা কর্পোরেশন গঠন করেছিলেন। একই সঙ্গে এই চারটি প্রতিষ্ঠানকে নিয়ন্ত্রণ করার লক্ষ্যে জাতীয় বীমা কর্পোরেশন গঠন করেন। পরবর্তীতে অল্প সময়ের মধ্যে দেশের বীমা শিল্পের উন্নয়নে
ইন্স্যুরেন্স কর্পোরেশন আইন-১৯৭৩’ প্রণয়ন করে এই চারটি কর্পোরেশনকে ভেঙে জীবন বিমা কর্পোরেশন’ এবং সাধারণ বীমা কর্পোরেশন’ নামে দুটি পৃথক বীমা কর্পোরেশন গঠন করেন। এ দুটি কর্পোরেশন এখনও দেশে বীমা ব্যবসা পরিচালনার মাধ্যমে দেশের জনগণকে বীমা সেবা দিয়ে আসছে। বীমা প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে বীমা অধিদফতর গঠন করেন।

তিনি আরও বলেন, বীমা শিল্পের উন্নয়নে জাতির পিতার দেখানো পথ অনুসরণ করে ২০০৯ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেয়ে আওয়ামী লীগ সরকার বীমার গুরুত্ব ও সুফল জনগণের কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্যে বিভিন্ন সংস্কারমূলক কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। পুরাতন বীমা আইন-১৯৩৮ কে রহিত করে সময়োপযোগী বীমা আইন-২০১০’ এবং বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ আইন-২০১০’ প্রণয়নপূর্বক তৎকালীন বীমা অধিদফতরকে বিলুপ্ত করে
বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ’ গঠন করা হয়।

জাতীয় বীমা নীতি-২০১৪’ বাস্তবায়নের মাধ্যমে বীমা খাতের বিকাশে আমাদের সরকার যুগোপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। বিদেশগামী বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য প্রবাসী কর্মী বীমা, বন্যা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের ক্ষতি মোকাবিলায় হাওড় এলাকায় সীমিত পরিসরে আবহাওয়া সূচকভিত্তিক শস্য বীমা চালু করা হয়েছে।

এছাড়াও তিনি বলেন, জাতির পিতার জন্মশতবর্ষে তার স্মৃতিবিজড়িত আজকের এই দিনে বীমার শুভবার্তা দেশের সব নাগরিকের কাছে পৌঁছে যাক, দেশের সব মানুষ এবং সম্পদ বীমা সেবার আওতায় আসুক –এই প্রত্যাশায় আমি জাতীয় বীমা দিবসের সার্বিক সাফল্য কামনা করছি।’

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ইনস্যুরেন্স এসোসিয়েশনের সভাপতি শেখ কবির হোসেন ও আর্থিক বিভাগের সিনিয়র সচিব আসাদুল ইসলাম।

 

আরও পড়ুন: