০৫:৫৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

বীমা গ্রাহকদের স্বার্থেই ডেল্টা লাইফে প্রশাসক নিয়োগ

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১০:৪৩:৫৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২১
  • / ৪১৬৮ বার দেখা হয়েছে

ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্সের নবনিযুক্ত প্রশাসক সুলতান-উল আবেদীন মোল্লা বলেছেন, সরকার চার মাসের জন্য আমাকে দায়িত্ব দিয়েছে। প্রশাসক নিয়োগের মূল কারণ হিসেবে তিনি বলেন, কোম্পানিটি দু’টি অডিট ফার্মকে কোন সহযোগিতা করেনি। যা গ্রাহক স্বার্থের পরিপন্থী। এ কারণে সরকার এখানে প্রশাসক নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেয়।

বৃহস্পতিবার (১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২১) বিকেলে প্রশাসক হিসেবে ডেল্টা লাইফের দায়িত্বভার গ্রহণের পর সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে তিনি আরো বলেন, প্রশাসক নিয়োগ করা হলেও কোম্পানির কার্যক্রম আগের মতোই পরিচালিত হবে। এতে শেয়ারহোল্ডার ও গ্রাহকরা কোনভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত হবে না বলে উল্লেখ করেন সুলতান-উল আবেদীন মোল্লা।

অনিয়ম বা দুর্নীতি নয়- অদৃশ্য কোন শক্তির চাপে প্রশাসক নিয়োগ দেয়া সংক্রান্ত সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রশ্নটি আমার জন্য খুবই বিব্রতকর। এ ধরণের কোন অদৃশ্য শক্তির কথা আমার জানা নেই। নিয়ন্ত্রক সংস্থা আমাকে নিয়োগ দিয়েছে এবং বীমা আইনের ৯৫ ধারার শর্ত মেনেই প্রশাসক নিয়োগ করা হয়েছে।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্সের নবনিযুক্ত প্রশাসক বলেন, বীমাখাতে এর কোন নেতিবাচক প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা নেই, বরং ইতিবাচক প্রভাবই পড়বে। তিনি বলেন, প্রশাসক নিয়োগের বিষয়টি নতুন কিছু নয়। বীমাখাতের বাইরেও অনেক খাতে সরকার প্রশাসক নিয়োগ দিয়ে আসছে। পলিসিহোল্ডারের স্বার্থ সংরক্ষণের জন্যই সরকার এ ধরনের উদ্যোগ নিয়েছে।

বিগত কয়েক বছর ধরেই ডেল্টা লাইফের প্রশাসনিক অব্যবস্থাপনার পাশাপাশি অনিয়ম ও দুর্নীতি চলে আসছিল। এ জন্য ২০১৯ সাল থেকে কোম্পানিটিতে দু’টি নিরীক্ষক প্রতিষ্ঠান নিয়োগ করে নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইডিআরএ। এই নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠান দু’টিকে কোন রকম সহযোগিতা করেনি ডেল্টা লাইফ।

সুলতান-উল আবেদীন মোল্লা বলেন, প্রশাসক হিসেবে আমার কাজ হচ্ছে বীমা আইন ২০১০ এর ৯৬(১) ধারা অনুসারে ৪ মাসের মধ্যে কর্তৃপক্ষের নিকট প্রতিবেদন দাখিল করা। সংশ্লিষ্ট নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো যাতে সুষ্ঠুভাবে নিরীক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করে তা তদারক করা এবং বীমা গ্রাহক ও শেয়ারহোল্ডারদের স্বার্থ সংরক্ষণ করা।

তিনি আরো বলেন, এই প্রতিবেদন তৈরির জন্য আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন বাংলাদেশের দু’টি সুনামধন্য নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠানকে নিয়োগ করা হবে এবং এই নিয়োগের মাধ্যমে পলিসিহোল্ডার ও শেয়ারহোল্ডারদের স্বার্থ পুনরুদ্ধার করা হবে। আমি আশা করবো আমার এই কাজে সকলের সার্বিক সহযোগিতা থাকবে, যুক্ত করেন সুলতান-উল আবেদীন মোল্লা।

সাংবাদিকদের কাছে ব্রিফিং শেষে সুলতান-উল আবেদিন মোল্লা বীমা কোম্পানিটির কার্যালয় ঘুরে দেখেন। এ সময় তিনি কোম্পানিটির সাবেক পরিচালক মঞ্জুরুর রহমান ও সাবেক মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা আদিবা রহমানের কার্যালয়ে তাদের সাথে সাক্ষাত করেন। পরে তিনি কোম্পনিটির বিভাগীয় প্রধানদের সাথে বৈঠক করেন। এসময় তার সাথে উপস্থিত ছিলেন আইডডিআরএ’র পরিচালক (উপ-সচিব) মো. শাহ আলম।

শেয়ার করুন

x
English Version

বীমা গ্রাহকদের স্বার্থেই ডেল্টা লাইফে প্রশাসক নিয়োগ

আপডেট: ১০:৪৩:৫৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২১

ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্সের নবনিযুক্ত প্রশাসক সুলতান-উল আবেদীন মোল্লা বলেছেন, সরকার চার মাসের জন্য আমাকে দায়িত্ব দিয়েছে। প্রশাসক নিয়োগের মূল কারণ হিসেবে তিনি বলেন, কোম্পানিটি দু’টি অডিট ফার্মকে কোন সহযোগিতা করেনি। যা গ্রাহক স্বার্থের পরিপন্থী। এ কারণে সরকার এখানে প্রশাসক নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেয়।

বৃহস্পতিবার (১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২১) বিকেলে প্রশাসক হিসেবে ডেল্টা লাইফের দায়িত্বভার গ্রহণের পর সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে তিনি আরো বলেন, প্রশাসক নিয়োগ করা হলেও কোম্পানির কার্যক্রম আগের মতোই পরিচালিত হবে। এতে শেয়ারহোল্ডার ও গ্রাহকরা কোনভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত হবে না বলে উল্লেখ করেন সুলতান-উল আবেদীন মোল্লা।

অনিয়ম বা দুর্নীতি নয়- অদৃশ্য কোন শক্তির চাপে প্রশাসক নিয়োগ দেয়া সংক্রান্ত সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রশ্নটি আমার জন্য খুবই বিব্রতকর। এ ধরণের কোন অদৃশ্য শক্তির কথা আমার জানা নেই। নিয়ন্ত্রক সংস্থা আমাকে নিয়োগ দিয়েছে এবং বীমা আইনের ৯৫ ধারার শর্ত মেনেই প্রশাসক নিয়োগ করা হয়েছে।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্সের নবনিযুক্ত প্রশাসক বলেন, বীমাখাতে এর কোন নেতিবাচক প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা নেই, বরং ইতিবাচক প্রভাবই পড়বে। তিনি বলেন, প্রশাসক নিয়োগের বিষয়টি নতুন কিছু নয়। বীমাখাতের বাইরেও অনেক খাতে সরকার প্রশাসক নিয়োগ দিয়ে আসছে। পলিসিহোল্ডারের স্বার্থ সংরক্ষণের জন্যই সরকার এ ধরনের উদ্যোগ নিয়েছে।

বিগত কয়েক বছর ধরেই ডেল্টা লাইফের প্রশাসনিক অব্যবস্থাপনার পাশাপাশি অনিয়ম ও দুর্নীতি চলে আসছিল। এ জন্য ২০১৯ সাল থেকে কোম্পানিটিতে দু’টি নিরীক্ষক প্রতিষ্ঠান নিয়োগ করে নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইডিআরএ। এই নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠান দু’টিকে কোন রকম সহযোগিতা করেনি ডেল্টা লাইফ।

সুলতান-উল আবেদীন মোল্লা বলেন, প্রশাসক হিসেবে আমার কাজ হচ্ছে বীমা আইন ২০১০ এর ৯৬(১) ধারা অনুসারে ৪ মাসের মধ্যে কর্তৃপক্ষের নিকট প্রতিবেদন দাখিল করা। সংশ্লিষ্ট নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো যাতে সুষ্ঠুভাবে নিরীক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করে তা তদারক করা এবং বীমা গ্রাহক ও শেয়ারহোল্ডারদের স্বার্থ সংরক্ষণ করা।

তিনি আরো বলেন, এই প্রতিবেদন তৈরির জন্য আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন বাংলাদেশের দু’টি সুনামধন্য নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠানকে নিয়োগ করা হবে এবং এই নিয়োগের মাধ্যমে পলিসিহোল্ডার ও শেয়ারহোল্ডারদের স্বার্থ পুনরুদ্ধার করা হবে। আমি আশা করবো আমার এই কাজে সকলের সার্বিক সহযোগিতা থাকবে, যুক্ত করেন সুলতান-উল আবেদীন মোল্লা।

সাংবাদিকদের কাছে ব্রিফিং শেষে সুলতান-উল আবেদিন মোল্লা বীমা কোম্পানিটির কার্যালয় ঘুরে দেখেন। এ সময় তিনি কোম্পানিটির সাবেক পরিচালক মঞ্জুরুর রহমান ও সাবেক মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা আদিবা রহমানের কার্যালয়ে তাদের সাথে সাক্ষাত করেন। পরে তিনি কোম্পনিটির বিভাগীয় প্রধানদের সাথে বৈঠক করেন। এসময় তার সাথে উপস্থিত ছিলেন আইডডিআরএ’র পরিচালক (উপ-সচিব) মো. শাহ আলম।