১১:৩৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সরকারি স্থাপনায় আগুন, ট্রেনে–প্রেসক্লাবেও হামলা

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০১:৫১:০৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ মার্চ ২০২১
  • / ৪১৪৮ বার দেখা হয়েছে

হেফাজতে ইসলামের হরতালের মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যাপক ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।

আজ রোববার বেলা ১১টার পর থেকে জেলা সদর, আশুগঞ্জ, সরাইলের একাধিক স্থানে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। ভাঙচুর হয়েছে ব্যাপক। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, হামলাকারীদের মূল লক্ষ্য ছিল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সরকারি সম্পদ। লক্ষ্য বানানো হয়েছে সাংবাদিকদেরও।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল থেকেই ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানা মসজিদ থেকে শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালন এবং কোথাও হামলা না করার আহ্বান জানানো হয়েছিল। কিন্তু বেলা ১১টার পর জেলা পরিষদ ভবনে আগুন দেওয়া হয়। নিচতলার অনেক কক্ষে আগুন দেওয়ার পর এসির বিস্ফোরণ হয়। সুরসম্রাট আলাউদ্দিন সংগীতাঙ্গন, পৌরসভায় ভাঙচুর ও আগুন দেওয়া হয়। আগুন দেওয়া হয় সদর উপজেলা ভূমি কার্যালয়ে। হামলা হয়েছে সদর থানায়, প্রেসক্লাবে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: বিজনেসজার্নালবিজনেসজার্নাল.বিডি

শহীদ ধীরন্দ্র নাথ দত্ত ভাষা চত্বরে গতকাল শনিবার থেকে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে উন্নয়ন মেলা চলছে। সেই মেলাতেও আগুন দেওয়া হয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশনে আশপাশের ড্রেন থেকে কংক্রিটের স্ল্যাব উঠিয়ে রেললাইনে রাখা হয়েছে, যেন ট্রেন চলাচল করতে না পারে। স্টেশনের কাছের রেলগেটের ব্যারিকেড বাঁকা করে ফেলা হয়েছে। রেললাইনের ক্ল্যাম খুলে ফেলা হয়েছে।

তালশহর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশনের মাঝখানে একটি সেতুতেও আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের মূল সড়কের অনেক স্থানে বিদ্যুতের খুঁটি ফেলে রাস্তা আটকে রাখতেও দেখা যায়।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবেও হামলা হয়েছে, কাচ ভেঙে ফেলা হয়েছে। প্রেসক্লাবের সভাপতি দৈনিক জনকণ্ঠের স্টাফ রিপোর্টার রিয়াজউদ্দিন জামি প্রেসক্লাবে ঢোকার সময় তাঁর ওপর হামলা করা হয়। তিনি মাথায় আঘাত পেয়েছেন। ছয়টি সেলাই লেগেছে। বেলা একটা পর্যন্ত এই প্রতিবেদন লেখার সময় সাংবাদিকেরা প্রেসক্লাবে আটকা পড়ে ছিলেন।

আশুগঞ্জ সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুর টোল প্লাজায় থাকা পুলিশ ফাঁড়িতে আক্রমণ করে হরতাল–সমর্থনকারীরা। এ সময় পুলিশ ফাঁড়িতে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে। টোল আদায়ের বুথ ভাঙচুর করা হয়। সরাইলের বিশ্বরোড এলাকায় পুলিশ ফাঁড়িতে হামলার ঘটনা ঘটেছে।

রেলওয়ে সূত্র জানিয়েছে, দেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ট্রেনগুলোর একটি সোনার বাংলা এক্সপ্রেস। ট্রেনটি ঢাকা থেকে কোনো বিরতি ছাড়াই সরাসরি চট্টগ্রামে যায়। সকালে ট্রেনটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশনের পৌঁছালে ইটপাটকেল ছোড়া হয়। এতে ট্রেনের ইঞ্জিন ও কোচের ১২৪টি কাচ ভাঙচুর করা হয়েছে। পরে ট্রেনটি ফিরিয়ে ভৈরবে নিয়ে আসা হয়েছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ এবং হরতালের প্রতিবাদে দুপুর ১২টার দিকে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল বের করেন।

বিজনেসজার্নাল/ঢাকা/টিআর

 

আরও পড়ুন:

শেয়ার করুন

x
English Version

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সরকারি স্থাপনায় আগুন, ট্রেনে–প্রেসক্লাবেও হামলা

আপডেট: ০১:৫১:০৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ মার্চ ২০২১

হেফাজতে ইসলামের হরতালের মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যাপক ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।

আজ রোববার বেলা ১১টার পর থেকে জেলা সদর, আশুগঞ্জ, সরাইলের একাধিক স্থানে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। ভাঙচুর হয়েছে ব্যাপক। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, হামলাকারীদের মূল লক্ষ্য ছিল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সরকারি সম্পদ। লক্ষ্য বানানো হয়েছে সাংবাদিকদেরও।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল থেকেই ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানা মসজিদ থেকে শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালন এবং কোথাও হামলা না করার আহ্বান জানানো হয়েছিল। কিন্তু বেলা ১১টার পর জেলা পরিষদ ভবনে আগুন দেওয়া হয়। নিচতলার অনেক কক্ষে আগুন দেওয়ার পর এসির বিস্ফোরণ হয়। সুরসম্রাট আলাউদ্দিন সংগীতাঙ্গন, পৌরসভায় ভাঙচুর ও আগুন দেওয়া হয়। আগুন দেওয়া হয় সদর উপজেলা ভূমি কার্যালয়ে। হামলা হয়েছে সদর থানায়, প্রেসক্লাবে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: বিজনেসজার্নালবিজনেসজার্নাল.বিডি

শহীদ ধীরন্দ্র নাথ দত্ত ভাষা চত্বরে গতকাল শনিবার থেকে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে উন্নয়ন মেলা চলছে। সেই মেলাতেও আগুন দেওয়া হয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশনে আশপাশের ড্রেন থেকে কংক্রিটের স্ল্যাব উঠিয়ে রেললাইনে রাখা হয়েছে, যেন ট্রেন চলাচল করতে না পারে। স্টেশনের কাছের রেলগেটের ব্যারিকেড বাঁকা করে ফেলা হয়েছে। রেললাইনের ক্ল্যাম খুলে ফেলা হয়েছে।

তালশহর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশনের মাঝখানে একটি সেতুতেও আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের মূল সড়কের অনেক স্থানে বিদ্যুতের খুঁটি ফেলে রাস্তা আটকে রাখতেও দেখা যায়।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবেও হামলা হয়েছে, কাচ ভেঙে ফেলা হয়েছে। প্রেসক্লাবের সভাপতি দৈনিক জনকণ্ঠের স্টাফ রিপোর্টার রিয়াজউদ্দিন জামি প্রেসক্লাবে ঢোকার সময় তাঁর ওপর হামলা করা হয়। তিনি মাথায় আঘাত পেয়েছেন। ছয়টি সেলাই লেগেছে। বেলা একটা পর্যন্ত এই প্রতিবেদন লেখার সময় সাংবাদিকেরা প্রেসক্লাবে আটকা পড়ে ছিলেন।

আশুগঞ্জ সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুর টোল প্লাজায় থাকা পুলিশ ফাঁড়িতে আক্রমণ করে হরতাল–সমর্থনকারীরা। এ সময় পুলিশ ফাঁড়িতে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে। টোল আদায়ের বুথ ভাঙচুর করা হয়। সরাইলের বিশ্বরোড এলাকায় পুলিশ ফাঁড়িতে হামলার ঘটনা ঘটেছে।

রেলওয়ে সূত্র জানিয়েছে, দেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ট্রেনগুলোর একটি সোনার বাংলা এক্সপ্রেস। ট্রেনটি ঢাকা থেকে কোনো বিরতি ছাড়াই সরাসরি চট্টগ্রামে যায়। সকালে ট্রেনটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশনের পৌঁছালে ইটপাটকেল ছোড়া হয়। এতে ট্রেনের ইঞ্জিন ও কোচের ১২৪টি কাচ ভাঙচুর করা হয়েছে। পরে ট্রেনটি ফিরিয়ে ভৈরবে নিয়ে আসা হয়েছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ এবং হরতালের প্রতিবাদে দুপুর ১২টার দিকে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল বের করেন।

বিজনেসজার্নাল/ঢাকা/টিআর

 

আরও পড়ুন: