০২:৫২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

ভাসানচরে কেমন যাচ্ছে রোহিঙ্গাদের ‍দিন?

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১১:২৩:০৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২০
  • / ৪১১২ বার দেখা হয়েছে

এক মাসেরও কম সময়ে ভাসানচরের জীবন ধারার সাথে নিজেদের মানিয়ে নিয়েছে প্রথম দফায় আসা ১৬৪২ জন রোহিঙ্গা। একেবারে নিজেদের বসত বাড়ির মতোই স্বাভাবিক জীবন তাদের। বিশাল খোলা জায়গা পেয়ে শিশুরা যেমন দিনভর খেলায় মাতোয়ারা, বড়রাও ব্যস্ত থাকছেন প্রাত্যহিক কাজে। আর নতুন জীবন ধারায় সঙ্গী হতে মোবাইলের ভিডিও কলে উদ্বুদ্ধ করছেন উখিয়া-টেকনাফ ক্যাম্পে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের।

মঙ্গলবার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুরে দ্বিতীয় বহরের রোহিঙ্গারা মাত্র ভাসানচরের ঘাট পেরিয়ে ওয়্যার হাউজের দিকে যাত্রা করেছে, তার আগেই তাদের বরণ করে নেয়ার জন্য বিভিন্ন ক্লাস্টার থেকে বের হয়ে ৪ ডিসেম্বর আসা রোহিঙ্গারা রাস্তায় অবস্থান নেন। এমনকি অনেকেই ওয়্যার হাউজে এসে তাদের সাথে কোলাকুলিতে মেতে ওঠেন। এখন তারা নিজেদের ভাসানচরের পুরাতন রোহিঙ্গা বলেই দাবি করছেন। 

আবার নতুন আসা রোহিঙ্গারা পুরাতন রোহিঙ্গাদের ভিডিও কলে ভাসানচর দেখেই এখানে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। 

এক রোহিঙ্গা বলেন, আমাদের যত আত্মীয় স্বজন টেকনাফে রয়েছে, তাদের বলেছি এখানে চলে আসতে। কারণ এখানের পরিবেশ খুবই ভালো। আমরা এখানে ভালো আছি। 

এদিকে, আগে আসা রোহিঙ্গাদের জন্য ইতোমধ্যে বেশ কিছু সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা হয়েছে। বিনোদনের জন্য খেলার মাঠের পাশাপাশি মিউজিক ক্লাবও গড়ে তোলা হয়েছে। এটিও এখন রোহিঙ্গাদের প্রচারণার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

ভাসানচর আশ্রয়ণ প্রকল্পের পরিচালক কমডোর আবদুল্লা আল মামুন জানান, এখানে যে রোহিঙ্গারা আসছেন, তারা এখানের সার্বিক সুযোগ সুবিধার কথা টেকনাফে থাকা রোহিঙ্গাদের জানাচ্ছেন। এবং তাদের অনেক আত্মীয় স্বজনরাও এখানে আসতে শুরু করেছেন। 

ভাসানচরে ১ লাখের বেশি রোহিঙ্গার জন্য নিরাপদ আবাসনের পাশাপাশি সব ধরণের সুবিধা নিশ্চিত করেছে সরকার।

শেয়ার করুন

x
English Version

ভাসানচরে কেমন যাচ্ছে রোহিঙ্গাদের ‍দিন?

আপডেট: ১১:২৩:০৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২০

এক মাসেরও কম সময়ে ভাসানচরের জীবন ধারার সাথে নিজেদের মানিয়ে নিয়েছে প্রথম দফায় আসা ১৬৪২ জন রোহিঙ্গা। একেবারে নিজেদের বসত বাড়ির মতোই স্বাভাবিক জীবন তাদের। বিশাল খোলা জায়গা পেয়ে শিশুরা যেমন দিনভর খেলায় মাতোয়ারা, বড়রাও ব্যস্ত থাকছেন প্রাত্যহিক কাজে। আর নতুন জীবন ধারায় সঙ্গী হতে মোবাইলের ভিডিও কলে উদ্বুদ্ধ করছেন উখিয়া-টেকনাফ ক্যাম্পে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের।

মঙ্গলবার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুরে দ্বিতীয় বহরের রোহিঙ্গারা মাত্র ভাসানচরের ঘাট পেরিয়ে ওয়্যার হাউজের দিকে যাত্রা করেছে, তার আগেই তাদের বরণ করে নেয়ার জন্য বিভিন্ন ক্লাস্টার থেকে বের হয়ে ৪ ডিসেম্বর আসা রোহিঙ্গারা রাস্তায় অবস্থান নেন। এমনকি অনেকেই ওয়্যার হাউজে এসে তাদের সাথে কোলাকুলিতে মেতে ওঠেন। এখন তারা নিজেদের ভাসানচরের পুরাতন রোহিঙ্গা বলেই দাবি করছেন। 

আবার নতুন আসা রোহিঙ্গারা পুরাতন রোহিঙ্গাদের ভিডিও কলে ভাসানচর দেখেই এখানে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। 

এক রোহিঙ্গা বলেন, আমাদের যত আত্মীয় স্বজন টেকনাফে রয়েছে, তাদের বলেছি এখানে চলে আসতে। কারণ এখানের পরিবেশ খুবই ভালো। আমরা এখানে ভালো আছি। 

এদিকে, আগে আসা রোহিঙ্গাদের জন্য ইতোমধ্যে বেশ কিছু সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা হয়েছে। বিনোদনের জন্য খেলার মাঠের পাশাপাশি মিউজিক ক্লাবও গড়ে তোলা হয়েছে। এটিও এখন রোহিঙ্গাদের প্রচারণার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

ভাসানচর আশ্রয়ণ প্রকল্পের পরিচালক কমডোর আবদুল্লা আল মামুন জানান, এখানে যে রোহিঙ্গারা আসছেন, তারা এখানের সার্বিক সুযোগ সুবিধার কথা টেকনাফে থাকা রোহিঙ্গাদের জানাচ্ছেন। এবং তাদের অনেক আত্মীয় স্বজনরাও এখানে আসতে শুরু করেছেন। 

ভাসানচরে ১ লাখের বেশি রোহিঙ্গার জন্য নিরাপদ আবাসনের পাশাপাশি সব ধরণের সুবিধা নিশ্চিত করেছে সরকার।