১২:৩১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪

ভয় পেয়ে ঘুম ভেঙে গেলে যে দোয়া পড়বেন

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৮:৪০:২৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২১
  • / ৪৩০৮ বার দেখা হয়েছে

ঘুমের ঘোরে প্রতিটি মানুষ স্বপ্ন দেখে। তাই স্বপ্ন দেখা একটা স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। তবে মানুষের ভাবনা ও মননে যেমন বৈচিত্র্য রয়েছে, স্বপ্ন দেখার ধরনেও রয়েছে ভিন্নতা। মানুষ ভালো স্বপ্ন দেখে যেমন সুখানুভব করে, তেমনি ভয়ংকর বা দুঃস্বপ্ন দেখে নিদারুণ বিমর্ষও হয়। সুন্দর স্বপ্ন মানুষকে হয়তো আনন্দ দেয়। কিন্তু দুঃস্বপ্ন মানুষকে ভাবনাতুর ও অস্থির করে রাখে।

ইসলামে প্রতিটি বিষয়ের নির্দেশনা রয়েছে। জীবনের বৃহৎ থেকে খুঁটিনাটি– প্রতিটি ক্ষেত্রে সমাধান দিয়েছে ইসলাম। সে হিসেবে স্বপ্ন সম্পর্কেও রয়েছে ইসলামের চমৎকার বক্তব্য, ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণ। তবে লক্ষ রাখতে হবে- ইসলামের বক্তব্য-ব্যাখ্যার সঙ্গে কোনো দার্শনিক কিংবা বিজ্ঞানীর মতামত সামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়া জরুরি নয়। সবকিছুই নিতান্ত আলাদা। মিলে গেলেও আবার কোনো অসুবিধা নেই।

স্বপ্ন কখনো সত্য হয়, কখনো মিথ্যা হয়। হাদিসে মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘সত্য স্বপ্ন নবুয়তের ৪৬ ভাগের এক ভাগ।’ (বুখারি, হাদিস : ৬৪৭২)

মানুষ স্বপ্ন দেখলে কাছের-দূরের মানুষকে বলে বেড়ায়। এটা মানুষের স্বভাব। তবে অনেকে অন্যকে খুশি করতে রং মাখিয়ে স্বপ্নের বর্ণনা দেয়। অথচ রাসুল (সা.) হাদিসে বলেছেন, ‘সবচেয়ে বড় মিথ্যা হলো, কোনো ব্যক্তি নিজেকে তার পিতা ছাড়া অন্য কারো সন্তান বলে দাবি করা। যে স্বপ্ন সে দেখেনি তা বর্ণনা করা। আর আল্লাহর রাসুল (সা.) যা বলেননি, তার তা সম্পর্কে বলে বেড়ানো।’ (বুখারি, হাদিস : ৩৫০৯)

দুঃস্বপ্ন দেখলে যে আমল করবেন
স্বপ্ন মানুষকে আনন্দিত ও আমোদিত করে। কখনো আবার ব্যথিত ও ভীতসন্ত্রস্ত করে। কেউ ভীতি-জাগানিয়া স্বপ্ন দেখলে, তার করণীয় কী– হাদিসে এব্যাপারে যেসব পরামর্শ দেওয়া হয়েছে–

এক.
স্বপ্নের অনিষ্ট ও ক্ষতি থেকে মহান আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করা। তিনবার ‘আউজুবিল্লাহি মিনাশ শাইতানির রাজিম’ পড়া। তাহলে এ স্বপ্ন তার কোনো ক্ষতি করতে পারবে না। (মুসলিম, হাদিস : ২২৬২)

এ ক্ষেত্রে হাদিসে একটি দোয়া বর্ণিত হয়েছ। দোয়াটি হলো– ‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজু বিকা মিন শাররি হাজিহির রু’ইয়া।’ অর্থ : হে আল্লাহ, আমি আপনার কাছে এই ভয়ংকর স্বপ্নের অনিষ্ট থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি।

দুই.
শরীরের বাঁ দিক করে তিনবার (বাতাসে আদ্র ধরনের) থুথু  নিক্ষেপ করবে। (মুসলিম, হাদিস : ২২৬১)

তিন.
যে কাত হয়ে ঘুমিয়ে খারাপ স্বপ্ন দেখেছে, সে কাত পরিবর্তন করে অন্য দিকে মুখ ফিরিয়ে শোবে। (মুসলিম, হাদিস : ২২৬২) অবস্থা বদলে দেওয়ার ইঙ্গিতস্বরূপ এটা করা হয়ে থাকে।

চার.
খারাপ স্বপ্ন দেখলে কারও কাছে না বলা। নিজেও এর ব্যাখ্যা করতে চেষ্টা না করা। (বুখারি, হাদিস : ৬৫৮৩)

পাঁচ.
নামাজ পড়ে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাওয়া। (মুসলিম, হাদিস : ২২৬৩

শেয়ার করুন

x
English Version

ভয় পেয়ে ঘুম ভেঙে গেলে যে দোয়া পড়বেন

আপডেট: ০৮:৪০:২৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২১

ঘুমের ঘোরে প্রতিটি মানুষ স্বপ্ন দেখে। তাই স্বপ্ন দেখা একটা স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। তবে মানুষের ভাবনা ও মননে যেমন বৈচিত্র্য রয়েছে, স্বপ্ন দেখার ধরনেও রয়েছে ভিন্নতা। মানুষ ভালো স্বপ্ন দেখে যেমন সুখানুভব করে, তেমনি ভয়ংকর বা দুঃস্বপ্ন দেখে নিদারুণ বিমর্ষও হয়। সুন্দর স্বপ্ন মানুষকে হয়তো আনন্দ দেয়। কিন্তু দুঃস্বপ্ন মানুষকে ভাবনাতুর ও অস্থির করে রাখে।

ইসলামে প্রতিটি বিষয়ের নির্দেশনা রয়েছে। জীবনের বৃহৎ থেকে খুঁটিনাটি– প্রতিটি ক্ষেত্রে সমাধান দিয়েছে ইসলাম। সে হিসেবে স্বপ্ন সম্পর্কেও রয়েছে ইসলামের চমৎকার বক্তব্য, ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণ। তবে লক্ষ রাখতে হবে- ইসলামের বক্তব্য-ব্যাখ্যার সঙ্গে কোনো দার্শনিক কিংবা বিজ্ঞানীর মতামত সামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়া জরুরি নয়। সবকিছুই নিতান্ত আলাদা। মিলে গেলেও আবার কোনো অসুবিধা নেই।

স্বপ্ন কখনো সত্য হয়, কখনো মিথ্যা হয়। হাদিসে মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘সত্য স্বপ্ন নবুয়তের ৪৬ ভাগের এক ভাগ।’ (বুখারি, হাদিস : ৬৪৭২)

মানুষ স্বপ্ন দেখলে কাছের-দূরের মানুষকে বলে বেড়ায়। এটা মানুষের স্বভাব। তবে অনেকে অন্যকে খুশি করতে রং মাখিয়ে স্বপ্নের বর্ণনা দেয়। অথচ রাসুল (সা.) হাদিসে বলেছেন, ‘সবচেয়ে বড় মিথ্যা হলো, কোনো ব্যক্তি নিজেকে তার পিতা ছাড়া অন্য কারো সন্তান বলে দাবি করা। যে স্বপ্ন সে দেখেনি তা বর্ণনা করা। আর আল্লাহর রাসুল (সা.) যা বলেননি, তার তা সম্পর্কে বলে বেড়ানো।’ (বুখারি, হাদিস : ৩৫০৯)

দুঃস্বপ্ন দেখলে যে আমল করবেন
স্বপ্ন মানুষকে আনন্দিত ও আমোদিত করে। কখনো আবার ব্যথিত ও ভীতসন্ত্রস্ত করে। কেউ ভীতি-জাগানিয়া স্বপ্ন দেখলে, তার করণীয় কী– হাদিসে এব্যাপারে যেসব পরামর্শ দেওয়া হয়েছে–

এক.
স্বপ্নের অনিষ্ট ও ক্ষতি থেকে মহান আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করা। তিনবার ‘আউজুবিল্লাহি মিনাশ শাইতানির রাজিম’ পড়া। তাহলে এ স্বপ্ন তার কোনো ক্ষতি করতে পারবে না। (মুসলিম, হাদিস : ২২৬২)

এ ক্ষেত্রে হাদিসে একটি দোয়া বর্ণিত হয়েছ। দোয়াটি হলো– ‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজু বিকা মিন শাররি হাজিহির রু’ইয়া।’ অর্থ : হে আল্লাহ, আমি আপনার কাছে এই ভয়ংকর স্বপ্নের অনিষ্ট থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি।

দুই.
শরীরের বাঁ দিক করে তিনবার (বাতাসে আদ্র ধরনের) থুথু  নিক্ষেপ করবে। (মুসলিম, হাদিস : ২২৬১)

তিন.
যে কাত হয়ে ঘুমিয়ে খারাপ স্বপ্ন দেখেছে, সে কাত পরিবর্তন করে অন্য দিকে মুখ ফিরিয়ে শোবে। (মুসলিম, হাদিস : ২২৬২) অবস্থা বদলে দেওয়ার ইঙ্গিতস্বরূপ এটা করা হয়ে থাকে।

চার.
খারাপ স্বপ্ন দেখলে কারও কাছে না বলা। নিজেও এর ব্যাখ্যা করতে চেষ্টা না করা। (বুখারি, হাদিস : ৬৫৮৩)

পাঁচ.
নামাজ পড়ে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাওয়া। (মুসলিম, হাদিস : ২২৬৩