০৬:০৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪

মজুতপ্রবণতায় বাড়ে চালের দাম

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১২:৪৮:৫৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২১
  • / ৪১৩০ বার দেখা হয়েছে

খাদ্য ঘাটতির আশঙ্কায় করোনাকালে ব্যবসায়ী ও মিল মালিকরা চাল মজুত করে রাখেন। এ কারণে অতিপ্রয়োজনীয় এ পণ্যটির দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যায়।

কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের (বিএআরসি) মাঠ পর্যায়ের গবেষণার ফলাফলে এ তথ্য উঠে এসেছে। মঙ্গলবার রাজধানীর বিএআরসির অডিটোরিয়ামে গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।

এতে প্রধান অতিথি ছিলেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, সরকার দাম কমানো ও বাজার স্থিতিশীল রাখতে অনেকগুলো পদক্ষেপ গ্রহণ করে। চালের দাম কমাতে আমদানি শুল্ক কমিয়ে ২৫ ভাগে নামিয়ে আনা হয়েছে। ফলে চালের বাজার স্থিতিশীল অবস্থায় এসেছে।

বিএআরসি সূত্র জানায়, চাল, আলু ও পেঁয়াজের মূল্যবৃদ্ধির কারণ উদ্ঘাটনে কৃষি অর্থনীতিবিদদের নিয়ে বিএআরসি পৃথক তিনটি স্টাডি টিম গঠন করে। টিম তিনটির চূড়ান্ত গবেষণা প্রতিবেদন অনুষ্ঠানে উপস্থাপন করা হয়। এতে বলা হয়, করোনার কারণে কৃষকরাও ধীরে ধীরে চাল বিক্রি করেন। তারা ধান ওঠার এক মাসের মধ্যে নিজেদের প্রয়োজনের উদ্বৃত্ত চাল বিক্রি করেন।

এরপর ব্যবসায়ী ও মিল মালিকরা চাল মজুত করেছিলেন। সরকার চাল সংগ্রহ ও যথাসময়ে চাল আমদানি করতে পারেনি। যে কারণে দাম বেড়েছে। এ ছাড়া মিল মালিক-ব্যবসায়ীদের আধিপত্য এবং অসম প্রতিযোগিতা, আমনের উৎপাদন ঘাটতি, চাল আমদানি বন্ধ, মৌসুমি ব্যবসায়ীদের কারণে দাম বেড়েছে।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, লাগাতার বন্যার কারণে আউশ ও আমনের উৎপাদন কম হয়েছে। সরকারিভাবে ধান-চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না-হওয়া ও সরকারি খাদ্যগুদামে পর্যাপ্ত মজুত না-থাকায় মিলমালিক ও পাইকাররা সুযোগ নিয়েছে। বাজারের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। এটি ভবিষ্যতে যাতে না হয় সে জন্য আগামী বোরো মৌসুমে ধান-চাল কেনার লক্ষ্যমাত্রা পূরণে সব ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। চাল কিনে সরকারি মজুত বাড়ানো হবে যাতে বাজার সরকারের নিয়ন্ত্রণে থাকে।

উৎপাদন বাড়াতে না পারলে কোনো পণ্যেরই বাজার স্থিতিশীল থাকবে না উল্লেখ করে ড. রাজ্জাক বলেন, চাল, আলু ও পেঁয়াজের উৎপাদন আরও বাড়াতে কার্যক্রম চলছে। চালের উৎপাদন বাড়াতে ব্রি-৮৭ ও বিনা-১৬ জাতের ধান চাষে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। আর পেঁয়াজে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনে রোডম্যাপ প্রণয়ন করা হয়েছে।

চাল : প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রায় সব কৃষকই ধান কাটার প্রথম মাসের মধ্যে নিজেদের চাহিদা অনুযায়ী ধান রেখে বাড়তি অংশ বিক্রি করে দেন। কিন্তু গত বোরো মৌসুমে করোনার কারণে ধান বিক্রির ধরনটি পরিবর্তিত হয়েছে। এ মৌসুমে কৃষকরা তাদের ধান মজুত থেকে ধীরে ধীরে বিক্রি করেছেন। ফলে বাজারে এর সংকট দেখা দেয়। এ ছাড়া সরকার গত মৌসুমে কম চাল সংগ্রহ করেছে, যথাসময়ে প্রয়োজনীয় চাল আমদানি করতে পারেনি। ফলে বাজারে প্রয়োজনীয় হস্তক্ষেপ করা সম্ভব হয়নি। এতে দাম বেড়েছে।

ধান : বাজারে বড় মিল মালিক ও ব্যবসায়ীদের আধিপত্য ও অসম প্রতিযোগিতা রয়েছে। আমন মৌসুমে ধান উৎপাদনে ঘাটতির আশঙ্কা করা হয়েছে। ধান চাষের ব্যয় ও প্রক্রিয়াজাতকরণের খরচ বৃদ্ধি পেয়েছে। ক্রমবর্ধমান মৌসুমি ব্যবসায়ী বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে উৎপাদন কমেছে। এসব কারণে ধানের দাম বেড়েছে।

প্রতিবেদনে ধান-চালের মূল্য স্বাভাবিক রাখার বিষয়ে বেশকিছু সুপারিশ করা হয়। এর মধ্যে রয়েছে, ধান-চাল সংগ্রহ পদ্ধতি আধুনিকায়ন করা, কৃষকের কাছ থেকে সরাসরি ধান সংগ্রহ করে তা মিলারদের মাধ্যমে চালে পরিণত করা।

চিকন ও মোটা দানার চালের জন্য সরকারের পৃথক ন্যূনতম সহায়তা মূল্য (এসএমপি) ঘোষণা করা। ন্যূনতম ২৫ লাখ টন চাল সংগ্রহ করা এবং মোট চাল উৎপাদনের প্রায় ১০ শতাংশ সংগ্রহ করার সক্ষমতা অর্জন করা, যাতে সরকার বাজারে কার্যকরভাবে হস্তক্ষেপ করতে পারে।

বাফার স্টক হিসাবে সরকার কর্তৃক প্রতিমাসে কমপক্ষে ১২ লাখ ৫০ হাজার টন চাল মজুত নিশ্চিত করা। উৎপাদন ব্যয়ের ওপর কমপক্ষে ২০ শতাংশ মুনাফা বিবেচনা করে ধান-চালের সংগ্রহমূল্য নির্ধারণ করা হলে কৃষকরা লাভবান হবে এবং তারা সরকারের কাছে ধান বিক্রি করবে।

আলু : ভবিষ্যতে দাম বাড়ার আশায় কৃষক ও ব্যবসায়ী পর্যায়ে আলুর মজুত ও হিমাগার থেকে আলুর কম সরবরাহ হয়েছে। হিমাগারে মজুত আলু ঘন ঘন হাতবদল হয়েছে। পাশের কয়েকটি দেশে আলু রপ্তানির পরিমাণ বেড়েছে। মৌসুমি ব্যবসায়ীরা আলুর বিপুল মজুত করে কৃত্রিম সংকট তৈরি করতে ভূমিকা রাখছে। আলুর বাজারে সরকারের সীমিত নিয়ন্ত্রণ ও বাজারের প্রকৃত অবস্থা সম্পর্কে তথ্যের অভাব রয়েছে। বর্ষার মৌসুমের ব্যাপ্তি দীর্ঘতর হওয়ায় সবজির উৎপাদন কমেছে ও আলুর চাহিদা বেড়েছে। এসব কারণে এর দাম বেড়েছে।

পেঁয়াজ : দেশীয় অসাধু বাণিজ্য সিন্ডিকেট দ্বারা বাজারে কারসাজি, ভারতীয় পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা এবং অতিমাত্রায় ভারতের ওপর পেঁয়াজ আমদানিতে নির্ভরতা, আমদানির জন্য পেঁয়াজের বিকল্প উৎসের সন্ধানে দ্রুত কার্যক্রমের অভাব, গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ ও মুড়িকাটা পেঁয়াজের সীমিত উৎপাদন ইত্যাদি কারণে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে।

সুপারিশে বলা হয়, অসাধু বাণিজ্য সিন্ডিকেট শনাক্ত করে তাদের বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। সংকটকালে পেঁয়াজ আমদানির জন্য দ্রুত একাধিক রপ্তানিকারক দেশের সন্ধান করতে হবে। অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বাড়ানোর মাধ্যমে আমদানি নির্ভরতা কমাতে হবে। কৃষিমূল্য কমিশন গঠনের মাধ্যমে সারা বছর বাজারে পেঁয়াজের দাম নির্ধারণ ও তদারকি করতে হবে।

শেয়ার করুন

x
English Version

মজুতপ্রবণতায় বাড়ে চালের দাম

আপডেট: ১২:৪৮:৫৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২১

খাদ্য ঘাটতির আশঙ্কায় করোনাকালে ব্যবসায়ী ও মিল মালিকরা চাল মজুত করে রাখেন। এ কারণে অতিপ্রয়োজনীয় এ পণ্যটির দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যায়।

কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের (বিএআরসি) মাঠ পর্যায়ের গবেষণার ফলাফলে এ তথ্য উঠে এসেছে। মঙ্গলবার রাজধানীর বিএআরসির অডিটোরিয়ামে গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।

এতে প্রধান অতিথি ছিলেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, সরকার দাম কমানো ও বাজার স্থিতিশীল রাখতে অনেকগুলো পদক্ষেপ গ্রহণ করে। চালের দাম কমাতে আমদানি শুল্ক কমিয়ে ২৫ ভাগে নামিয়ে আনা হয়েছে। ফলে চালের বাজার স্থিতিশীল অবস্থায় এসেছে।

বিএআরসি সূত্র জানায়, চাল, আলু ও পেঁয়াজের মূল্যবৃদ্ধির কারণ উদ্ঘাটনে কৃষি অর্থনীতিবিদদের নিয়ে বিএআরসি পৃথক তিনটি স্টাডি টিম গঠন করে। টিম তিনটির চূড়ান্ত গবেষণা প্রতিবেদন অনুষ্ঠানে উপস্থাপন করা হয়। এতে বলা হয়, করোনার কারণে কৃষকরাও ধীরে ধীরে চাল বিক্রি করেন। তারা ধান ওঠার এক মাসের মধ্যে নিজেদের প্রয়োজনের উদ্বৃত্ত চাল বিক্রি করেন।

এরপর ব্যবসায়ী ও মিল মালিকরা চাল মজুত করেছিলেন। সরকার চাল সংগ্রহ ও যথাসময়ে চাল আমদানি করতে পারেনি। যে কারণে দাম বেড়েছে। এ ছাড়া মিল মালিক-ব্যবসায়ীদের আধিপত্য এবং অসম প্রতিযোগিতা, আমনের উৎপাদন ঘাটতি, চাল আমদানি বন্ধ, মৌসুমি ব্যবসায়ীদের কারণে দাম বেড়েছে।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, লাগাতার বন্যার কারণে আউশ ও আমনের উৎপাদন কম হয়েছে। সরকারিভাবে ধান-চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না-হওয়া ও সরকারি খাদ্যগুদামে পর্যাপ্ত মজুত না-থাকায় মিলমালিক ও পাইকাররা সুযোগ নিয়েছে। বাজারের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। এটি ভবিষ্যতে যাতে না হয় সে জন্য আগামী বোরো মৌসুমে ধান-চাল কেনার লক্ষ্যমাত্রা পূরণে সব ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। চাল কিনে সরকারি মজুত বাড়ানো হবে যাতে বাজার সরকারের নিয়ন্ত্রণে থাকে।

উৎপাদন বাড়াতে না পারলে কোনো পণ্যেরই বাজার স্থিতিশীল থাকবে না উল্লেখ করে ড. রাজ্জাক বলেন, চাল, আলু ও পেঁয়াজের উৎপাদন আরও বাড়াতে কার্যক্রম চলছে। চালের উৎপাদন বাড়াতে ব্রি-৮৭ ও বিনা-১৬ জাতের ধান চাষে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। আর পেঁয়াজে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনে রোডম্যাপ প্রণয়ন করা হয়েছে।

চাল : প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রায় সব কৃষকই ধান কাটার প্রথম মাসের মধ্যে নিজেদের চাহিদা অনুযায়ী ধান রেখে বাড়তি অংশ বিক্রি করে দেন। কিন্তু গত বোরো মৌসুমে করোনার কারণে ধান বিক্রির ধরনটি পরিবর্তিত হয়েছে। এ মৌসুমে কৃষকরা তাদের ধান মজুত থেকে ধীরে ধীরে বিক্রি করেছেন। ফলে বাজারে এর সংকট দেখা দেয়। এ ছাড়া সরকার গত মৌসুমে কম চাল সংগ্রহ করেছে, যথাসময়ে প্রয়োজনীয় চাল আমদানি করতে পারেনি। ফলে বাজারে প্রয়োজনীয় হস্তক্ষেপ করা সম্ভব হয়নি। এতে দাম বেড়েছে।

ধান : বাজারে বড় মিল মালিক ও ব্যবসায়ীদের আধিপত্য ও অসম প্রতিযোগিতা রয়েছে। আমন মৌসুমে ধান উৎপাদনে ঘাটতির আশঙ্কা করা হয়েছে। ধান চাষের ব্যয় ও প্রক্রিয়াজাতকরণের খরচ বৃদ্ধি পেয়েছে। ক্রমবর্ধমান মৌসুমি ব্যবসায়ী বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে উৎপাদন কমেছে। এসব কারণে ধানের দাম বেড়েছে।

প্রতিবেদনে ধান-চালের মূল্য স্বাভাবিক রাখার বিষয়ে বেশকিছু সুপারিশ করা হয়। এর মধ্যে রয়েছে, ধান-চাল সংগ্রহ পদ্ধতি আধুনিকায়ন করা, কৃষকের কাছ থেকে সরাসরি ধান সংগ্রহ করে তা মিলারদের মাধ্যমে চালে পরিণত করা।

চিকন ও মোটা দানার চালের জন্য সরকারের পৃথক ন্যূনতম সহায়তা মূল্য (এসএমপি) ঘোষণা করা। ন্যূনতম ২৫ লাখ টন চাল সংগ্রহ করা এবং মোট চাল উৎপাদনের প্রায় ১০ শতাংশ সংগ্রহ করার সক্ষমতা অর্জন করা, যাতে সরকার বাজারে কার্যকরভাবে হস্তক্ষেপ করতে পারে।

বাফার স্টক হিসাবে সরকার কর্তৃক প্রতিমাসে কমপক্ষে ১২ লাখ ৫০ হাজার টন চাল মজুত নিশ্চিত করা। উৎপাদন ব্যয়ের ওপর কমপক্ষে ২০ শতাংশ মুনাফা বিবেচনা করে ধান-চালের সংগ্রহমূল্য নির্ধারণ করা হলে কৃষকরা লাভবান হবে এবং তারা সরকারের কাছে ধান বিক্রি করবে।

আলু : ভবিষ্যতে দাম বাড়ার আশায় কৃষক ও ব্যবসায়ী পর্যায়ে আলুর মজুত ও হিমাগার থেকে আলুর কম সরবরাহ হয়েছে। হিমাগারে মজুত আলু ঘন ঘন হাতবদল হয়েছে। পাশের কয়েকটি দেশে আলু রপ্তানির পরিমাণ বেড়েছে। মৌসুমি ব্যবসায়ীরা আলুর বিপুল মজুত করে কৃত্রিম সংকট তৈরি করতে ভূমিকা রাখছে। আলুর বাজারে সরকারের সীমিত নিয়ন্ত্রণ ও বাজারের প্রকৃত অবস্থা সম্পর্কে তথ্যের অভাব রয়েছে। বর্ষার মৌসুমের ব্যাপ্তি দীর্ঘতর হওয়ায় সবজির উৎপাদন কমেছে ও আলুর চাহিদা বেড়েছে। এসব কারণে এর দাম বেড়েছে।

পেঁয়াজ : দেশীয় অসাধু বাণিজ্য সিন্ডিকেট দ্বারা বাজারে কারসাজি, ভারতীয় পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা এবং অতিমাত্রায় ভারতের ওপর পেঁয়াজ আমদানিতে নির্ভরতা, আমদানির জন্য পেঁয়াজের বিকল্প উৎসের সন্ধানে দ্রুত কার্যক্রমের অভাব, গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ ও মুড়িকাটা পেঁয়াজের সীমিত উৎপাদন ইত্যাদি কারণে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে।

সুপারিশে বলা হয়, অসাধু বাণিজ্য সিন্ডিকেট শনাক্ত করে তাদের বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। সংকটকালে পেঁয়াজ আমদানির জন্য দ্রুত একাধিক রপ্তানিকারক দেশের সন্ধান করতে হবে। অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বাড়ানোর মাধ্যমে আমদানি নির্ভরতা কমাতে হবে। কৃষিমূল্য কমিশন গঠনের মাধ্যমে সারা বছর বাজারে পেঁয়াজের দাম নির্ধারণ ও তদারকি করতে হবে।