০৯:৫৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪

মতিঝিলের ব্রোকারেজ হাউজগুলোতে সুনসান নীরবতা

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১২:৫৩:২৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ এপ্রিল ২০২১
  • / ৪১৯০ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল ডেস্কঃ টানা দুইমাস ধরে টালমাটাল পুঁজিবাজার। তাতে নতুন করে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের কঠোর বিধিনিষেধ যোগ হয়েছে। ফলে বিনিয়োগকারী শূন্য হয়ে পড়েছে ব্রোকারেজ হাউজগুলো। বিনিয়োগকারী বসার চেয়ারগুলো কোনো হাউজে সাজানো রয়েছে, আবার কোনো কোনোটিতে গুছিয়ে রাখা হয়েছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, যেখানে চলতি বছরের জানুয়ারি মাসেও দীর্ঘ লাইন ধরে ভবনের লিফট দিয়ে ওঠার জন্য দাঁড়িয়ে থাকতে হতো। সেখানে কেউ নেই। এমনকি লিফটম্যানও নেই। ব্রোকারেজ হাউজগুলোতে ভেতরে বিনিয়োগকারীর দেখা পাওয়া দুষ্কর। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতি চার ভাগের একভাগ। পুঁজিবাজারে প্রাণ ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ভবন, ডিএসইএনেক্স, মধুমিতা এবং সমবায় ভবনসহ মতিঝিল ও দিলকুশায় অবস্থিত ব্রোকারেজ হাউজগুলো নীরব, নিস্তব্ধ।

শুধু ব্রোকারেজ হাউজই নয়, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ, মার্চেন্ট ব্যাংক এবং পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে (বিএসইসি) প্রায় একই অবস্থা বিরাজ করছে। এসব প্রতিষ্ঠানের বেশিরভাগ কক্ষেই কর্মকর্তারা নেই, হোম অফিস করছেন।

মতিঝিলের মধুমিতা ভবনের জনপ্রিয় ব্রোকারেজ হাউজ শাকিল রিজভী স্টক লিমিটেড। কোথাও কোনো বিনিয়োগকারী না থাকলেও এই হাউজটি ভর্তি থাকে বিনিয়োগকারী। কিন্তু এ হাউজটিতে মাত্র দুজন বিনিয়োগকারীর দেখা মেলে। এ ভবনে অন্তত ২৫-৩০টি ব্রোকারেজ হাউজ রয়েছে, এগুলোর মধ্যে সিনথিয়া সিকিউরিটিজ, ভিশন সিকিউরিটিজ এবং এরিনা সিকিউরিটিজেও মিলেছে শুধু ট্রেডারের দেখা।

জানতে চাইলে নাম না প্রকাশের শর্তে শাকিল রিজভী স্টকের একজন কর্মকর্তা বলেন, করোনা প্রকোপ বাড়ায় বিনিয়োগকারীদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে লেনদেন করতে উৎসাহিত করছি। অনেকে মানতে চায় না। তাদের বারবার তাগাদা দিচ্ছি। স্বাস্থ্যবিধি মানার জন্য। তিনি বলেন, আমরা শিফটওয়াইজ অফিস করছি। বিনিয়োগকারীদের অনলাইন ও মোবাইল ফোনে লেনদেনের নির্দেশনা দিয়েছি। অধিকাংশ সেই নিয়ম অনুসরণ করছে।

এ পরিস্থিতিতেও লেনদেন করতে আসা মানিকনগরের এক বিনিয়োগকারী বলেন, কঠোর বিধিনিষেধ শুধু বাস-ভাড়া ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য। তা না হলে অফিস আদালত সব খোলা কেন? উল্টো-ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এটা ‘লক-ডাউন নয়, পুঁজিবাজারের জন্য লসডাউন’। তিনি বলেন, গতকাল বাসায় ছিলাম কিন্তু সারাদিন বাসায় থেকে একগুঁয়েমি লাগে তাই আজ হাঁটতে হাঁটতে হাউজে চলে এসেছি।

সিনথিয়া সিকিউরিটিজের কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম ঢাকা বলেন, করোনা বাড়ায় এখন জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বিনিয়োগকারীদের হাউজে আসতে বলি না। আমরা বরং ফোন করে তাদের বাজারের অবস্থা জানাই। ফলে লোক আসছে কম। তিনি বলেন, মাঝে মধ্যে মনে হয় হাউজগুলো ভূতের বাড়ির মত হয়ে যাচ্ছে।

ডিএসইএনেক্স ভবনের সালাম অ্যান্ড কোম্পানি, মিডওয়ে এবং অ্যাকোর সিকিউরিটিজসহ বেশির ভাগ সিকিউরিটিজের বিনিয়োগকারী একই অবস্থা। এসব হাউজে শব্দ হচ্ছে না। হচ্ছে কোনো কথা। একদম নিরব। কর্মকর্তারা জানান, লকডাউনের কারণে বিনিয়োগকারীদের উপস্থিতি কম কমেছে। তারা বলছেন, একদিকে স্বাস্থ্যবিধি, অন্যদিকে লেনদেনের সময় কমানো হয়েছে। তাই দূরের বিনিয়োগকারীরা হাউজে আসেন না। তারা বাসায় বসে লেনদেন করছেন।

জানতে চাইলে ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শরিফ আনোয়ার হোসেন বলেন, করোনার প্রকোপ বাড়ায় বিনিয়োগকারীদের উপস্থিতি কমেছে। তিনি বলেন, দেশের প্রযুক্তির উন্নয়ন হয়েছে। এখন আর ব্রোকার হাউজে এসে লেনদেন করতে হয় না। প্রত্যেক বিনিয়োগকারী তার কাজ কর্মের ফাঁকে ফাঁকে কিংবা বাসা বসে বসে পুঁজিবাজারে লেনদেন করতে পারছে।

বিশ্বে উন্নত দেশে হাউজে এসে বসে বিনিয়োগকারীরা লেনদেন করেন না। আমাদেরও প্রযুক্তির উন্নতি হচ্ছে আস্তে আস্তে এ প্রবণতা কমে আসবে বলে মনে করেন তিনি।
তার সঙ্গে একমত পোষণ করে আইপিডিসি ব্রোকারেজ হাউজের কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক রাসেল ঢাকা পোস্টকে বলেন, অনলাইনের মাধ্যমে সবাই লেনদেন করলে কে বা কারা বাজারে কারসাজি করছেন তা দ্রুত চিহ্নিত করা সম্ভব। এটা পুঁজিবাজারের জন্য পজিটিভ।

এ বিষয়ে ডিএসইর উপ-মহাব্যবস্থাপক শফিকুর রহমান বলেন, করোনায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে অফিস করা হচ্ছে। তিনি বলেন, করোনা রোধে ৩০ শতাংশ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং তার নিম্নপদের ৫০ শতাংশ কর্মকর্তারা অফিস করছেন। ফলে অফিস আগের চেয়ে নিরব। একটু অন্যরকম।

নাম না প্রকাশের শর্তে এজিএম পদের এক কর্মকর্তা বলেন, ডিএসইতে করোনার হানা বেড়েছে, ফলে ভয় করে অফিসে আসতে। অফিসে এলে মনে হয় অন্ধকারে আছি। কারণ লোকজন নেই, কথা বলারও মানুষ নেই। একটা ভয়ানক অবস্থা।

একই অবস্থা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের ঢাকা অফিসেও। এখানেও লোকজনের উপস্থিত নেই বলেই চলে। দুই স্টক এক্সচেঞ্জে ৫০-৭০ শতাংশ কর্মকর্তা হোম অফিস করছে।
সার্বিক বিষয়ে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, করোনার প্রকোপ রোধে সবাইকে নির্দেশনা দিয়েছি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য। এখন খুব প্রয়োজনীয় না হলে বাইরের লোকদের অ্যালাও করছি না। এবারের করোনায় কমিশনেরও অনেক কর্মকর্তা আক্রান্ত হয়েছেন।

চলতি বছরের ২৮ জানুয়ারি থেকে গত ৪ এপ্রিল পর্যন্ত দেশের পুঁজিবাজারে বেশির ভাগ সময় দরপতন হয়েছে। তাতে বিনিয়োগকারীদের হাজার হাজার কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে। এই ক্ষতির ফলে বাজারে প্রতি বিনিয়োগকারীদের আস্থার সংকট তৈরি হয়েছে। দরপতনের কারণে অনেক বিনিয়োগকারী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বর্তমান কমিশনের চেয়ারম্যানের পদত্যাগ দাবিও করেছে।

সূত্রঃ ঢাকা পোস্ট

শেয়ার করুন

x
English Version

মতিঝিলের ব্রোকারেজ হাউজগুলোতে সুনসান নীরবতা

আপডেট: ১২:৫৩:২৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ এপ্রিল ২০২১

বিজনেস জার্নাল ডেস্কঃ টানা দুইমাস ধরে টালমাটাল পুঁজিবাজার। তাতে নতুন করে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের কঠোর বিধিনিষেধ যোগ হয়েছে। ফলে বিনিয়োগকারী শূন্য হয়ে পড়েছে ব্রোকারেজ হাউজগুলো। বিনিয়োগকারী বসার চেয়ারগুলো কোনো হাউজে সাজানো রয়েছে, আবার কোনো কোনোটিতে গুছিয়ে রাখা হয়েছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, যেখানে চলতি বছরের জানুয়ারি মাসেও দীর্ঘ লাইন ধরে ভবনের লিফট দিয়ে ওঠার জন্য দাঁড়িয়ে থাকতে হতো। সেখানে কেউ নেই। এমনকি লিফটম্যানও নেই। ব্রোকারেজ হাউজগুলোতে ভেতরে বিনিয়োগকারীর দেখা পাওয়া দুষ্কর। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতি চার ভাগের একভাগ। পুঁজিবাজারে প্রাণ ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ভবন, ডিএসইএনেক্স, মধুমিতা এবং সমবায় ভবনসহ মতিঝিল ও দিলকুশায় অবস্থিত ব্রোকারেজ হাউজগুলো নীরব, নিস্তব্ধ।

শুধু ব্রোকারেজ হাউজই নয়, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ, মার্চেন্ট ব্যাংক এবং পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে (বিএসইসি) প্রায় একই অবস্থা বিরাজ করছে। এসব প্রতিষ্ঠানের বেশিরভাগ কক্ষেই কর্মকর্তারা নেই, হোম অফিস করছেন।

মতিঝিলের মধুমিতা ভবনের জনপ্রিয় ব্রোকারেজ হাউজ শাকিল রিজভী স্টক লিমিটেড। কোথাও কোনো বিনিয়োগকারী না থাকলেও এই হাউজটি ভর্তি থাকে বিনিয়োগকারী। কিন্তু এ হাউজটিতে মাত্র দুজন বিনিয়োগকারীর দেখা মেলে। এ ভবনে অন্তত ২৫-৩০টি ব্রোকারেজ হাউজ রয়েছে, এগুলোর মধ্যে সিনথিয়া সিকিউরিটিজ, ভিশন সিকিউরিটিজ এবং এরিনা সিকিউরিটিজেও মিলেছে শুধু ট্রেডারের দেখা।

জানতে চাইলে নাম না প্রকাশের শর্তে শাকিল রিজভী স্টকের একজন কর্মকর্তা বলেন, করোনা প্রকোপ বাড়ায় বিনিয়োগকারীদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে লেনদেন করতে উৎসাহিত করছি। অনেকে মানতে চায় না। তাদের বারবার তাগাদা দিচ্ছি। স্বাস্থ্যবিধি মানার জন্য। তিনি বলেন, আমরা শিফটওয়াইজ অফিস করছি। বিনিয়োগকারীদের অনলাইন ও মোবাইল ফোনে লেনদেনের নির্দেশনা দিয়েছি। অধিকাংশ সেই নিয়ম অনুসরণ করছে।

এ পরিস্থিতিতেও লেনদেন করতে আসা মানিকনগরের এক বিনিয়োগকারী বলেন, কঠোর বিধিনিষেধ শুধু বাস-ভাড়া ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য। তা না হলে অফিস আদালত সব খোলা কেন? উল্টো-ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এটা ‘লক-ডাউন নয়, পুঁজিবাজারের জন্য লসডাউন’। তিনি বলেন, গতকাল বাসায় ছিলাম কিন্তু সারাদিন বাসায় থেকে একগুঁয়েমি লাগে তাই আজ হাঁটতে হাঁটতে হাউজে চলে এসেছি।

সিনথিয়া সিকিউরিটিজের কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম ঢাকা বলেন, করোনা বাড়ায় এখন জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বিনিয়োগকারীদের হাউজে আসতে বলি না। আমরা বরং ফোন করে তাদের বাজারের অবস্থা জানাই। ফলে লোক আসছে কম। তিনি বলেন, মাঝে মধ্যে মনে হয় হাউজগুলো ভূতের বাড়ির মত হয়ে যাচ্ছে।

ডিএসইএনেক্স ভবনের সালাম অ্যান্ড কোম্পানি, মিডওয়ে এবং অ্যাকোর সিকিউরিটিজসহ বেশির ভাগ সিকিউরিটিজের বিনিয়োগকারী একই অবস্থা। এসব হাউজে শব্দ হচ্ছে না। হচ্ছে কোনো কথা। একদম নিরব। কর্মকর্তারা জানান, লকডাউনের কারণে বিনিয়োগকারীদের উপস্থিতি কম কমেছে। তারা বলছেন, একদিকে স্বাস্থ্যবিধি, অন্যদিকে লেনদেনের সময় কমানো হয়েছে। তাই দূরের বিনিয়োগকারীরা হাউজে আসেন না। তারা বাসায় বসে লেনদেন করছেন।

জানতে চাইলে ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শরিফ আনোয়ার হোসেন বলেন, করোনার প্রকোপ বাড়ায় বিনিয়োগকারীদের উপস্থিতি কমেছে। তিনি বলেন, দেশের প্রযুক্তির উন্নয়ন হয়েছে। এখন আর ব্রোকার হাউজে এসে লেনদেন করতে হয় না। প্রত্যেক বিনিয়োগকারী তার কাজ কর্মের ফাঁকে ফাঁকে কিংবা বাসা বসে বসে পুঁজিবাজারে লেনদেন করতে পারছে।

বিশ্বে উন্নত দেশে হাউজে এসে বসে বিনিয়োগকারীরা লেনদেন করেন না। আমাদেরও প্রযুক্তির উন্নতি হচ্ছে আস্তে আস্তে এ প্রবণতা কমে আসবে বলে মনে করেন তিনি।
তার সঙ্গে একমত পোষণ করে আইপিডিসি ব্রোকারেজ হাউজের কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক রাসেল ঢাকা পোস্টকে বলেন, অনলাইনের মাধ্যমে সবাই লেনদেন করলে কে বা কারা বাজারে কারসাজি করছেন তা দ্রুত চিহ্নিত করা সম্ভব। এটা পুঁজিবাজারের জন্য পজিটিভ।

এ বিষয়ে ডিএসইর উপ-মহাব্যবস্থাপক শফিকুর রহমান বলেন, করোনায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে অফিস করা হচ্ছে। তিনি বলেন, করোনা রোধে ৩০ শতাংশ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং তার নিম্নপদের ৫০ শতাংশ কর্মকর্তারা অফিস করছেন। ফলে অফিস আগের চেয়ে নিরব। একটু অন্যরকম।

নাম না প্রকাশের শর্তে এজিএম পদের এক কর্মকর্তা বলেন, ডিএসইতে করোনার হানা বেড়েছে, ফলে ভয় করে অফিসে আসতে। অফিসে এলে মনে হয় অন্ধকারে আছি। কারণ লোকজন নেই, কথা বলারও মানুষ নেই। একটা ভয়ানক অবস্থা।

একই অবস্থা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের ঢাকা অফিসেও। এখানেও লোকজনের উপস্থিত নেই বলেই চলে। দুই স্টক এক্সচেঞ্জে ৫০-৭০ শতাংশ কর্মকর্তা হোম অফিস করছে।
সার্বিক বিষয়ে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, করোনার প্রকোপ রোধে সবাইকে নির্দেশনা দিয়েছি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য। এখন খুব প্রয়োজনীয় না হলে বাইরের লোকদের অ্যালাও করছি না। এবারের করোনায় কমিশনেরও অনেক কর্মকর্তা আক্রান্ত হয়েছেন।

চলতি বছরের ২৮ জানুয়ারি থেকে গত ৪ এপ্রিল পর্যন্ত দেশের পুঁজিবাজারে বেশির ভাগ সময় দরপতন হয়েছে। তাতে বিনিয়োগকারীদের হাজার হাজার কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে। এই ক্ষতির ফলে বাজারে প্রতি বিনিয়োগকারীদের আস্থার সংকট তৈরি হয়েছে। দরপতনের কারণে অনেক বিনিয়োগকারী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বর্তমান কমিশনের চেয়ারম্যানের পদত্যাগ দাবিও করেছে।

সূত্রঃ ঢাকা পোস্ট