১২:২৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

মাস্ক ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করতে অভিনব প্রচারণা

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৭:১৩:০২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ এপ্রিল ২০২১
  • / ৪১৫১ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল ডেস্ক: করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু ও শনাক্তের মিছিল প্রতিদিনই দীর্ঘ হচ্ছে। কোনোভাবেই দমানো যাচ্ছে না ভাইরাসটির তাণ্ডব। প্রাণঘাতী এই ভাইরাস থেকে নিরাপদে থাকতে নিরাপদ দূরত্বে থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। এছাড়া সবাইকে বাধ্যতামূলক মাস্ক পরারও পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। তবে কথা হচ্ছে, এই মাস্ক ব্যবহারে আমরা কতটা সচেতন? সবাই কি আমরা সচেতনভাবে মাস্ক ব্যবহার করছি?

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মহামারি আকার ধারণ করা করোনাভাইরাসের আক্রমণ থেকে বাঁচতে অবশ্যই সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। তবে কিছু মানুষের মাঝে মাস্ক পরা নিয়ে আছে অনীহা, বহু মানুষ বিষয়টিকে গুরুত্ব দিচ্ছে না। এমন পরিস্থিতিতে মানুষকে সচেতন করতে নানা নির্দেশনাও দেওয়া হচ্ছে সরকারের শীর্ষ পর্যায় থেকে শুরু করে বিভিন্ন সংগঠন থেকে। 

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: বিজনেসজার্নালবিজনেসজার্নাল.বিডি

মাস্ক ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করতে কিছু ব্যতিক্রমী উদ্যোগও অনেক সময় চোখে পড়ে। তেমনি মনোযোগ আকর্ষণের জন্য রিক্সার পেছনে লাগানো সতেচনতামূলক কিছু নির্দেশনাও চোখে পড়ে। সিনেমা স্টাইলে পোস্টার ড্রয়িং করে দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করা হচ্ছে। সামাজিকমাধ্যমে এমন কিছু ছবিও শেয়ার করা হয়েছে। যা অনেকের কাছে প্রশংসনীয় মনে হয়েছে।

ফেসবুকে শেয়ার করা রিক্সার পেছনে লেখা আছে- ‘মাস্ক পরলে করোনার ভেলকি লাগবে, বোঝো নাই ব্যাপারটা?’ আরেকটি পোস্টারে লেখা আছে- ‘মতি মিয়া মাস্ক না পরে ঘুরছে। তাকে শাস্তি দেয়া প্রয়োজন- বড় চাচা।’

এরকম আরও কিছু পোস্টারও চোখে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। যেমন – ‘তোপসে, করোনার কেসটা মনে হচ্ছে বেশ গোলমেলে! আশ্চর্য লোকটি মাস্ক পরেনি কেন!- আনিস।’  

দৈনন্দিন চলার পথে লক্ষ্য করা যায়, অনেকের মাস্ক থাকলেও সেটি দিয়ে নাক-মুখ ঢাকছে না। কেউ কেউ বলছেন, ময়লা হয়েছে তাই ফেলে দিয়েছি। কেউ বলেন, সামনের দোকানে গিয়ে কিনব। সবাই সচেতন হলে এরকম খোঁড়া অজুহাত কেউ দিত না। যেকোনো উপায়ে মাস্ক পরিধান করেই বাসা থেকে বের হতো।

অদৃশ্য এই শত্রুটির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সচেতনতার বিকল্প নেই। সচেতন নাগরিক হিসেবে মাস্ক অবশ্যই ব্যবহার করতে হবে। খাদ্য সামগ্রী ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মতো তা সঠিকভাবে ব্যবহার করা জীবনের অংশে পরিণত করতে হবে।

বিজনেসজার্নাল/ঢাকা

আরও পড়ুন:

শেয়ার করুন

x
English Version

মাস্ক ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করতে অভিনব প্রচারণা

আপডেট: ০৭:১৩:০২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ এপ্রিল ২০২১

বিজনেস জার্নাল ডেস্ক: করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু ও শনাক্তের মিছিল প্রতিদিনই দীর্ঘ হচ্ছে। কোনোভাবেই দমানো যাচ্ছে না ভাইরাসটির তাণ্ডব। প্রাণঘাতী এই ভাইরাস থেকে নিরাপদে থাকতে নিরাপদ দূরত্বে থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। এছাড়া সবাইকে বাধ্যতামূলক মাস্ক পরারও পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। তবে কথা হচ্ছে, এই মাস্ক ব্যবহারে আমরা কতটা সচেতন? সবাই কি আমরা সচেতনভাবে মাস্ক ব্যবহার করছি?

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মহামারি আকার ধারণ করা করোনাভাইরাসের আক্রমণ থেকে বাঁচতে অবশ্যই সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। তবে কিছু মানুষের মাঝে মাস্ক পরা নিয়ে আছে অনীহা, বহু মানুষ বিষয়টিকে গুরুত্ব দিচ্ছে না। এমন পরিস্থিতিতে মানুষকে সচেতন করতে নানা নির্দেশনাও দেওয়া হচ্ছে সরকারের শীর্ষ পর্যায় থেকে শুরু করে বিভিন্ন সংগঠন থেকে। 

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: বিজনেসজার্নালবিজনেসজার্নাল.বিডি

মাস্ক ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করতে কিছু ব্যতিক্রমী উদ্যোগও অনেক সময় চোখে পড়ে। তেমনি মনোযোগ আকর্ষণের জন্য রিক্সার পেছনে লাগানো সতেচনতামূলক কিছু নির্দেশনাও চোখে পড়ে। সিনেমা স্টাইলে পোস্টার ড্রয়িং করে দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করা হচ্ছে। সামাজিকমাধ্যমে এমন কিছু ছবিও শেয়ার করা হয়েছে। যা অনেকের কাছে প্রশংসনীয় মনে হয়েছে।

ফেসবুকে শেয়ার করা রিক্সার পেছনে লেখা আছে- ‘মাস্ক পরলে করোনার ভেলকি লাগবে, বোঝো নাই ব্যাপারটা?’ আরেকটি পোস্টারে লেখা আছে- ‘মতি মিয়া মাস্ক না পরে ঘুরছে। তাকে শাস্তি দেয়া প্রয়োজন- বড় চাচা।’

এরকম আরও কিছু পোস্টারও চোখে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। যেমন – ‘তোপসে, করোনার কেসটা মনে হচ্ছে বেশ গোলমেলে! আশ্চর্য লোকটি মাস্ক পরেনি কেন!- আনিস।’  

দৈনন্দিন চলার পথে লক্ষ্য করা যায়, অনেকের মাস্ক থাকলেও সেটি দিয়ে নাক-মুখ ঢাকছে না। কেউ কেউ বলছেন, ময়লা হয়েছে তাই ফেলে দিয়েছি। কেউ বলেন, সামনের দোকানে গিয়ে কিনব। সবাই সচেতন হলে এরকম খোঁড়া অজুহাত কেউ দিত না। যেকোনো উপায়ে মাস্ক পরিধান করেই বাসা থেকে বের হতো।

অদৃশ্য এই শত্রুটির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সচেতনতার বিকল্প নেই। সচেতন নাগরিক হিসেবে মাস্ক অবশ্যই ব্যবহার করতে হবে। খাদ্য সামগ্রী ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মতো তা সঠিকভাবে ব্যবহার করা জীবনের অংশে পরিণত করতে হবে।

বিজনেসজার্নাল/ঢাকা

আরও পড়ুন: