১০:৫৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪

‘মেধাবী’ বিদেশিদের নাগরিকত্ব দেবে সংযুক্ত আরব আমিরাত

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০১:০০:৫৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২১
  • / ৪১৪০ বার দেখা হয়েছে

প্রথমবারের মতো বিদেশি বাসিন্দাদের নাগরিকত্ব দেবে বলে জানিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। তারা জানিয়েছে, যারা উপসাগরীয় অঞ্চলের মান উন্নয়নে কাজ করবে তাদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে।

সংযুক্ত আরব আমিরাতের ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং দুবাইয়ের নেতা শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুম বলেছেন, যোগ্যদের মধ্যে বিনিয়োগকারী, মেধাবী, চিকিৎসক, প্রকৌশলী এবং শিল্পীরা অন্তর্ভুক্ত হবেন। খবর বিবিসির

তারা এবং তাদের পরিবার দ্বৈত জাতীয়তা রাখতে পারবে বলে, তিনি জানান।

নিম্ন-আয়ের শ্রমিকদের এই কঠোর মানদণ্ড পূরণের সম্ভাবনা কম।

শেখ মোহাম্মদ জানান, যারা দেশের উন্নয়নের যাত্রায় অবদান রাখতে পারবে তাদের দিকেই তাদের মনোযোগ।

তিনি বলেন, এক্ষেত্রে নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করার নিয়ম নেই, বরং সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাজ পরিবার বা কর্মকর্তারাই মনোনীত করবেন যে তারা কাদের নাগরিকত্ব দেবেন।

এরপর সংযুক্ত আরব আমিরাতের মন্ত্রিসভা সিদ্ধান্ত নেবেন যে এই মনোনীত ব্যক্তিদের নাগরিকত্বের সুযোগ দেওয়া হবে কি না।

করোনাভাইরাস মহামারি এবং তেলের দাম পড়ে যাওয়ার মধ্যে দেশটির পক্ষ থেকে এমন ঘোষণা এলো। সম্প্রতি কয়েক হাজার বিদেশি দেশটি ছেড়ে চলে যায়।

আবুধাবিভিত্তিক পত্রিকা দ্যা ন্যাশনাল বলছে, নতুন ব্যবস্থার আওতায় বিশেষজ্ঞ এবং বিদেশি বিনিয়োগকারীদের সুযোগ দেওয়া হবে।

বিবিসির আরব বিষয়ক সম্পাদক সেবাস্তিয়ান উশার বলেছেন, সংযুক্ত আরব আমিরাতে প্রবাসীরাই সেখানকার সংখ্যাগরিষ্ঠ বাসিন্দা যাদের ৯০শতাংশের বেশি কর্মক্ষেত্রে যুক্ত।

বিদেশি কর্মীদের সাধারণত নবায়নযোগ্য ভিসা দেওয়া হয় যা বেশ কয়েক বছরের জন্য বৈধ থাকে এবং সেই ভিসা মূলত চাকরির সঙ্গে যুক্ত থাকে।

স্বল্প আয়ের শ্রমিকরা দেশটির অর্থনীতি গড়ে তুলতে, নির্মাণ ক্ষেত্রে, হোটেল ব্যবসা এবং ভ্রমণ খাতে জনবল সরবরাহে মূল ভূমিকা রেখেছে।

এই শ্রমিকরা তাদের উপার্জনের বড় অংশ প্রায়শই নিজ দেশে থাকা পরিবারকে পাঠিয়ে দেয়।

তাদের মধ্যে অনেকে দেশটিতে কয়েক বছর থাকলেও তাদের নাগরিকত্ব বা স্থায়ীভাবে বসবাসের কোনো আনুষ্ঠানিক সুযোগ দেওয়া হয়নি এবং তাদের জন্য কল্যাণমূলক কোনো সুবিধা দেওয়ারও ব্যবস্থা নেই।

স্বল্প-আয়ের শ্রমিকরা সেখানে অবহেলিত। সংযুক্ত আরব আমিরাত বিনিয়োগকারী, শিক্ষার্থী এবং পেশাদার কর্মীসহ নির্দিষ্ট কিছু ক্যাটাগরির মানুষদের জন্য দীর্ঘ সময় থাকার সুযোগ করে দিচ্ছে।

২০১৯ সালে শেখ মোহাম্মদ একটি গোল্ডেন কার্ড ভিসা পদ্ধতি চালু করেছিলেন যার আওতায় চিকিৎসক, বিজ্ঞানী, এবং স্কুলে বেশ ভালো ফল করা শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন পেশাদারদের পরিবারসহ ১০ বছর থাকার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল।

গত বছর আরও বেশি সংখ্যক লোকদের এই সুযোগ দেওয়া হয়।

ওয়াম নিউজ এজেন্সি প্রকাশিত তালিকা অনুযায়ী, নতুন নাগরিকত্ব প্রকল্পের আওতায় বিনিয়োগকারীদের সংযুক্ত আরব আমিরাতে সম্পত্তির মালিক হতে হবে, চিকিৎসকদের এমন কোন একটি ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ হতে হবে যার অনেক চাহিদা রয়েছে, উদ্ভাবকদের সংযুক্ত আরব আমিরাতে থেকে অনুমোদিত পেটেন্ট গ্রহণ করতে হবে এবং সৃজনশীল ব্যক্তিদের তাদের নিজ নিজ ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকায় থাকতে হবে।

নতুন পাসপোর্টধারীরা সংযুক্ত আরব আমিরাতের এই জনকল্যাণ ব্যবস্থার আওতায় যোগ্য বিবেচিত হবে কিনা তা এখনও পরিষ্কার নয়। 

শেয়ার করুন

x
English Version

‘মেধাবী’ বিদেশিদের নাগরিকত্ব দেবে সংযুক্ত আরব আমিরাত

আপডেট: ০১:০০:৫৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২১

প্রথমবারের মতো বিদেশি বাসিন্দাদের নাগরিকত্ব দেবে বলে জানিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। তারা জানিয়েছে, যারা উপসাগরীয় অঞ্চলের মান উন্নয়নে কাজ করবে তাদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে।

সংযুক্ত আরব আমিরাতের ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং দুবাইয়ের নেতা শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুম বলেছেন, যোগ্যদের মধ্যে বিনিয়োগকারী, মেধাবী, চিকিৎসক, প্রকৌশলী এবং শিল্পীরা অন্তর্ভুক্ত হবেন। খবর বিবিসির

তারা এবং তাদের পরিবার দ্বৈত জাতীয়তা রাখতে পারবে বলে, তিনি জানান।

নিম্ন-আয়ের শ্রমিকদের এই কঠোর মানদণ্ড পূরণের সম্ভাবনা কম।

শেখ মোহাম্মদ জানান, যারা দেশের উন্নয়নের যাত্রায় অবদান রাখতে পারবে তাদের দিকেই তাদের মনোযোগ।

তিনি বলেন, এক্ষেত্রে নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করার নিয়ম নেই, বরং সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাজ পরিবার বা কর্মকর্তারাই মনোনীত করবেন যে তারা কাদের নাগরিকত্ব দেবেন।

এরপর সংযুক্ত আরব আমিরাতের মন্ত্রিসভা সিদ্ধান্ত নেবেন যে এই মনোনীত ব্যক্তিদের নাগরিকত্বের সুযোগ দেওয়া হবে কি না।

করোনাভাইরাস মহামারি এবং তেলের দাম পড়ে যাওয়ার মধ্যে দেশটির পক্ষ থেকে এমন ঘোষণা এলো। সম্প্রতি কয়েক হাজার বিদেশি দেশটি ছেড়ে চলে যায়।

আবুধাবিভিত্তিক পত্রিকা দ্যা ন্যাশনাল বলছে, নতুন ব্যবস্থার আওতায় বিশেষজ্ঞ এবং বিদেশি বিনিয়োগকারীদের সুযোগ দেওয়া হবে।

বিবিসির আরব বিষয়ক সম্পাদক সেবাস্তিয়ান উশার বলেছেন, সংযুক্ত আরব আমিরাতে প্রবাসীরাই সেখানকার সংখ্যাগরিষ্ঠ বাসিন্দা যাদের ৯০শতাংশের বেশি কর্মক্ষেত্রে যুক্ত।

বিদেশি কর্মীদের সাধারণত নবায়নযোগ্য ভিসা দেওয়া হয় যা বেশ কয়েক বছরের জন্য বৈধ থাকে এবং সেই ভিসা মূলত চাকরির সঙ্গে যুক্ত থাকে।

স্বল্প আয়ের শ্রমিকরা দেশটির অর্থনীতি গড়ে তুলতে, নির্মাণ ক্ষেত্রে, হোটেল ব্যবসা এবং ভ্রমণ খাতে জনবল সরবরাহে মূল ভূমিকা রেখেছে।

এই শ্রমিকরা তাদের উপার্জনের বড় অংশ প্রায়শই নিজ দেশে থাকা পরিবারকে পাঠিয়ে দেয়।

তাদের মধ্যে অনেকে দেশটিতে কয়েক বছর থাকলেও তাদের নাগরিকত্ব বা স্থায়ীভাবে বসবাসের কোনো আনুষ্ঠানিক সুযোগ দেওয়া হয়নি এবং তাদের জন্য কল্যাণমূলক কোনো সুবিধা দেওয়ারও ব্যবস্থা নেই।

স্বল্প-আয়ের শ্রমিকরা সেখানে অবহেলিত। সংযুক্ত আরব আমিরাত বিনিয়োগকারী, শিক্ষার্থী এবং পেশাদার কর্মীসহ নির্দিষ্ট কিছু ক্যাটাগরির মানুষদের জন্য দীর্ঘ সময় থাকার সুযোগ করে দিচ্ছে।

২০১৯ সালে শেখ মোহাম্মদ একটি গোল্ডেন কার্ড ভিসা পদ্ধতি চালু করেছিলেন যার আওতায় চিকিৎসক, বিজ্ঞানী, এবং স্কুলে বেশ ভালো ফল করা শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন পেশাদারদের পরিবারসহ ১০ বছর থাকার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল।

গত বছর আরও বেশি সংখ্যক লোকদের এই সুযোগ দেওয়া হয়।

ওয়াম নিউজ এজেন্সি প্রকাশিত তালিকা অনুযায়ী, নতুন নাগরিকত্ব প্রকল্পের আওতায় বিনিয়োগকারীদের সংযুক্ত আরব আমিরাতে সম্পত্তির মালিক হতে হবে, চিকিৎসকদের এমন কোন একটি ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ হতে হবে যার অনেক চাহিদা রয়েছে, উদ্ভাবকদের সংযুক্ত আরব আমিরাতে থেকে অনুমোদিত পেটেন্ট গ্রহণ করতে হবে এবং সৃজনশীল ব্যক্তিদের তাদের নিজ নিজ ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকায় থাকতে হবে।

নতুন পাসপোর্টধারীরা সংযুক্ত আরব আমিরাতের এই জনকল্যাণ ব্যবস্থার আওতায় যোগ্য বিবেচিত হবে কিনা তা এখনও পরিষ্কার নয়।