০৪:৪৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪

মেয়ে হাসপাতালে, হঠাৎ পাকিস্তানে ফিরে গেলেন আফ্রিদি

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৭:১২:৪৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২০
  • / ৪১২৭ বার দেখা হয়েছে

লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগে (এলপিএল) ঠিকমতো গুছিয়েই নিতে যেন পারছেন না শহীদ আফ্রিদি! ক্রিকেটে কী মনোযোগ দেবেন, পাকিস্তানের সাবেক অলরাউন্ডারের যে একের পর এক ঝামেলাই শেষ হচ্ছে না!

শ্রীলঙ্কার ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টি লিগটিতে খেলতে আসার আগে নানা হ্যাপা পেরিয়ে আসতে হয়েছে। এসে এক ম্যাচে তা-ও একটু আলো ছড়িয়েছেন, তাঁর দল গল গ্ল্যাডিয়েটর্সের হয়ে সাকল্যে খেলতে পেরেছেন তিনটি ম্যাচ। এর মধ্যে আফগান এক তরুণ ক্রিকেটারের সঙ্গে বচসার কারণে বিতর্কেও নাম এসেছে তাঁর। কিন্তু তবু তো আফ্রিদি থাকা মানে লিগটার আরেকটু বেশি আলোচনায় থাকা। সেটিও বুঝি আর হচ্ছে না!

আফ্রিদির ১১ মাসের ছোট্ট মেয়েটি অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে, কাল তাই হঠাৎই পাকিস্তানে ফিরে যেতে হয়েছে আফ্রিদিকে। সেখানে সব ঠিকঠাক হয়ে গেলে আফ্রিদি আবার এলপিএলে ফেরার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বটে, কিন্তু সেটি নিয়ে সংশয় আছে।

 

মেয়ের অসুস্থতার কথা অবশ্য আফ্রিদি জানাননি। তিনি শুধু এক ‘জরুরি ব্যক্তিগত কাজ’–এর কথা বলেছেন টুইটারে। ‘দুর্ভাগ্যবশত একটা জরুরি ব্যক্তিগত কাজে আমাকে পাকিস্তান যেতে হচ্ছে। পরিস্থিতি সামলে নিতে পারলেই দ্রুত আমি আবার ফিরে এলপিএলে আমার দলের সঙ্গে যোগ দেব। সবাইকে শুভকামনা’—টুইটারে তাঁর শ্রীলঙ্কা ছাড়ার ঘোষণায় লিখেছেন আফ্রিদি।

কিন্তু ৪০ বছর বয়সী পাকিস্তানি অলরাউন্ডারের ব্যক্তিগত গুরুত্বপূর্ণ কাজটা যে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া মেয়ের কাছে ছুটে যাওয়া, সেটি জানিয়েছে লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগের অফিশিয়াল টুইটার অ্যাকাউন্ট। হাসপাতালে মেয়ের বেডের পাশে দাঁড়িয়ে আফ্রিদি ছোট্ট মেয়েকে দেখছেন—এমন একটি ছবি দিয়ে ‘এলপিএলটি২০ অফিশিয়াল’ আইডির সেই অ্যাকাউন্টে আফ্রিদিকে ট্যাগ করে লেখা হয়েছে, ‘আফ্রিদি তাঁর দেশে কেন ফিরে গেছেন জানেন? তাঁর মেয়েকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আমরা ওর দ্রুত সুস্থতার জন্য প্রার্থনা করছি।’

 

আফ্রিদির মেয়ের কী হয়েছে, তা জানা যায়নি। তবে জানা গেছে, গত ফেব্রুয়ারিতে জন্ম নেওয়া আফ্রিদির ছোট মেয়ের অসুস্থতার কারণেই এর আগে শ্রীলঙ্কা যেতে দেরি হয়েছিল আফ্রিদির। পাঁচ মেয়ের মধ্যে ছোট্ট এই কন্যাকে কিছুটা সুস্থ রেখে সাত দিন আগে শ্রীলঙ্কা গিয়েছিলেন আফ্রিদি। গল গ্ল্যাডিয়েটর্সের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সূত্রকে উদ্ধৃত করে পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম পাক অবজারভার লিখেছে, ‘আফ্রিদির ওই একই মেয়ে আবার অসুস্থ হয়েছে। তিনি (বুধবার লঙ্কান সময়) সন্ধ্যা ৭টায় হাম্বানটোটা ছেড়ে কলম্বোর উদ্দেশে রওনা করেছেন, সেখান থেকে ১টায় করাচির ফ্লাইট ধরবেন।’

গল গ্ল্যাডিয়েটর্সের অধিনায়ক ছিলেন আফ্রিদি। যদিও এলপিএলে প্রথম ৩ ম্যাচে তাঁর নিজের কিংবা দলের—কারোরই পারফরম্যান্স তেমন ভালো হয়নি। বল হাতে আফ্রিদি তিন ম্যাচে উইকেটশূন্য, ব্যাট হাতেও শুধু জাফনা স্ট্যালিয়নসের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচেই যা আলো ছড়িয়েছেন, ২৩ বলে সেদিন ৩ চার ও ৬ ছক্কায় করেছিলেন ৫৮ রান। গল গ্ল্যাডিয়েটর্স তিন ম্যাচেই হেরেছে, টুর্নামেন্টে এখন পর্যন্ত একমাত্র জয়হীন দল তারা। আফ্রিদি পাকিস্তান ফিরে যাওয়ায় এখন সহ–অধিনায়ক ভানুকা রাজাপক্ষের হাতে দলের নেতৃত্বের ভার যাওয়ার কথা। পারফরম্যান্স ভালো না হলেও আলোচনায় ঠিকই ছিলেন আফ্রিদি। দুদিন আগে ক্যান্ডি টাস্কার্সের বিপক্ষে ম্যাচের পর টাস্কার্সের ২১ বছর বয়সী আফগান পেসার নাভিন উল হকের সঙ্গে কথার লড়াইয়ে জড়িয়ে পড়েন আফ্রিদি, যেটি বেশ বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।

 

মেয়ে সুস্থ হয়ে গেলে আফ্রিদি আবার যদি এলপিএলে ফেরেনও, খেলতে পারবেন? সেই শঙ্কাও বাতাসে ঘুরছে। আফ্রিদি তো প্রতিশ্রুতি দিয়ে গেছেন, কিন্তু গল গ্ল্যাডিয়েটর্সের দল সংশ্লিষ্ট একজনকে উদ্ধৃত করে পাক অবজারভার লিখেছে, ‘কোয়ারেন্টিন রুল যেভাবে মানতে হয়, সে হিসাব করলে ওর ফেরার সম্ভাবনা কমই।’

১৬ ডিসেম্বর শেষ হবে লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগ। ক্রিকইনফো অবশ্য আফ্রিদির ফেরার সম্ভাবনা একেবারে উড়িয়ে দিচ্ছে না। তারা লিখেছে, আফ্রিদি যদি শ্রীলঙ্কায় ফেরেন, সে ক্ষেত্রে তাঁকে খুব ছোট কোয়ারেন্টিনের মেয়াদ মানতে হবে। অন্য খেলোয়াড়দের ক্ষেত্রে সাত দিনের কোয়ারেন্টিনের মেয়াদ দেওয়া হলেও আফ্রিদির ক্ষেত্রে সেটি কম হওয়ার কথা। কারণ, সাত দিন আগে প্রথম দফা শ্রীলঙ্কায় গিয়েই আফ্রিদি প্রমাণ দিয়েছেন, তাঁর শরীরে করোনার অ্যান্টিবডি আছে। গত জুনে করোনায় আক্রান্ত হন আফ্রিদি ও তাঁর পরিবারের বেশ কয়েকজন।

 

মেয়ের অসুস্থতার পর বিমান মিস করে প্রথম দফা শ্রীলঙ্কায় পৌঁছাতে দেরি হয়েছিল আফ্রিদির। সব ঝক্কি শেষ করে গত ২৪ নভেম্বর প্রথম দফা শ্রীলঙ্কায় যাওয়ার পর গল গ্ল্যাডিয়েটর্সের হয়ে প্রথম ম্যাচ থেকেই আফ্রিদির খেলা নিয়ে সংশয় দেখা দেয়। কিন্তু তিন দিন কোয়ারেন্টিন পার করার পর ২৭ নভেম্বর তাঁর অ্যান্টিবডি টেস্ট করা হয়। টেস্টে আফ্রিদির শরীরে অ্যান্টিবডি পাওয়া গেছে, প্রমাণিত হয়েছে আফ্রিদির অন্য কারও শরীরে করোনা ছড়ানোর শঙ্কা কম। এবার শ্রীলঙ্কা ফিরলেও একইভাবে তাঁর অ্যান্টিবডি টেস্ট হতে পারে।

তার আগে আফ্রিদির মেয়ের দ্রুত সুস্থ হওয়া জরুরি।

 
 

শেয়ার করুন

x
English Version

মেয়ে হাসপাতালে, হঠাৎ পাকিস্তানে ফিরে গেলেন আফ্রিদি

আপডেট: ০৭:১২:৪৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২০

লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগে (এলপিএল) ঠিকমতো গুছিয়েই নিতে যেন পারছেন না শহীদ আফ্রিদি! ক্রিকেটে কী মনোযোগ দেবেন, পাকিস্তানের সাবেক অলরাউন্ডারের যে একের পর এক ঝামেলাই শেষ হচ্ছে না!

শ্রীলঙ্কার ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টি লিগটিতে খেলতে আসার আগে নানা হ্যাপা পেরিয়ে আসতে হয়েছে। এসে এক ম্যাচে তা-ও একটু আলো ছড়িয়েছেন, তাঁর দল গল গ্ল্যাডিয়েটর্সের হয়ে সাকল্যে খেলতে পেরেছেন তিনটি ম্যাচ। এর মধ্যে আফগান এক তরুণ ক্রিকেটারের সঙ্গে বচসার কারণে বিতর্কেও নাম এসেছে তাঁর। কিন্তু তবু তো আফ্রিদি থাকা মানে লিগটার আরেকটু বেশি আলোচনায় থাকা। সেটিও বুঝি আর হচ্ছে না!

আফ্রিদির ১১ মাসের ছোট্ট মেয়েটি অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে, কাল তাই হঠাৎই পাকিস্তানে ফিরে যেতে হয়েছে আফ্রিদিকে। সেখানে সব ঠিকঠাক হয়ে গেলে আফ্রিদি আবার এলপিএলে ফেরার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বটে, কিন্তু সেটি নিয়ে সংশয় আছে।

 

মেয়ের অসুস্থতার কথা অবশ্য আফ্রিদি জানাননি। তিনি শুধু এক ‘জরুরি ব্যক্তিগত কাজ’–এর কথা বলেছেন টুইটারে। ‘দুর্ভাগ্যবশত একটা জরুরি ব্যক্তিগত কাজে আমাকে পাকিস্তান যেতে হচ্ছে। পরিস্থিতি সামলে নিতে পারলেই দ্রুত আমি আবার ফিরে এলপিএলে আমার দলের সঙ্গে যোগ দেব। সবাইকে শুভকামনা’—টুইটারে তাঁর শ্রীলঙ্কা ছাড়ার ঘোষণায় লিখেছেন আফ্রিদি।

কিন্তু ৪০ বছর বয়সী পাকিস্তানি অলরাউন্ডারের ব্যক্তিগত গুরুত্বপূর্ণ কাজটা যে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া মেয়ের কাছে ছুটে যাওয়া, সেটি জানিয়েছে লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগের অফিশিয়াল টুইটার অ্যাকাউন্ট। হাসপাতালে মেয়ের বেডের পাশে দাঁড়িয়ে আফ্রিদি ছোট্ট মেয়েকে দেখছেন—এমন একটি ছবি দিয়ে ‘এলপিএলটি২০ অফিশিয়াল’ আইডির সেই অ্যাকাউন্টে আফ্রিদিকে ট্যাগ করে লেখা হয়েছে, ‘আফ্রিদি তাঁর দেশে কেন ফিরে গেছেন জানেন? তাঁর মেয়েকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আমরা ওর দ্রুত সুস্থতার জন্য প্রার্থনা করছি।’

 

আফ্রিদির মেয়ের কী হয়েছে, তা জানা যায়নি। তবে জানা গেছে, গত ফেব্রুয়ারিতে জন্ম নেওয়া আফ্রিদির ছোট মেয়ের অসুস্থতার কারণেই এর আগে শ্রীলঙ্কা যেতে দেরি হয়েছিল আফ্রিদির। পাঁচ মেয়ের মধ্যে ছোট্ট এই কন্যাকে কিছুটা সুস্থ রেখে সাত দিন আগে শ্রীলঙ্কা গিয়েছিলেন আফ্রিদি। গল গ্ল্যাডিয়েটর্সের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সূত্রকে উদ্ধৃত করে পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম পাক অবজারভার লিখেছে, ‘আফ্রিদির ওই একই মেয়ে আবার অসুস্থ হয়েছে। তিনি (বুধবার লঙ্কান সময়) সন্ধ্যা ৭টায় হাম্বানটোটা ছেড়ে কলম্বোর উদ্দেশে রওনা করেছেন, সেখান থেকে ১টায় করাচির ফ্লাইট ধরবেন।’

গল গ্ল্যাডিয়েটর্সের অধিনায়ক ছিলেন আফ্রিদি। যদিও এলপিএলে প্রথম ৩ ম্যাচে তাঁর নিজের কিংবা দলের—কারোরই পারফরম্যান্স তেমন ভালো হয়নি। বল হাতে আফ্রিদি তিন ম্যাচে উইকেটশূন্য, ব্যাট হাতেও শুধু জাফনা স্ট্যালিয়নসের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচেই যা আলো ছড়িয়েছেন, ২৩ বলে সেদিন ৩ চার ও ৬ ছক্কায় করেছিলেন ৫৮ রান। গল গ্ল্যাডিয়েটর্স তিন ম্যাচেই হেরেছে, টুর্নামেন্টে এখন পর্যন্ত একমাত্র জয়হীন দল তারা। আফ্রিদি পাকিস্তান ফিরে যাওয়ায় এখন সহ–অধিনায়ক ভানুকা রাজাপক্ষের হাতে দলের নেতৃত্বের ভার যাওয়ার কথা। পারফরম্যান্স ভালো না হলেও আলোচনায় ঠিকই ছিলেন আফ্রিদি। দুদিন আগে ক্যান্ডি টাস্কার্সের বিপক্ষে ম্যাচের পর টাস্কার্সের ২১ বছর বয়সী আফগান পেসার নাভিন উল হকের সঙ্গে কথার লড়াইয়ে জড়িয়ে পড়েন আফ্রিদি, যেটি বেশ বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।

 

মেয়ে সুস্থ হয়ে গেলে আফ্রিদি আবার যদি এলপিএলে ফেরেনও, খেলতে পারবেন? সেই শঙ্কাও বাতাসে ঘুরছে। আফ্রিদি তো প্রতিশ্রুতি দিয়ে গেছেন, কিন্তু গল গ্ল্যাডিয়েটর্সের দল সংশ্লিষ্ট একজনকে উদ্ধৃত করে পাক অবজারভার লিখেছে, ‘কোয়ারেন্টিন রুল যেভাবে মানতে হয়, সে হিসাব করলে ওর ফেরার সম্ভাবনা কমই।’

১৬ ডিসেম্বর শেষ হবে লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগ। ক্রিকইনফো অবশ্য আফ্রিদির ফেরার সম্ভাবনা একেবারে উড়িয়ে দিচ্ছে না। তারা লিখেছে, আফ্রিদি যদি শ্রীলঙ্কায় ফেরেন, সে ক্ষেত্রে তাঁকে খুব ছোট কোয়ারেন্টিনের মেয়াদ মানতে হবে। অন্য খেলোয়াড়দের ক্ষেত্রে সাত দিনের কোয়ারেন্টিনের মেয়াদ দেওয়া হলেও আফ্রিদির ক্ষেত্রে সেটি কম হওয়ার কথা। কারণ, সাত দিন আগে প্রথম দফা শ্রীলঙ্কায় গিয়েই আফ্রিদি প্রমাণ দিয়েছেন, তাঁর শরীরে করোনার অ্যান্টিবডি আছে। গত জুনে করোনায় আক্রান্ত হন আফ্রিদি ও তাঁর পরিবারের বেশ কয়েকজন।

 

মেয়ের অসুস্থতার পর বিমান মিস করে প্রথম দফা শ্রীলঙ্কায় পৌঁছাতে দেরি হয়েছিল আফ্রিদির। সব ঝক্কি শেষ করে গত ২৪ নভেম্বর প্রথম দফা শ্রীলঙ্কায় যাওয়ার পর গল গ্ল্যাডিয়েটর্সের হয়ে প্রথম ম্যাচ থেকেই আফ্রিদির খেলা নিয়ে সংশয় দেখা দেয়। কিন্তু তিন দিন কোয়ারেন্টিন পার করার পর ২৭ নভেম্বর তাঁর অ্যান্টিবডি টেস্ট করা হয়। টেস্টে আফ্রিদির শরীরে অ্যান্টিবডি পাওয়া গেছে, প্রমাণিত হয়েছে আফ্রিদির অন্য কারও শরীরে করোনা ছড়ানোর শঙ্কা কম। এবার শ্রীলঙ্কা ফিরলেও একইভাবে তাঁর অ্যান্টিবডি টেস্ট হতে পারে।

তার আগে আফ্রিদির মেয়ের দ্রুত সুস্থ হওয়া জরুরি।