০১:১৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

ম্যারাথনে নতুন সকাল

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১১:০৯:০৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১১ জানুয়ারী ২০২১
  • / ৪১৩৭ বার দেখা হয়েছে

রোববার রাজধানীর হাতিরঝিলে অনুষ্ঠিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ঢাকা ম্যারাথনে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন মরক্কোর হিসাম লাকুজি। তিনি ৪২.১৯৫ কিলোমিটার পথ দৌড়াতে সময় নেন ২ ঘণ্টা ১০ মিনিট ৪১ সেকেন্ড- মামুনুর রশিদ

পৌষের কুয়াশামাখা ভোরে শহর তখনও জেগে ওঠেনি। উষ্ণতায় জড়িয়ে থাকা নগরবাসী আড়মোড়া ভেঙে ওঠার অপেক্ষায়। এমন শীত-সকালে বনানীর আর্মি স্টেডিয়াম হয়ে ওঠে যেন শহর-জাগিয়ে তোলা সাইরেন। ঘড়ির কাঁটায় ৬টা ৩০ বাজতেই স্টেডিয়াম থেকে জোড়া জোড়ায় পা পড়তে শুরু করে ঢাকার রাজপথে। এক পা দু পা করে সামনের দিকে এগোতে থাকেন দেশ-বিদেশের ২০০ দৌড়বিদ। সকালের হিমেল হাওয়া গায়ে মাখিয়ে ছন্দ ও গতিময় সেই দৌড় বনানী, গুলশান চত্বর পেরিয়ে প্রবেশ করে হাতিরঝিলে। ঝিলের জল আর গাছগাছালির ছায়া নিয়ে হয়ে যায় কয়েক চক্কর। সবশেষে কেউ হন প্রথম, কেউবা শেষে। তবে দিনশেষে উজ্জ্বল হয়ে ওঠে জীবনের জয়গান নিয়ে ছুটে চলা সম্মিলিত দৌড়টাই। এমনই সফল রূপায়ণে রোববারের ঢাকায় আয়োজিত হয়ে গেল ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ঢাকা ম্যারাথন-২০২১’।

বঙ্গবন্ধু  শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস ও জন্মশতবর্ষকে কেন্দ্র করে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ঢাকা ম্যারাথনে’র এই আয়োজনটি করে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পৃষ্ঠপোষকতায় সার্বিক সহযোগিতা দেয় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি। আর বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন ও বাংলাদেশ অ্যাথলেটিকস ফেডারেশনের টেকনিক্যাল সহায়তায় অনুষ্ঠিত প্রতিযোগিতায় প্রিন্ট মিডিয়া সহযোগী ছিল সমকাল। দেশে প্রথমবারের মতো আয়োজিত এই ম্যারাথনে বাংলাদেশের পাশাপাশি ১৩টি দেশের এলিট ও সাফ রানাররা ফুল ও হাফ ক্যাটাগরীতে অংশ নেন। কভিড-১৯-এর প্রাদুর্ভাবের পর অংশগ্রহণকারী দেশ ও খেলোয়াড়ের সংখ্যায় এটিই বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত সবচেয়ে বড় ক্রীড়া আয়োজন। একই সময়ে বিশ্বজুড়ে আয়োজিত বৃহৎ পরিসরের ম্যারাথনগুলোর মধ্যে প্রথম। ফুল ম্যারাথনে এলিট রানারদের মধ্যে চ্যাম্পিয়নের খেতাব জিতেছেন মরক্কোর হিসাম লাকুজি (পুরুষ বিভাগ) ও কেনিয়ার অ্যাঞ্জেলা জেম অ্যাসুনদে (নারী বিভাগ)। প্রতিযোগিতা শেষে হাতিরঝিলের এম্পিথিয়েটারে পুরস্কার বিতরণ করেন সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ। এখন থেকে প্রতি বছর ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ঢাকা ম্যারাথন আয়োজনের আশা প্রকাশ করেন তিনি।

এর আগে এদিন ভোরে আর্মি স্টেডিয়ামে প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এমপি। বিশেষ অতিথি ছিলেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল এমপি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ঢাকা ম্যারাথনে মোট তিনটি ক্যাটাগরিতে প্রতিযোগিতা আয়োজন করা হয়। ফুল, হাফ ও ডিজিটাল ম্যারাথন। এর মধ্যে প্রথম দিনে সম্পন্ন করা হয় ফুল ও হাফ ম্যারাথন। ডিজিটাল ম্যারাথন চলবে ৭ মার্চ পর্যন্ত। সকাল সাড়ে ৬টায় শুরু হয় ফুল ম্যারাথন, অংশ নেন দেশি-বিদেশি ১০০ অ্যাথলেট। সমানসংখ্যক অ্যাথলেট নিয়ে হাফ ম্যারাথন শুরু হয় ৬টা ৪৫ মিনিটে। দুই গ্রুপই বনানী-কাকলী, গুলশান-২ ও গুলশান-১ হয়ে হাতিরঝিলে প্রবেশ করে। ফুল ম্যারাথনের ৪২.১৯৫ কিলোমিটার দূরত্ব নিশ্চিত করতে হাতিরঝিলের নির্দিষ্ট অংশে প্রতিযোগীদের পাঁচবার চক্কর দিতে হয়। আর হাফ ম্যারাথনিস্টরা (২১.০৯৭ কিমি) চক্কর দেন দু’বার। ফিনিশিং পয়েন্ট ছিল এম্পিথিয়েটার। ৩৫ বিদেশির মধ্যে ফুল ম্যারাথনে অংশ নেন ২৯ জন। এর মধ্যে এলিট দৌড়বিদদের মধ্যে পুরুষ বিভাগে দুই ঘণ্টা ১০ মিনিট ৪১ সেকেন্ড সময় নিয়ে চ্যাম্পিয়ন হন মরক্কোর লাকুজি। দ্বিতীয় হন একই দেশের আজিজ লাহবাবি, তার সময় লাগে দুই ঘণ্টা ১০ মিনিট ৫১ সেকেন্ড। আর দুই ঘণ্টা ১২ মিনিট ১৩ সেকেন্ড সময়ে ফিনিশিং পয়েন্টে এসে তৃতীয় হন কেনিয়ার জ্যাকব কিবেট। নারী বিভাগে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পথে কেনিয়ার অ্যাঞ্জেলার সময় লাগে দুই ঘণ্টা ২৯ মিনিট ৪ সেকেন্ড। দ্বিতীয় হওয়া ইথিওপিয়ার ফানতু জিমা নেন দুই ঘণ্টা ৩২ মিনিট ৩১ সেকেন্ড সময়। আর তার স্বদেশি বিরুকতায়েত দেগাফু দুই ঘণ্টা ৩৫ মিনিট ১৬ সেকেন্ড নিয়ে হন তৃতীয়। এ ছাড়া ফুল ম্যারাথনে সার্ক ও দেশি দৌড়বিদদের মধ্যে পুরুষ বিভাগে ভারতের বাহাদুর সিং ও নারী বিভাগে নেপালের পুষ্প ভান্ডারি চ্যাম্পিয়ন হন। হাফ ম্যারাথনে এলিট রানারদের মধ্যে পুরুষ বিভাগের চ্যাম্পিয়ন কেনিয়ার এডুইন কিপটো, নারী বিভাগে একই দেশের নাওম জেবেত। বাংলাদেশের অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে প্রথম হন ফারদিন মিয়া, দ্বিতীয় কামরুল, তৃতীয় ফিরোজ। সব খেলোয়াড়ের দৌড় শেষে এম্পিথিয়েটারে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এ সময় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী উদযাপন জাতীয় কমিটির প্রধান সমন্বয়ক কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী ও সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানকে নিয়ে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন প্রধান অতিথি জেনারেল আজিজ আহমেদ। ফুল ম্যারাথনের এলিট বিভাগের চ্যাম্পিয়নরা ১৫ হাজার মার্কিন ডলার, রানারআপরা ১০ হাজার ডলার ও তৃতীয় স্থানধারীরা পাঁচ হাজার ডলার করে অর্থপুরস্কার পেয়েছেন। সার্ক ও দেশি দৌড়বিদ ক্যাটাগরির চ্যাম্পিয়নরা পাঁচ লাখ টাকা, রানারআপ চার লাখ টাকা ও তৃতীয় স্থানধারী তিন লাখ টাকা করে পেয়েছেন। এ ছাড়া হাফ ম্যারাথনে পুরুষ ও নারী দুই বিভাগের এলিট রানার চ্যাম্পিয়নরা দুই হাজার ৭০০ মার্কিন ডলার করে পুরস্কৃত হয়েছেন।

শেয়ার করুন

x
English Version

ম্যারাথনে নতুন সকাল

আপডেট: ১১:০৯:০৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১১ জানুয়ারী ২০২১

রোববার রাজধানীর হাতিরঝিলে অনুষ্ঠিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ঢাকা ম্যারাথনে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন মরক্কোর হিসাম লাকুজি। তিনি ৪২.১৯৫ কিলোমিটার পথ দৌড়াতে সময় নেন ২ ঘণ্টা ১০ মিনিট ৪১ সেকেন্ড- মামুনুর রশিদ

পৌষের কুয়াশামাখা ভোরে শহর তখনও জেগে ওঠেনি। উষ্ণতায় জড়িয়ে থাকা নগরবাসী আড়মোড়া ভেঙে ওঠার অপেক্ষায়। এমন শীত-সকালে বনানীর আর্মি স্টেডিয়াম হয়ে ওঠে যেন শহর-জাগিয়ে তোলা সাইরেন। ঘড়ির কাঁটায় ৬টা ৩০ বাজতেই স্টেডিয়াম থেকে জোড়া জোড়ায় পা পড়তে শুরু করে ঢাকার রাজপথে। এক পা দু পা করে সামনের দিকে এগোতে থাকেন দেশ-বিদেশের ২০০ দৌড়বিদ। সকালের হিমেল হাওয়া গায়ে মাখিয়ে ছন্দ ও গতিময় সেই দৌড় বনানী, গুলশান চত্বর পেরিয়ে প্রবেশ করে হাতিরঝিলে। ঝিলের জল আর গাছগাছালির ছায়া নিয়ে হয়ে যায় কয়েক চক্কর। সবশেষে কেউ হন প্রথম, কেউবা শেষে। তবে দিনশেষে উজ্জ্বল হয়ে ওঠে জীবনের জয়গান নিয়ে ছুটে চলা সম্মিলিত দৌড়টাই। এমনই সফল রূপায়ণে রোববারের ঢাকায় আয়োজিত হয়ে গেল ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ঢাকা ম্যারাথন-২০২১’।

বঙ্গবন্ধু  শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস ও জন্মশতবর্ষকে কেন্দ্র করে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ঢাকা ম্যারাথনে’র এই আয়োজনটি করে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পৃষ্ঠপোষকতায় সার্বিক সহযোগিতা দেয় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি। আর বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন ও বাংলাদেশ অ্যাথলেটিকস ফেডারেশনের টেকনিক্যাল সহায়তায় অনুষ্ঠিত প্রতিযোগিতায় প্রিন্ট মিডিয়া সহযোগী ছিল সমকাল। দেশে প্রথমবারের মতো আয়োজিত এই ম্যারাথনে বাংলাদেশের পাশাপাশি ১৩টি দেশের এলিট ও সাফ রানাররা ফুল ও হাফ ক্যাটাগরীতে অংশ নেন। কভিড-১৯-এর প্রাদুর্ভাবের পর অংশগ্রহণকারী দেশ ও খেলোয়াড়ের সংখ্যায় এটিই বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত সবচেয়ে বড় ক্রীড়া আয়োজন। একই সময়ে বিশ্বজুড়ে আয়োজিত বৃহৎ পরিসরের ম্যারাথনগুলোর মধ্যে প্রথম। ফুল ম্যারাথনে এলিট রানারদের মধ্যে চ্যাম্পিয়নের খেতাব জিতেছেন মরক্কোর হিসাম লাকুজি (পুরুষ বিভাগ) ও কেনিয়ার অ্যাঞ্জেলা জেম অ্যাসুনদে (নারী বিভাগ)। প্রতিযোগিতা শেষে হাতিরঝিলের এম্পিথিয়েটারে পুরস্কার বিতরণ করেন সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ। এখন থেকে প্রতি বছর ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ঢাকা ম্যারাথন আয়োজনের আশা প্রকাশ করেন তিনি।

এর আগে এদিন ভোরে আর্মি স্টেডিয়ামে প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এমপি। বিশেষ অতিথি ছিলেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল এমপি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ঢাকা ম্যারাথনে মোট তিনটি ক্যাটাগরিতে প্রতিযোগিতা আয়োজন করা হয়। ফুল, হাফ ও ডিজিটাল ম্যারাথন। এর মধ্যে প্রথম দিনে সম্পন্ন করা হয় ফুল ও হাফ ম্যারাথন। ডিজিটাল ম্যারাথন চলবে ৭ মার্চ পর্যন্ত। সকাল সাড়ে ৬টায় শুরু হয় ফুল ম্যারাথন, অংশ নেন দেশি-বিদেশি ১০০ অ্যাথলেট। সমানসংখ্যক অ্যাথলেট নিয়ে হাফ ম্যারাথন শুরু হয় ৬টা ৪৫ মিনিটে। দুই গ্রুপই বনানী-কাকলী, গুলশান-২ ও গুলশান-১ হয়ে হাতিরঝিলে প্রবেশ করে। ফুল ম্যারাথনের ৪২.১৯৫ কিলোমিটার দূরত্ব নিশ্চিত করতে হাতিরঝিলের নির্দিষ্ট অংশে প্রতিযোগীদের পাঁচবার চক্কর দিতে হয়। আর হাফ ম্যারাথনিস্টরা (২১.০৯৭ কিমি) চক্কর দেন দু’বার। ফিনিশিং পয়েন্ট ছিল এম্পিথিয়েটার। ৩৫ বিদেশির মধ্যে ফুল ম্যারাথনে অংশ নেন ২৯ জন। এর মধ্যে এলিট দৌড়বিদদের মধ্যে পুরুষ বিভাগে দুই ঘণ্টা ১০ মিনিট ৪১ সেকেন্ড সময় নিয়ে চ্যাম্পিয়ন হন মরক্কোর লাকুজি। দ্বিতীয় হন একই দেশের আজিজ লাহবাবি, তার সময় লাগে দুই ঘণ্টা ১০ মিনিট ৫১ সেকেন্ড। আর দুই ঘণ্টা ১২ মিনিট ১৩ সেকেন্ড সময়ে ফিনিশিং পয়েন্টে এসে তৃতীয় হন কেনিয়ার জ্যাকব কিবেট। নারী বিভাগে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পথে কেনিয়ার অ্যাঞ্জেলার সময় লাগে দুই ঘণ্টা ২৯ মিনিট ৪ সেকেন্ড। দ্বিতীয় হওয়া ইথিওপিয়ার ফানতু জিমা নেন দুই ঘণ্টা ৩২ মিনিট ৩১ সেকেন্ড সময়। আর তার স্বদেশি বিরুকতায়েত দেগাফু দুই ঘণ্টা ৩৫ মিনিট ১৬ সেকেন্ড নিয়ে হন তৃতীয়। এ ছাড়া ফুল ম্যারাথনে সার্ক ও দেশি দৌড়বিদদের মধ্যে পুরুষ বিভাগে ভারতের বাহাদুর সিং ও নারী বিভাগে নেপালের পুষ্প ভান্ডারি চ্যাম্পিয়ন হন। হাফ ম্যারাথনে এলিট রানারদের মধ্যে পুরুষ বিভাগের চ্যাম্পিয়ন কেনিয়ার এডুইন কিপটো, নারী বিভাগে একই দেশের নাওম জেবেত। বাংলাদেশের অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে প্রথম হন ফারদিন মিয়া, দ্বিতীয় কামরুল, তৃতীয় ফিরোজ। সব খেলোয়াড়ের দৌড় শেষে এম্পিথিয়েটারে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এ সময় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী উদযাপন জাতীয় কমিটির প্রধান সমন্বয়ক কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী ও সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানকে নিয়ে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন প্রধান অতিথি জেনারেল আজিজ আহমেদ। ফুল ম্যারাথনের এলিট বিভাগের চ্যাম্পিয়নরা ১৫ হাজার মার্কিন ডলার, রানারআপরা ১০ হাজার ডলার ও তৃতীয় স্থানধারীরা পাঁচ হাজার ডলার করে অর্থপুরস্কার পেয়েছেন। সার্ক ও দেশি দৌড়বিদ ক্যাটাগরির চ্যাম্পিয়নরা পাঁচ লাখ টাকা, রানারআপ চার লাখ টাকা ও তৃতীয় স্থানধারী তিন লাখ টাকা করে পেয়েছেন। এ ছাড়া হাফ ম্যারাথনে পুরুষ ও নারী দুই বিভাগের এলিট রানার চ্যাম্পিয়নরা দুই হাজার ৭০০ মার্কিন ডলার করে পুরস্কৃত হয়েছেন।